![মালদহ: এবার শতাব্দী এক্সপ্রেসে ভিস্তাডোম কোচ। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এক বছরের জন্য হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে ভিস্তাডোম কোচ সংযুক্ত করা হল।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4520186_img20240630wa0001_copy_1200x900_watermark_01072024_1.jpg)
![প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে যাত্রীরা ট্রেনে যাত্রা করতে পারবেন। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের রেল লাইনের দুই ধারের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যাবে এবার থেকে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4520186_img20240630wa0002_copy_1200x900_watermark_01072024_2.jpg)
![রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০৪১/১২০৪২ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ নির্দিষ্ট কিছু দিনে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি ভিস্তাডোম কোচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4520186_copy_1200x900_watermark_01072024_101549_6.jpg)
![বর্তমানে ট্রেনটিতে ১৪ টি কোচ রয়েছে।ভিস্তাডোম কোচ সংযুক্ত হওয়ায় পরিবর্তে ১৫ টি কোচ দিয়ে চলবে ট্রেনটি। যাত্রীদেরও অনেকটাই সুবিধা হবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4520186_img20240630wa0024_copy_1200x900_watermark_01072024_5.jpg)
![ভিস্তাডোম কোচ গুলি যাত্রীদের যাত্রাকে উন্নত করার জন্য ডিজাইন করা। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এই কোচ গুলিতে ৩৬০-ডিগ্রি ঘূর্ণনযোগ্য বিলাসবহুল পুশব্যাক চেয়ার রয়েছে। যা যাত্রীদের সর্বোচ্চ আরামের জন্য তাদের আসন সামঞ্জস্য করতে দেয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4520186_img20240630wa0002_copy_1200x900_watermark_01072024_3.jpg)
পশ্চিম মেদিনীপুর: শুধু পাহাড় কিংবা সমুদ্র ঘুরে দেখা নয়, জানুন ভারতবর্ষের ইতিহাস। বহু যুগ আগে থেকে ভারতবর্ষের শিক্ষা সংস্কৃতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন হয়েছে। পাশ্চাত্য প্রভাবের বহুকাল আগেই ভারতবর্ষে শিক্ষা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছিল। সেই সব ক্রমবিকাশের ধারাকে তুলে ধরেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। অনুমতি নিয়ে তাই একদিনের জন্য ঘুরে দেখতে পারেন এই বিশেষ মিউজিয়াম। জানতে পারবেন ভারতের জ্ঞান প্রণালী এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির এক একটি ধাপ। তাই পরবর্তী আপনার ডেস্টিনেশন হোক এই জায়গা। ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারা ও প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে সকলের সামনে তুলে ধরেছে আইআইটি খড়গপুর।ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারা এবং প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা তথা জ্ঞানের মূল উৎপত্তি, আইআইটি খড়্গপুরের ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম বা I K S এর বিশেষ মিউজিয়ামে এলেই আপনি জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, প্রাচীন ভারতেই বহুকাল আগে উৎপত্তি হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার। এক বিশেষ প্রণালীর মধ্য দিয়ে ক্রমবর্ধমান বিকাশের পথ ধরে আজ পরিচিতি লাভ করেছে বর্তমান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মহাকাশ বিজ্ঞান সহ আধুনিক শিক্ষার নানান দিক। সেই ক্রমও বিকাশের ধারাকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তি বিদ্যার প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুর।ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব অবশ্যই বাড়ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান গবেষণার আজ বহুল প্রসার ঘটেছে। তবে ভারতবর্ষেই প্রথম শুরু হয়েছিল শিক্ষাব্যবস্থার হাতে খড়ি। জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারাকে ছবিতে তুলে ধরেছে আইআইটি।
ভারতীয় জ্ঞান প্রণালী মূলত আধ্যাত্মিক কেন্দ্রিক এবং সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। যার স্পষ্ট ব্যখা, চিত্রসহ অতি সহজে বোঝানো হয়েছে। আইআইটি পুরানো ভবন তথা শহীদ ভবনেই রয়েছে ভারততীর্থ গ্যালারি। এই গ্যালারি থেকে আপনি জানতে পারবেন ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতির মূল ধারায় থাকা কিছু প্রামাণ্য তথ্য। মাটির গভীরে লুক্কায়িত ইতিহাসের সেই উপাদানকে সামনে এনে আবিস্কৃত হয়েছে ভারতবর্ষের জ্ঞানপ্রকাশের ধারা। সেই ধারাকে স্বীকার করে নিয়ে আধুনিক ভারতবর্ষের শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষাদানকে পরিপুষ্ট করেছে ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম বা আই কে এস এর ধারণা। তাকেই স্থান করে দেওয়া হয়েছে আইআইটি’র এই মিউজিয়ামে।
ভারতীয় জ্ঞানপঞ্জি অনুসারে, এক থেকে বহুমুখী জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে ধারা প্রবাহিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিতে শিক্ষাব্যবস্থা শুধুমাত্র পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, তৈরি হয়েছে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার এক বিস্ময়কর পদ্ধতি। আইআইটি খড়্গপুরের ভারততীর্থ মিউজিয়াম এ আপনি প্রতিটি বিষয়ে পাবেন সম্যক ধারণা। যা আপনাকে নিয়ে যাবে সুপ্রাচীন অতীত থেকে আজকের আধুনিক শিক্ষার ধারায়। তাই অবশ্যই বাড়ির ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়ে কিংবা নিজেরাও ঘুরে দেখতে পারেন আইকেএস মিউজিয়াম। যদিও আইআইটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।
রঞ্জন চন্দ
উত্তরাখণ্ডঃ ভারতে অন্যতম দর্শনীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি হল উত্তরাখণ্ড। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই রাজ্যে ঘুরতে আসেন। এখানে কেদারনাথ থেকে শুরু করে পাঁচটি প্রয়াগ, মুসৌরি বা নৈনিতালের মতো সুন্দর পাহাড়ি শহর, ধার্মিক থেকে নান্দনিক সমস্ত রকমের স্থানই এখানে রয়েছে। নৈনিতাল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুন্দর হিল স্টেশন প্যাঙ্গোট। খুব সুন্দর এই জায়গাটি নৈনিতালে আসা পর্যটকদের খুব পছন্দ হয়। এখানকার শান্ত, মনোরম আবহাওয়া এবং সুন্দর দৃশ্য যে কোনও পর্যটকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ রাতে দেরিতে ঘুমিযে সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস? শরীরে কী হচ্ছে জানেন? জানুন আসল সত্যি
কিলবাড়ি নৈনিতাল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খুব সুন্দর এই জায়গায় বন বিভাগ একটি কৃত্রিম লেক তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি এখানে অবস্থিত বাংলো থেকে দেখা হিমালয়ের সুন্দর দৃশ্য হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়।
নাথুভাখান শহর নৈনিতাল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাহাড়ি ভূখণ্ড, সবুজ উপত্যকা এবং ললাট বন সহ, এই অঞ্চলটি শহরের দ্রুত জীবন থেকে দূরে বিশ্রাম নেওয়ার এবং নির্জনতা উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এখান থেকে হিমালয়ের সুন্দর রেঞ্জ দেখতে পাওয়া যায়।
মুক্তেশ্বর নৈনিতাল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাচীনকাল থেকে এখানে স্থাপিত মুক্তেশ্বর মহাদেব মন্দিরে প্রতি বছর অগুনতি ভক্তের আগমন ঘটে। বলা হয় যে, পাণ্ডবরা এই স্থানে ভগবান শিবের দর্শন করে মোক্ষ লাভ করেছিলেন। এই কারণেই এই স্থানের নামকরণ হয় মুক্তেশ্বর। এখান থেকে দেখা সূর্যাস্তের দৃশ্যের পাশাপাশি হিমালয়ের অতিপ্রাকৃত পরিসর পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মুক্তেশ্বর হল ব্রিটিশদের দ্বারা বসতি স্থাপন করা একটি শহর, যা সারা বিশ্বে আপেলের জন্য পরিচিত।
গাগর শহর নৈনিতাল জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাওয়ালি মুক্তেশ্বর রোডের মাল্লা রামগড়ের কাছে অবস্থিত একটি ছোট খুব সুন্দর শহর গাগর। এখান থেকে দৃশ্যমান সমগ্র হিমালয় পর্বতমালার দৃশ্য অতিপ্রাকৃত। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত এই স্থানটি পরিবেশপ্রেমী ও পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। ভাওয়ালি থেকে মুক্তেশ্বর যাওয়ার পর্যটকরা প্রায়ই এই জায়গায় থামেন এবং প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের সাক্ষাৎ পান।