Tag Archives: Mohammed Salim

Lok Sabha Elections 2024: শেষবেলায় আসানসোলে প্রচারে চমক বামেদের, ঝড় তুললেন মহম্মদ সেলিম

আসানসোল: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে দেখা গিয়েছে একাধিক চমক। কখনও প্রচারে বেরিয়ে প্রার্থীরা নজর কেড়েছেন, কখনও আবার প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। তবে প্রচারের ময়দানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন বাম প্রার্থীরাও। আর প্রচারের শেষ বেলায় এসে চমক আসানসোলের বাম প্রার্থীর প্রচারে।

আসানসোলের বাম প্রার্থী জাহানারা খান। প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন। প্রচার করেছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বেও বাম প্রার্থী একটি বিশাল শোভাযাত্রা করেছিলেন। যেখানে বাম ব্রিগেডের কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। সেই বাম প্রার্থীর হয়ে এদিন আসানসোলে প্রচার করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এদিন শহরে একটি পদযাত্রা করেছেন তিনি। যেখানে লাল ঝান্ডা হাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী সোমবার চতুর্থ দফায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। অন্যদিকে ভোটের দিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমস্ত প্রার্থীরা। আবার শেষ বেলার প্রচারে তারা রীতিমত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে।

আরও পড়ুনঃ KKR vs MI: মুম্বই ম্যাচে কেমন হবে কেকেআরের একাদশ? থাকছে কোন চমক! জেনে নিন বিস্তারিত

দলের শীর্ষ নেতা নেতৃতাদের হাই ভোল্টেজ প্রচারের পাশাপাশি হয়েছে তারকা প্রচার। অন্যদিকে আসানসোলের বাম প্রার্থী জাহানারা খানের হয়ে প্রচার করেছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তারপর এদিন আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীর সমর্থনে পদযাত্রা করলেন সেলিম।

নয়ন ঘোষ

মুর্শিদাবাদে কি জিতবে সিপিআইএম? ভোটের পর কী বললেন মহম্মদ সেলিম

মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের দিন সকাল থেকে ময়দানে চেনা মেজাজে দেখা যায় কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। দিনভর ভোটের শেষে কী বলললেন তিনি। মুর্শিদাবাদ আসন কি সিপিআইএম জিতবে? দেখুন ভিডিও।

Murshidabad News: এবার থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবে সিপিআইএম! জানালেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম

মুর্শিদাবাদ: আগামী ২৫বৈশাখ ৮মে বিশ্বকবিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তাই এবার প্রথম বামফ্রন্ট ও সিপিআইএম যৌথ সিদ্ধান্ত নিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করার। বহরমপুরে জেলা সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন সিপিআইএম রাজ্যে সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

মহম্মদ সেলিমজানিয়েছেন,”আমরা সিপিআইএম ও বামফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে এবছর প্রথম জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সমস্ত জেলা ও অঞ্চলে একই সঙ্গে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭তারিখ নির্বাচন শেষ হবে, ৮মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হবে রাজ্যজুড়েই।”

মহম্মদ সেলিম তিনি এও জানান,”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। জাতীয়তাবাদের নামে উগ্র জাতীয়তাবাদকে ঘৃণা করেছেন এবং বাংলা সংস্কৃতির কথা বারবার বলেছেন। আমাদের পরিবেশকে রাজনৈতিক সামাজিক ও প্রাকৃতিক পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাই মিলন ধর্মী সমাজ আধারে তৈরি করা প্রয়োজন এবং সংস্কৃতিকে আমাদের নতুন করে সেচ দিতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে এটাই ভারতের সেরা ১১! প্রথম দলে একাধিক মহাচমক? জানুন বিস্তারিত

শেষে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, এই সব কিছুর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করতে হবে। আর নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। তাই আমাদের এই বছর প্রথম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

কৌশিক অধিকারী

CPIM: শূন্যের গেঁড়ো কাটবে সিপিএমের? জবাব দিলেন সেলিম, দেখুন ভিডিও

বাংলায় শূন্যের গেঁড়ো কি কাটিয়ে উঠতে পারবে সিপিএম? দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, সিপিএম বিধানসভা এবং লোকসভা- দুই জায়গাতেই খাতা খুলবে সিপিএম৷ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নিজের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি৷ সেলিম জানিয়েছেন, মানুষের দাবিতেই তিনি মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি৷

জ্যোতি বসু না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে? জবাব দিলেন সেলিম, দেখুন ভিডিও

তাঁর কাছে সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে? জবাবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানালেন, তাঁর চোখে সেরার সেরা মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন৷ নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি৷ এবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন মহম্মদ সেলিম৷ রাজনীতির বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের পছন্দ অপছন্দের কথা জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷

Job Scam-Salim: নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে খড়্গহস্ত! আসল দোষী কে বা কারা? একান্ত সাক্ষাৎকারে সেলিমের কটাক্ষ

কলকাতাঃ ‘যারা বঞ্চিত হয়েছে, যাদের চাকরি পাওয়ার কথা ছিল, উপযুক্ত ছিল, যোগ্যতা ছিল, মেরিট লিস্টে নাম ছিল’, তাঁদের আন্দোলনের সপক্ষে দাঁড়ালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। নিউজ১৮ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, যারা চোখের সামনে দেখেছে গোটা ঘটনা অর্থাৎ সিপিএমের আইনজীবীরা আদালতে এ বিষয়ে নানা সময়ে সওয়াল করেছে। বিভিন্ন সময়ে চাকরীপ্রার্থীরা যখন আন্দোলন করেছে, তাঁদের সেই আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বলপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল আইনজীবীরা। কিন্তু সিস্টেমেই সমস্যা।

বিচারপতি যিনি নানা সময়ে প্রার্থীদের চাকরি এবং প্যানেল বাতিল করেছেন তাঁর পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থীও হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি তুলে দিয়েছেন সময়ে সময়ে। বিচারক সেই সমস্ত নথি দেখে রায় দিয়েছে। কিন্তু কোনও চাকরির লিস্ট দেখাতে পারেনি শাসকেরা।

আরও পড়ুনঃ গরমে তারাপীঠ যেতে ভয় পাচ্ছেন! এসি রুমে বিরাট ছাড় চলছে সব হোটেলে! ভাড়া কত জেনে নিন

সেলিম বলেন, আসলে পুরো সিস্টেমই ভুল। ওএমআর শিট দেখাতে পারেনি, তাই বহু মানুষ যারা যোগ্য তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ দিন মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেলিম, ট্রাজেডি বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

উল্লেখ্য, সেলিম এ দিন তৃণমূল ও বিজেপি-কে কার্যত একই মঞ্চে রেখেছেন৷ তুলে এনেছেন রামনবমী প্রসঙ্গও৷ সেখানে দুই দল একই ভাবে যুক্ত বলে দুই দলকেই সাম্প্রদায়িক বলেন সেলিম৷ কিন্তু একেবারে তৃণমূল স্তরে কংগ্রেস ও বামেদের জোট হয়েছে কি? সেলিম বলছেন, হয়েছে৷ কার্যত মুর্শিদাবাদের নীচুতলার কংগ্রেস সমর্থকদের কথাতেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের উৎসাহেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন৷ এই জোটের দাবি উঠে এসেছে একেবারে নীচুতলা থেকে৷ উপরের তলার নেতৃত্ব সেটি মেনে নিতে পেরেছে৷

Mohammed Salim: আর জল্পনা নয়, ভোটে দাঁড়াচ্ছেন মহম্মদ সেলিম, বামেদের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

কলকাতা:  বামেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল দ্বিতীয় পর্বে৷  যেরকম জল্পনা চলছিল সেরকমই সত্যি করে মহম্মদ সেলিমের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল বামফ্রন্ট ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হলেন মহম্মদ সেলিমা৷

প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তরুণ মুখেই ভরসা রেখেছিল সিপিএম৷ তবে দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকায় কথা ছিল সুজন চক্রবর্তীর নাম থাকার প্রত্যাশা মিলিয়ে সেইভাবেই তালিকা ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷

দ্বিতীয় তালিকায় ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন,

মুর্শিদাবাদ – সিপিআইএম- মহম্মদ সেলিম
রানাঘাট – সিপিআইএম- অলোকেশ দাস
বর্ধমান দুর্গাপুর- সিপিআইএম- ডক্টর সুকৃতি ঘোষাল
বোলপুর-  সিপিআইএম- শ্যামলী প্রধান

এর আগে এবং আজকের প্রার্থী তালিকা মিলিয়ে মোট ২১ টি আসনে প্রার্থী দিল ৷ আজকের প্রকাশিত তালিকার সবকটি প্রার্থীই সিপিআইএমের৷

আরও পড়ুন – Bank Holiday: সামনের সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ! কবে, কোথায়, কেন, কাজ সারবেন কিনা

সিপিএম সূত্রে আগেই খবর ছিল দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বড় চমক হিসেবে থাকতে পারে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নাম৷ সম্ভবত মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি৷

তবে বাম শিবির  সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁ অথবা বসিরহাট কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছাড়া হতে পারে৷ কংগ্রেসের দাবি ছিল বসিরহাট আসনটি৷ কিন্তু ওই আসনে বরাবরই সিপিআই প্রার্থী দিয়ে এসেছে৷ বসিরহাট আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়া নিয়ে তাই বামেদের মধ্যেও জটিলতা তৈরি হয়েছিল৷

তবে পুরুলিয়া আসনটি যে কংগ্রেসকে ছাড়া হবে তা একরকম নিশ্চিত৷ গতকাল ওই আসনে প্রার্থী হিসেবে নেপাল মাহাতোর নামও ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড৷ সেক্ষেত্রে ফরওয়ার্ড ব্লক আসনে এবার আর প্রার্থী দিতে পারবে না বামেদদের আর এক শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক৷

গত ১৪ মার্চ ১৬টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল বামেরা৷ পরে আরও একটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়৷ শনিবার তারা কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে, সেটাই এখন দেখার৷

CPIM: শনিবার বামেদের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা, বড় চমক হতে পারেন মহম্মদ সেলিম! লড়বেন কোন আসনে?

কলকাতা: প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় তরুণ মুখেই ভরসা রেখেছিল সিপিএম৷ তবে প্রার্থী তালিকায় ছিল সুজন চক্রবর্তীর মতো অভিজ্ঞ মুখ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামিকালই সম্ভবত দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বামফ্রন্ট৷

সিপিএম সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বড় চমক হিসেবে থাকতে পারে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নাম৷ সম্ভবত মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি৷

আরও পড়ুন: ‘আমি জেলে থাকি অথবা বাইরে…’, গ্রেফতারির পর প্রথম মুখ খুলে কী বললেন কেজরিওয়াল?

প্রসঙ্গত, গতকালই রাজ্যের আটটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস৷ দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় বামেরা কংগ্রেসকে কোন কোন আসনগুলি ছাড়ে সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের৷

তবে সিপিএম সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁ অথবা বসিরহাট কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছাড়া হতে পারে৷ কংগ্রেসের দাবি ছিল বসিরহাট আসনটি৷ কিন্তু ওই আসনে বরাবরই সিপিআই প্রার্থী দিয়ে এসেছে৷ বসিরহাট আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়া নিয়ে তাই বামেদের মধ্যেও জটিলতা তৈরি হয়েছিল৷

তবে পুরুলিয়া আসনটি যে কংগ্রেসকে ছাড়া হবে তা একরকম নিশ্চিত৷ গতকাল ওই আসনে প্রার্থী হিসেবে নেপাল মাহাতোর নামও ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড৷ সেক্ষেত্রে ফরওয়ার্ড ব্লক আসনে এবার আর প্রার্থী দিতে পারবে না বামেদদের আর এক শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক৷

গত ১৪ মার্চ ১৬টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল বামেরা৷ পরে আরও একটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়৷ শনিবার তারা কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে, সেটাই এখন দেখার৷

Left Congress alliance: শেষ পর্যন্ত হল না আসন রফা নিয়ে বৈঠক! ধৈর্য ধরতে বললেন সেলিম, মুখে কুলুপ অধীরের

বহরমপুর: নির্ধারিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ দিন বহরমপুরে মহম্মদ সেলিম এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বৈঠক হল না৷ ফলে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু হল না৷ বিষয়টি নিয়ে অধীর চৌধুরী মুখ না খুললেও ধৈর্য ধরার কথা বলেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷

এ দিন বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মধ্যে লোকসভা ভোটের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা ভেস্তে যেতেই আসন সমঝোতায় উদ্যোগী হয় বাম-কংগ্রেস দু পক্ষ৷

আরও পড়ুন: ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে শিলাবৃষ্টি! রাতের মধ্যেই দুই জেলায় দুর্যোগের সতর্কবার্তা হাওয়া অফিসের

কিন্তু আলোচনার কথা থাকলেও এ দিন মহম্মদ সেলিম এবং অধীর চৌধুরী দিনভর নিজেদের দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন৷ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন সকালে কয়েক দিন আগে বহরমপুরে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে নিহত দলীয় কর্মী আনারুল ইসলামের বাড়িতে যান৷ এর পর সারাদিনই দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন তিনি৷ অন্যদিকে অধীর চৌধুরীও নিজের সাংসদ তহবিলের টাকায় নির্মিত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন৷ ফলে শেষ পর্যন্ত আর এ দিনের বৈঠক হয়নি৷

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহম্মদ সেলিম বলেন, ধৈর্য ধরুন, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে৷ আমরা ৪২টি আসনের জন্যই সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি চালাচ্ছি। বামফ্রন্টের মধ্যে এবং বামফ্রন্টের বাইরে কংগ্রেসের সঙ্গেও আমরা কথা বলব৷ যদিও আসন বণ্টন নিয়ে মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অধীর চৌধুরী৷

কলকাতায় ট্রামের বিকল্প নেই, ট্রাম চালু রাখার পক্ষেই সওয়াল করলেন মহম্মদ সেলিম

কলকাতা: ট্রাম ছাড়া কলকাতার ছবি অসম্পূর্ণ বলেই মনে করা হয়। কিন্তু দিন দিন সেই ট্রামের সংখ্যা কমছে। একটা সময় কলকাতার চল্লিশটি রুটে ট্রাম চলত। গণ পরিবহণে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত ট্রাম। এখন সেখানে নামমাত্র ট্রাম চলে। এখন সময় বদলেছে। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে মেট্রো রেলের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। তাই ধীরগতির ট্রাম চালাতে আর উৎসাহী নয় সরকার।

একই সঙ্গে যানজটের জন্যও ট্রামকে দায়ী করেন অনেকে। কিন্তু গতির পাশাপাশি দুষণও বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসছে সেখানেই ট্রামের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছেন ট্রাম প্রেমীরা। কলকাতায় ট্রামকে রাখার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে চলেছে বেশ কিছু সংগঠন। কয়েকমাস আগে কলকাতার সমস্ত ট্রাম ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দুষণ হীন, সস্তা এবং আরামদায়ক এই যানটি গরিব মানুষের যাতায়াতের লাইফলাইন। কিন্তু রাজ্য সরকার উদ্দশ্যপ্রণদিত ভাবে ট্রামকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।

আরও পড়ুন: শনিবারে বাংলা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের! ভাড়া কত? সুবিধাই বা কী কী? শুনলে অবাক হবেন

ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। ট্রামকে ফের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও তোলেন নেতৃত্ব। সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায়। তিনি জানান, ‘কলকাতায় আগে চল্লিশটি রুটে ট্রাম চলতো এখন চলে মাত্র চারটি রুটে। সরকার সেখান থেকে একটি রুটে নিয়ে আসতে চাইছে। হয়তো সেটাও ভবিষ্যতে আর থাকবে না। সারা পৃথিবীতে দুষণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর ভারত তথা কলকাতায় দুষণের সমস্যা ভয়াবহ। সারা পৃথিবীতে বহু জায়গায় ট্রাম ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আর কলকাতায় কমানো হচ্ছে। আগে যখন বিদ্যুতের জোগান কম ছিল তখনও ট্রাম ছিল৷ এখন তো সেই অবস্থা নেই। করোনার সময়ে ঝড় এসেছিল সেখানে ট্রামের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল কিন্তু সেটাও আর লাগানো হয়নি। ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। তার চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন কি ট্রামগুলোকেও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আসলে লক্ষ্য ওই ট্রাম ডিপোর জমিগুলো।’

মহম্মদ সেলিম আরও বলেন, ‘কলকাতা এমন একটা শহর যেখানে সব ধরনের যান চলাচল করে। ঘোড়ার গাড়ি চলে খুঁজলে পালকিও পাওয়া যাবে। আর সেটার জন্যই কলকাতা অনন্য। কলকাতা মানে হাওড়া ব্রিজ, ইডেন গার্ডেন, শহিদ মিনার, ফুটবল। সেরকমই ট্রাম। এগুলো না থাকলে কলকাতাও থাকবে না। এই ট্রামের সঙ্গে কলকাতার অনেক ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। আর যানজটের যে অভিযোগ করা হয় সেটাও ঠিক নয়। বেন্টিংক স্ট্রিট, রবীন্দ্রসরণীর মতো রুটে তো অনেক আগেই ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কি এখন যানজট বন্ধ হয়েছে? তাই  সবার উচিত ট্রামে পক্ষে আরও জোরাল সওয়াল করা, একজোট হওয়া৷’