মন খুশি করা রঙিন কুকিস্! আজকাল বেশিরভাগ বাড়িতেই মাইক্রোওয়েভ ওভেন, চটজলদি খাবার গরম করতে যেমন এর ব্যবহার তেমনই টুকটাক খাবার খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই যন্ত্রেই।যেমন খুব সহজেই বানানো যায় জেমস বা সুগার কোটেড চকোলেটের দানা দিয়ে রঙিন কুকিস্। দেখতে যেমন ভাল খেতেও তেমন মজাদার।উপকরণ: ময়দা-২কাপ, গুঁড়ো করা চিনি-১কাপ, কোকো পাউডার-১ কাপ, গলানো মাখন- ৫০ গ্রাম, ডিম-১টা ভ্যানিলা এসেন্স- ১ চামচ, বেকিং পাউডার- ৫ গ্রাম, বেকিং সোডা- এক চিমটে, ক্যাডবেরি জেমস- এক প্যাকেট।পদ্ধতি: ময়দা, চিনি, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, ভালো করে মিশিয়ে নিন। গলানো মাখন দিয়ে আরো কিছুক্ষণ মেশান। এরপর ফেটানো ডিম ও ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে নরম করে মেখে ফেলে একটা কাপড় চাপা দিয়ে আধ ঘন্টা রেখে দিন।ওভেন ১৮০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ১০ মিনিট প্রিহিট করে নিন। কুকিস্-এর মিশ্রণ ছোট লেচি আকারে কেটে নিয়ে কুকিস্ গড়ে নিন, উপরে জেমস দিয়ে সাজিয়ে দিন। বেকিং ট্রেতে কুকিস্ সাজিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিট বেক করুন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। রেডি হয়ে গেল রঙিন মজাদার কুকিস্।
টিফিন আমাদের সকলের প্রতিদিনের সঙ্গী। স্কুলে যাওয়া হোক বা অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়া হোক বা ভ্রমণের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হোক, আমরা টিফিন নিয়ে যেতে ভুলি না। তবে খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে মজা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক অফিসে খাবার পুনরায় গরম করা যায় না।ক্লান্ত অবস্থায় গরম খাবার পেলে মজা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল টিফিনে খাবার গরম রাখবেন কীভাবে? আপনিও যদি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এবং ঠান্ডা খাবার খেয়ে বিরক্ত হয়ে থাকেন। কারণ আমরা আপনাকে এমন কিছু হ্যাকস বলছি যার সাহায্যে মাইক্রোওয়েভ ছাড়াই টিফিন বক্সে খাবার গরম রাখা যায়।১. উত্তাপযুক্ত পাত্র ব্যবহার করুনঃ এই পাত্রগুলি একটি বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয়, যাতে খাবার গরম থাকে। বাজারে ভাল মানের পাত্রের দাম একটু বেশি হলেও আপনার কাছে প্রতিটি ডিজাইন ও রঙের ইনসুলেটেড কন্টেইনার কেনার সুবিধা রয়েছে। আপনার বাজেট যদি ভাল হয়, তাহলে ভাল ব্র্যান্ডের একটু দামি ও ইনসুলেটেড কন্টেইনার কিনলে ভাল হবে।২. ফুটানো জল হ্যাকঃ শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগতে পারে তবে এই হ্যাকটি খুবই কার্যকর। এই হ্যাকটি গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক কিছু করতে হবে না, আপনার শুধু গরম জল দরকার। এজন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্যানে জল গরম করুন যতক্ষণ না ফুটে যায়। তারপর আপনার টিফিনে অর্থাৎ স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে জল ঢেলে বন্ধ করুন। এই সময়ে, আপনার খাবার তৈরি করুন এবং খাবার তৈরি হয়ে গেলে, জল ঝরিয়ে টিফিন পরিষ্কার করুন। এবার এতে খাবার প্যাক করুন এবং টিফিন ভালভাবে প্যাক করুন।৩. তাপ প্যাক ব্যবহার করুনঃ আজকাল খাবার দীর্ঘক্ষণ গরম রাখার জন্য অনেক ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। এর জন্য আপনাকে বাজার থেকে একটি হিট প্যাক কিনতে হবে। বাজারে দুই ধরনের হিট প্যাক পাওয়া যায়, একটি যা রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং অন্যটি খাবার গরম রাখতে ব্যবহৃত হয়। তাপ প্যাকটি মাইক্রোওয়েভে গরম করা হয়, তারপরে গরম খাবার রাখার পরে গরম রাখা হয় এবং প্যাকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্বাস করুন, খাবার গরম এবং তাজা থাকে, যা যেকোনো জায়গায় উপভোগ করা যায়।৪. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মোড়ানোঃ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করার হ্যাক একটি খুব পুরানো উপায়। খাবার গরম রাখতেও ব্যবহার করতে পারেন। হ্যাঁ, আপনার দুপুরের খাবারের উষ্ণতা বজায় রাখতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে নিন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার খাবারকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে শক্তভাবে মুড়ে রাখুন এবং এটি গরম রাখতে প্রান্তগুলি ভাঁজ করতে ভুলবেন না। যদিও এই হ্যাকটি উত্তাপযুক্ত পাত্রের মতো কার্যকর নাও হতে পারে, তবুও এটি কয়েক ঘন্টার জন্য খাবারকে উষ্ণ রাখবে।
রোজকার ব্যস্ত জীবন। দিনদিন চাপ আরও বাড়ছে। কাজের চাপে রোজের রান্না রোজ করে রাখাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে রান্না করে ফ্রিজে রেখে তা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে খাওয়াই একমাত্র পথ।অফিস কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও এটা এখন অপরিহার্য।কিন্তু যে কোনও জিনিসেরই কিছু একটা খামতি থেকে যায় তা যন্ত্র হোক বা মানুষ। তেমন খামতি মাইক্রোওয়েভেরও আছে।কিছু খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করা যায় না। করলে তা আপনার শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।ডেভিল, এগরোল কিংবা ডিম কষা কখনওই মাইক্রোওভেনে গরম করবেন না। এছাড়া গোটা ডিম না দিয়ে তা চামচ দিয়ে খানিকটা কেটে দিনবার্গার একবার তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে এনে তা যদি আবার গরম করা হয় তাহলে তা শক্ত হয়ে যায়। মাছের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য।চিপস মাইক্রোওয়েভে এমনি গরম করা হলে তা নরম হয়ে যায়। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা মাংস বার করে তা মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয়। তা শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।আবার মাইক্রোওয়েভে খাবার রান্না করলে তার পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ মাইক্রোওয়েভের কারণে খাবারের মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং মিনারেলের পরিমাণ কমে যেতে পারে।দাবিত্যাগ: শুধুমাত্র পাঠকদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই এই খবরটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় ঘরোয়া প্রতিকার ও সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।