Tag Archives: Kidnapping

Kidnap: অপহরণকারীর থেকে সরাতেই হাপুস কান্না এক রত্তির, বিরল ঘটনার সাক্ষী রইল সবাই! দেখুন ভিডিও

আলিগড়: এ যেন হিন্দি সিনেমার পুনরাবৃত্তি। এক হিন্দি সিনেমাতে অপহরণকারীর প্রেমে পড়ে যান নায়িকা। ঠিক সেই রকমই ঘটনা ঘটল আলিগড়ে। দুই বছরের এক শিশুকে অপহরণ করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু, পুলিশ যখন সেই অপহরণকারীর থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করতে যায় কিন্তু কিছুতেই সেই ওই ব্যক্তিকে ছাড়তে চাইছিল না শিশুটি।

ঘটনাটি আলিগড়ের জয়পুর থানার অন্তর্গত। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ। গত ২৭শে অগাস্ট, পৃথিবী নামে ওই এক রত্তিকে তনুজ চাহারের থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তনুজ শিশুটিকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, শিশুটি কিছুতেই তনুজকে ছাড়তে চাইছিল না। ভিডিওতে দেখা যায় একপ্রকার জোর করেই তনুজের থেকে শিশুটিকে সরিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি তাঁর মায়ের কোলে চলে যায়।

পুলিশ স্টেশনের বাইরে শিশুটির পরিবার অপেক্ষা করছিল। পুলিশ আধিকারিকরা এরপর শিশুটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেন। ততক্ষণে অপহরণকারী ওই তনুজের চোখেও জল।


সূত্রের খবর, ৩৩ বছর বয়সী আগ্রার বাসিন্দা তনুজ জয়পুর রিজার্ভ পুলিশ লাইনের হেড কনস্টেবল ছিলেন। পুলিশের কর্তব্য থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পৃথিবীকে আগে থেকেই চিনতেন তিনি। যমুনা নদীর ধারে পৃথিবীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পৃথিবীকে অপহরণ করার পর থেকেই লম্বা দাড়ি রেখে বারবার নিজের বেশ বদলাতে থাকেন তিনি। পুলিশের খুঁটিনাটি জানার জন্য পালিয়ে বেড়ানো তাঁর জন্য অনেকটাই সহজ হয়।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নে জোর, বার্তা মানিক সাহার
পৃথিবীকে অপহরণ করার আগে আশ্চর্যজনক ভাবে শিশুটির মা পুনম চৌধুরীকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি। যখন তাঁর মা সম্ভব নয়, এরপরেই শিশুটিকে অপহরণ করেন তনুজ।
জয়পুর পুলিশ এএসপি পুনমচাঁদ বিষ্ণোই জানান, যখন শিশুটিকে নিয়ে তনুজ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তখনও শিশুটির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তনুজের। আপাতত পুলিশের হেফাজতেই রাখা হয়েছে তনুজকে।

Kidnapping: হাঁটতে গিয়ে নিখোঁজ স্ত্রী-সন্তান, স্বামীর কাছে এল রহস্যময় কিউআর কোড! তারপর? শুনলে চমকে যাবেন!

লখনউ: এক তরুণীর দুই সন্তান-সহ নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে। ওই মহিলা নিখোঁজ হওয়ার কিছু পরেই মুক্তিপণ চাওয়া হয় তাঁর স্বামীর কাছে। তাঁর স্বামীর কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়ার কায়দাটিও অভিনব। একটি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে কিউ আর কোড পাঠানো হয়। সেই কোডেই চাওয়া হয় মুক্তিপণ।

আর পাঁচটা দিনের মতই দুই সন্তানকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। এরপরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর স্বামী খোঁজ শুরু করার পরেই তাঁর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে একটি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বরে কিউআর কোড পাঠানো হয়। সেই কিউআর কোডে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছে আস্ত কুমির! তারপরই… হাড়হিম করা ভিডিও
মূল ঘটনা গত পয়লা অগাস্টের, কুশিনগরের ফজিলনগর পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯ বছরের তরুণী, প্রীতি হাঁটতে বেরোন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ১০ বছরের মেয়ে দীপশিখা এবং ৯ বছরের ছেলে দিব্যাংশু।

সামনে একটি নালার সামনে থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রীতির স্বামী স্বতন্ত্র সিং হোয়াটসঅ্যাপে মুক্তিপনের ফোন পান। সঙ্গে কিউআর কোডের মেসেজ আসে। এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
স্বতন্ত্র সিং জানিয়েছেন তাঁকে অপহরণকারীরা তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলিয়েছে। অপহরণকারীরা তাঁকে ইতিমধ্যে তাঁকে মেসেজও করেছে “তোমার মেয়ে শেষ” এই কথাও জানান তিনি।
৪ঠা অগাস্ট পুলিশে অভিযোগ জানান স্বতন্ত্র। কিন্তু পুলিশ শুধু তাঁর স্ত্রীর নামে নিখোঁজ -এর একটি রিপোর্ট লিখেই দায় সেরেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়দের মনে।

Four Criminals Arrested: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা! পুলিশের জালে চার দুষ্কৃতী

হুগলি: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সুপারী ব্যবসায়ীকে অপহরের চেষ্টা! এই অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করল পোলবা থানার পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের চুঁচুড়া স্টেশনের রেল লাইনের ধার থেকে আটক করা হয়। ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।

স্থানিয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়া পল্লীশ্রীর বাসিন্দা মৃণাল সাহার পোলবার সুগন্ধায় সুপারী প্রক্রিয়াকরণের কারখানা রয়েছে। সেখান থেকে গত ৩১ মার্চ তিনি স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সুগন্ধার অমরপুরের কাছে বাইক নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জোর করে তাঁকে নিজেদের বাইকে তোলার চেষ্টা করে। টানাটানির সময় রাস্তায় পরে গিয়ে পা ভাঙে ব্যবসায়ীর। এই দৃশ্য দেখে আশেপাশের লোক ছুটে আসতেই ব্যবসায়ীকে ফেলে রেখেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন: সব কলা শেষ! ভারী বৃষ্টির মধ্যেই বেড়েছে হাতির উপদ্রব, অসহায় গ্রামবাসীরা

এই ঘটনার পর চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন ব্যবসায়ী। এদিকে অভিযোগ পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গত মে মাসের ৬ তারিখে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। জানা গিয়েছে ধৃতরা চুঁচুড়া রবীন্দ্র নগরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসের বিরোধী বাবু পালের গোষ্ঠীর লোক। এক সময় টোটোনের গ্রুপেই ছিল বাবু পাল। এখন তারা একে অপরের শত্রু।

রাহী হালদার

Crime News: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণ করে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, ফোনে বাবা-মা-কে যা বলল ছেলে…

মালদহ: মালদহে অপহৃত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন পরিবারকে। নাবালক ছেলের সঙ্গে পরিবারের কথা বলিয়ে ‘মুক্তিপণ’ দাবি করল দুষ্কৃতিরা। মালদহের কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়নগর ডাঙা এলাকায় ঘটেছে ঘটেছে ঘটনা।

পারিবারিক সম্পত্তি বিবাদের জেরে অপহরণ বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশ ও পরিবারের। ছাত্র অপহরণে আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের পরিবারের। তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে অন্যান্য দিনের মতোই ছাগল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় জালালপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ ইনজামুল হক। তার বয়স ১৪ বছর। কিন্তু, ছাগল চড়ানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবারে দিনরাত তাঁকে খোঁজাখুঁজি করার পর শনিবার দুইজন সন্দেহভাজনের নামে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানায় নিখোঁজের পরিবার। কিন্তু, রবিবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ হওয়া ছেলে।

আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ১৮ রাজ্য কাঁপাবে ভারী বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া-বজ্রপাত! IMD-র বড় সতর্কতা! কী হবে বাংলায়…? আবহাওয়ার মেগা আপডেট!

পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার পর শনিবার অচেনা নম্বর থেকে অপহৃত ছাত্রের বাড়িতে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে ছেলের কণ্ঠস্বর শোনানো হয় বাবা এনামুল হক এবং মা রুমানা বিবিকে। সেখানে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে বলা হয়। সামান্য কথাবার্তায় ছেলে জানান, কোনও জঙ্গল এলাকায় গোপন ডেরায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। এরপরে ফোন কেটে দেওয়া হয়।

এদিকে এখনও পর্যন্ত ছেলে উদ্ধার না হওয়ায় অসহায় অবস্থায় রয়েছে নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদ রয়েছে। অপহৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে বিবাদ রয়েছে কাকা ও পিসির। ছাত্র অপহরণের নেপথ্যে তাঁদের হাত থাকতে পারে। এমনই সন্দেহ করে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অবিলম্বে ছেলেকে খুঁজে পেতে পুলিশ প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিবেশীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিখোঁজের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কয়েকজনকে জেরাও করা হয়েছে।

সেবক দেবশর্মা

Kidnapping News: হুগলির জনাইতে ছেলেধরা সন্দেহে সে কী কাণ্ড, সে কী কাণ্ড, তারপর পুলিশ যা বলল চমকদার

হুগলি: সম্প্রতি সময়ে ছেলে ধরা ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে এমনভাবে রটতে শুরু করেছে সেখানে আমজনতা যে কোন মানুষকেই ভুল করে ফেলছে ছেলে ধরা হিসেবে ভেবে। হাবরা অশোকনগরের পর এবার হুগলিতে একই ছেলে ধরার গুজব। এবার চণ্ডীতলা থানার জনাই রেল স্টেশন এলাকায় গুজব রটে ছেলে ধরার। তবে অপ্রীতিকর ঘটনার আগেই পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জানাই এলাকায় এক মহিলা ও মূক-বধির পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে একটি শিশুকে দেখে এলাকায় ছেলেধরা গুজব রটে যায়। যদিও এলাকার মানুষ পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই চণ্ডীতল থানায় খবর দেয়। এর পরই পুলিশ এসে শিশু সহ দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়।

আরও পড়ুন – Astro Tips: শত্রু কে! চিনতে পারছেন না, জ্যোতিষীর পরামর্শে চিনুন শত্রুকে, নাশ করুন এই টোটকায়

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দুজনেরই বাড়ি সুন্দরবন এলাকায় ।আজ শিয়ালদা থেকে ট্রেনে চেপে জানাই এসে এক আত্মীয়র ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে স্থানীয়দের কাছ থেকে। পুরুষ সঙ্গী মূক ও বধির হওয়ার কারণে কোনো কথা বলতে পারছিলেন না আর এই কারণেই ছেলে ধরা গুজব রটে যায় এলাকায়।কোনো অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার আগেই শিশু সহ দু’জনকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রাই।

পুলিশ শিশু সহ দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ সূত্রে জানা দুজন স্বামী- স্ত্রী। স্বামী রফিকুল মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী রেজিনা বিবি।শিশুটি তাঁদেরই সন্তান।

প্রসঙ্গত, ছেলে ধরার ঘটনায় যেভাবে বেশ কিছুদিন যাবৎ ঘটে চলেছে তাতে আতঙ্কিত আমজনতা। আতঙ্কের বশেই যে কোনও মানুষকে এইভাবে ছেলে ধরার তকমার শিকার হতে হচ্ছে। হুগলির ঘটনায় নিজের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যাবার সময় তাদেরকে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে ছেলে ধরার অভিযোগ শুনতে হয়। তবে ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতিতে কোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ওই দম্পতি সহ শিশুটিকে।

Rahi Halder