![মকর সংক্রান্তি প্রাচীন বিশ্বাস মতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই তিথিতে পালনীয় কিছু রীতি নীতি ও নিয়ম আছে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/New-Project-2024-01-a28f6d82ce22d79755cf1fb44d0eb757.jpg)
![জ্যোতির্বিদ পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনসিয়াল জানিয়েছেন এই তিথিতে কোন কোন কাজ করলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। জীবনে সোনায় সোহাগা হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-123939-PM-2024-01-ecafe24e8b0a806e7e2bec006d89c9fb.jpeg)
![তবে এই তিথিতে কোনও কোনও কাজ সম্পূর্ণ বর্জনীয়। সেই কাজগুলি করলে রসাতলে যাবে জীবন ও ভাগ্য। জেনে নিন সেগুলি কোন কোন কাজ। বলেছেন পণ্ডিত ইন্দ্রমণি ঘনসিয়াল।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124054-PM-2024-01-8b90e9863ef66ebfaaa0db08ab7a6578.jpeg)
![এই তিথিতে মাছ, মাংস, ডিম, মুসুরডাল, পেঁয়াজ, রসুনের মতো তামসিক খাবার গ্রহণ করবেন না। পবিত্র ও পুণ্যদিনে বিরত থাকুন সুরাপান থেকেও।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124030-PM-2024-01-91d945c1b4d26d3d52e6b4557cee68ef.jpeg)
![মকর সংক্রান্তিতে দরিদ্রদের কখনওই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। দরজায় আগত ভিক্ষাজীবীকে নিরাশ করবেন না। কাউকে অপমান করবেন না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124133-PM-2024-01-c7842244eda2b21ad129ab48245af53d.jpeg)
![স্নানের পর সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। তবে লোহা, স্টিল বা প্লাস্টিকের ঘটিতে অর্ঘ্য দান করবেন না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124318-PM-2024-01-11663f876abf6d008f450a67b7f10ff0.jpeg)
![নোংরা অপরিষ্কার কাপড় এই দিন পরবেন না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124211-PM-2024-01-d323a090d13186b1f7f30622cb2c10e3.jpeg)
![এই তিথিতে ভুল করেও তুলসিপাতা তুলবেন না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/WhatsApp-Image-20240115-at-124154-PM-2024-01-e80e14f3536a37e411cb5dd50358c700.jpeg)
মকর সংক্রান্তির উৎসবকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, সূর্যদেব যখন তাঁর রাশি পরিবর্তন করে মকর রাশিতে গোচর করেন ঠিক তখনই মকর সংক্রান্তি হয়। এই বছর সূর্যদেব ১৫ জানুয়ারি ভোর ২টো বেজে ৫৪ মিনিটে মকর রাশিতে প্রবেশ করেছেন। তাই মকর সংক্রান্তি পালিত হচ্ছে ১৫ জানুয়ারি, সোমবার।
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সূর্য প্রতি মাসেই রাশি পরিবর্তন করে, এই রাশি পরিবর্তনকেই সংক্রান্তি বলা হয়। তবে মকর সংক্রান্তিতে সূর্যদেবের বিশেষ পুজো করা হয়। এদিন ভোরে গঙ্গা বা অন্য যেকোনও পবিত্র নদীতে স্নান করেন ভক্তরা। তারপর শুরু হয় আচার-অনুষ্ঠান।
জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, বহু বছর পর এই বছর মকর সংক্রান্তিতে একটি বিরল সংযোগ তৈরি হচ্ছে। আর তারই ফলে একাধিক রাশির জাতক-জাতিকারা-জাতিকার জীবনে আসবে সুখের সময়।
অযোধ্যার জ্যোতিষী, পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন, ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি, সংক্রান্তিতে বরিয়ান যোগ গঠিত হচ্ছে। অনেক গ্রহের একটি বিরল সংমিশ্রণ তৈরি হতে চলেছে। এরই সঙ্গে রবি যোগ দিনকে আরও বিশেষ করে তুলছে বহু বছর পর। শুধু তাই সংক্রান্তিতে, শুক্র, যা সুখ এবং সমৃদ্ধি প্রদান করে, উপস্থিতি থাকবে উচ্চ কক্ষে। আবার শনি তার মূল ত্রিভূজ চিহ্ন কুম্ভ রাশিতে উপস্থিত থাকবে। বৃহস্পতিও থাকবে মেষ রাশিতে। এর ফলে কোন কোন রাশির জীবনে আসবে সুখ, দেখে নেওয়া যাক—
মীন:
এই রাশির জাতক-জাতিকারা-জাতিকারা মকর সংক্রান্তির দিনে কর্মজীবনে নানা সুবিধা পাবেন। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা অর্থ উদ্ধার হতে পারে। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন উচ্চতা অর্জন করবেন।
সিংহ:
সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদেরও এই সময় সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা বা আটকে থাকা টাকা উদ্ধারের সুযোগ মিলতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্যও ভাল সময়।
মেষ:
মকর সংক্রান্তিতে মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হচ্ছে। সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই এই রাশির জাতক-জাতিকারা কর্মজীবনে ভাল সাফল্য পেতে শুরু করবেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও সাফল্য আসবে। দাম্পত্য জীবনে মধুরতা থাকবে। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গাসাগর: গঙ্গাসাগরে আছড়ে পড়েছে পূণ্যার্থীর ঢেউ, জনস্রোতে ভেসে গিয়েছে সমগ্র সাগরদ্বীপ। আর তার মাঝে দিব্যি হঁটে বেড়াচ্ছে ৮ ফুট লম্বা কয়েকজন। কৌতুহলী জনতার চোখ বারে বারে গিয়ে পড়ছে তাঁদের দিকে, সবার একটাই প্রশ্ন ওঁরা কারা? আসলে ওরা পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের লোকজন।
শিশুদের বিভিন্ন অধিকারের দাবিতে সারা বছর কাজ করেন তাঁরা। গঙ্গাসাগর মেলায় লাখ, লাখ পূণ্যার্থী আসেন সারা দেশ থেকে। আর সেইজন্য শিশুদের উপর ঘটা বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধির প্রতিকার করতে তাঁরা বেছে নেন সাগরমেলাকে।
আরও পড়ুনঃ ৮০ বছর পর আজ অতি বিরল যোগ! মকর সংক্রান্তিতে টাকা-সম্পত্তির পাহাড়ে চড়বে ৩ রাশি
বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, শিশুপাচারের মতো ঘটনার হার কমাতে তাঁরা ঘুরছেন সাগরমেলায়। একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন জনগণের। তাঁদের এই কাজকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন অনেকেই। এই দলের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম রনপা নিয়ে মেলা প্রদক্ষিণ করা নজর কেড়েছে সকলের। ঢাক, ঢোল বাজিয়ে রণপা নিয়ে মেলার মধ্যে প্রবেশকরে রীতিমতো চমকে দিয়েছে সকলকে। এই কর্মসূচি নিয়ে শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের কর্মীরা খুবই আনন্দিত।
দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শিশুদের অধিকার নিয়ে তারা সারবছর কাজ করেন, হুল্লোড় বলে একটি শিশুবান্ধব পত্রিকাও প্রকাশ করেন, সেই সঙ্গে রয়েছে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বই। গঙ্গাসাগর মেলার মাধ্যমে সারা বছরের কর্মসূচিগুলিকে একসঙ্গে অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারছেন, এটাই সাফল্য।
নবাব মল্লিক
সুমন সাহা, কাকদ্বীপ: জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হচ্ছে গঙ্গাসাগরে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গঙ্গাসাগরে আসা ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা। এ বার গঙ্গাসাগরে আসার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে আটকে গেলতীর্থযাত্রীদের ভেসেল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে ৪০০ জন যাত্রীকে নিয়ে কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ ভেসেল ঘাট থেকে একটি ভেসেল কচুবেড়িয়া রওনা দিয়েছিল।
সেই সময় মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানের চড়ে আটকে যায় পুণ্যার্থীদের ভেসেল। প্রায় ৩০ মিনিটের ও বেশি সময় ধরে ভেসেলটি চড়ে আটকে থাকে আর এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুণ্যার্থীরা।
আরও পড়ুন : আর্থিক অনটন? বিবাহে সমস্যা? বাড়ির এই বিশেষ দিকে রাখুন লাল জবাগাছ, দূর হবে সব সঙ্কট
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই খবর আসামাত্রই পুণ্যার্থীদের নিরাপদে উদ্ধার করার জন্য কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ ঘাট থেকে রওনা দেয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি স্পিডবোট। এছাড়াও যাত্রীদের অন্যত্র ভেসেলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পৌঁছয়।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীদের তৎপরতায় ওই ভেসলে থাকা ৪০০ জন পুণ্যার্থীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। তবে প্রশ্ন একটাই থেকে যাচ্ছে যে গঙ্গাসাগর মেলার আগে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা বৃদ্ধি করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ড্রেজিং এর কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক ভেসেল আটকে যাওয়ার ঘটনায় গাফিলতির প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।