মুর্শিদাবাদ: চাকরির নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ২০২৩ সালে ১৭ই এপ্রিল তিনি সিবিআই হেফাজতে যান। তারপরে দীর্ঘ ১৩ মাস জেলবন্দী থাকার পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জামিন পেয়েছেন সম্প্রতি। অবশেষে তিনি শনিবার রাতে পৌঁছালেন আন্দি গ্রামে। নিজের বাড়িতে এসে পৌঁছালেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতে পৌঁছানোর আগে আন্দিতে কালিতলাতে প্রণাম করেন সস্ত্রীক জীবন কৃষ্ণ সাহা। তারপরে তিনি বাড়িতে উপস্থিত হন। তাকে ফুল এবং চন্দন দিয়ে প্রদীপ দেখিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাকে মালা পড়িয়ে অর্ভ্যথনা জানানো হয়। জীবন কৃষ্ণ সাহা ফিরতেই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতন। যদিও জীবন কৃষ্ণ সাহার কথায়, আইনের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। আগামী দিনে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে প্রবেশ করবেন বলেও জানিয়েছেন জীবন বাবু।
জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, সত্যের জয় হয়েছে আজকে যারা কর্মী সমর্থক তারা খুব আনন্দিত হয়েছে আমিও তাদের সঙ্গে খুব আনন্দ এবং গর্ববোধ করছি। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় দিয়েছে সে রায় আমি মাথা পেতে নিয়েছি। আগামী দিনে যে রায় দেবে যে বিচার হবে যে রায় হবে কোর্টের সেটাও আমি মাথা পেতে নেব। জীবন কৃষ্ণ সাহা এও বলেন, তদন্ত সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট ও যে সিবিআই কোর্ট আছে তারা যা নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ মোতাবেক আমি মেনে চলবো। আগামী দিনে বিচার পাব এবং সত্যের জয় হবে বলেই জানান জীবনকৃষ্ণ সাহা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চাকরি নিয়োগ দুর্নীতির কান্ডে ১৪ই এপ্রিল ২০২৩ সালে বড়ঞার আন্দি গ্রামে হানা দেয় সিবিআই। পরে বাড়ির পিছনে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন। তারপরে পুকুর থেকে জল ছেঁচে তার দুটি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। পরে ১৭ই এপ্রিল সিবিআই গ্রেফতার করে তাকে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে জামিন পেযেছেন জীবন কৃষ্ণ সাহা। গত মঙ্গলবার জামিন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার আলিপুর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কলকাতায় বিধায়ক হোস্টেলে ছিলেন তিনি। অবশেষে বাড়ি ফিরে আসতেই দলীয় কর্মীদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
কৌশিক অধিকারী