উত্তর দিনাজপুর, লাইফস্টাইল Healthy Fruit: রথের দিনে হরির লুটে মিলত এই ফল! অ্যানিমিয়া সারাতে ধন্বন্তরি! বাকি উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষায় বাজারে চলে এসেছে লটকন! এক সময় রথের দিন কলা বাতসার সঙ্গে এই ফলও দেওয়া হতো হরির লুটে! লটকন খেলে মিলবে বেশ কিছু উপকারিতা, রথের মেলায় এই ফল খেতে কিন্তু ভুলবেন না। বিশিষ্ট ডাক্তার কিংশুক প্রামাণিক জানান, লটকনে রয়েছে ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার-সহ বেশ কয়েকটি জৈব সক্রিয় যৌগ। এই লটকন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস যা স্ট্রেস কমায়। এতে ক্যানসারের মতো জটিল রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। লটকনে পাওয়া যায় আয়রন। আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে। ভিটামিন-সি ভরপুর দারুণ এই লটকন শক্তিশালী এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কয়েকটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। শরীর হাইড্রেটেড থাকে লটকন খেলে।লটকনে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার উপাদান পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লটকন ফল বেশ উপকারী। এতে অতিরিক্ত চিনির উপাদান নেই। লটকন ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই ফল হাড় ও দাঁত শক্তিশালী রাখে।
লাইফস্টাইল Jamun Eating Tips: কালোজাম খেয়েই জল খান? সর্বনাশ! জানুন কোন রোগে এই ফল খেলেই ঝাঁঝরা শরীর Gallery June 27, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষা আসতে না আসতেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে ডুমো ডুমো কালোজামে৷ বর্ষার সেরা স্বাদের এই ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর৷ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ-সহ একাধিক শারীরিক উপকারিতা পেতে বর্ষাকালীন ডায়েটে জাম রাখতে বলেন ডাক্তাররা৷ কিন্তু যে কোনও উপায়ে জাম খেলে শরীরের পক্ষে সেটা ক্ষতিকর৷ সতর্ক করেছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ মকরন্দ কুমার৷ মকরন্দ কুমারের মতে জাম খাওয়ার পর পরই জলপান করলে পেটের সমস্যা হতে পারে৷ জটিলতা বেশি হলে বদহজম ও ডায়রিয়াও হতে পারে৷ তাঁর মতে জাম খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা পর জল খান৷ অতিরিক্ত পরিমাণে জাম খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন মকরন্দ কুমার৷ তাঁর মতে বর্ষায় বেশি জাম খেলে গ্যাস, বদহজম ও পেটফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এমনকি, জামের মতো ফল বেশি খেলে ব্রণ হতে পারে৷ সেরকমই দাবি কিছু গবেষণায়৷ যাঁদের লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা আছে তাঁদেরও বেশি জাম খাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন মকরন্দ৷ কারণ এই ফলের প্রভাবে রক্তচাপ দ্রুত কমে যেতে পারে৷ ভিটামিন সি ভরপুর কালোজাম খেতে হবে এই বিধিনিষেধ মনে রেখে৷ তাহলেই আর কোনও অসুবিধে নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের৷
লাইফস্টাইল Green Mango vs Ripe Mango: কাঁচা না পাকা-কোন আম খাবেন ব্লাড সুগারে? কোনটা খেলে বাড়বে না ওজন? জেনে নিন Gallery May 22, 2024 Bangla Digital Desk জ্যৈষ্ঠমাস এমন একটা সময়, যখন বাজারে কাঁচা এবং পাকা-দু’রকমের আমই পাওয়া যায়। পাকা আম মূলত ফল হিসেবেই খাওয়া হয়। কাঁচা আম খাওয়া যায় নানা রেসিপিতে যোগ করে। কোনটা বেশি উপকারী, বলেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন সি। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত হয়। উজ্জ্বল ত্বকের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হজমে সাহায্য করে এই ফল। শর্করার পরিমাণ কম বলে ব্লাড সুগারে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আম বেশি কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কাঁচা আম। কাঁচা আমের পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটস সাহায্য করে শরীরের ফ্লুইড ব্যালান্স ঠিক রাখতে। ডিহাইড্রেশন দূর করা, ডিটক্সিফাই করার কাজেও কার্যকর এই ফল। পাকা আমে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখার জন্য এটা অত্যন্ত দরকারি উপকরণ। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ইনফ্লেম্যাশন রোধ করে পাকা আম। উজ্জ্বল ত্বক, মসৃণ ত্বক দেওয়ার পাশাপাশি চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না পাকা আম। কোলাজেনের যোগান বজায় রেখে ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখে। কাঁচা না পাকা-কোন আম বেশি উপকারী, সেটা নির্ভর করবে ব্যক্তিবিশেষের স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্যের উপর। যদি কেউ বদহজম দূর করতে চান, হাইড্রেশন, ডিটক্সিফিকেশনের জন্য কাঁচা আম সেরা অপশন। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খান কাঁচা আম। কিন্তু ত্বক, চুলের উজ্জ্বলতা, সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি ও দৃষ্টিশক্তি জোরদার করতে বেশি উপকারী পাকা আম। কারণ এতে একাধিক ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। কাঁচা এবং পাকা আম দুটোই উপকারী। তবে খেতে হবে নির্দিষ্ট সমস্যা অনুযায়ী।