Tag Archives: KKR

KKR: কেকেআরের সেরা বোলার! তার হাত ধরেই অসাধ্য সাধনের স্বপ্ন দেখছে শাহরুখের দল

কলকাতা: রিঙ্কু সিং মনে করেন বরুণ চক্রবর্তী এবার শুরু থেকেই কেকেআর দলে সেরা বোলার। তামিলনাড়ু এই রহস্য স্পিনার এবার শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন শাহরুখ খানের দলের জার্সি গায়ে। বিরাট কোহলি থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রত্যেকেই বিপদে পড়েছেন তাকে খেলতে গিয়ে। কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত নিজেও খুব খুশি এই পাল্টে যাওয়া বরুণকে দেখে।

কেকেআরের সব ক্রিকেটার মনে করেন এবার বরুণ আরো চমক দেবে। নীতিশ রানা বল তুলে দেন বরুণ চক্রবর্তীর হাতে। ক্যাপ্টেনের মর্যাদা রাখতে ভুল হয়নি মিস্ট্রি স্পিনারের। মাত্র ৩ রান খরচ করে দলকে দুরন্ত জয় এনে দিলেন বরুণ। ম্যাচের পর সাফল্যের রহস্যও ফাঁস করলেন নায়ক। বলেন, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, আমরা জিতেছি।

আরও পড়ুন – CSK vs MI: ধোনির আজ ইজ্জতের লড়াই! মুম্বইকে হারাতে মরিয়া চেন্নাই এক্সপ্রেস

কাঁধে গুরুদায়িত্ব সঁপে দিয়েছিল নীতীশ। পরিকল্পনামাফিক বিপক্ষ ব্যাটসম্যানের পা বরাবর বল রাখার চেষ্টা করেছি। তাতেই এসেছে সাফল্য। চলতি মরশুমে কেকেআরের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার অভাব সুস্পষ্ট। তবে স্পিন বিভাগে বরুণ, নারিন, সুয়াশরা ছন্দে রয়েছেন। তার জন্যই শেষ ওভারে স্পিন বিভাগের স্তম্ভ বরুণের উপর ভরসা রাখেন নীতীশ।

মিস্ট্রি স্পিনারের কথায়, গত বছরে সেভাবে দাগ কাটতে পারিনি। সেই ভুল শোধরাতে আইপিএলের আগে অনেক পরিশ্রম করেছি। তারই সুফল পাচ্ছি। তবে শেষ ওভারে যখন বল করছিলাম হার্টবিট বোধহয় দুশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল। উত্তেজনায় হাত থেকে বলও পড়ে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে সেরাটা মেলে ধরতে পারায় খুশি। জয়টা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আগামী ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।

Gurbaz: শাহরুখের দলের আসল পাঠান! গুরবাজই, নাইটদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্লে অফের

হায়দরাবাদ: চলতি আইপিএলে অভিষেক হয়েছে আফগানিস্তানের ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজের। কলকাত নাইট রাইডার্স ৫০ লক্ষ টাকা  দিয়ে নিলামে তাকে কিনেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কলকাতাকে খুব একটা হতাশ করেননি ২১ বছরের গুরবাজ। কলকাতা এখনো পর্যন্ত ৯ টি ম্যাচ খেলেছে এবারের আইপিএলে , এরমধ্যে ৬ টিতে খেলেছেন গুরবাজ। এই ৬ ম্যাচে ১৪৫ এর উপর স্ট্রাইক রেটে ৩১ এর কাছাকাছি ব্যাটিং গড়ে ১৮৩ রান করেছেন এই প্রতিভাবান আফগান ক্রিকেটার।

আরও পড়ুন – Virat vs Gambhir: কোহলি এবং গম্ভীরের জরিমানায় খুশি নন গাভাসকর, আরও বড় শাস্তি চান

এর মধ্যে ইডেনে গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৮১, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৪৪ বলে ৫৭ রান করেছেন গুরবাজ। কলকাতার হয়ে ওপেন করতে নামছেন রহমানুল্লাহ। পেস বোলিং, স্পিন বোলিং দুই ধরণের বোলিংয়ের ক্ষেত্রেই তাকে সাবলীল লাগছে। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা আছে তার। দুই ধরণের বোলারদেরই গ্যালারিতে পাঠানোর ক্ষমতা আছে।

যতগুলি ম্যাচ খেলেছেন তার প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তিনি ইনিংস খুব ভালো শুরু করেছেন। প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৬ বলে ২২, আহমেদাবাদে গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে ১২ বলে ১৫, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৮ বলে ১২ রান করেছেন। একমাত্র ইডেনে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে তিনি কোনো রান না করে আউট হন। এর পাশাপাশি উইকেটের পিছিনে গ্লাভস হাতে তিনি ভরসা জুগিয়েছেন।

লিটন দাসকে এই মরসুমে পাওয়া যাবে না। জেসন রয় ফর্মে থাকলেও তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। ফলে কলকাতার বাকি ম্যাচগুলিতে ইনিংসের ভালো শুরুর জন্য কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত , অধিনায়ক নীতিশ রানা অনেকতাই রহমানুল্লাহের উপর নির্ভরশীল। ৯ ম্যাচে ৬ টিতে হেরে প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই কঠিন কেকেআরের।

সামনে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, পাঞ্জাব কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলবে কেকেআর। প্লে অফে জিততে হলে বাকি ম্যাচগুলি জিততেই হবে কেকেআরকে। সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলির ফলাফলের দিকেও। বাকি ম্যাচগুলির মধ্যে ৩ টি ম্যাচ কেকেআর খেলবে ঘরের মাঠে।

যদিও এবার ইডেনেও শাহরুখের দলের পারফরম্যান্স তথৈবচ। চলতি মরসুমে পারফরম্যান্সে একেবারেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি কেকেআর। চূড়ান্ত ব্যর্থ দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল। এই অবস্থায় ২২ গজে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ব্যাটার পাঠান হিসেবে দেখতে চাইবেন দলের মালিক শাহরুখ খান।

KKR: `নাইট রাইডার্সকে যেখানে পাব, সেখানেই মারব’! কেকেআরকে টিটকিরি প্রাক্তন নাইটের

কলকাতা: তিনি একজন প্রাক্তন নাইট। বেশ কয়েকটা বছর খেলে গিয়েছেন কলকাতায়। তখন অবশ্য এখনকার মত কমপ্লিট ব্যাটসম্যান ছিলেন না তিনি। কিন্তু চেয়েছিলেন শাহরুখ খানের দলে থাকতে। তার ইচ্ছের মর্যাদা দেয়নি কেকেআর। তাই ভেতর ভেতর একটা রাগ আর অভিমান ছিল শুভমন গিলের।
২০২২ সালের মেগা নিলাম! আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, বেঙ্কটেশ আয়ারের পাশাপাশি বরুণ চক্রবর্তীকেও রিটেইন করেছিল কেকেআর।

তবে শুভমন গিলের প্রতি আস্থা দেখায়নি কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তরুণ তুর্কির নতুন ঠিকানা হয় গুজরাত টাইটান্স। আবির্ভাবেই হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির খেতাব জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শুভমন। এবারও দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা তিনিই। তবে কেকেআরের সঙ্গে পুরনো হিসেবটা বাকি ছিল। গত শনিবার ইডেনে ৩৫ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে নাইটদের জবাব দিলেন তিনি।

আজও পড়ুন – Kohli vs Gambhir: গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে পারতেন না পাকিস্তানিরাও! কোহলি নিতান্তই শিশু

তাঁর গড়ে দেওয়া ভিতেই জয়ের পথ প্রশস্ত করেন বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলাররা। ম্যাচের পর পুরনো দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভমন। নিজের ব্যাটিংয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ডে রাইডার্স’। তাতে হাসির ইমোজিতে কমেন্ট করেছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। শনিবার গুজরাতের কাছে হেরে প্লে-অফের পথ দুর্গম হয়েছে কেকেআরের।

গুজরাত ৮ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে টেবিলের মগডালে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩৩ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে প্রবলভাবে আছেন শুভমন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কেকেআরের ছিটকে যাওয়া দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। গিল জানিয়েছেন কলকাতার সমর্থকদের তিনি আজও ভালোবাসেন। কিন্তু তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। তাই এরপরেও যেখানেই শাহরুখ খানের দলকে পাবেন পিটিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেবেন।

KKR Gurbaz: কেকেআর হারলেও মন জিতেছেন গুরবাজ! রশিদকে ছাতু করার রহস্য জানালেন

কলকাতা: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, আধুনিক ক্রিকেট যারা দেখেন তাদের কাছে যথেষ্ট পরিচিত নাম। তরুণ এই আফগান উইকেট কিপার এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান কেকেআরের জার্সিতে শনিবার ঝড় তুলেছিলেন ইডেনে। ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা দিয়ে। গুজরাত দলের রশিদ খানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন এই আফগান ব্যাটসম্যান।

ম্যাচ শেষে গুরবাজ জানিয়েছেন রশিদকে মারা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। দুনিয়ার অন্যতম সেরা স্পিনার সে। কিন্তু আফগানিস্তানের হয়ে খেলার কারণে গুরবাজ জানতেন রশিদকে কিভাবে আক্রমণ করতে হয়। বল পিচ স্পর্শ করার আগেই ব্যাটে লাগিয়েছেন। উড়ে গিয়েছে গ্যালারিতে। গুরবাজ জানতেন রশিদের বল পিচ স্পর্শ করলে খেলা কঠিন। তাই স্টেপ আউট করার গেমপ্ল্যান ঠিক করে নিয়েছিলেন। তাতেই সাফল্য।

আরও পড়ুন – Hardik Pandya: কেকেআরকে ছাতু করা ব্যাটসম্যানকে স্যালুট হার্দিকের, জাতীয় দলে ফিরবেন?

জেসন রয় আগের দুটো ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। তার জায়গায় দলে এসেছিলেন আফগান তারকা। রয় ফিট হয়ে গেলে তাকে কী আবার বাদ পড়তে হবে? সেটা জানেন না গুরবাজ। তবে এটুকু জানেন যখন সুযোগ পাবেন তাকে রান করতে হবে। যেমনটা গুজরাতের বিরুদ্ধে করেছেন এমন পরবর্তী ম্যাচে সুযোগ হলেও করতে চাইবেন।

অবশ্য ক্রিকেট পন্ডিতরা মনে করেন কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে এবার সুনীল নারিনকে বসিয়ে দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে চার বিদেশি হওয়া উচিত রয়, গুরবাজ, রাসেল এবং উইজে। রয় এবং গুরবাজ একসঙ্গে ওপেন করলে পাওয়ার প্লে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যাবে।

আসলে কেকেআরের প্রত্যেকবার এই এক সমস্যা। প্রথম দল সেট করতে করতেই অর্ধেক টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়। এখন দেখার দুর্দান্ত খেলার পর পরবর্তী ম্যাচগুলোতে সুযোগ পান কিনা গুরবাজ। তবে ক্রিকেট বুদ্ধি বলে যে ছেলেটা দুর্দান্ত ব্যাট করেছে শেষ ইনিংসে তাকে কোনও যুক্তিতে বাইরে রাখা যায় না।

Sunil Narine: ডাহা ফেল সুনীল নারিন! কেকেআরের রহস্য স্পিনারের দিন শেষ প্রমাণিত

কলকাতা: একটা সময় ছিল কেকেআরের জার্সিতে তার বিরুদ্ধে খেলতে গেলে সচিন তেন্ডুলকর থেকে জয়সূর্য চিন্তায় পড়তেন। একটা সময় ছিল যখন আইপিএলে তার হাতে বল তুলে দেওয়া মানে যখন তখন উইকেট পড়বে। সৌরভ থেকে গৌতম গম্ভীর – কেকেআর অধিনায়করা চোখ বন্ধ করে ভরসা করতেন সুনীল নারিনের ওপর। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল বোলার।

লেজেন্ড বললেও ভুল হবে না। কিন্তু কোথায় থামতে হয় সেটা জানতে হয়। এই মুহূর্তে সুনীল নারিন অতীতের ছায়া মাত্র। কেকেআরের বোঝা। জোর করে খেলছেন। দেখলে মনে হয় তার রহস্য স্পিন বাকি সবাই ধরে ফেলেছে। আসলে তার বোলিং একশন বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করতে হয়েছে নিয়মের কারণে। সেটাও হতে পারে ধার কমে যাওয়ার কারন।

আরও পড়ুন – KKR Andre Russell: জন্মদিনে বৃথা গেল রাসেলের লড়াই, প্লে অফ থেকে আরও দূরে কেকেআর

কিন্তু যারা চ্যাম্পিয়ন বোলার তারা ঠিক অন্য রাস্তা খুঁজে নেয় উইকেট নিতে। আজ সুনীল নারিন একটি উইকেট পেয়েছেন। ২৪ রান দিয়েছেন। পরিসংখ্যানের বিচারে আজকে তার পারফরমেন্স কলকাতার বাকি দুজন স্পিনারের থেকে ভাল। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে মানে এই পর্যন্ত তার থেকে যেটা আশা করা গিয়েছিল সেটা দিতে পারেননি তিনি।

প্রচুর রান দিয়েছেন, তরুণ ব্যাটসম্যানরাও তার বিরুদ্ধে রান করেছেন। আজ ইডেনে শনিবারের দুপুরে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থকদের মুখে নারিনকে নিয়েই আলোচনা। তবে এটাও ঠিক আজকে হারের কারণ বরুণ চক্রবর্তী এবং সুয়শ শর্মার উইকেট না পাওয়া। তবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আর বাংলাদেশ লিগে নারিন চলে গেলেও আইপিএলে তিনি আর চলবেন না। এটা ক্রমশ পরিষ্কার। কেকেআর পরের বছর তাকে ছেড়ে দেয় নাকি জামাই আদরে রেখে দেয় সেটাই এখন দেখার।

KKR Andre Russell: জন্মদিনে বৃথা গেল রাসেলের লড়াই, প্লে অফ থেকে আরও দূরে কেকেআর

কলকাতা: শনিবার জন্মদিনটা সুখের কাটল না আন্দ্রে রাসেলের। কিন্তু সুখের হতেই পারত। আজ ইডেনে ব্যাট হাতে ৩৪ রান করার পর বল হাতে ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সম্পূর্ণ ফিট না থাকলেও আজ ঘরের মাঠে জয় পেতে তার মধ্যে যতটা খিদে ছিল সেটা বাকিদের মধ্যে ছিল না। গুরবাজ এবং রাসেল ছাড়া আজ কেকেআরের সবাই ফ্লপ। মিডল অর্ডারে রানা, রিঙ্কু, ভেঙ্কটেশ কেউ খেলতে পারেনি।

ঘরের মাঠে যে অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার কথা ছিল সেটা নিতে পারল না শাহরুখ খানের দল। উল্টে দু ওভার বাকি থাকতে হেরে গেল ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই মন ভাল নেই রাসেলের। ক্যারিবিয়ান তারকা বলছিলেন আমরা ২০-২৫ রান কম করেছি। জঘন্য ফিল্ডিং করেছি। রাসেলের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল অধিনায়ক নীতিশ রানার গলাতে। রানা আজ নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ।

ম্যাচ শেষে বললেন ফিল্ডিং এবং বোলিং এত খারাপ হলে এবং গুজরাতের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হলে এই ফলাফল অবাক হওয়ার মতো নয়। সমগ্র দল হিসেবে আমরা আজ ব্যর্থ। রাসেল আর গুরবাজ লড়াই করেছে শুধুমাত্র। জানিনা এখান থেকে উন্নতির রাস্তা কোথায়। সমর্থকদের জন্য দুঃখ লাগছে। তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি হাল ছেড়ে দিতে পারি না।

প্লে অফ খেলা কঠিন হয়ে গেল মানছি। কিন্তু আমাদের সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। সুযোগ আছে এখনও। আয়নায় মুখ দেখতে হবে আমাদের। আমি শুধু বলব নিজেদের ওপর শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস হারিও না। খেলা ভেঙেছে কিছুক্ষণ আগে। ইডেনের বাইরে দাঁড়ানো টিম বাসে একে একে এগুচ্ছেন ক্রিকেটাররা। রাসেলকে একবার দেখার জন্য তখন বাচ্চাদের ভিড়।

আসলে ক্যারিবিয়ান তারকা তাদের বড্ড প্রিয়। রাসেল রাসেল চিৎকার শুনে একবার হাত তুলে নাড়ালেন। তারপর মাথা নিচু করে বাসের মধ্যে মিলিয়ে গেল বিশাল শরীরটা। জন্মদিনে তাকে জয় উপহার দিতে পারেনি তার দল। চন্দ্রকান্ত পন্ডিত যাই বলুন তিনি দলটার কম্বিনেশন তৈরি করতে পারেননি। হয়তো এত তাড়াতাড়ি সেটা সম্ভব নয়। আশা করাও ঠিক নয়।

কিন্তু জঘন্য ফিল্ডিং ক্লাব স্তরের বোলিং নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। খাতায়-কলমে সামান্য হলেও কেকেআরের সুযোগ আছে প্লে অফে টিকে থাকার। কিন্তু সেটা না থাকার সমান। আজকের পর আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে যাবে বেগুনি জার্সিধারীদের। রিঙ্কু সিং ম্যাজিক রোজ রোজ হয় না।

KKR vs GT: ইডেনে নাইটদের উড়িয়ে দিয়ে বদলা নিল গুজরাত, জঘন্য বোলিং এবং ফিল্ডিং কেকেআরের

কলকাতা: কেকেআর স্কোর বোর্ডে যে রান তুলেছিল সেটা কুড়ি রান কম ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই ধরনের ম্যাচে যেটা জয়-পরাজয়ের পার্থক্য তৈরি করে দেয়। ওপেন করতে নেমে ঋদ্ধিমান (১০) ফিরে গেলেও গিল দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন। দেখার মত শট মারলেন। ৪৯ করে আউট হলেন নারিনের বলে। হার্দিক পান্ডিয়া (২৬) ফিরে গেলেন রাসেলের বলে। কিন্তু ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে বেশ কয়েকবার জঘন্য ফিল্ডিং কেকেআরের। মিলারের (২৮) সহজ ক্যাচ ফেললেন সুয়শ। সুযোগ পেলে বড় শট নিলেন বিজয় শংকর।

শনিবার ইডেনে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হল ম্যাচ। চোটের কারণে জেসন রয় আজকে ছিলেন না। সেটা বিশাল ধাক্কা ছিল কলকাতার কাছে। তার জায়গায় আফগান গুরবাজ আবার এসেছিলেন শুরুতে। সঙ্গে আবার জগদীশন। তবে আজ বল নষ্ট করেনি তিনি। ১৫ বলে ১৯ ( চারটি বাউন্ডারি) মেরে আউট হয়ে গেলেন। তবে তিন নম্বরে শারদুল ঠাকুরকে নামিয়ে একটা চমক দিতে চেয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত।

কিন্তু পুরো ব্যর্থ ঠাকুর। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন মোহিত শর্মা। দুটি উইকেট নিলেন শামি। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে এবারের আইপিএলের নিজের দ্বিতীয় পঞ্চাশ করে নিলেন গুরবাজ। আজ আফগান ওপেনার প্রথম থেকেই দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন।

এমনকি নিজের দেশের রশিদ খানকেও বেশ কয়েকবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। চার নম্বরে এলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে নুর আহমেদ বেশ টাইট বোলিং করে কেকেআরের রান তোলার গতি কমিয়ে দিলেন। ১০ ওভারের শেষে নাইটদের রান ছিল ৮৪/২। ভেঙ্কটেশ (১১) আজ ব্যর্থ। লিটলের বলে স্কুপ করতে গিয়ে এল বি হলেন। একই ওভারে আউট অধিনায়ক নীতিশ রানা (৪)। পয়েন্ট ক্যাচ দিলেন তিনি। দুটো উইকেট নিয়ে নিলেন লিটল।

রিঙ্কু সিং একেবারেই টাইমিং করতে পারছিলেন না। দেখার ছিল ১৫ ওভারের পর থেকে কতটা রান বাড়িয়ে নিতে পারে কলকাতা। রশিদ খানের এক ওভারে ১৭ রান নিলেন গুরবাজ। নূরের বলে ফিরে গেলেন সেই রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটা ছক্কা এবং পাঁচটি বাউন্ডারি দিয়ে।

জন্মদিনের দিন রাসেল আবার ব্যর্থ হন কিনা দেখার ছিল। রশিদ খান আজ একটিও উইকেট পেলেন না। চার ওভারে দিলেন ৫৪ রান। গুজরাটের হয়ে আজ দুর্দান্ত বল করলেন লিটল। দুটি উইকেট নেওয়া ছাড়াও চার ওভারে দিলেন মাত্র ২৫ রান। রাসেল কয়েকটা ছয় মেরে ১৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেন।

বরুণ চক্রবর্তী আজকের ভিলেন। এতদিন ভাল বল করলেও আজ ১৭ নম্বর ওভারে ২৪ রান নিলেন তার ওভারে বিজয় শংকর। অসাধারণ খেললেন বিজয়। প্রায় একার হাতেই জয় নিশ্চিত করে দিলেন গুজরাতের। আমেদাবাদের বদলা, কলকাতায় নিয়ে নিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আবার হারের রাস্তায় ফিরে নিজেদের প্লে অফ খেলার আশা প্রায় জলাঞ্জলি দিল কেকেআর। দু ওভার আগে থাকতেই জিতে গেল গুজরাত। এই নিয়ে পরপর চারটে।

 

KKR vs GT: গুরবাজ, রাসেল জুটিতে ইডেনে গুজরাতের বিরুদ্ধে লড়াকু টোটাল কেকেআরের

কলকাতা: শনিবার ইডেনে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হল ম্যাচ। চোটের কারণে জেসন রয় আজকে ছিলেন না। সেটা বিশাল ধাক্কা ছিল কলকাতার কাছে। তার জায়গায় আফগান গুরবাজ আবার এসেছিলেন শুরুতে। সঙ্গে আবার জগদীশন। তবে আজ বল নষ্ট করেনি তিনি। ১৫ বলে ১৯ ( চারটি বাউন্ডারি) মেরে আউট হয়ে গেলেন। তবে তিন নম্বরে শারদুল ঠাকুরকে নামিয়ে একটা চমক দিতে চেয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত।

কিন্তু পুরো ব্যর্থ ঠাকুর। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন মোহিত শর্মা। দুটি উইকেট নিলেন শামি। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে এবারের আইপিএলের নিজের দ্বিতীয় পঞ্চাশ করে নিলেন গুরবাজ। আজ আফগান ওপেনার প্রথম থেকেই দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন।

এমনকি নিজের দেশের রশিদ খানকেও বেশ কয়েকবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন। চার নম্বরে এলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে নুর আহমেদ বেশ টাইট বোলিং করে কেকেআরের রান তোলার গতি কমিয়ে দিলেন। ১০ ওভারের শেষে নাইটদের রান ছিল ৮৪/২। ভেঙ্কটেশ (১১) আজ ব্যর্থ। লিটলের বলে স্কুপ করতে গিয়ে এল বি হলেন। একই ওভারে আউট অধিনায়ক নীতিশ রানা (৪)। পয়েন্ট ক্যাচ দিলেন তিনি। দুটো উইকেট নিয়ে নিলেন লিটল।

রিঙ্কু সিং একেবারেই টাইমিং করতে পারছিলেন না। দেখার ছিল ১৫ ওভারের পর থেকে কতটা রান বাড়িয়ে নিতে পারে কলকাতা। রশিদ খানের এক ওভারে ১৭ রান নিলেন গুরবাজ। নূরের বলে ফিরে গেলেন সেই রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটা ছক্কা এবং পাঁচটি বাউন্ডারি দিয়ে। জন্মদিনের দিন রাসেল আবার ব্যর্থ হন কিনা দেখার ছিল। রশিদ খান আজ একটিও উইকেট পেলেন না। চার ওভারে দিলেন ৫৪ রান।

গুজরাটে হয়ে আজ দুর্দান্ত বল করলেন লিটল। দুটি উইকেট নেওয়া ছাড়াও চার ওভারে দিলেন মাত্র ২৫ রান। রাসেল কয়েকটা ছয় মেরে ১৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেন।

KKR vs GT: টস জিতে ইডেনে বল করার সিদ্ধান্ত গুজরাতের, বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নাইটদের

কলকাতা: আরসিবির বিরুদ্ধে জয়ের পর কেকেআরের গুমোট পরিস্থিতি অনেকটাই কেটে গিয়েছে। অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজে দেখিয়েছে গোটা দলকে। তবে এখনও যে ব্যাটিং-বোলিংয়ের বেশ কিছু জায়গা মেরামতি দরকার তা মানছে নাইটদের কোচিং টিম। সেটা কিভাবে করা যায় তা দেখছেন। অধিনায়ক নীতিশ রানা। জয়ের রাস্তায় থাকতে পারলে প্লে অফের ওঠার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়নি নাইটদের।

আগামি ৬টা ম্যাচ নীতিশ রানার দলের একটাই মূলমন্ত্র জয়, জয় শুধুই জয়। শনিবার ঘরের মাঠে নাইটদের প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্স। শেষ দুটি ম্যাচ লখনউ ও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের পর এবার কেকেআর ঘরে ঢুকে প্রথম পর্বের হারের বদলা নিতে মুখিয়ে রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। রিঙ্কু সিং প্রথম সাক্ষাতে যেভাবে জয়ের গ্রাস মুখের সামনে থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন, সেই ক্ষতে ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে প্রলেপ লাগাতে বদ্ধপরিকর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

ইডেনে আজকের ম্যাচ দাপট দেখা যেতে পারে স্পিনারদের। দুই দলেই আছে নামকরা স্পিনার। পাশাপাশি গিল, ভেঙ্কটেশ, মিলার, রয়দের মতো ব্যাটসম্যান। তাই লড়াইটা একপেশে হবে না সেটা বলাই যায়। টস হওয়ার একটু আগে কালো মেঘ করে আসে আকাশে। বৃষ্টিও শুরু হয়। হার্দিক জানিয়ে দেন এটা দেখেই তিনি বল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। জেসন রয় ব্যথা অনুভব করছেন। তাই এই ম্যাচে তিনি খেলছেন না। ফিরে এসেছেন আফগানিস্তানের গুরবাজ। এটা কলকাতার বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

KKR vs GT: ইডেনে আজ স্পিন রহস্যের দ্বৈরথ! জোড়া আফগান স্পিনার বনাম বরুণ, সুয়শ

কলকাতা: শনিবার দুপুরে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটানস বনাম কেকেআর ম্যাচ যে একটা স্পেশাল লড়াই হতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই। দুই দলে একাধিক তারকা। অনেক ছোট ছোট লড়াই লুকিয়ে আছে। তবে সবচেয়ে বড় লড়াইটা বোধহয় দুই দলের স্পিনারদের কেন্দ্র করে হতে চলেছে। নাইট রাইডার্স দলের প্রধান ভরসা তিনজন স্পিনার। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী এবং তরুণ লেগ স্পিনার সুয়শ শর্মা।

নারিন এই মুহূর্তে একেবারেই ছন্দে নেই। প্রচুর রান দিয়েছেন। সেভাবে উন্নতি করতে পারছেন না। এমনকি তাকে বাদ দেওয়া হতে পারে এমন আলোচনা চলছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে দিনের শেষে তিনি ম্যাচ উইনার। অনেক বেশি ধারাবাহিক লাগছে বরুণ চক্রবর্তীকে। প্রতি ম্যাচেই তিনি উইকেট নিচ্ছেন। বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের বিরুদ্ধে দুরন্ত বল করেছিলেন।

আরও পড়ুন -KKR: শুভমান গিলকেই আজ যত ভয় কেকেআরের! ইডেনে প্রাক্তন নাইট মাথা ব্যথা বাড়িয়েছেন

পেয়েছিলেন ম্যাচের সেরা পুরস্কার। আর তরুণ সুয়শ এবারে কেকেআরের সেরা আবিষ্কার। দিল্লির এই ছেলে অত্যন্ত প্রতিভাবান। গুগলি, রং ওয়ান সব রকম বল করতে পারেন। তেমন উল্টোদিকে গুজরাত শিবিরের অন্যতম ভরসা জোড়া আফগান স্পিনার। রশিদ খান তো আছেন। সঙ্গে নতুন চায়না ম্যান নুর আহমেদ চমকে দিয়েছেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নুর দেখিয়েছেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।

শনিবারের ইডেনে কলকাতার ব্যাটিংকে এই দুই আফগানকে সামলানো হতে চলেছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই ম্যাচটা স্পিনারদের লড়াই বললেও ভুল হবে না। তবে ব্যাপার হল গুজরাতের এই দুই স্পিনারের শক্তির কথা মাথায় রেখে নাইট রাইডার্স পুরোপুরি ঘূর্ণি উইকেট বানাবে নাকি কিছুটা পেস সহায়ক উইকেট রাখবে? কারণ পুরোপুরি স্পিন উইকেট হলে সেটা বুমেরং হয়ে যেতে পারে। তবে যতক্ষণ না খেলা শুরু হচ্ছে আগাম কিছু বলা সম্ভব নয়।