Tag Archives: Human Brain
Viral: মানুষের মাংস খেলেন এই সুন্দরী! জানালেন স্বাদ! তারপরই যা ঘটল…গোটা বিশ্বে তোলপাড় ফেলেছে এই ঘটনা
‘জিনিয়াস’ হবে সন্তান…! শুধু দিনের ডায়েটে গুঁজে দিন এই পাঁচটি ‘সহজলভ্য’ খাবার! কম্পিউটারের মতো ছুটবে ব্রেন, দৌড়ে টেক্কা দেবে সবাইকে
3D Human Brain: ৩ডি প্রিন্টিং-এর কামাল! তৈরি হল ছোট ‘মস্তিষ্ক’; এবার একাধিক রোগ সারাতে সক্ষম বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের প্রথম ৩ডি বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টেড মস্তিষ্কের কলাকোষ তৈরি করতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই কলাকোষ বা টিস্যু কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের কলাকোষের মতোই কাজ করতে পারে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, মস্তিষ্কের নানা ধরনের রোগের ক্ষেত্রে উপযোগী হয়ে উঠবে এটি।
বিজ্ঞানীদের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে গোটা বিশ্বই রীতিমতো উত্তেজিত। কারণ এই ৩ডি কলাকোষ একাধিক রোগ এমনকী অ্যালজাইমার্স এবং পার্কিনসন্সের মতো নিউরোলজিক্যাল রোগের চিকিৎসাতেও সহায়ক হয়ে উঠবে। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ককে বোঝাও আরও সহজ হয়ে উঠবে। আসলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলি নিজেদের মধ্যে এবং মানুষের সঙ্গে কীভাবে সংযোগ গড়ে তুলছে, সেটা অনায়াসে বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: ব্রেকের বদলে একসালেরেটর! গাড়ি শিখতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার নায়িকা, তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি
এই আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ৩ডি প্রিন্টিং বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিংয়ের পরম্পরাগত কৌশলের থেকে সরে গিয়েই এক অনন্য পন্থা অবলম্বন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনিতে ৩ডি প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্তরকে একটার উপর একটা সাজিয়ে প্রিন্ট করা হয়। তবে এবার গবেষকরা মস্তিষ্কের এমন কোষগুলিকে এঁকেছিলেন, যেগুলি প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল। সেটা করা হয়েছিল সেগুলিকে সূক্ষ্ম বায়ো ইঙ্ক জেলের মধ্যে রেখে।
এরপরে কোষগুলি একসঙ্গে মিলে কলাকোষের আকার ধারণ করেছে। কিন্তু সেগুলি এতটাই ভঙ্গুর যে, স্নায়ুগুলিও একসঙ্গে বাড়তে শুরু করে। আর একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকে। কলাকোষ ভীষণই পাতলা। ফলে এর মাধ্যমে অনায়াসে নিউট্রিয়েন্স কোষে পৌঁছতে পারে।
নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে স্নায়ুগুলি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। সেই সঙ্গে একটি নেটওয়ার্কও তৈরি হয়। গবেষকদের বক্তব্য, তাঁরা সেরিব্রাল কর্টেক্স এবং স্ট্রিয়াটাম প্রিন্ট করেছেন। এমনকী তাঁরা মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অংশ থেকে কোষ প্রিন্ট করেছেন। আর সেগুলিকেই নিজেদের মধ্যে খুব ভাল ভাবে সংযোগ স্থাপন করতে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই প্রিন্টিং প্রযুক্তি এক বিশেষ সক্ষমতা প্রদান করতে সক্ষম। যা মস্তিষ্কের জটিল অংশগুলি বুঝতে সাহায্য করবে। এই কৌশলের মাধ্যমে গবেষকরা গবেষকরা কোষগুলিকে একে অপরের থেকে আলাদা রেখে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। এই সাফল্যের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণার কাজে বিশেষ ধরনের নমনীয়তা অর্জন করবেন। যার মাধ্যমে একাধিক রকমের চিকিৎসা এবং আবিষ্কার করা যাবে। কারণ বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক তৈরি করেছেন বলে দাবি করার অবস্থানে নেই।