Tag Archives: Lionel Messi

ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে প্রাণে বাঁচলেন মেসিরা, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

#বুয়েনস আইরেস: বিশ্বজয় করে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা দল। মঙ্গলবার ভোররাতে বুয়েনস আইরেস বিমানবন্দরের বাইরে লাখো মানুষের ভিড়। ট্রফি হাতে প্লেন থেকেই মেসি বেরিয়ে আসতেই যেন উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে ফ্যানেদের। প্রিয় তারকাদের একবার ছুঁয়ে দেখার জন্য হুলস্থুল কাণ্ড। সেই আনন্দে গা ভাসিয়ে দেন মেসিরাও। কিন্তু সেই আনন্দের মাঝেই ঘটে যেতে পারত ভয়ঙ্কর বিপদ। যা থেকে একটুর জন্য রক্ষা পায় মেসিরা।

বিমান বন্দর থেকে বেরোনোর পর শহর পরিক্রমা করার জন্য মেসিদের জন্য হুড খোলা বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই বাসে চেপেই জনজোয়ারে ভেসে যায় নীল-সাদা ব্রিগেড। ট্রফি হাতে বাসের একেবারে উপরে বসেছিলেন মেসি, দি মারিয়া, দি পল, ওটামেন্ডিরা। অনেক উচ্চতায় থাকার কারণে গল্প করতে করতে সামনেই যে বিদ্যুতের তার রয়েছে তা খেয়াল করেননি মেসিরা। একাবের মাথার সামনে আসার পর চোখে পড়ে সকলের। কোনওক্রম নীচু হয়ে প্রাণ বাঁচেন মেসি সহ ৫ ফুটবলার। যেই ভিডিও ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

প্রসঙ্গত, মেসিরা বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই আর্জেন্টিনায় উৎসব শুরু হয়ে যায়। গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। মঙ্গলবার ভোররাতে দেশের মাটিতে পা রাখলেন লিওনেল মেসি-স্কালোনিরা। দিনটিকে ইতিমধ্যেই জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। হুড খোলা বাসে করে ট্রফি হাতে করে গোটা শহর পরিক্রমা করেন মেসিরা। জনজোয়ারে ভেসে আর্জেন্টিনা দল পৌছায় রাজধানীর বিখ্যাত ওবেলিক্স মনুমেন্টের নিচে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করা হয় সেখানে। সংবর্ধনাও জানানো হয়।

 

 

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব সেরা হয়েও সোনার ট্রফি পেলেন না মেসিরা, তাহলে বিশ্বকাপ গেল কোথায়

 

প্রসঙ্গত,প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসি ও দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের জোড়া গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। নির্ধারিচ সময়ে খেলার স্কোর ছিল ২-২। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ফের লিড পায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করে ফের ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপে। নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন। তারপর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা।

 

পরম আনন্দে বিশ্বকাপ নিয়ে ঘুমোচ্ছেন মেসি! ছবি ভাইরাল হতেই আবেগে ভাসলেন সমর্থকরা

#রোজারিও: বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে দেশে এসেছে চ্যাম্পিয়ন দল। বিরাট বড় করে না হলেও মোটামুটি একটা ছাদ খোলা বাসে রাজধানী শহর ট্রফি নিয়ে ঘুরেছে তারা। পরে হয়তো বড় করে অনুষ্ঠান হবে দেশে। আপাতত হোটেলে বিশ্রাম করছেন ফুটবলাররা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ নিয়ে শুয়ে আছেন চাদর চাপা দিয়ে।

এ যেন পরম সুখের এক ঘুম। আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এই দিনটার স্বপ্ন দেখতেন লিও। পাঁচটা বিশ্বকাপ লেগেছে স্বপ্নটা সফল হতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়েছে। বারবার রক্তাক্ত হয়েছেন, তীরে এসে তরী ডুবেছে। শুনতে হয়েছে অনেক টিটকিরি। কিন্তু চেষ্টা করে গেলে ফল পাওয়া যায় তার প্রমাণ এবারের কাতারের মাঠ থেকে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়।

আরও পড়ুন – মেসিকে শুভেচ্ছা জানানো দূরে থাক! আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে হিংসেতে জ্বলে পুড়ে মরছেন রোনাল্ডো

অবশ্যই এই ছবিটা মেসি পোজ দিয়ে তুলেছেন। ফুটবল বিশ্বে এরকম ছবি অবশ্য নতুন নয়। বিশ্বকাপ নিয়ে আগেও এমন ছবি দিয়েছেন বহু ফুটবলার। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেও এমন পোজ দিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। তবে এত নিশ্চিন্তের ঘুম লিওনেল মেসি এর আগে ঘুমিয়েছেন কিনা সন্দেহ।

ফুটবলের জীবন পরিপূর্ণ হওয়ার ঘুম, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার ঘুম, বহুদিন ধরে লালন করা স্বপ্নের বাস্তবতার প্রাপ্তি একেই বলে। জীবনে সব ছিল। ছিল না শুধু বিশ্বকাপ। আজ সেটাও আছে। ফুটবল রাজপুত্র নয়, এখন পেলে এবং মারাদোনার পাশেই বিশ্বকাপের দুনিয়ায় রাজার সিংহাসনে মেসি। মেসি আজ মহারাজ। এমন ঘুম তাকেই মানায়।

এই ছবি ভাইরাল হতে বিশ্বের কোটি কোটি মেসি ভক্ত লাইক এবং কমেন্টস দিয়েছেন। প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন স্বপ্নের নায়ককে। মেসি সুস্থ থাকুন এবং পরের বিশ্বকাপেও খেলুন এমনটাই চাহিদা পৃথিবীর আর্জেন্টাইন ফুটবল ভক্তদের। ছবিটা সত্যিই প্রতিকী।

মেসির বায়োপিকে অক্ষয়? ভিডিও আসতেই নেটমাধ্যমে তোলপাড়

#মুম্বই: রবিবার আর্জেন্টিনার দিন, মেসির দিন। লিওনেল মেসির কোটি কোটি ফ্যান রবিবার থেকে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। এবারের বিশ্বকাপে অল্পের জন্য গোল্ডেন বুট হাতছাড়া হলেও গোল্ডেন বল তাঁরই দখলে৷ দুটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল অর্থাৎ টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার নজির গড়লেন মেসি৷ মেসি জ্বরে কাবু সারা দুনিয়া।

হাজার হাজার নীল-সাদা শার্ট পরা ভক্ত মেসির জন্য গ্যালারি থেকে চেচাঁচ্ছে। মেসি স্টেজে উঠে বললেন, “আমরা বিশ্বের চ্যাম্পিয়ন!” সেই সঙ্গে সঙ্গে ট্যুইটারে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কিছু দেশি ভক্ত বলিউডের একটা ভিডিও মিম হিসেবে শেয়ার করেই চলেছেন।

মেসি এবং আর্জেন্টিনার দল বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই, আর্জেন্টিনার রঙে অক্ষয়ের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ‘হাউসফুল 3’-এর স্টিলগুলি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে যায়। মিম নির্মাতারা বলেছে, “মেসির বায়োপিকে মেসির চরিত্রে অভিনয় করবেন অক্ষয় কুমার।”

আরও পড়ুন : ‘আজ রাতে অনেকেরই ঘুম হবে না’! মেসি-জ্বরে কাবু ওপারের চঞ্চলও

আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাডুকোন! প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন করলেন অভিনেত্রী

 

অপর একজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “অক্ষয় ইতিমধ্যেই তাঁর পরবর্তী সিনেমার জন্য প্রস্তুত।” অন্য একজন ভক্ত বায়োপিকের জন্য একটি শিরোনামেরও পরামর্শ দিয়েছিলেন, “লিওনেল মেসি: দ্য লিজেন্ড অফ আর্জেন্টিনার বায়োপিক ইনকামিং! @অক্ষয়কুমার অভিনীত।”

নেইমারের দিলখোলা শুভেচ্ছা বার্তা মেসিকে! আর্জেন্টিনার জয়কে কুর্নিশ ব্রাজিল সুপারস্টারের

#দোহা: তিনি নেইমার দা সিলভা। ব্রাজিলের ফুটবলের মহানায়ক। এই নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে গেলেও দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। অথচ এবার যেভাবে ব্রাজিল শুরু করেছিল তাতে নেইমার সাম্বা ম্যাজিক দেখিয়ে হলুদ সবুজ জার্সিধারীদের চ্যাম্পিয়ন করবেন, এমন ভাবনা অমূলক ছিল না। কিন্তু থেমে যেতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে।

টাইব্রেকার হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। সেদিন গোল করেও দলকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি তিনি। কিন্তু এবার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার জন্য দিলখোলা শুভেচ্ছা জানালেন নেইমার। সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবার রাতে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচের পর নেইমার মেসির বিশ্বকাপ স্পর্শ করার ছবি দিয়ে লেখেন, শুভেচ্ছা ভাই। তোমার এটা প্রাপ্য ছিল।

আরও পড়ুন – চাকরি যাওয়া ম্যানেজার থেকে বিশ্বকাপ জেতা কোচ! স্কালোনিতে ডুবে গোটা আর্জেন্টিনা

কে বলে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ মাঠের বাইরে হয়? ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার আর্জেন্টিনার সেরা তারকাকে মন থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিশ্বকাপ জয়ের জন্য। আর্জেন্টিনার নাম্বার টেন আর ব্রাজিলের ১০ নম্বর মিলেমিশে যেন একাকার। নেইমার এবং মেসির সম্পর্কটাও বহু পুরনো।

দুজনে এক ক্লাবে খেলেন। কোপা আমেরিকার পরেও দেখা গিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গিয়ে ফাইনালে কেঁদেছিলেন নেইমার। কিন্তু তারপর মেসির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গল্প করেছিলেন। এটাই ফুটবল। এটাই ভ্রাতৃত্ববোধ এবং খেলার সংস্কৃতি। আজ সব ব্রাজিলিয়ান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় দেখে আনন্দিত হয়েছেন এমন নয়।

সেটা হয়তো দোষের নয়। ফুটবলের দুই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্ট কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়েন না। একে অপরকে কটু কথা বলতে ও পিছপা হন না। কিন্তু লিওনেল মেসি নামক একজন ফুটবল জিনিয়াসকে সবুজ মাঠে আলপনা আঁকতে দেখলে এবং বিশ্বসেরা হতে দেখলে তখন প্রশংসা না করে থাকা যায় না।

তা সে যতই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল হোক না কেন। আর নেইমার তো কবেই মেসিকে বড় ভাই বলে মেনে নিয়েছেন। তাই আজ ভাইয়ের বিশ্বসেরা হওয়ার আনন্দ উপভোগ করছেন সাম্বা কিং।

পড়ছে সিটি, চারদিকে বিয়ারের বোতল, বিশ্বকাপ হাতে টেবলের ওপর মেসির নাচ, রইল ড্রেসিং রুমের ভাইরাল ভিডিও

#কলকাতা: আজ যেন সব শব্দই শেষ, সব বিশেষণই যেন কম পড়ছে৷ বুয়েনস আয়ার্স থেকে কলকাতা সব ছবিটা যেন কোথাও মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে৷ তাই আজ নিউজপ্রিন্টে শব্দের আস্ফালন, টেলিভিশনের প্যাকেজ, বাইটের দৌরাত্ম্য সরিয়ে আর্জেন্টাইন ফ্যানদের ‘নির্মল আনন্দ’-র দিন৷

মেসির হাতে বিশ্বকাপের ছবি এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় রেকর্ড ব্রেক করে দিয়ে ভাইরাল৷ নীল-সাদা জার্সির জাদুকরের হাতে অবশেষে উঠল বিশ্বকাপ৷ হয়ত অপেক্ষাটা একটু বেশিদিনের ছিল, হয়ত এই বিশ্বকাপকে হাতে পাওয়ার জন্য ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ গোল করার পাশাপাশি দলের ডিফেন্সলাইনে এসেও মেসিকে খেলতে হয়েছে, কিন্তু আজ সে কথাও থাক৷ এদিন বিশ্বকাপ জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টাইন ড্রেসিংরুম ছিল বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতোয়ারা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মেসি বিশ্বকাপ হাতে লাফিয়ে উঠে পড়লেন ড্রেসিংরুমে রাখা টেবলের ওপর৷ চারদিক থেকে ভেসে আসছে লাতিন আমেরিকার জয়ের গন্ধ মাখা গানের সুর৷ কেউ দিচ্ছেন সিটি, চারদিকে অসংখ্য ফাঁকা বিয়ারের বোতল, এ এক অন্য উন্মাদনা৷ আর মেসি নাচছেন ছোট্ট শিশুর মতোই অনাবিল আনন্দে৷

 

 

আরও পড়ুন – Lionel Messi wins World Cup: মসিহা মেসি! কাঁপিয়ে দিলেন, সারা বিশ্ব এখন পদানত, রইল বিশ্বকাপ জয়ের ফটো

 

রইল সুপার ভাইরাল সেই ভিডিও

বিশ্বকাপ তাঁর হাতের মুঠোয়৷ কখনও ছুঁয়ে দেখছেন, কখনও চুম্বনে ভরিয়ে দিলেন, রবিবাসরীয় রাতে জ্বলজ্বল করছে নক্ষত্র আগামী চার বছরের বিশ্বফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের তাজ আর্জেন্টিনার মাথায়৷ আর ম্যাজিকম্যান মেসির পা ও মাথা এই তাজের কারিগর৷এবারের বিশ্বকাপে অল্পের জন্য গোল্ডেন বুট হাতছাড়া হলেও গোল্ডেন বল তাঁরই দখলে৷ দুটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল অর্থাৎ টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার নজির গড়লেন মেসি৷

 

আরও পড়ুন –  Lionel Messi GOAT: অধরা মাধুরীকে ছুঁয়ে ফেললেন, সর্বকালীন সেরা মেসির ক্যাবিনেটে এবার বিশ্বকাপও

 

৭ টি ব্যালন ডি অরের মালিক দেশের জার্সি গায়ে শাপমোচন করেছিলেন কোপা আমেরিকার ফাইনাল জিতে৷  মেসি তুমি কার এখন প্রশ্ন করা হলে বোধহয় উত্তর হবে সর্বকালীন সেরা ক্লাবের একেবারে সামনের সারিতে থাকা জ্যোতিষ্ক৷

ছোট ভাই মেসির হাতেই বিশ্বকাপের ট্রফি দেখতে চান রোনাল্ডিনহো! দিলেন বিশেষ শুভেচ্ছা

#দোহা: লিওনেল মেসির সফল ফুটবলার হয়ে ওঠার জীবনে প্রথম দিকটা তার অবদান ছিল অনেকটা। ছোট ভাইয়ের মতো আগলে রাখতেন বার্সেলোনাতে। মেসি নিজেও বহুবার স্বীকার করেছেন রোনাল্ডিনহ গাউচো ছিলেন বলেই নিজেকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় তাড়াতাড়ি মেলে ধরতে পেরেছেন তিনি। ক্লাবে মেসি যাকে আইডল মনে করে সেই রোনালদিনহোর হাত ধরেই বার্সেলোনা অধ্যায়ের শুরুটা করেছিলেন লিওনেল মেসি।

খুব কাছ থেকে মেসিকে দেখেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবল জাদুকর। মেসির তারুণ্যের সময়টাতে তাকে দিক নির্দেশনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন আজকের মেসি হওয়ার পথ। কাতার বিশ্বকাপেও তাই ছোট ভাই তুল্য মেসির খেলা দেখতে ছুটে এসেছেন রোনালদিনহো। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মেসি ম্যাজিকের রাতে স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করেছেন আর্জেন্টিনার বিজয়গাঁথা।

আরও পড়ুন – `আর্জেন্টিনা আন্ডারডগ, এটাই আমাদের সুবিধে’! ফাইনালের আগে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু মার্টিনেজের

এই মেসিকে তিনি ৫০ বছর পর্যন্ত খেলতে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। ফ্রেঞ্চ দৈনিক এলইকুয়েপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রোনালদিনহো বলেন, মেসির জন্য এই খেলাটা সাধারণই, তাই নয় কি? সে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে খেলে যাচ্ছে। এটা তার শেষ বিশ্বকাপ। আমি নিশ্চিত, সে সবকিছুই করবে এই ট্রফিটা জয়ের জন্য।

আমার কাছে মনে হয়, সে ৫০ বছর পর্যন্ত খেলতে পারবে কারণ তার যে কোয়ালিটি আছে তা অন্য কারোর নেই। এ সময় এমবাপেকে নিয়েও নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রোনালদিনহো। তিনি বলেন, তার খেলা দেখে আমার ভাল লেগেছে। আমি তার জন্য খুবই খুশি। সে এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই করেছে এবং সে এখনো অনেক তরুণ।

তার সবধরণের কোয়ালিটি আছে এবং ঠাণ্ডা থাকছে। ব্রাজিলিয়ানরা এই ধরণের খেলোয়াড়কে তাদের দলে রাখতে পছন্দ করে। তবে ফাইনালে মেসির প্রতি রোনালদিনোর ভোট থাকবে জানিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ফ্রান্স শক্তিশালী কিন্তু অপরাজেয় নয়, ফাইনালের আগে মেসিদের তাতালেন মারাদোনার সতীর্থ

#রোজারিও: জর্জ বুরুচাগা আর্জেন্টাইন ফুটবলে এমন একটা নাম যার কথা স্মরণ করতে হয় আজকেও। প্রচুর গোল করেছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে এমন নয়। কিন্তু তিনি না থাকলে হয়তো দিয়েগো মারাদোনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্পটা লেখা যেত না। ১৯৮৬-র ফাইনালে আপনার জয়সূচক গোল নিয়ে কী বলবেন? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন আবেগপ্লুত হয়ে পড়লেন বুরুচাগা।

একটু সামলে নিয়ে বললেন ওটাই জীবনের সেরা স্মৃতি। তখন মিডিয়ার এতটা দাপট ছিল না। টাকার অঙ্কে মাথা ঘুরে যেত না। কিন্তু ভালো খেলা বা একটা অসাধারণ গোলের তৃপ্তি ছিল বহুগুণ। কতদিন আগের ঘটনা। অথচ কত সজীব! আমাদের কোচ কার্লোস বিলার্দো বলতেন, মারাদোনা ও বাকি ১০ জন খেলতে নামছে। মেসির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

গত ২০ বছরে লিওই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। একেবারে ভিন্ন ধারার ফুটবল খেলছে। যেমন দক্ষ স্কোরার, তেমনই অ্যাসিস্ট স্পেশালিস্ট। গতবছর কোপা আমেরিকা জেতার পর কাতারে চাপহীন ফুটবল খেলছে। কাপ না জিতলেও মেসির গরিমা থাকবে অটুট। গত ৭০ বছরের সেরা পাঁচ ফুটবলারের নাম— আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, জোহান ক্রুয়েফ, পেলে, মারাদোনা ও মেসি।

এর মধ্যে চারজনই দক্ষিণ আমেরিকার। মেসির কাপ জয় খুবই জরুরি। অনেকে বলেছিল, দেশের জার্সিতে ও নিজের সেরাটা দেয় না। তাদেরকে যোগ্য জবাব দেওয়ার এটাই সেরা মঞ্চ। বুরুচাগা মনে করেন সেবারের পশ্চিম জার্মানির থেকে এই ফ্রান্স খুব এগিয়ে এমনটা মনে করার কারণ নেই।

তারা বিশ্বসেরা দল হলেও ফ্রান্সের দুর্বলতা আছে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে তিউনিশিয়া এবং ইংল্যান্ড। তাই ফাইনালে ফ্রান্সের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে পারলে ৩৬ বছর পুরনো স্বপ্ন জেগে উঠতে পারে মারাদোনার দেশের। মেসি অমর হয়ে যেতে পারেন নীল সাদা জার্সিতে।

`মেসি মনে রেখ, দিয়েগো মারাদোনা কিন্তু ফাইনালটা দেখবেন’ ! আবেগে ভাসলেন বাতিস্তুতা

#দোহা: নিজের ফুটবল জীবনের মধ্য গগনে যখন ছিলেন, তখন তার মত ধ্বংসাত্মক স্ট্রাইকার গোটা ফুটবল দুনিয়াতেই কম ছিল। তার থেকে সামান্য হলে এগিয়েছিলেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সিতে বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন গ্যাবরিয়েল বাতিস্তুতা।

ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে শিরোপা জয় থেকে আর একধাপ দূরে লিওনেল মেসি ও তার দল। রবিবার ভারতীয় সময় রাত ৮:৩০ টায় ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল। চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন মেসি। গোলের রেকর্ডে প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন, আবার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙেছেন।

আরও পড়ুন – ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন, সময় বড়জোর ছ মাস ! ফাইনালের আগে মেসিকে খোলা চিঠি প্রথম শিক্ষিকার

কাতার বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখে সেই বাতিস্তুতার মনে হচ্ছে যেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিন বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করা প্রাক্তন আর্জেন্টিনা তারকা বাতিস্তুতা আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার রেকর্ড মেসি ভেঙেছে, এতে আমি মোটেই কষ্ট পাইনি। এটা মেসির প্রাপ্য।

যদি কোনো একজনের এই রেকর্ড হওয়া উচিত, সেটা মেসিই। মেসি এলিয়েন নয়, ও একজন মানুষ যে বিশ্বসেরা। যখন সেই মানুষটা আপনার রেকর্ড ভাঙবে, সেটা আপনাকে কষ্ট নয়, আনন্দ দেবে। চলতি বিশ্বকাপে ৫টি গোল এবং ৩টি অ্যাসিস্ট করা মেসিকে নিয়ে বাতিস্তুতা আরও বলেন, আমি ভেবেছিলাম, ও আরও শান্ত থাকবে।

কিন্তু মেসি তো ২০ বছরের তরুণের মতো খেলছে। মেসি বিশ্বকাপ জেতার জন্য মরিয়া। বিশ্বকাপ জিততেই ও কাতারে এসেছে। মেসি দলের মধ্যেই এর মনোভাব ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফুটবলে এটাই দরকার। দলের মধ্যে বিশ্বকাপ জেতার মতো একটা ইতিবাচক শক্তি আছে। বিশ্বকাপ জেতার সব সামর্থ্যই আমাদের আছে।

বাতিগোল ছাড়াও কাতারে উপস্থিত আছেন ক্রিস্পো, সরিন, ক্যাম্বিয়াসদের প্রাক্তন আর্জেন্টাইন তারকারা। এরা নিজেদের ফুটবল জীবনে যেটা পারেনি সেটা মেসি করে দেখান এই প্রার্থনা সকলের। বাতিগোল নিশ্চিত দিয়েগো মারাদোনা যেখানেই থাকুন ফাইনালটা অবশ্যই দেখবেন। সেটা মনে রেখেই মেসিদের খেলতে বললেন প্রাক্তন কিংবদন্তি।

ফাইনালের আগে মেসির চোখে জলের কারণ কী, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

#দোহা: প্রস্তুত মঞ্চ। কাতারের লুসেইল স্টেডিয়াম অপেক্ষায় ২০২২-এর ফুটবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের। রবিবার শেষ হাসি কে হাসবেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা না কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স তা দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে মেসির চোখের জল ২০২২-এ কাতার বিশ্বকাপে হাসিতে বদলায় কিনা তার উত্তর তো দেবে সময়। কিন্তু ফাইনালের আগেই চোখ ছলছল আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।

একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মেসি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মেসি কিছু বলছেন না। যা বলছেন ওই সাংবাদিক, মেসি শুধুই শুনে যাচ্ছেন। আসলে মেসির সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর ওই সাংবাদিক বলেন,’আমরা সকলেই আপনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চাই। তবে ফলাফল যাই হোক, আপনিই সেরা। আপনি আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষকে হাসতে ও বাঁচতে শিখিয়েছেন।’

এখানেই থামেননি ওই সাংবাদিক,’আর্জেন্টিনার এমন কোনও শিশু নেই, যার কাছে আপনার জার্সি নেই। হতে পারে সেটা নকল, বা অন্য কিছু দিয়ে তৈরি। সত্যি, আর্জেন্টিনার প্রত্যেকের মনে আপনি জায়গা করে নিয়েছেন। সেটা আমার কাছে বিশ্বকাপ জেতার থেকেও বেশি।’ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় মেসি ওই সাংবাদিকের কথা শোনার সময় তার চোখ ছলছল করছে।

 

আরও পড়ুনঃ ট্রান্স মডেলের সঙ্গে প্রেম এখন অতীত, এমবাপের জীবনে এখন নতুন ‘গোলাপ’, দেখুন ছবি

 

 

মেসি নিজেও জানেন ১৮ ডিসেম্বর তার উপর প্রত্যাশার চাপ কতটা। এই শেষ সুযোগ নিজের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন পূরণ করার ও দেশকে তৃতীয়বার বিশ্ব সেরা করার। তবে ওই সাংবাদিক বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন মেসি মানে একটি আবেগ, একটা অনুভূতি, একটা জেনারেশনের ফুটবল প্রেম, যা একটা ট্রফি দিয়ে বিচার করা যায় না।

 

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন, সময় বড়জোর ছ মাস ! ফাইনালের আগে মেসিকে খোলা চিঠি প্রথম শিক্ষিকার

#রোজারিও: লিওনেল মেসি ছোটবেলায় তার হাত ধরেই প্রথম লেখা শিখেছিলেন। শান্ত ছেলেটা পরবর্তীকালে পৃথিবীর সেরা ফুটবলার হবে তখন কে আন্দাজ করতে পেরেছিল? বেশি দূর পড়াশোনা না করলেও ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলেন না লিও মেসি। বুদ্ধিদীপ্ত এবং অঙ্কে ভাল ছিলেন ছোটবেলায়। সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন মেসির জীবনের প্রথম স্কুল শিক্ষিকা।

হ্যালো মেসি, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তোমার শিক্ষক হতে পেরেছি। আমার ছাত্র হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। সব সময় একই রকম থাকার জন্য ধন্যবাদ। তুমি খুব সাধারণ, বিনয়ী, দুর্দান্ত একজন মানুষ। কখনো বদলাবে না। তোমার জীবনের অংশ হতে পেরে যে গৌরব অনুভব করছি, তা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন কিছু চাওয়ার জন্য দুঃখিত।

আরও পড়ুন – ফাইনালে মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব বুঝে নিলেন ফরাসি মিডফিল্ডার! দিচ্ছেন হুঙ্কার

এত এত বিপর্যয়ের মধ্যে আমাদের এতটুকু সুখ দেওয়ার জন্যই তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার হাসিমুখ দেখাটাই আমার সুখ। তুমি তোমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছ, এটা আমার ভালো লাগে। আমি তোমার শিক্ষক, এটা আমার জন্য স্বপ্নের মতো। এই সম্মানে তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই। শুভকামনা। বিশ্বকাপ ফাইনাল এর আগে এই বার্তা পাঠিয়েছেন মেসির জীবনের প্রথম শিক্ষিকা মনিকা দমিনা।

মেসির জন্ম রোজারিওতে। খুব অল্প বয়সেই জন্মস্থান ছাড়লেও চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা করেছেন মেসি। মনিকা তখন মেসির শিক্ষক ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই লিখতে ও পড়তে শিখেছেন মেসি। মেসির সেই শিক্ষক এখন অসুস্থ। হার্টের সমস্যা। জানা নেই মনিকার এই আবেদন মেসির কান পর্যন্ত পৌঁছবে কিনা। পৌছলে মেসি বিশ্বকাপ জয়ের পর যদি দেশে ফেরেন তাহলে হয়তো দেখাও করতে যাবেন এই শিক্ষিকার সঙ্গে।