Tag Archives: Lionel Messi

ফাইনালে মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব বুঝে নিলেন ফরাসি মিডফিল্ডার! দিচ্ছেন হুঙ্কার

#দোহা: চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফ্রান্সের জার্সিতে প্রথম গোলটা করেছিলেন তিনি। দূরপাল্লার জোরালো শটে। যদিও এই ফ্রান্স দলটায় তার কাজ গোল করা নয়। মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়া এবং সেটা সতীর্থদের বাড়িয়ে দেওয়া। ২২ বছরের আরেলিন
চোয়ামেনি সেই কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করে আসছেন এই টুর্নামেন্টে।

ফাইনালে লিওনেল মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব থাকছে চোয়ামেনির ওপর। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ রিয়াল মাদ্রিদের এই তরুণ ফুটবলারকেই বেছে নিয়েছেন মেসির মার্কার হিসেবে। এবারের বিশ্বকাপে ব্লকার অথবা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি বল কেড়েছেন তিনি। এই ব্যাপারে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, বেলজিয়ামের মতো দলগুলোর ব্লকারদের পেছনে ফেলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন – কালা জাদু করছে আর্জেন্টিনা ভক্তরা! ফ্রান্সকে আটকাতে মেসি ম্যাজিকের পর এবার ব্ল্যাক ম্যাজিক

রিয়াল মাদ্রিদর চোয়ামেনির অবশ্য খুব একটা টেনশন নেই মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব পেয়ে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ১০০ ভাগ নিশ্চিত সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে। এমনকি হুমকি দিয়েছেন মেসি তাকে একবার টপকালেও, দ্বিতীয়বার পারবেন না। এমনকি তিনি মনে করেন ফাইনালে মেসিকে এমবাপে আবার দেখিয়ে দেবে আসল রাজা কে!

প্রতিপক্ষ যে বিশ্বের সেরা ফুটবলার সেটা মাথাতেই রাখতে চান না তরুণ ফরাসি। পোগবা এবং কন্তের মতো ফুটবলারকে ছাড়াই বিশ্বকাপে খেলছে ফ্রান্স। এই দুজনের জায়গাটা ভরাট করছেন তরুণ এই ব্লকার। তাই সামনে প্রতিপক্ষ হিসেবে মেসি থাকলেও ফাইনালের মত বড় মঞ্চেও আত্মবিশ্বাসী থাকছেন তিনি।

তার লক্ষ্য আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করে দেওয়ার। মরক্কোর বিরুদ্ধে অসুস্থ হলেও ফাইনালে ফিট হয়ে ফিরছেন ফ্রান্সের রাবিও। এটাও বড় স্বস্তির কারণ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।

আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও উৎসব হবে না কোচ স্কালোনির গ্রামে! কারণটা জানলে কেঁদে ফেলবেন

#রোজারিও: আট বছর পর আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলে ব্যর্থ হতে হয়েছিল। এবার কি এশিয়ার মাটি থেকে কাপ নিয়ে ফিরবে লিওনেল মেসি এবং তার দল? উত্তর দেবে সময়। কিন্তু একটা অদ্ভুত খবর অবাক করে দিচ্ছে সবাইকে। মেসিরা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছতেই উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা দেশ। রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। রবিবারের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্তিনা চ্যাম্পিয়ন হলে দৃশ্যটা কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের স্ত্রী এবং বান্ধবীদের হোটেলে হঠাৎ অন্ধকার! আতঙ্কে রাস্তায় রাত কাটালেন অনেকে

তবে এমন আবহেও মন ভালে নেই আলবিসেলেস্তে ব্রিগেডের হেড কোচ লায়নেল স্কালোনির গ্রাম পুজাতোর। ৩৬ বছর পর মারাদোনার দেশে কাপ ফিরলেও সেলিব্রেশন থেকে হয়তো দূরেই থাকবে তারা। কিন্তু কেন? নেপথ্যে রয়েছে এক করুণ কাহিনি। রোজারিও শহর থেকে মাত্র ৪৪ কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম এখনও ডুবে রয়েছে শোকের সাগরে।

বিশ্বকাপ চলাকালীনই গাড়ি দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন অগাস্টিন ফ্রাতিনি। খুব নামজাদা কেউ নন। কিন্তু ২৭ বছরের এই যুবক ছিলেন গ্রামের সকলের নয়নের মণি। আচার আচরণ ও মিষ্টি স্বভাবই ছিল তাঁর ইউএসপি। ঝাঁপিয়ে পড়তেন মানুষের বিপদে আপদে। অগাস্টিনের আকস্মিক প্রয়াণের ঝটকা এখনও সামলে উঠতে পারেননি গ্রামের মানুষ।

বিশ্বকাপে মেসিদের দুরন্ত অগ্রগতিতেও প্রলেপ পড়েনি ক্ষতে। পুজাতো পৌরসভার সভাপতি ড্যানিয়েল কোয়াককুয়ারিনি বলছিলেন, গোটা দেশ চাইছে মেসিরা কাপ জিতুক। আমরাও চাই। তবে সত্যি বলতে, গ্রামের মানুষের বর্তমান যা মানসিক অবস্থা, তাতে আর্জেন্তিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও হয়তো তা সেলিব্রেশন করবে না কেউ।

অগাস্টিনের মৃত্যু যেন পাথর চাপিয়ে দিয়েছে আমাদের বুকে। পরে মনের অবস্থা স্বাভাবিক হলে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতব আমরা। এমনকী, গ্রামের ছেলে স্কালোনিকেও যথাযথ সম্মান জানানো হবে। মেসিদের দলের কোচ নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন ওই যুবককে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পরেই তিনি শুনেছিলেন দুঃসংবাদটা। সেদিন থেকে তার মন খারাপ।

বিশ্বকাপ থেকে ফিরে নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মেসিদের হেড স্যার। আর্জেন্টিনা বিশ্বাস করছে মৃত ফ্রাতিনির আত্মা ফাইনালে থাকবেন লিও মেসিদের সঙ্গে। আর্জেন্টিনাকে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে দেখতে চেয়েছিলেন এই যুবকও।

আর্জেন্টিনার ক্লাবেই ফিরছেন মেসি! ছেলেবেলার শহরেই শেষ করবেন ফুটবল জীবন

#রোজারিও: কে বলে সাধারন মানুষ সুপারস্টার হয়ে গেলে ছোটবেলার স্মৃতি ভুলে যায়? সাফল্যের শীর্ষে উঠেও যারা ফিরে আসতে পারে শিকরের কাছে তাদের মানুষ অন্য চোখে দেখবেনই। সেরকমই লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের শহর রোজারিওর এক ক্লাব নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ।

পারানা নদীর তীরে অবস্থিত ১৫ লাখ জনসংখ্যার এই শহরেই বেড়ে উঠেছেন ফুটবলের এই জাদুকর। ৬ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে মেসি যোগ দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন ক্লাবে। আজকের মেসি হয়ে ওঠার পেছনে এই ক্লাবের অবদান অপূরণীয়। রোজারিওর প্রধান স্থানীয় ক্লাব নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ যুবদলের হয়ে ছয় বছর খেলেছেন মেসি।

আরও পড়ুন – কাতার বিশ্বকাপে আবার মৃত্যু! সাংবাদিকের পর এবার জীবন গেল নিরাপত্তা রক্ষীর

ক্যারিয়ার জুড়ে মাঠ মাতানোর পর আবার নিউয়েলস ওল্ড বয়েজে ফিরে যাচ্ছেন মেসি। এমনটাই জানিয়েছে জনপ্রিয় গণমাধ্যম মার্কা। স্প্যানিশ এই সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনু্যায়ী, আগামী মরশুমে মেসিকে দেখা যেতে পারে ওল্ড বয়েজে।যেখানে শুরু, সেখানেই শেষ। অর্জনের ঝুলিটা অনেকটাই পূর্ণ করে বিদায়বেলা আরও একবার হয়তো স্মৃতির পাতায় পেছনে ফিরে যেতে চান এলএমটেন।

তাই প্যারিসের বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে আর্জেন্টিনার তথাকথিত গরিব ক্লাবে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চলেছেন লিও সেটা মোটামুটি পরিষ্কার। ঘটনাক্রমে ডিয়েগো ম্যারাডোনাও সেই ক্লাবের সিনিয়র দলের সদস্য ছিলেন। আর তার মৃত্যু পর ওসাসুনার বিরুদ্ধে গোল করে নিউয়েলসের জার্সি গায়েই তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এলএমটেন।বিদায়বেলা গোধূলী লগ্নে হয়তো মেসির তরিটা আবারও ভিড়বে সেই পারানা নদীর তীরেই।

‘চার বছর পর পৃথিবীতে থাকব না’! বেঁচে থেকেই মেসির হাতে কাপ দেখতে চান পেলে

#দোহা: কয়েকদিন আগেও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। মনে হয়েছিল বিশ্বকাপের মাঝেই হয়তো দুঃসংবাদ আসতে পারে। কিন্তু সবার শুভ কামনায় পেলে রয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের বিছানায় থাকা পেলেকে খুশির মুহূর্ত এনে দিতে পারতেন নেইমাররা। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান থেমে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। গতকাল মঙ্গলবার সেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা।

৩–০ ব্যবধানের ম্যাচে নিজে গোল করার পাশাপাশি হুলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে গোল করিয়েছেন লিওনেল মেসি। নেইমাররা ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার পর মেসিদের ম্যাচটি কি পেলে দেখেছেন? গোলের উদ্‌যাপনে, ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেসিরা যখন উড়ছিলেন, কী ভাবছিলেন ‘ফুটবলের রাজা’?

গত ২৯ নভেম্বর থেকে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে আছেন পেলে। তাঁর সঙ্গে আছেন মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর মেয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে আর্জেন্টিনার খেলা শুরুর আগে মেসির মুখ দেখা যাচ্ছে। হাতের ওপর হাত রেখে খেলা দেখছেন বিছানায় শুয়ে থাকা পেলে।

হাতে তোলা ছবিটি পোস্ট করে ওপরে–নিচে মেসির দুটি অ্যানিমেটেড ছবিও জুড়ে দিয়েছেন কেলি। এবারের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে পেলেদের সঙ্গে একই লাইনে ঢুকে গেছেন আর্জেন্টাইন তরুণ হুলিয়ান আলভারেজ। মেসির সহায়তায় দ্বিতীয় গোল করার দিন তার বয়স ছিল ২২ বছর ৩১৬ দিন।

দুদিন আগেই ব্রাজিল ফুটবলের সভাপতি জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে এখন সমর্থন দিচ্ছে সমগ্র লাতিন আমেরিকা। ফুটবল সম্রাট পেলেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেসিকে দেখে মুগ্ধ। অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে চোখ থেকে।

মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান লুকা ! অবসর নয় এখনই, জানিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক

#দোহা: লিওনেল মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান লুকা মদ্রিচ। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যাওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন বোধহয় জাতীয় দল থেকে নিজের অবসর ঘোষণা করে দেবেন তিনি। মদ্রিচ কিন্তু পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে জাতীয় দল থেকে তিনি অবসর নিচ্ছেন না। পরের বছর ইউরো কাপ খেলার ইচ্ছে রাখেন।

তবে লুকা মদ্রিচ জানিয়েছেন, লা লিগায় মেসির বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রিয়েলের হয়ে প্রচুর খেলেছেন। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধেও এবার খেললেন। চার বছর আগের রাশিয়ার মাটিতে যে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া, সেই দলটার থেকে এই আর্জেন্টিনা অনেক কমপ্লিট মনে করেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ডি মারিয়া এবং প্রাক্তন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আগুয়েরো। লুকা জানিয়েছেন তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তাই তিনি হৃদয় থেকে চাইবেন কাতার বিশ্বকাপে যেন চ্যাম্পিয়নের পদক ওঠে মেসির হাতে। তবে প্রথম পেনাল্টি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইতালিয়ান রেফারির সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক।

তবে স্বীকার করে নিয়েছেন এরপর আর্জেন্টিনা তাদের কাজ ক্রমশ কঠিন করে দিয়েছিল। এই আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভাঙার জন্য তাদের কাছে যথেষ্ট রসদ ছিল না। কমপ্লিট ফুটবল খেলেছে নীল সাদা জার্সিধারীরা। মদ্রিচ মনে করেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার যাত্রা যথেষ্ট গর্ব করার মতো। চার বছর আগে ফাইনাল খেলার পর এবার সেমিফাইনাল।

এটাই প্রমাণ করে সঠিক পথে এগোচ্ছে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল। এমন একটা দলের অংশ হতে পেরে তিনি গর্বিত। মেসির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল। লুকা চাইছেন বিশ্ব ফুটবলের সেরা ট্রফিটা নিয়ে যান আর্জেন্টিনা ফুটবলের রাজপুত্র।

১০ বছর আগে মেসির অটোগ্রাফ নিতেন, আজ একসঙ্গে গোল করছেন! স্বপ্নের নাম জুলিয়ান আলভারেজ

#দোহা: মনে হয়েছিল বাঘ, হয়ে গেল বিড়াল। ক্রোয়েশিয়া এভাবে সেমিফাইনাল ম্যাচে আত্মসমর্পণ করবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভাবা যায়নি। যে দলটা ব্রাজিলকে হারিয়েছিল, তাদের প্রায় এক তরফা ম্যাচে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা। গোল করে এবং করিয়ে আবার নায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু আলাদা করে বলতেই হবে জুলিয়ান আলভারেজ বলে ছেলেটির কথা।

তরুণ এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের এই বিশ্বকাপে এই নিয়ে চারটি গোল হয়ে গেল। বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি আগামী দিনের সুপারস্টার। ম্যানচেস্টার সিটি দলে খেলে নিজেকে আরও তৈরি করে নিয়েছেন। যেভাবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি আদায় করলেন এবং দুটি গোল করলেন, তাতে লিওনেল মেসির চাপ অনেক কমিয়ে দিয়েছেন আলভারেজ সেটা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন – মেসি, আলভারেজ ভামোস, ক্রোয়েশিয়া খামোশ! তিন গোলে জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

পোল্যান্ডের বিরুদ্ধেও আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি জুলিয়ান আলভারেজের। জন্ম আর্জেন্টিনার ক্যালচিনে। বাবা গুস্তাভো এবং মা মারিয়ানা।স্বপ্ন ভঙ্গের কাহিনিও রয়েছে। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ট্রায়ালের ডাক আসে। জুলিয়ানের প্রতিভা মুগ্ধ করে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তাদের। কিন্তু ১৩ বছরের জুলিয়ানকে সই করানোর ক্ষেত্রে আইনি সমস্যায় পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

জুলিয়ান অবশ্য সেই সময়ের স্বপ্নগুলো সত্যি করেন। সের্গিও ব়্যামোস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, গঞ্জালো হিগুয়েনের মতো তারকা ফুটবলারদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। তাঁদের সঙ্গেও ছবিও তোলেন। যদিও একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়। নতুন করে স্বপ্ন দেখা বারণ নয়। জুলিয়ানও হাল ছাড়েননি।

পরিশ্রম করে গিয়েছেন। দিনরাত এক করে খেটেছেন। তার সুফল পাচ্ছেন। লিওনেল মেসি নিজে বলেছেন জুলিয়ান লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। এত ভাল খেলছেন যে দলের অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লাওটার মার্টিনেজকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না প্রথম দলে। ছেলেবেলায় জুলিয়ানের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল, লিও মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার।

তার আগে ২০২১ কোপা আমেরিকায় খেলেছেন। এবার বিশ্বকাপেও খেলার সুযোগ, মেসির সঙ্গে, এক দলে। মেসির সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নিচ্ছেন, শেয়ার করছেন পরামর্শ, পাস থেকে গোল করছেন। কে বলে ফুটবলে স্বপ্ন বাস্তব হয় না? লিওনেল মেসি আর্জেন্টাইন ফুটবলের ঈশ্বর হলে, আলভারেজ আগামী দিনের ডাক।

মেসি, আলভারেজ ভামোস, ক্রোয়েশিয়া খামোশ! তিন গোলে জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা – ৩ ( মেসি, আলভারেজ -২)

ক্রোয়েশিয়া – ০

#দোহা: কাতার বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনার সাফল্যের জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব ৮৬-র বিশ্বজয়ের প্রয়াত কিংবদন্তকীকেই দিয়েছিলেন মেসি। মারাদোনার আশীর্বাদেই সব হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন লিও। মঙ্গলবার সেই দিয়েগো মারাদোনার অদৃশ্য আশীর্বাদ আর্জেন্টিনার সঙ্গে ছিল কিনা জানা নেই। কিন্তু চার বছর আগে রাশিয়ার মাঠে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে আর্জেন্টিনা যে মরিয়া ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিল।

ম্যাচের শুরু থেকে দশ মিনিট দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। তারপরে ১৫ মিনিট অবশ্য লুকা মড্রিচ, কোভাসিচরা বল ধরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সব কিছু বদলে গেল ৩৪ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক আলভারেজকে ফাউল করায়। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। টপ কর্নার নেটে ফিনিশ করলেন।

এর ৫ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল আর্জেন্টিনার। কাউন্টার আক্রমণ থেকে মেসির পা হয়ে বলটা এল জুলিয়ান আলভারেজের কাছে। একটা ২৫ গজের সোলো দৌড়। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্সডে ভেঙে বল জালে। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি গোল হয়ে গেল তরুণ ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকারের। ম্যাক আলুষ্টারের হেড ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক না বাঁচালে আর্জেন্টিনার ব্যবধান বাড়তে পারত।

দ্বিতীয়ার্ধের দুটি পরিবর্তন করে ক্রোয়েশিয়া। পারেদেসের পরিবর্তে লিসান্ড্রোকে নিয়ে আসে আর্জেন্টিনা। ৭০ মিনিটের মাথায় মেসি ম্যাজিক। ডান দিক থেকে একটা বল ধরে, সেই ভিনটেজ দৌড়। ক্রোয়েশিয়ার সেরা ডিফেন্ডারকে শরীরের মোচড়ে ছিটকে দিলেন। ডান পায়ের ক্রস, ফিনিশ করলেন আলভারেজ।

এখানেই গল্প শেষ হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার। চার বছর আগের রাশিয়ার মাটিতে তিন গোলে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের বদলা নেওয়া হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। গোল করে এবং করিয়ে আবার নিজের গুরুত্ব বোঝালেন মেসি। আলভারেজ বুঝিয়ে দিলেন তিনি ভবিষ্যতের মহতারকা। ব্রাজিলের ঘাতক ক্রোয়েশিয়াকে মাটিতে আছড়ে ফেলল আর্জেন্টিনা। পৌঁছে গেল ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনালে।

Semifinal: লাল-সাদার বিরুদ্ধে নীল-সাদার মাসিহা মেসি, ডিফেন্স নিয়ে চিন্তায় স্কালোনি, কী হবে ক্রোট বধের ছক

#লুসেল: স্বপ্নভঙ্গের বিশ্বকাপে কাঁদতে কাঁদতে একে একে মাঠ ছেড়েছেন সুপারস্টার নেইমার, রোনাল্ডো। কোয়ার্টার থেকে শেষ চারে ওঠার স্বপ্নপূরণ করতে পারেনি ফেভারিট ব্রাজিল থেকে পর্তুগাল। তবে মেসি পেরেছেন। শেষ আটের লড়াইয়ে গোল করিয়েছেন। গোল করেছেন। নিজের এবং কোটি কোটি ভক্তের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন। এবার সেই স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য শুধু ২টো হার্ডলেস টপকানো বাকি।

বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে সেকেন্ড লাস্ট হার্ডলস টপকাতে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ লাল-সাদা ক্রোয়েশিয়া। ইতিহাস বলছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠলে কোনও দিন হারেনি নীল-সাদা বাহিনী। তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আগে একাধিক বাধা রয়েছে স্কালোনির সামনে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মারামারির ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখে সেমির লড়াইতে নেই জোড়া ডিফেন্ডার মার্কাস আকুনা ও গঞ্জালো মন্তিয়েল। এই দুই ডিফেন্ডারের বিকল্প খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা স্কালোনির।

 

 

ডাচদের বিরুদ্ধে নিজের ছক ভেঙে ৫ ডিফেন্ডারে দল সাজিয়েছিলেন স্কালোনি। আকুনা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। মন্তিয়েলের কাজটাও একই ছিল। তবে ক্রোটদের বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ছকে নামতে পারেন স্কালোনি। আকুনা না থাকায় দলে আসবেন তাগলিয়াফিকো। শুরু থেকে নামতে পারেন দি মারিয়া। স্কালোনির চিন্তা আরও একটা রয়েছে। নক আউটের শেষ দুই ম্যাচে গোল হজম করেছে লা অ্যালবিসিলেস্তেরা। শেষ- মুহুর্তে গোল হজমের রোগ সারাতে অনুশীলনে বাড়তি ঘাম ঝড়াচ্ছেন স্কালোনি। ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের ভিডিও দেখে প্রস্তুতি সারা হয়েছে। শিবিরের খবর যাতে না বেরিয়ে যায় তাই ক্লোজড ডোর অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা শিবির।

 

আরও পড়ুন –  এলএম 10 vs এলএম 10! লিও মেসি বনাম লুকা মদ্রিচ সেমিফাইনালে কে হবেন রিয়েল এলএম 10

কোয়ার্টারে নেদারল্যান্ডসের লং বল ফুটবল নিয়ে মেসিরা সমালোচনা করেছিলেন। তবে ক্রোয়েশিয়া-ও সেই লং বল ফুটবল খেলতে অভ্যস্থ। ক্রোটরা স্ট্রাইকারদের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে গোলের চেষ্টা করবে। তাই স্কালোনির চিন্তা থাকছে। কারণ, আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের উচ্চতা কম। তবে সব থেকে বড় চিন্তার নাম বিপক্ষের এলএমটেন। লুকা মদ্রিচ ক্রোটদের ফুসফুস। তাঁর গোলমুখী পাস গুলি আটকাতে আলাদা প্ল্যান কষছেন আর্জেন্টাইন হেডস্যার।

 

আরও পড়ুন –  মেসির মুখে এ কী ভাষা! লাইভ সাক্ষাৎকারের সময় ডাচ প্লেয়ারকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য কথা,রইল ভিডিও

 

তবে সব সমস্যার পরেও স্বস্তি একটাই। ত্রাতা-ভরসা মেসির দুরন্ত ফর্ম। চলতি বিশ্বকাপে সেরা ফর্মে রয়েছেন নীল-সাদাদের মাসিহা। মার্কারদের কাঁধে নিয়েও বিপক্ষ ডিফেন্সে একচুল জায়গা দেখতে পেলেই নিঁখুত পাস করছেন। যা থেকে গোল না করাটাই অপরাধ। স্কালোনি জানেন, মেসিকে আটকানোর জন্য দালিচ পরিকল্পনা রাখবেন। তবে ৯০ মিনিট মেসিকে বোতলবন্দী করাটা কার্যত অসম্ভব। মেসি মার্কিং ভাঙতে জানেন।

মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি দিচ্ছে ডি পল আর মার্টিনেজ। ডাচদের বিরুদ্ধে দাপিয়ে খেলেছেন মেসির বডিগার্ড পল। ডাচদের বিরুদ্ধে জোড়া টাইব্রেকার বাঁচিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন মার্টিনেজও। ৩৬ বছর আগে ১৯৮৬ সালে শেষবার প্রয়াত মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তারপর কেটে গেছে ৩৬টা বছর। সোনালি ট্রফিটা আর ঘরে আসেনি নীল-সাদা ব্রিগেডের। মাঝে ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি ও ঠোঁটের মধ্যে দুরত্বটা থেকেই গিয়েছে। এবার ২০২২-এ সেই সোনালি স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা দেশ সহ বিশ্ব জুড়ে নীল-সাদা ভক্তরা। মেসির হাত ধরেই ফের একবার আর্জেন্টিনা বিশ্বজয় করবে। আশায় বুক বাঁধছে গোটা আর্জেন্টিনা আর বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মেসি ভক্তরা।

ERON ROY BURMAN

জয় হল মেসির! বিতর্কিত স্প্যানিশ রেফারিকে বিশ্বকাপ থেকে ‘ছুটি’ করে দিল ফিফা

#দোহা: সম্ভাবনা ছিল লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার। রেফারিকে অযোগ্য বলার কারনে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান নেওয়া যেতে পারে এমন সম্ভাবনা ছিল। ফিফার রিভিউ কমিটি পুরো আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের ভিডিও এনালাইসিস করেছেন। সেটা দেখার পর তাদের মনে হয়েছে মেসির দোষ যত না বেশি, তার চেয়ে বেশি ভুল করেছেন রেফারি ম্যাথু লাহোজ।

বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ভুল কারণে বাঁশি বাজিয়েছেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে স্প্যানিশ রেফারিকে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচ থেকে সরিয়ে দিল ফিফা। এতে প্রমাণ হল মেসির অভিযোগ সঠিক ছিল। পুরো কাতার বিশ্বকাপে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে রেফারি। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে ফুটবলাররা নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা অকপটে জানিয়েছেন।

সেজন্য সাবধানতা অবলম্বন করে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ১ম সেমিফাইনালে এবার ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইতালিয়ান রেফারি দানিয়েল ওরসাতোকে। আজকে এক বিবৃতিতে ফিফা এটি নিশ্চিত করে যে ওরসাতোই মূল রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করবেন। ভাল রেফারি হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে তার।

এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রেফারির তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। যদিও কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনালের কোন ম্যাচেই তাকে দেখা যায়নি। তবে বিশ্বকাপের কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচেও রেফারি হিসেবে ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার অনেক ফুটবলার ইতালিয়ান লিগে খেলার কারণে তাকে বেশ ভালোভাবেই জানা আছে ফুটবলারদের। এছাড়া তার ক্যারিয়ারে তিনি ৩ বার ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে রেফারি ছিলেন।

যেখানে মদ্রিচরা দুবার জয় লাভ করেছে এবং আরেকটি ম্যচে ইউরো ২০২০ এ ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল। মেসির ভক্তরা স্প্যানিশ রেফারিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

মেসির কপালে ঝুলছে ফিফার শাস্তি! ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যান হতে পারেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক

#দোহা: লিওনেল মেসির কপালে বড় শাস্তি অপেক্ষা করে আছে। গুজব নয়, একদম সত্যি কথা। ফিফা মেসির বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির রিপোর্ট তলব করেছে। নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের শেষে মেসিকে ডাচ কোচ ভ্যান গালের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা গিয়েছিল। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় এক ডাচ ফুটবলারের সঙ্গেও তিনি ঝগড়া করছিলেন।

আরও পড়ুন – `পর্তুগালের ম্যাচে কেন আর্জেন্টিনার রেফারি’? অন্য খেলার গন্ধ পাচ্ছেন পেপে, ব্রুনোরা

তবে এই দুটো কারণের জন্য তার শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মেসি বড় ভুল করেছেন স্পেনিশ রেফারি অ্যান্টোনিও ম্যাথু লাজের সমালোচনা করে। মেসি জানিয়েছিলেন লাহোজ নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারিং করবেন শুনে তিনি আগে থেকেই শঙ্কিত ছিলেন। কারণ তিনি জানতেন এই রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে অতীতেও দুর্নাম করিয়েছেন।

এমনকি এই রেফারি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলানোর যোগ্য কিনা সেটা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন লিও। আর এখানেই তিনি নিয়ম ভেঙেছেন বলছে ফিফা। তাদের নিয়ম অনুযায়ী রুল বুকে আর্টিকেল ১২ এবং আর্টিকেল ১৬ উলংঘন করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশেষ করে মিডিয়ার কাছে রেফারির বিরুদ্ধে মুখ খুলে ফিফার অযোগ্যতার প্রকাশ করেছেন তিনি।

পুরো ব্যাপারটা ডিসিপ্লিনারি কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এমনিতেই এটা এমন একটি ম্যাচ ছিল যেখানে আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্প্যানিশ রেফারিকে ১৬টি হলুদ কার্ড দেখাতে হয়। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মেসি ভক্তদের এই খবর অত্যন্ত চাপে রাখবে সেটা বলা যায় চোখ বন্ধ করে।

ফিফা অবশ্যই জানে লিওনেল মেসি যদি সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে না পারেন তাহলে আর্জেন্টিনার যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই বিজ্ঞাপনের বাজারেও বিরাট ধাক্কা খাবে তারা নিজে। কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে মেসির ইমেজ রাইটস নিয়ে, বিশ্বকাপে যার কিছুটা অংশ যায় ফিফার পকেটে। তাই এই সাবধান বাণী নেহাত হুমকি না সত্যি সেটা বোঝা যাবে আর ২৪ ঘন্টার মধ্যে।