Tag Archives: Lionel Messi

আর্জেন্টিনায় বিশাল পার্টি দিলেন মেসি! বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনে বসল চাঁদের হাট

#রোজারিও: ৩৬ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। বহু প্রতীক্ষার পর আর্জেন্টিনার নয়নের মনি ও ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির হাতে উঠেছে কাপ। এবার দলের সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পার্টি দিয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করলেন লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে গত ২০ তারিখ আর্জেন্টিনা দল তাদের দেশে ফেরে।

দেশের রাজধানী বুয়েন্স এয়ার্নসে তারা বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে পরপর দুবার সেরা খেলোয়াড়ের তকমা পাওয়া মেসি তার স্ত্রী আন্তনেলা রোককুজজো ও তার তিন সন্তানের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করেন। বিশ্বকাপের জন্য বিরতির পর ক্লাব ফুটবলের মরসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে। আগামী সোমবারই প্যারিসে ফিরছেন মেসি।

পিএসজি দলের তার সতীর্থদের সঙ্গে মঙ্গলবারই তার অনুশীলনে নামার কথা। কিন্তু ফ্রান্সে ফেরার আগে বিশ্বকাপ জয়টা ভালোভাবে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন মেসি। তাই বৃহস্পতিবার রাতে রোসারিওতে বছর শেষের বিরাট বড় পার্টির আয়োজন করেন তিনি। সান্তে ফেতে সিটি সেন্টার রোসারিওতে এই পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।

পার্টির নাম দেওয়া হয় ‘ দ্য ফেস্টিভেল অফ দ্য চ্যাম্পিয়ন্স’। ঞ্জেল ডি মারিয়া, লিয়ান্দ্র পারাদেস সহ কাতার বিশ্বকাপে খেলা জাতীয় দলে তার সতীর্থরা পার্টিতে যোগ দেয়। ধূসর রঙের অডি কিউ এইট গাড়ি করে মেসির পার্টিতে পৌঁছনোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর্জেন্টাইন তারকাকে সাদা রঙের টি-শার্ট পরে পার্টিতে আসতে দেখা গেছে।

তার অনুরাগী ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তার গাড়ির সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে ঐ ভিডিওতে। মেসির স্ত্রী রোককুজজো রুপোলি রঙের একটি পোশাক পরেছিলেন, তার তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও ও সিরো ও তাদের ভাইপোদের একই গাড়িতে দেখা গেছে। লিওনেল মেসির মা সেলিয়া কুককিটিনি ও তার ভাইয়েরা রদ্রিগো ও মারিয়া সোলও ঐ পার্টিতে যোগ দেন।

আর্জেন্টিনা দলে তার প্রাক্তন সতীর্থ ম্যাক্সিমিলানো রড্রিগেজকেও ঐ পার্টিতে দেখা যায়। ঐ পার্টিতে আর্জেন্টিনার জনপ্ৰিয় মিউজিক ব্যান্ড লা মসকা অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন মুকাচোস নামে যে গানটি আর্জেন্টিনায় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল লা মসকা ব্যান্ড ঐ গানের সুর দিয়েছিল। দেশের নায়কের উদ্যোগে এত বড় পার্টির জন্য সিটি সেন্টার রোসারিওর আশেপাশে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

বাইরের কেউ যাতে পার্টিতে না ঢুকে পরে এরজন্য পুলিশের তরফে ব্যারিকেডও করে দেওয়া হয়। আর্জেন্টিনার দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ডি মারিয়া এবং লিওনার্ডো পারেদেসও দারুন পার্টি উদযাপন করেন মেসি পরিবারের সঙ্গে। এবার প্যারিসে ফিরে যাওয়ার পালা লিওর।

পেলের জন্য চোখের জল ফেলছেন মেসি নেইমার ! শ্রদ্ধা জানালেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট

#রিও: দিনের শেষে ঘুমের দেশে, অথবা যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন! এরকম অনেক গানের লাইন মানিয়ে যায় পেলের চলে যাওয়ার পর। একে একে সমবেদনা এবং ভালোবাসা আছড়ে পড়ল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। প্রাক্তন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বর্তমান তারকা এমনকি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে নেই ফুটবল সম্রাটকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ছাড়ার জন্য। আসুন দেখে নেওয়া যাক কে কি লিখল।

নেইমার জুনিয়র

১০, শুধুই একটি নম্বর ছিল পেলের আগে। পেলের আগে ফুটবল শুধু একটি খেলা ছিল। তিনি ফুটবলকে শিল্প এবং বিনোদনে পরিণত করেছেন। তিনি দরিদ্র, কৃষ্ণাঙ্গদের আওয়াজ ওঠাতে সক্ষম করেছেন এবং ব্রাজিলীয়দের দৃশ্যমান করেছেন গোটা বিশ্বের কাছে। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু তার জাদু থেকে যাবে। পেলে চিরকালীন।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by NJ ?? (@neymarjr)

 

লিওনেল মেসি

তার আত্মার শান্তি কামনা করি। জানি না কি বলব। দিয়েগো মারাদোনার পর পেলেও চলে গেলেন। মানতে কষ্ট হচ্ছে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

আমার গভীর সমবেদনা সমগ্র ব্রাজিলের জন্য, বিশেষ করে এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তোর (পেলে) পরিবারের জন্য। একটি সাধারণ “বিদায় বার্তা” কখনই সমগ্র ফুটবল বিশ্বের যন্ত্রণাকে বর্ণনা করতে পারবে না। লক্ষাধিক মানুষের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। অতীত বর্তমান এবং সর্বকালীন ক্ষেত্রেই তিনি প্রাসঙ্গিক।

যে ভালবাসা তুমি আমায় দিয়েছ সেটা আমার জীবনে ফুটে উঠেছে প্রতিটি মুহূর্তেই, এমনকি আমরা দূরত্ব থেকেও যে মুহূর্তগুলি ভাগ করে নিয়েছি সেখানেও। তিনি অবিস্মরণীয় এবং তার স্মৃতি চিরকাল আমাদের ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে থেকে যাবে। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি, সম্রাট পেলে।

থিয়াগো সিলভা

চিরকালের ফুটবলের রাজা, কিংবদন্তী , শান্তিতে ঘুমোও পেলে। তুমি ফুটবলের ইতিহাস বদলে দিয়েছ, তুমি যা দিয়ে গেছ সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ।

এরলিং হালান্ড

যা কিছুই তোমরা যে কোনোও খেলোয়াড়কে করতে দেখছ আজ পেলে সেটা প্ৰথম করেছিলেন। শান্তিতে ঘুমোও

বারাক ওবামা

পেলে এই সুন্দর খেলার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জনপ্ৰিয় ক্রীড়াবিদ, মানুষকে একজায়গায় আনতে খেলার ক্ষমতা তিনি বুঝেছিলেন, তার পরিবারের প্রতি ও যারা তাকে ভালোবাসে ও প্রশংসা করে প্রত্যেকের প্রতি আমার সমবেদনা।

`মেসির অপেক্ষায় আছি আমি’! আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে ঝামেলা নেই দাবি এমবাপের

#প্যারিস: বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর্জেন্টিনার জয়োৎসবের অন্যতম উপলক্ষ ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। একাধিকবার তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় মেতেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এবং তার সতীর্থ খেলোয়াড়রা। ফাইনালের পর ড্রেসিং রুমে এমবাপ্পের জন্য এক মিনিটের নীরবতা’র পর বুয়েনস এইরেসে ফিরে ‘পুতুল এমবাপ্পে’ নিয়েও মজা করেছিলেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা।

এমনকি একই দলের হয়ে খেললেও মেসিও মজেছিলেন এই আনন্দে। দৃষ্টিকটু সেই উদ্‌যাপনে আপত্তি জানিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে চিঠিও পাঠিয়েছে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন । ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রীও। তবে এমবাপ্পে এ বিষয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন বরং উদ্‌যাপন নিয়ে আলাপে সময় নষ্ট মনে করেন তিনি, উদ্‌যাপন নিয়ে আমার সমস্যা নেই।

আরও পড়ুন – পাকিস্তানের কাছে পিছিয়ে পড়েই অধিনায়ক থেকে নির্বাচক বদলেছে ভারত! বিস্ফোরক রামিজ

এসব নিরর্থক বিষয়ে সময় নষ্টের মানে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, ক্লাবের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়া।’তবে ফাইনালে সেই হার যে মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না, সেটা জানিয়ে দিয়েছেন এমবাপে। বলেছেন, মনে হয় না এত সহজে ওই স্মৃতির থেকে মুক্তি পাব। কখনওই হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। তবু ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য ফিরে এসেছি।

১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের তিন দিন পরই পিএসজির অনুশীলনে ফিরেছিলেন এমবাপ্পে। এত দ্রুত ফিরে আসার মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন জিজ্ঞেস করা হলে ফরাসি ফরোয়ার্ডের জবাব, ‘সাধারণ বার্তা। জাতীয় দলের সঙ্গে কী হয়েছে, সেটার সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক নেই। পিএসজি আলাদা সত্ত্বা।

এখানে সম্ভাব্য সব ট্রফি ফিরিয়ে আনতে আমি বদ্ধপরিকর।’বিশ্বকাপ ফাইনালের ১০ দিন পর স্ত্রাসবুর্গ ম্যাচ দিয়ে লিগ ওয়ানর লড়াই শুরু করে দিয়েছেন এমবাপ্পে। খেলেছেন বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসা পিএসজির খেলোয়াড় নেইমার, মারকিনিওসরা।তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি এখনো পিএসজিতে ফেরেননি। কাতার থেকে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনায় গেছেন।

এর পর ক্রিসমাসের ছুটি কাটিয়ে আরও কিছুদিন থেকে যাচ্ছেন রোসারিওতে। পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে ক্লাবে যোগ দেবেন মেসি।এমবাপ্পেও বললেন, তিনি ও তাঁর দল মেসির অপেক্ষায়, আমরা লিওর ফেরার অপেক্ষায় আছি। একসঙ্গে জেতা শুরু করব, আবার গোল করব।

ম্যাচের পর মেসির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল এমবাপেকে।তার কথায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। সারা জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার পেল। আমার কাছেও সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।

‘স্বপ্নেও মেসির ওই পাস দেখছি ‘! আর্জেন্টাইন জাদুকরের রেশ এখনও কাটেনি ডাচ ফুটবল তারকার

#আমস্টারডাম: লিওনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনায় খেলেন তিনি। নেদারল্যান্ডস দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার ফ্রাঙ্ক ডি জং। আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লিওনেল মেসির বাড়ানো প্রথম পাসটা ভুলতে পারছেন না ডি জং। বার্সার তারকা ফুটবলার জানিয়েছেন, সত্যি বলতে কি আমি এখন স্বপ্নেও মেসির বাড়ানো ওই পাসটা দেখতে পাই।

মাঠে খেলার সময় অতটা আন্দাজ করতে পারিনি। পরে রিপ্লে দেখেছি ডাচ দলের পাঁচ জন ফুটবলারের মাঝখান দিয়ে ওই বলটা বাড়িয়েছিল মেসি। মলিনা গোল করে যায়। আমার এই পর্যন্ত ফুটবল জীবনে নিজে এরকম পাস করতে পারিনি, কাউকে করতেও দেখিনি। ফুটবলার হিসেবে এটা কিভাবে সম্ভব আমার মাথায় ঢুকছে না।

আরও পড়ুন – ভারতের ফাস্ট বোলিং কারখানা হতে তৈরি জম্মু-কাশ্মীর! লাইনে দাঁড়িয়ে তিন ভয়ঙ্কর পেসার

এই জন্যই মেসি পৃথিবীর সবার থেকে আলাদা ফুটবলার। ডি জং মেনে নিয়েছেন তার দলের সিনিয়র ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইক আগেই বলেছিলেন মেসির মধ্যে একটা আলাদা ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো অথবা নেইমারের মধ্যে যেটা নেই। ডাইক পৃথিবীর সেরা ডিফেন্ডার হয়ে যখন এই কথা বলে তখন মেসি সম্পর্কে আর সার্টিফিকেট লাগার প্রয়োজন নেই।

ভ্যান গালের সঙ্গে ওই ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির ঝামেলা লাগলেও সেটা বড় করে দেখতে নারাজ ডি জং। বার্সা তারকা জানিয়েছেন ওটা খেলার অংশ। ফুটবলে উত্তেজনায় এমন হতেই পারে। এটা বড় করে দেখার কিছু নেই। লিও এবং গাল দুজনেই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

সেদিন আর্জেন্টিনা যেমন সেমিফাইনালে ওঠার জন্য লড়াই করছিল, তেমনই নেদারল্যান্ডস দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটিয়েছিল দুই গোলে পিছিয়ে থেকে। তাই আবহাওয়া উত্তপ্ত ছিল। কিন্তু ওই ঘটনার ফলে দুই দলের পারস্পরিক সম্পর্ক বা মেসির সঙ্গে নেদারল্যান্ডস ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হয়েছে মনে করেন না ডি জং। ডাচ ফুটবলারটি জানিয়েছেন যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা বনাম পিএসজির সাক্ষাৎ হয়, তাহলে মেসির সঙ্গে আলাদা সেলফি তুলবেন তিনি।

`মেসির জন্য সব ফ্রি’! আর্জেন্টাইন নায়কের জন্য খোলা প্রস্তাব সেই ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরীর

#দোহা: বিশ্বকাপ ফাইনাল খাতায়-কলমে শেষ হয়েছে বটে। কিন্তু ফুটবল অনুরাগীদের কাছে এখনও তার রেশ টাটকা। সর্বত্র চলছে সেই আলোচনাই। আর সে আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে আছেন একজন,তিনি লিওনেল মেসি। একজন মানুষ কীভাবে একার দক্ষতায় একটা দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারে, সেই বিস্ময়ে মশগুল ফুটবল দুনিয়া।

মেসি কী করেছেন, কীভাবে করেছেন- সে-আলোচনা যেমন চলছে, তেমনই এমবাপের মরণপণ লড়াই-ও উঠে আসছে আলোচনায়। এক কথায় কাপ যুদ্ধ শেষ হয়েও শেষ হয়নি।এই আবহেই খানিক বিতর্ক বাড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী ইভানা নল।চলতি বিশ্বকাপের গোড়া থেকেই নজর কেড়েছিলেন ইভানা। কাতারের কঠোর পোশাকবিধি নিয়ে তখন নাজেহাল ইউরোপের দেশগুলি।

কী পোশাক পরবেন আর কী পরবেন না, তা নিয়ে বেজায় ধন্ধে ছিলেন বিদেশী সুন্দরীরা। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলামেলা পোশাকেই স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ইভানা। এমনকী বিকিনি পরে ছবিও আপলোড করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, পোশাকবিধি ভাঙার জেরে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারে।

কিন্তু কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করেননি ক্রোয়েশিয়ার এই সুন্দরী। যত বিশ্বকাপ গড়িয়েছে, তত বেড়েছে তাঁর পোশাকের বাহার। এক সময় তর্ক বিতর্ক ছেড়ে বিশ্ব মশগুল হয়ে গিয়েছিল তাঁর পোশাক আর সাহসের চর্চায়। সেই ইভানাই এখন বেশ চটেছেন ফিফার উপর। গোটা বিশ্বকাপে, আর ফাইনালে যেভাবে নিজের দলকে জিতিয়েছেন মেসি, তাতে ফিফা প্রায় অবধারিত ভাবেই গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছে মেসির হাতে।

আর তাতেই ক্ষুব্ধ ইভানা। ফাইনালের পর নিজের মনের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এই খেতাব প্রাপ্য ছিল কিলিয়ান এমবাপের। ‘ফিফা’কে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভুল মানুষের হাতেই গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছে সংস্থা। আর্জেন্টিনা জিতেছে, এ কথা সত্যি, তবে সত্যিকারের গোল্ডেন বল জেতার দাবিদার যদি কেউ থাকেন, তবে তিনি কিলিয়ানই।

মেসিদের বিশ্বজয়ের মধ্যে অবশ্য বরাবরই চর্চায় উঠে আসছেন কিলিয়ান। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তাঁর যে নাছোড় লড়াই, তার তারিফ না করে পারছেন না কেউই। ইভানাও যে সেই দলে, তা একরকম বলেই দিয়েছেন তিনি। তবে মেসি যে এই বিশ্বকাপে তারকা থেকে মিথের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন, তা-ও মেনে নিয়েছে ফুটবলবিশ্ব।

অতএব এই তর্ক-বিতর্কের আর কোনও মানে নেই, এমনটাই মত অনুরাগীদের।ক্রোয়েশিয়াকে শেষমেশ তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে এই বিশ্বকাপে। তবে এই বিশ্বকাপে ইভানার প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ হয়েছে। সারা বিশ্বের নজর তো কেড়েইছেন, সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাফিয়ে বেড়েছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা।

ইভানা বলছেন, তাঁর দেশে যত মানুষ আছেন, সেই সংখ্যার থেকেও এখন তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেশি। মেসিরা ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। খালি হাতে ফেরেননি ইভানাও। অসংখ্য অনুরাগীর ভালবাসা নিয়েই বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি।

আর্জেন্টিনার ‘স্যান্টা বুড়ো’ মেসি, ভিডিও দেখলে মন ছুঁয়ে যাবে আপনারও

#বুয়েনস আয়ার্স: বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ক্রিসমাস। তবে আর্জেন্টিনার বড়দিনের উৎসবটা শুরু হয়ে গিয়েছিল আগের রবিবার থেকেই। ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়টা যে আর্জেন্টিনার সাড়ে তিন দশকে সবথেকে বড় উৎসব সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাত দিন ধরে টানা চলা উৎসব বড়দিনে তা আরও বাড়তি মাত্রা নেয়। আর এবারের ক্রিসমাস যে গিফটা দেশবাসীকে লিওনেল মেসি দিয়েছেন তার থেকে বড় কিছুই হতে পারে না।

বিশ্বজয়ের পর প্রথম ক্রিসমাস। আর আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার করফ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যা মন ছুয়ে গিয়েছে সকলের। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একটি বাচ্চা ছেলে অন্ধকারে সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে। স্যান্টাক্লজ কী উপহার দিয়ে গিয়েছে তা খুঁজে বেড়াচ্ছে বাচ্চাটি। তখনই দরজার বাইরে ক্রিসমাস ট্রি-র সামনে একটি লাল বাক্স দেখতে পায় বাচ্চাটি।

আনন্দের সঙ্গে দরজা খুলে বাচ্চাটি গিয়ে সাবধানে বাক্সের ফিতে খোলেন শিশুটি। বাক্সের ঢাকনা খুলতেই অবাক শিশুটি। কারণ এমন উপহার স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি তিনি। বাক্সের ভিতরে তুলোয় শোয়ানো রয়েছে বিশ্বকাপ। ছেলেটি আলতো করে বিশ্বকাপটি তুলে ধরেন। চোখে-মুখে তখন এক পরম প্রাপ্তির ছাপ। বিশ্বকাপ ট্রফিটি চুমু খেয়ে বাচ্চাটি বলে, ‘ধন্যবাদ পাপা লিওনেল’।

 

 

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপের সময় গোপনাঙ্গে ব্রাজিল তারকাকে রেখেছিলেন এই মডেল, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ছবি

 

 

আর্জেন্টিনার প্রচলিত স্যান্টাক্লজের নাম ‘পাপা নোয়েল’। প্রতিবছর শিশুরা মনে করেন তিনই সকলকে উপহার দেন। এবার আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে ভিডিও প্রকাশ করে মেসিকেই স্যান্টাক্লজ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়। সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

 

‘মেসিকে দেখে লড়াই শিখুক নেইমার’ উপদেশ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডোর

#সাও পাওলো: ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে হৃদয় বিদারক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে ব্রাজিল। প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোনাল্ডো দে লিমা মনে করছেন এই পরাজয়ে নেইমারের ভেঙে পড়া উচিত না, বরং পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করে দেওয়া উচিত। ব্রাজিল টুর্নামেন্টের ফেভারিট থেকে, একের পর এক দলকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল।

কিন্তু সেখানে ক্রোয়েশিয়ার কাছে বড় ধাক্কা খেয়ে থেমে গেছিল ব্রাজিলের বিজয় রথ। অতিরিক্ত সময়ে নেইমার গোল করে ব্রাজিলকে ১-০ তে এগিয়ে দিলেও আবার পরক্ষনেই সমতা ফিরিয়ে এনেছিল লড়াকু ক্রোটরা। টাইব্রেকারেই বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায় ফেভারিট নেইমার, ভিনি জুনিয়রদের। নেইমারকে দেখা যায় কাদতে কাদতে মাঠ ছাড়তে।

আরও পড়ুন – পায়ে বিশ্বকাপের ট্যাটু আর্জেন্টিনার ডি মারিয়ার! বলছেন মৃত্যু পর্যন্ত থেকে যাবে এই চিহ্ন

এরকম হতাশাজনক পরাজয়ের পর ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েন গোটা ব্রাজিল দল। নিজেদের মানসিকভাবে শক্ত করার জন্য ছুটি কাটাতে চলে যান নেইমার, মারকিনিওস। ফুটবল মহলে এরম জল্পনা শোনা যায়, ৩১ বছর বয়সী নেইমার বিদায় জানাতে পারেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে।

নেইমার উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনাল্ডো নাজারিও দে লিমা। তিনি বললেন পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমারের বয়স এখনও কম তাই তার পক্ষে সহজেই সম্ভব পরবর্তী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা, এখন তার(নেইমার) মন খারাপ, সেটা ঠিকাছে, কিন্তু সে এখনো তরুণ। ৩১ বছর বয়সে ও সহজেই আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারে… তার জাতীয় দলে অবদানের জন্য ব্রাজিলে ভীষণই জনপ্রিয় তিনি… ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি দুর্দান্ত খেলেছিলেন এবং দলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন।

রোনাল্ডো বিশ্বাস করছেন পিএসজি তারকা নেইমার আরো শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরবেন। হার না মেনে লড়াই করে যাওয়ার সবথেকে বড় উদাহরণ এই বিশ্বকাপেই দেখালেন নেইমারের কাছের বন্ধু ও সতীর্থ লিওনেল মেসি। ২৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়, তার পরে পর পর দুটি কোপা আমেরিকা ফাইনালে পরাজয়, ৩১ বছর বয়সে বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পরেও হার মানেননি তিনি।

সেখান থেকে লড়াই করে ৩৪ বছর বয়সে কোপা আমেরিকা এবং ৩৫ এ বিশ্বকাপ তুললেন তিনি। পিএসজি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর অবশ্যই নেইমারকে উদ্বুদ্ধ করবে মেসির এই লড়াইয়ের কাহিনী। মেসি নিজেও চাইবেন নেইমার বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে ক্লাবে আসুন। রোনালদো বলছেন মেসি যদি একটা বিশ্বকাপ জিততে এত বছর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন, তাহলে ব্রাজিলকেও হেক্সা এনে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে নেইমারকে।

মেসির জার্সি দিয়ে এবার পাপোশ তৈরি প্যারিসে! পানশালায় চূড়ান্ত অপমান আর্জেন্টাইন নায়ককে

#প্যারিস: কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে দলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। ৭ টি গোল করে পেয়েছেন সোনার বল। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২ টি গোল করেছেন তিনি, টাইব্রেকারেও একটি গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে দিয়েছে এটা মেনে নিতে পারছেন না ফরাসি সমর্থকদের একাংশ।

ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়ে খেলেন লিওনেল মেসি। এবার এক ফরাসি পানশালায় লিওনেল মেসির জার্সি পাপোশ হিসেবে রাখা হল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পরে গেছে। টুইটারে ঐ ছবি প্রকাশ হয়েছে। পাপোশের পাশে চিহ্ন দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘যখন প্রবেশ করবে, মনে করে পা মুছে প্রবেশ করবে।’

পাপোশ হিসেবে রাখা ঐ জার্সির চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, যারা ঐ পানশালায় আসছেন তারা কতৃপক্ষের কথা শুনছেন ও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পিছপা হচ্ছেন না। অনেকেই মনে করছেন ফাইনাল ম্যাচে তার তিনটি গোল ফরাসি সমর্থকদের বিরাট অংশের মন ভেঙে দিয়েছে। তারই ফল এটি। সাত বারের ব্যালন ডি অর জয়ী মেসি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা করলেও, বিশ্বকাপ জেতার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী তিনি পিএসজির হয়ে এই মরসুমে খেলবেন। ফাইনালে তিনি এমবাপের বিরুদ্ধে খেললেও, পিএসজিতে তার সঙ্গেই খেলতে হবে। এর পাশাপাশি দলের বাকি সদস্য ও কোচিং স্টাফ সকলেই ফরাসি। এবার ফ্রান্সে আসলে তাকে ভালোভাবে স্বাগত জানানো হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ছবি দেখে অনেকেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের পেনাল্টি মিসের পর ব্রিটিশ কোনো পানশালায় হ্যারি কেনের জার্সি একইভাবে ব্যবহার করা উচিত।

কটাক্ষ হয়েছেন সোনার বুট জয়ী এমবাপেও। আর্জেন্টিনা জয়ের পর তাদের দেশের সমর্থকরা প্যারেড করেন ও এমবাপের মুখ আছে এমন একটি কফিন তারা পুড়িয়ে দেন। সোনার গ্লাভস জয়ী আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ছাদখোলা একটি বাসে একটি ছেলে শিশুর মুখ যুক্ত খেলনাকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে, যার মুখটি কিলিয়ান এমবাপের। তবে মেসিকে এভাবে অপমান করার ব্যাপারটা আবার অনেক ফরাসি ফুটবলপ্রেমী প্রতিবাদ করছেন।

Fact Check: আর্জেন্টিনার টাকায় মেসির ছবি লাগানো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়! জেনে নিন সত্যিটা

#রোজারিও: তিনি যতটা বার্সেলোনার, ততটা আর্জেন্টিনার নয়। এমন বদনাম সেই কবে থেকে হজম করতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। শেষ দুটো বছরে পরপর কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপ জিতে সেই অভিযোগ আটলান্টিকের জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাঁচ কোটির দেশে এখন তিনি সবকিছু। এবার আর্জেন্টিনার মুদ্রায় দেখা যেতে পারে লিওনেল মেসির প্রতিকৃতি।

এলএম টেনের অর্জনকে সম্মান জানিয়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত নোটের সামনের অংশে মেসির প্রতিকৃতির পাশাপাশি অপর পৃষ্ঠে থাকতে পারে আলবিসেলেস্তাদের বিশ্ব জয়ের উদযাপন। সেই সাথে দেয়া হয়েছে রূপকথার কারিগর লিওনেল স্কালোনির নাম রাখার প্রস্তাবও।

খেলোয়াড়ি জীবনে কোনো কিছুরই কমতি ছিল না লিওনেল মেসির। সাতবারের ব্যাল ডি’অর চ্যাম্পিয়নের ঝুলিতে অজস্র ক্লাব ফুটবলের স্বীকৃতিসহ আছে কোপা ও ফিনালিসিমা জয়ের কীর্তি। এতসব অর্জনের পরও একটা শূন্যতা অবশ্য ছিল এলএমটেনের। বিধাতা দুই হাত ভরে যাকে এতকিছু দিয়েছেন, তার মনে শুধু ছিল একটা বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ।

কাতার বিশ্বকাপে এই ফুটবল জাদুকরকে দিলেন দু’হাত ভরে। তিন যুগের অপেক্ষার ইতি টানলে আর্জেন্টিনা। মেসির হাত ধরেই এসেছে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। সেই সাথে মেসি জয় করেন টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়। এবার আর্জেন্টিনার মুদ্রায়ও দেখা যেতে পারে মেসিকে। থাকবে তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনির নামও।

তবে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে শুধু বিশ্বকাপ জয়ই নয় মেসির সামগ্রিক আর্জনকে সম্মান জানিয়েই এমন প্রস্তাবনা তাদের। এর আগে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পর বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিশেষ মুদ্রা ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সব মুদ্রায় নয়। মেসি এবং আর্জেন্টিনার বিজয় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে হাজার টাকার পেসোতে।

Messi Maracana: ব্রাজিলের গর্বের মারাকানায় মেসির পায়ের ছাপ থাকবে এবার ! বিশেষ আমন্ত্রণ লিওকে

#রিও ডি জেনিরো: ফুটবলে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। পড়শি দেশের সঙ্গে যুদ্ধের সম্পর্ক না হলেও ফুটবলে শত্রুতা বহু পুরনো। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনা মাঠে। এমনকি টিটকিরি, গালাগালিও চলে ব্যাপকভাবে। কিন্তু যে জিনিয়াস তার কদর যে করতেই হয়। যেমন পেলেকে নিয়ে ব্রাজিল গর্বিত, তেমনই মারাদোনাকে নিয়ে পাগল আর্জেন্টিনা।

কিন্তু লিওনেল মেসিকে নিয়ে ব্রাজিল কখনই খারাপ শব্দ ব্যবহার করে না। বরং ব্রাজিল এবং তার তারকা ফুটবলাররা বহুবার বলেছেন লিওনেল মেসি জীবন্ত জিনিয়াস। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে মেসির তথা সারা দুনিয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তাঁর এই ঐশ্বরিক পারফরম্যান্সকে এবার বিশেষ সম্মান দিয়ে চিরস্মরণীয় করে রাখতে চায় ব্রাজিলও।

পেলের দেশের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের হল অফ ফেমে মেসির পদচিহ্ন দিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হল। এর আগেও মেসিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মারাকানা কর্তৃপক্ষ। বছরখানেক আগেই কোপা আমেরিকা জয়ের পর। ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামে রয়েছে কিংবদন্তি পেলে, গ্যারিঞ্চা, রোনাল্ডো, চিলির ইলিয়াস ফিগুয়েরোয়া, সার্বিয়ার ডি পেটকোভিচ, পর্তুগালের ইউসেবিও, উরুগুয়ের সেবাস্তিয়ান আবরেউ, ফ্রান্জ বেকেনবাওয়ারের পদচিহ্ন।

তবে লিওনেল মেসি ব্রাজিলের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মারাকানা স্টেডিয়ামে যাবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তার ম্যানেজার এবং পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে নেইমার, দানি আলভেস, থিয়াগো সিলভাদের মতো ব্রাজিলের এই বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলাররাও খুশি ব্রাজিল মেসিকে এই সম্মান দেওয়ার কারণে।