Tag Archives: Kolaghat

Lok Sabha Election 2024: সত্যিকারের শহর হতে চায় কোলাঘাট

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট এলেই কোলাঘাট কবে পুরসভা হবে সেই প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। লোকসভা নির্বাচনের সময় এবারেও যথারীতি সেই প্রশ্নটা উঠছে। কোলাঘাটবাসীর প্রশ্ন আর কবে আধা শহর থেকে শহর হবে তাঁদের বাসভূমি।

দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচনের পর্ব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুটি লোকসভার আসন। একটি তমলুক, অন্যটি কাঁথি। জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট রয়েছে পঞ্চম দফায়, ২৫ মে। তার আগে কোলাঘাটকে শহরের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে ওঠা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার কোলাঘাট। রূপনারায়ণ নদের তীরে অবস্থিত কোলাঘাট আধা শহর। দীর্ঘ বাম জমানার কাল থেকেই কোলাঘাট ও মেচেদা নিয়ে একটি পুরসভা গড়ে ওঠার কথা বারবার উঠলেও কোনও না কোনও কারণে এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। প্রতিবার ভোট এলেই কোলাঘাটকে পুরসভার মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এই প্রতিশ্রুতি সেই বাম জমানার কাল থেকেই চলে আসছে। কিন্তু রাজ্যের শাসন ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে বেশি সময় ধরে থাকলেও কোলাঘাটের ভবিষ্যৎ বদলায়নি না।

আর‌ও পড়ুন: এক মাসের জন্য এই কলেজেই ঘরবন্দি থাকবে বালুরঘাটবাসীর মতামত

কোলাঘাটের সাধারণ মানুষের বক্তব্য এটি আদতে শহর হলেও প্রশাসনিক স্বীকৃতি অধরা। এখনও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যেই থেকে গিয়েছে কোলাঘাট। ফলে কোলাঘাটের নিকাশি-নালা থেকে রাস্তাঘাট কিছুই শহরের মত অতটা উন্নত নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট জলে ডুবে যায়। কলকাতা থেকে কোলাঘাটের দূরত্ব কম হ‌ওয়ায় দিন দিন এখানে মানুষের বসবাস বাড়ছে। গড়ে উঠছে কমপ্লেক্স। রাস্তাঘাটে জঞ্জালের পরিমাণও বাড়ছে। আর সময় যত এগোচ্ছে কোলাঘাট শহরের মর্যাদা বা পুরসভার মর্যাদা না পাওয়ায় সমস্যা তত বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পুরসভা আছে। এখন দেখার সেই তালিকায় কোলাঘাটের নাম কবে যুক্ত হয়।

সৈকত শী

East Medinipur News: নানা রঙের ফুলকপি চাষ করে তাক লাগাচ্ছে কোলাঘাটের এক কৃষক! 

কোলাঘাট: দূর থেকে দেখলে মনে হবে ফুলের বাগান। কিন্তু কাছে গেলেই ভাঙবে ভুল! বেগুনি হলুদ সবুজ রং এর ফুল নয়, মাঠ ভর্তি নানা রঙের ফুলকপি। বেগুনি, হলুদ বিভিন্ন ধরনের ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন এক চাষি। বিভিন্ন রঙের ফুলকপি চাষ করে এমন তাক লাগানো চাষি হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথনাথ মাজি। দীর্ঘদিন ধরেই তার অভিনব চাষের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে এবং সেই আকর্ষণ থেকেই তিনি কখনও ব্রকোলি, কখনও চায়না টমেটো আবার কখনও ক্যাপসিকাম চাষ করে থাকেন। তিনি পরপর দু’বছর এই রংবেরঙের রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল!শীতের সময় বাংলার হেঁশেল কমন একটি সবজি ফুলকপি। ফুলকপি শুধু শীতকালে নয় সারা বছরই পাওয়া যায় বাজারে, তবে শীতের সময় ফুলকপির জোগান সব থেকে বেশি হয় বাজারে।

আরও পড়ুনঃ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিনব পন্থা গ্রহণ এই স্কুলের, কুর্নিশ গ্রামবাসীদের!

তবে সচরাচর আমরা যে ফুলকপি বাজার থেকে কিনে আনি বা বাজারে দেখতে পাই সবই সাদা রংয়ের। কিন্তু সাদা ছাড়াও অন্যান্য রঙের ফুলকপি হয় এ আমাদের ধারণার বাইরে। বেগুনি সবুজ হলুদ নানা রঙের ফুলকপি কোলাঘাট পাঁশকুড়া বাজারে ছেয়ে গেছে। এই রং বেরঙের ফুলকপিতে মজেছে খাদ্য রসিক বাঙালি থেকে উৎসাহী সাধারণ মানুষ। অভিনব চাষের নেশা থেকে তিনি এই রঙবেরঙের ফুলকপি চাষ করার কাজ শুরু করেছেন ২০২২ সাল থেকে। বর্তমানে ভাল ফলন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি এবং এর বাজার মূল্য বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে তার থেকেই। রঙিন ফুলকপি চাষ নিয়ে প্রমথ বাবু জানিয়েছেন, ‘এবছর রঙিন ফুলকপির বাজারে যথেষ্ট কদর রয়েছে। বাজারে গড়ে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে এই রঙিন ফুলকপি। স্থানীয় দেউলিয়া কোলাঘাট এবং খুকুড়দহ সবজি বাজারে এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন।

এছাড়াও বাড়ি থেকেও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই রঙিন ফুলকপি। তার এই রঙিন ফুলকপি চাষ দেখতে বহু কৃষক আসছেন তার এই ফুলকপি ক্ষেতে। পর্যায়ক্রমে চাষ করছেন তিনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজার যাতে রঙিন ফুলকপি বাজারজাত করতে পারবেন।’

সাধারণ ফুলকপি থেকে রঙিন ফুলকপির যথেষ্ট এই বাজারদর রয়েছে। আগামী বছর আরও বৃহৎ আকারে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করতে ইচ্ছুক প্রমথনাথ মাজি। প্রতি ডেসিমেলে ১৫০ টি এর মত চারা লাগে এবং লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন কৃষক। সবমিলিয়ে সাধারন ফুলকপির থেকে বেশি লাভদায়ক এই রঙিন ফুলকপি। পুষ্টিবিদরা মনে করেন এই ধরনের ফুলকপির বিপুল গুনাগুন রয়েছে। যে কারণে বাজারে সাধারণ ফুলকপির চেয়ে ফুলকপির চাহিদা অনেকটাই বেশি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটের বিভিন্ন সবজি বাজারে প্রমথনাথ মাজীর কারণে রঙিন ফুলকপি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় এর আগেও রঙিন ফুলকপি চাষের উৎসাহ দেখাতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন চাষিকে। তবে শেষ বছর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রমথনাথ মাজিই প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করেন। তার এই রঙিন ফুলকপি চাষ সফল হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অন্যান্য চাষিরা উৎসাহিত হয়েছেন। কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত বৃন্দাবনচক গ্রামের প্রমথনাথ মাজির প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে নতুনত্ব চাষ করার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। সফলভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন প্রথাগত চাষের বাইরে অভিনব চাষে সফল হওয়া যায়।

সৈকত শী