আগামী ১৫ জানুয়ারি, সোমবার পালিত হবে এ বছরের মকর সংক্রান্তি। প্রচলিত এবং সনাতনী বিশ্বাস মতে, এই তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পুণ্যদায়ী। প্রাচীনকাল থেকেই এই তিথিতে ব্রহ্ম মুহূর্তে পুণ্য সঙ্গমে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র ও পুণ্যজনক বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি এই তিথিতে দান ধ্যানের রীতিও প্রচলিত বহু যুগ ধরেই। কিন্তু যে কোনও জিনিস এই তিথিতে দান করা যায় না। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত অরবিন্দ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন এই তিথিতে কোন কোন জিনিস দান করা অত্যন্ত শুভ।

তিলদানা

মকর সংক্রান্তিকে বলা হয় তিল সংক্রান্তিও। এই তিথিতে তিলদান খুব পবিত্র বলে বিশ্বাস করা হয়। ভগবান বিষ্ণু, সূর্যদেব এবং শনিদেবকে এই তিথিতে তিলদান করা হয়।

অন্ন ও ফল

দানের ক্ষেত্রে ফল অত্যন্ত পবিত্র। কারণ স্বাস্থ্যের জন্য ফল পুষ্টিদায়ী। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ফল ও অন্নদান অত্যন্ত শুভ।

আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি

কম্বল

মকর সংক্রান্তিতে কম্বল দান খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। কঠিন শীতে দরিদ্রদের কম্বল দান করুন মকর সংক্রান্তিতে। তবে পুরনো এবং ছেঁড়া কম্বল দান করবেন না।

গুড়ের লাড্ডু

তিল ও গুড়ের পাকে তৈরি লাড্ডু বা নাড়ু এই তিথিতে দান করা খুবই শুভ। এই মিষ্টির মাঝে মুদ্রাও লুকিয়ে রাখা হয়। তাকে বলা হয় ‘গুপ্ত লক্ষ্মী।’

খিচুড়ি

মকর সংক্রান্তিতে খিচুড়ি খাওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তবে সেই খিচুড়ি হতে হবে আতপচাল এবং কালো অড়হর ডালের। এই খিচু়ড়ি খেলে এবং দান করলে শনিদেব তুষ্ট হন বলেই বিশ্বাস। মনে করা হয় এর ফলে শনিদোষ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।

আরও পড়ুন : শৈশবে অপছন্দ গানবাজনা, অজান্তেই সুরলোকের বরপুত্র মিয়াঁ তানসেনের এই উত্তরসাধক

বস্ত্র

মকর সংক্রান্তিতে দরিদ্রদের দান করুন বস্ত্র। নতুন বস্ত্র এবং উষ্ণ বস্ত্র এই তিথিতে দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মান্যতা দেওয়া হয়।

ঘুড়ি

দেশের অনেক অংশে এই তিথিতে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এই পবিত্র তিথিতে বাচ্চা ও কিশোরদের হাতে তুলে দিন রঙিন ঘুড়ি। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের হাতেও দিন বর্ণময় ঘুড়ি। আপনার জন্য বিশেষ তিথিতে ওদের মুখেও ফুটবে আনন্দের হাসি।

স্টিলের বাসন

মকর সংক্রান্তিতে স্টিলের বাসন দান করলে বছরভর সুখে শান্তিতে ও আনন্দে কাটে বলেই বিশ্বাস। সংসারে বজায় থাকে সমৃদ্ধি। রীতি অনুযায়ী, সিঁদুর ও হলুদের টিকা লাগিয়ে, পবিত্র সুতো চারধারে বেঁধে দান করুন বাসন। অনেক সময় দানের বাসনে দেওয়া হয় তিলদানা এবং গুড় বা টাকা।

নিজের সাধ্য ও সামর্থ্যের মধ্যে থেকেই দানধ্যান করুন। তবে যেটাই দান করবেন, তারমধ্যে যেন বিনয় ও সদিচ্ছা থাকে। পুরনো জিনিস দান করবেন না। বিনম্র হয়ে ভাল জিনিস দান করলে পুণ্যসঞ্চয়ের পথে কোনও বাধা থাকে না।