Tag Archives: Melbourne

IFFM 2024: প্রদর্শিত হল ‘পদাতিক’, ‘কাবুলিওয়ালা’, মেলবোর্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলা ছবির জয়জয়কার

কলকাতা: ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ মেলবোর্ন (IFFM 2024)-এ বাংলা ছবির জয়জয়কার৷ চলতি বছর মেলবোর্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলা সিনেমা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে৷ একটি অসাধারণ নির্বাচন উপস্থাপন করতে পেরে গর্বিত, যা বাংলা সিনেমার গভীরতা এবং সমৃদ্ধি প্রদর্শন করে। এই বছরের লাইনআপে আকর্ষণীয় আখ্যান এবং অসামান্য পারফরম্যান্স রয়েছে যা দর্শকদের মোহিত করার এবং বাংলা সিনেমার গৌরবকে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোন কোন সিনেমা রয়েছে তালিকায়, তা জেনে নিন৷

পদাতিক
পরিচালক সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘পদাতিক’ ছবিটি মেলবোর্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে৷ যা সকলের মন কেড়ে নিয়েছে৷ ছবিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মনামী ঘোষ, বিজন ভট্টাচার্য, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় -সহ আরও অনেকে। চঞ্চল চৌধুরী, এবং মনামী ঘোষে অভিনয়ের মাধ্যমে মানবিক সম্পর্ক এবং সামাজিক প্রত্যাশার জটিলতাগুলিকে ব্যাখ্যা করেছে।

কাবুলিওয়ালা
কাবুলিওয়ালা ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুমন ঘোষ। কাবুলিওয়ালা কাবুলের একজন ব্যক্তির কালজয়ী গল্পকে জীবন্ত করে তুলেছে৷ কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং খুদে অভিনেত্রী অনুমেঘার কাহালি এই ছবিতে দারুণ অভিনয় করেছেন৷ কাবুলিওয়ালা ও মিনির দুর্দান্ত জুটি এবং তাঁদের স্পর্শকাতর বন্ধন সকলের মন কেড়ে নিয়েছে৷ ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, অনুমেঘা কাহালি ছাড়াও আবির চ্যাটার্জি এবং সোহিনী সরকারও অভিনয় করেছেন৷

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

দ্য কালার ইয়েলো
সৌরসেনী মৈত্র অভিনীত মধুরিমা সিনহা পরিচালিত ‘দ্য কালার ইয়েলো’ শর্ট ফিল্মটি মেলবোর্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে৷ । ‘দ্য কালার ইয়েলো’-এ সৌরসেনী মৈত্র মর্মস্পর্শী অভিনয় করেছেন, যা দৃশ্যত আকর্ষণীয় ও সকলের নজর কেড়েছে৷

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এই চলচ্চিত্রগুলো বাংলা চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ ও বৈচিত্র্যের উদাহরণ দেয়, মানুষের অভিজ্ঞতাকে সংবেদনশীলতা ও শৈল্পিকতার সঙ্গে ধারণ করে। মেলবোর্ন ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিগুলি প্রদর্শন করতে পেরে রোমাঞ্চিত, শ্রোতাদের এমন গল্পগুলির সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেয় যা বাংলার সাংস্কৃতিক এবং মানসিক ল্যান্ডস্কেপগুলিকে প্রতিফলিত করে যা মানবিক আবেগের সমৃদ্ধি এবং বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের শৈল্পিকতাকে উদযাপন করে।

Success Story: কৃতীর মুকুটে নতুন পালক, গবেষণার জন্য মেলবোর্ন থেকে ডাক পেলেন বসিরহাটের তরুণী

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: গবেষণায় মেলবোর্ন থেকে ডাক পেলেন বসিরহাটের মেয়ে শর্মি সরদার। অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েই বাজিমাত করেছেন বসিরহাটের কচুয়া আমটোনা এলাকার কৃতী ছাত্রী। লিভার ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চান তিনি। শর্মির আশা, একদিন গবেষণায় সাফল্য আসবেই। মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে এই বাঙালি কৃতী গবেষকের।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নং নম্বর ব্লকের কচুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমটোনা এলাকার বছর ২৭-এর যুবতী শর্মি সরদারের গবেষণায় আলাদা কিছু করার  ইচ্ছে বরাবরই ছিল। এরমধ্যে ইসরায়েলের হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে গবষণা করেছেন। বিশ্বের নামী প্রতিষ্ঠান মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করা দীর্ঘদিনের আশা তাঁর। সেইমতো অনলাইনে পরীক্ষাও দেন তিনি। তাতে সাড়া মিলেছে, ডাক এসেছে সাগরপার থেকে। উল্লেখ্য ইসরায়েলের হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে পড়াশোনার পর এবার লিভার ক্যানসারের মতো জটিল রোগ নিয়ে গবেষণা করতে অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পাড়ি দেবেন। চলতি বছরের শেষের দিকে কোর্স শুরু হবে, তার পরেই স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে যোগ দেবেন। তার আগে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি।

আরও পড়ুন : মারণরোগে আক্রান্ত স্ত্রী! কার্ফু পেরিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে বাংলাদেশের সাহিদুল

শর্মির গবেষণার সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে চায় মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়। কৃতীর সাফল্যের একাধিক নজির রয়েছে। তাঁর সম্মানের মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক। গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, সেটাই পাখির চোখ করেছেন তিনি। তাঁর বাবা-মা’ও চান, মেয়ে বিশ্বজয় করে আসার পর জন্মভূমির জন্য ভাল কিছু করুক।

Death News: ৪ বছর পর বাড়ি ফিরছিলেন! ২৪-এই শেষ হয়ে গেল তরতাজা প্রাণ, মা-বাবাকে দেখা হল না আর

মেলবোর্ন: স্বপ্নপূরণ করতে বাড়ি ছেড়েছিলেন। পড়াশোনা করছিলেন বিদেশে। কিন্তু মাত্র ২৪-এই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী মনপ্রীত কউর। বাড়ি ফেরার পথেই থেমে গেল তাঁর পথ চলা।

২০ জুন মেলবোর্ন থেকে দিল্লি ফেরার জন্য ফ্লাইটে উঠে বসেছিলেন মনপ্রীত। কিন্তু সেই ফ্লাইট টেক অফ করার আগেই মৃত্যু হল তাঁর। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফ্লাইটে বসার আগে অসুস্থ বোধ করছিলেন মনপ্রীত। কিন্তু কোনও রকম অসুবিধার ছাড়াই প্লেনে ওঠেন তিনি। কিন্তু সিটবেল্ট পরার সময়ই আচমকা মৃত্যু হয় তাঁর। মনপ্রীতের বন্ধু গুরদীপ গ্রেওয়াল জানান, সিটবেল্ট পরতে অসুবিধা হচ্ছিল মনপ্রীতের। ফ্লাইট টেক অফ করার আগেই সিট থেকে পড়ে যান তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মনে করা হচ্ছে, টিউবারকিলোসিসের কারণে মনপ্রীতের মৃত্যু হয়। ফুসফুস আক্রান্ত হয় এই রোগে।

রন্ধনশিল্প নিয়ে পড়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করছিলেন মনপ্রীত। শেফ হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ২০২০ সালে বাড়ি ছেড়ে বিদেশে এসেছিলেন তিনি। চার বছর পর মা-বাবাকে দেখতে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। মাত্র ২৪ বছরেই তাঁর পথ চলা থেমে গেল।