Tag Archives: lake

Katjunagar Lake Dredging: কলকাতার এই বড় ঝিল সংস্কারের কাজ শুরু হল অবশেষে! কাউন্সিলরের উদ্যোগে ভোলবদল এলাকার

কলকাতা: সাউথ সিটি মলের পিছনে কাটজুনগর ঝিল প্রায় সাড়ে ৮ বিঘা। গত কয়েক বছর ধরে পাঁক আর কাদা জমতে জমতে ঝিল বুজে যেতে বসেছিল। সেখানেই এবার কাউন্সিলরের উদ্যোগে নতুন করে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ঝিলটি পরিষ্কার করার জন্য প্রায় ৪০ বছর ধরে দাবি জানাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। অবশেষে সুরাহা হল।

পুজোর সময় আশেপাশের সমস্ত এলাকার প্রতিমা বিসর্জনও হত এই ঝিলে। কাদা জমে যাওয়ায় প্রতিমা বিসর্জনও বন্ধ হতে বসেছিল। শুধু তাই নয়,বছর কয়েক আগেও যে ঝিলে সাঁতার কাটত শিশুরা। জল পচে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করায় স্নানের জন্যও এই ঝিলের জল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। ঝিল সংলগ্ন বাড়িগুলিতেও জলের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন সবাই। পরিবেশের স্বার্থেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস উদ্যোগ নিয়ে সংস্কার শুরু করিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার নিজুক্ত হয়েছেন। হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় ৫০-৬০ টন কাদা উঠেছে ঝিল থেকে। ঝিলের চারপাশ শাল খুঁটি দিয়ে ঘেরা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঝিল সৌন্দর্য্যায়ন ও জল পরিশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

এই ঝিলের ড্রেজিং গভীর অবধি চলবে। পরিবেশ বাঁচাতে কলকাতায় নতুন করে ঝিল খনন এবং সংরক্ষণের কাজ চলতে থাকবে। কাউন্সিলর মৌসুমী জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। চার পাশে লোহার ফেন্সিং এবং হাঁটার রাস্তা হবে। পাশাপাশি জল পরিশোধন করে সাঁতার ট্রেনিং সেন্টার চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

Bangla Video: পর্যটক টানতে বড় সিদ্ধান্ত এই পুরসভার, থাকবে বোটিং-এর ব্যবস্থা

আলিপুরদুয়ার: শহরের সাতটি ঝিল ও তার আশেপাশের এলাকা সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই পুরপ্রধানের উদ্যোগে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সংস্কারের পর শহরের ঝিলে করা হবে বোটিং-এর ব্যবস্থা।

বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল, আলিপুরদুয়ার পুরসভার জলাশয়গুলো দখল করে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর জানান, কোনও জায়গায় ঝিল দখল হলে সেগুলো দখলমুক্ত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঝিলগুলির সৌন্দর্যয়ন করা হবে। সেগুলির স্বচ্ছতা ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: সকালে দোকানে কাজ করে রাত জেগে পড়া, উচ্চমাধ্যমিকে ৯০% পেয়ে চমক অনুজা’র

আলিপুরদুয়ার শহরের ঝিলগুলি সংস্কারের জন্য রাজ্য পরিবেশ দফতরের কাছে দ্রুত বরাদ্দ চেয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পরিবেশ দফতরের আধিকারিকরা এসে খতিয়ে দেখেছেন ঝিলের পরিস্থিতি। পুর এলাকার ঝিলগুলি কচুরিপানা ও জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। আবার কোনও কোনও জলাশয় মাটি দিয়ে বুজিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগ, পুরসভার ময়লা ফেলার স্থায়ী ভাগাড় না থাকায় কোনও কোনও ঝিলে আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ঝিলগুলি দূষিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সহ কয়েকটি ঝিলে শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিরাও দলে দলে আসত। এখন আর তার দেখা মেলে না। সেজন্য স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরাও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১, ৮, ৯, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা সাতটি বড় ঝিলের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। অবশেষে তাতেই সিলমোহর পড়ল।

অনন্যা দে