Tag Archives: PBKS

LSG vs PBKS: রাহুলের রান সত্ত্বেও বড় স্কোর তুলতে ব্যর্থ লখনউ, ফেভারিট পঞ্জাব

লখনউ – ১৫৯/৮

লখনউ: টস জিতে পঞ্জাব কিংস যখন বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিল, আর যেভাবে শুরু করেছিল লখনউ দেখে মনে হচ্ছিল অনেক বড় রান করে ফেলবে তারা। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান ওপেনার কইল মেয়রস দুরন্ত সঙ্গে ব্যাট করছিলেন। ২৩ বলে ২৯ করে গেলেন। মারলেন তিনটি ছক্কা, একটি বাউন্ডারি। দীপক হুদা সম্পূর্ণ ফ্লপ। করলেন মাত্র ২।

এরপর ক্রুনাল পন্দিয়া করে গেলেন ১৮। আগের ম্যাচে দারুন ব্যাটিং করা নিকোলাস পুরান খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। দুটি উইকেট নিলেন রবাদা। তবে অধিনায়ক রাহুল হাফ সেঞ্চুরি করলেও অনেক বল নষ্ট করলেন। নিজের পরিসংখ্যান উন্নত করার জন্য ব্যাটিং করলেন,দলের জন্য নয়। সত্যি বলতে সুপার জায়ান্টস দলের কাউকেই এদিন বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে দেখা গেল না।

মার্কাস স্তইনিস ফিরলেন ১৫ করে। বাদনি সেরকম কিছু করতে পারলেন না। রাহুল শেষ দিকে কয়েকটা শট খেলে দলকে কিছুটা লড়াই করার মত জায়গায় নিয়ে যান। তবে কোনমতেই এই রানকে ম্যাচ জেতার মতো রান মনে হচ্ছে না। রাহুল ফিরে গেলেন ৭৪ করে।

LSG vs PBKS: পঞ্জাবকে হারিয়ে আজ স্বপ্নের দৌড় বজায় রাখতে চায় রাহুলদের লখনউ

লখনউ: একদিকে কে এল রাহুল, অন্যদিকে শিখর ধাওয়ান। আজ রাতে জমজমাট লড়াই হবে আইপিএলে। বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে তারা চারটি খেলে জিতেছে তিনটিতে। ছ’পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লখনউ। সমান পয়েন্ট পেয়েও নেট রান রেটের বিচারে রাজস্থান আপাতত শীর্ষে। তবে শনিবার ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখলের দারুণ সুযোগ রয়েছে সুপার জায়ান্টসের সামনে।

লখনউ দলটির ভারসাম্য দারুণ। টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে কাইল মেয়ার্স, দীপক হুদা খেলছেন। মিডল অর্ডারে মার্কাস স্টোইনিসের সঙ্গে আছেন নিকোলাস পুরান। একক দক্ষতায় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তাঁরা, যেমনটা দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে। বোলিংও বেশ শক্তিশালী। পেস আক্রমণে মার্ক উডের সঙ্গে আভেশ খান, জয়দেব উনাদকাটকে খেলানো হচ্ছে।

আর স্পিন বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্ষীয়ান অমিত মিশ্র। আছেন প্রতিভাবান রবি বিষ্ণোই। পাশাপাশি ক্রণাল পান্ডিয়ার মতো স্পিন অলরাউন্ডারের ভূমিকাও হতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, পাঞ্জাব কিংস গত ম্যাচে হেরেছে হায়দরাবাদের কাছে। ফলে কিছুটা চাপে শিখর ধাওয়ানের দল। পাঞ্জাবের ব্যাটিং বড় বেশি ধাওয়ান নির্ভর। বাঁহাতি ওপেনারটি এবারের আইপিএলে ভালোই ফর্মে আছেন।

তিনি শুরুটা ভালো করলে, বড় পুঁজি পেয়ে যাচ্ছেন বোলরারা। তবে গব্বর ব্যর্থ হলে সেই অভাব ঢাকার মতো ক্রিকেটার নেই মিডল অর্ডারে। ম্যাথু শর্ট, ভানুকা রাজাপাকসে, জিতেশ শর্মাদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় না। তুলনায় প্রীতি জিন্টার দলের বোলিং বেশ মজবুত। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা কাগিসো রাবাডা আসায় শক্তি বেড়েছে পেস আক্রমণের।

তরুণ অর্শদীপ সিংয়ের সঙ্গে অলরাউন্ডার স্যাম কারানও রয়েছেন। খেলার সম্ভাবনা রয়েছে স্পিনার রাহুল চাহারের। গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল পঞ্জাব। আজ রাহুলদের বিপক্ষে নিজেদের সব কিছু উজাড় করে দিতে চায় তারা।

Shubhman Gill: শুভমন গিলের স্বার্থপর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা সেহওয়াগের, অবাক সবাই

মোহালি: অনেকেই অবাক হতে পারেন কথাটা শুনে। কিন্তু বীরেন্দ্র সেহওয়াগ মানুষটাই এরকম। যা বলেন সোজা কথায় বলেন। চলতি আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে শুভমান গিল। চার ম্যাচে ১৮৩ রানের সুবাদে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন গুজরাত টাইটান্সের তরুণ ওপেনার। বৃহস্পতিবারও রান তাড়া করতে নেমে মূল্যবান ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি।

পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দল জিতলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে না পারার জন্য আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। শুভমানের কথায়, ম্যাচটা আমার শেষ করে আসা উচিত ছিল। আগামী দিনে দক্ষ ফিনিশারের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করব। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ছুড়ে দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুভমানই জয়ের ভিত গড়ে দেন।

আরও পড়ুন – `চুনী গোস্বামী ভারতীয় ফুটবলের ব্র্যাডম্যান’! মোহনবাগানের গেট উদ্বোধনে বললেন গাভাসকার

গুজরাত ওপেনারের ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কায়। ম্যাচের মূল্যায়নে গিল বলেন, শুরুটা ভাল করা জরুরি ছিল। তাই পাওয়ার প্লে’র ওভারগুলোতে আক্রমণাত্মক খেলেছি। প্রশংসা করতে হবে ঋদ্ধিরও। জয়ে ফিরতে পেরে আমরা খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গিলের প্রশংসার বন্যা বইলেও সকলেই যে তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি এমনটা নয়।

বৃহস্পতিবার রাতে শুভমানের ব্যাটিং দেখে মোটেই প্রসন্ন নন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ডাকাবুকো প্রাক্তন ওপেনার মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য কড়া সমালোচনা করেছেন তরুণ ব্যাটসম্যানটির। বীরুর কথায়, ৪৯ বলে ৬৭ রান করেছে গিল। হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে নিয়েছে ৪১-৪২ বল। বাকি ১৭টা রান করেছে ৭-৮ বলে। অর্থাৎ পঞ্চাশ হয়ে যাওয়ার পর ওর ইনিংসে গতি এসেছে।

ওই আক্রমণাত্মক মেজাজটা আগে দেখালে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা গড়াত না। গিলের জানা উচিত, দলের স্বার্থ ভুলে যেই মুহূর্তে তুমি নিজের পারফরম্যান্সের কথা ভাববে, ক্রিকেটই তোমাকে থাপ্পড় কষাবে। এই ভুল আর কখনও করো না। বীরু জানিয়েছেন গিল অন্তত দশ বছর বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে রাজত্ব করার ক্ষমতা রাখে। তবে শুধু পরিসংখ্যান উন্নত করলেই হবে না, তাকে ম্যাচ জেতাতে হবে। সেটা করতে পারলেই সমর্থকদের মনে তিনি জায়গা করে নেবেন।

PBKS vs GT: ঋদ্ধিমান সাহার কোটি টাকার রিভিউ, রান আউট! পঞ্জাবকে অল্প রানে বাঁধল গুজরাত

পঞ্জাব – ১৫৩/৮

মোহালি: ক্রিকেট যেমন দেয়, তেমন কেড়ে নেয়। এই কথাটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারছেন গুজরাত টাইটানস দলের বাঁহাতি পেসার যশ দয়াল! ক্রিকেট এখন তার প্রতি নির্দয়। ফলে দল থেকে বাদ পড়তে হল বৃহস্পতিবার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলায় দাপট ছিল গুজরাতের। কিন্তু শেষ ওভারে সব হিসাব বদলে যায়। শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৯ রান।

প্রথম বলে সিঙ্গল নেন উমেশ যাদব। পরের ৫ বলে ৫টি ছক্কা মারেন রিঙ্কু। ম্যাচ হেরে মাঠেই কেঁদে ফেলেন যশ। তা হলে কি তাঁর আত্মবিশ্বাস এতটাই কমে গিয়েছে যে তাঁকে নামানোর ঝুঁকি নিলেন না হার্দিকরা! প্রশ্ন উঠছে। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত। প্রথম থেকে গুজরাতকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল আজ তারা কতটা মরিয়া।

প্রভসিমরান সিং কে আউট করলেন শামি। ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ানকে (৮) ফিরিয়ে দিলেন লিটল। এরপর অবশ্য পঞ্জাবের হয়ে ২৪ বলে ৩৬ করে দিলেন ম্যাথু শর্ট। তবে রশিদ খানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন। আলজারি জোসেফ দুর্দান্ত বল করলেন গুজরাটের হয়ে। বহুদিন পর এদিন বল করতে দেখা গেল মোহিত শর্মাকে। যশের বদলি হিসেবে খুব একটা খারাপ বল করলেন না অতীতের চেন্নাই এবং ভারতের হয়ে খেলা মিডিয়াম পেসার। দুটি উইকেট পেলেন। শেষ দিকে শাহরুখ খান কিছুটা রান করলেন বলে পঞ্জাবের স্কোরবোর্ড কিছুটা ভদ্রস্থ হল।

 

PBKS vs GT: পঞ্জাবকে হারিয়ে আজ রাতে জয়ের রাস্তায় ফিরতে মরিয়া হার্দিকদের গুজরাত

মোহালি: কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে পরাজয় হয়তো এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটাররা। কারণ, অন্তিম ওভারে ২৯ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ পেসার যশ দয়াল। তাঁর শেষ পাঁচটি বলেই রিঙ্কু সিং হাঁকিয়েছিলেন বড়-বড় ছক্কা। যা কেকেআরকে এনে দিয়েছিল অপ্রত্যাশিত জয়। সেই ধাক্কা সামলে বৃহস্পতিবার মোহালিতে পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাত টাইটান্স।

গত ম্যাচে চোটের কারণে খেলেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর পরিবর্তে টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রশিদ খান। দল হারলেও রশিদ কিন্তু বল হাতে সফল হয়েছিলেন। নামের পাশে লিখেছিলেন হ্যাটট্রিক। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে হার্দিকের দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে গুজরাতের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য আরও বাড়বে। ছন্দে আছেন শুভমান গিল, সাই সুদর্শন।

তবে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ফিট নন। তাঁর জায়গায় ম্যাথু ওয়েড খেলতে পারেন। মিডল অর্ডারে কিলার মিলারের সঙ্গে বিজয় শঙ্কর গুজরাতের বড় ভরসা। খেলা যেহেতু মোহালিতে, তাই পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে মহম্মদ সামির সঙ্গে আলজারি জোসেফের জুটি জমে যেতে পারে। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে অন্তিম ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করার পর যশ দয়ালের উপর টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা থাকে কিনা, সেটাই দেখার।

গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে বেশ চাপে পাঞ্জাব কিংসও। তবে দুরন্ত ছন্দে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। একাই তিনি পথ দেখাচ্ছেন পাঞ্জাবের ব্যাটিংকে। গত ম্যাচে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে ধাওয়ান ছাড়া নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের অভাব স্পষ্ট।

স্যাম কারান, সিকন্দর রাজার মতো বিদেশিদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে। তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী পাঞ্জাবের বোলিং। অর্শদীপ সিয়ের মতো পেসার নতুন বলে বরাবরই ভয়ঙ্কর। বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের স্পিনের ফাঁদে ফেলার কৌশল ভালোই জানেন রাহুল চাহারও।

PBKS vs KKR: বরুণের কৃপণ বোলিং সত্ত্বেও বড় রান পঞ্জাব কিংসের, প্রবল চাপে কেকেআর

মোহালি: প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেও কেকেআর বোলিংকে সেভাবে সফল হতে দেখা গেল না। পঞ্জাব ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আক্রমণ করল তাদের। সাউদির বলে আউট প্রভসিমরন সিংহ। ২৩ রান করে আউট তিনি। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটরক্ষক গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। কিন্তু যতক্ষণ ছিলেন বেশ দেখার মত শট খেলেন প্রভসিমরন।

এরপর শিখর ধাওয়ান এবং ভানুকা রাজাপক্ষ মিলে এগিয়ে নিয়ে গেলেন পঞ্জাবের ইনিংস। পাওয়ার প্লেতে পঞ্জাবের রান ছিল ৫৬/১। শ্রীলঙ্কার ভানুকা প্রথম থেকে চতুর্থ গিয়ারে খেলা শুরু করলেন। তাকে যোগ্য সহায়তা করে গেলেন শিখর। দুই বাহাতি আটকানোর রাস্তাই জানা ছিল না কেকেআরের।

৩০ বলে ৫০ করলেন রাজাপক্ষ। বল হাতে কেকেআরের শার্দুল ঠাকুর প্রচুর রান দিলেন। নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তীর বলে চেনা ধার দেখা গেল না। ভানুকা ৫০ করে আউট হলেন উমেশের বলে। জিতেশ শর্মা এসে কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। অধিনায়ক হিসেবে নীতিশ রানা ফিল্ডিং পরিবর্তন করে বিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করবেন এমনটা দেখা গেল না।

১১ বলে ২১ করে জিতেশ ফিরে গেলেন সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে। এসেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করলেন সিকান্দর রাজা। অন্যদিকে ৫০ পূর্ণ করতে পারলেন না শিখর ধাওয়ান। দুরন্ত একটা বলে বোল্ড করলেন বরুণ চক্রবর্তী। এরপর এলেন আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি স্যাম কারান। শেষদিকে তিনি এবং শাহরুখ খান মিলে দলের রান পৌঁছে দিলেন ১৯১। নিঃসন্দেহে এই রান তাড়া করতে কেকেআরের কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে।

Kartik Tyagi| IPL 2021: একাই বদলে দিলেন ম্যাচের ছক, কেমন ছিল কার্তিক ত্যাগীর শেষ ওভার

#দুবাই:  কার্তিক ত্যাগী  (Kartik Tyagi) মঙ্গলবার রাতে পঞ্জাব কিংস (Punjab Kings) -র বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ওভারে গেমই বদলে দিলেন৷ এমন ঘটনা ঘটল যা ফের একবার ক্রিকেট যে মহান অনিশ্চয়তার গেম তাই প্রমাণ করে দিল৷ আইপিএল ২০২১ (IPL 2021)  রাজস্থান বনাম পঞ্জাব ম্যাচে (RR vs PBKS) পঞ্জাবকে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৪ রান করতে হত, ৮ উইকেট হাতে ছিল৷ সামনে ২০০ টি টোয়েন্টি ম্যাচে ২৫০ টি ছক্কা মারা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান ছিলেন৷  টি টোয়েন্টিতে একটি বা দুটি ম্যাচ টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা কার্তিক ২০ তম ওভার তাঁকে বল করতে দেন৷ ২ রানে রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে নেয়৷

আইপিএল ২০২১-র এই ম্যাচে ২০ বছরের কার্তিক ত্যাগী  (Kartik Tyagi in IPL 2021) ২০ ওভারের প্রথম বল ফুলটস দেন৷ এডেন মার্করম এক রান করতে পারেননি৷ ত্যাগী তৃতীয় বলে ওয়াইড ইয়র্কার দেন৷  নিকোলাস পুরান কাট মারার জায়গায় উইকেট হারান৷ তখন সঞ্জু স্যামসন ক্যাচ ধরে দেন ৷ এরপর ৩ রান করার দরকার ছিল৷ হাতে ৭ উইকেট ছিল৷

দীপক ত্যাগী নিজের চতুর্থ বলে ফুল ওয়াইড বল করেন৷ এটা উইকেট থেকে অনেকটা বাইরে ছিল৷ কিন্তু হুডা বাইরে গিয়ে বল মারার একটা চেষ্টা ছিল৷ কারণ আম্পায়র এটাকে ওয়াইড বল ডাকেননি৷ পঞ্চম বলে ত্যাগী এমনটা দেন হুডা-র ব্যাটে বল লেগে স্যামসনের হাতে চলে যায়৷

আরও পড়ুন – Sexual Harrashment-র অভিযোগ নিয়ে কঠোর নিয়ম চালু করতে চলেছে BCCI,আওতায় চুক্তিবদ্ধ Indian Cricketer!

এবার শেষ বলে পঞ্জাবের জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল৷ ত্যাগী শেষ বল ফের একবার ফুল ওয়াইড বল দেন৷ ফ্যাবিয়েন এলেন এতে রান করতে পারেননি৷ এইভাবে রাজস্থান রয়্যালস একটি হারা ম্যাচ জিতে যান৷ ত্যাগী ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন৷ এর আগে ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটিও উইকেটও পাননি৷ ম্যাচে রাজস্থান প্রথমে ব্যাট করে ১৮৫ রান করেছিলেন৷ উত্তরে পঞ্জাব দল ৪ উইকেটে ১৮৩ রান করেন৷

আরও পড়ুন –Weather Update: দেশের একাধিক জায়গায় আজকেও প্রবল Rain-র সম্ভবনা, জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট

২০০৯ মুনাফ প্যাটেল করেছিলেন এই কাণ্ড

কার্তিক ত্যাগী শেষ ওভারে সবচেয়ে কম রান বাঁচানোর জন্য মুনাফ প্যাটেলের সঙ্গে এক জায়গায় পৌঁছে গেলেন৷ মুনাফও ২০০৯ সালে রাজস্থানে -র হয়ে খেলতে গিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ৪ রান বানাতে পারেননি৷ কিন্তু মুম্বই ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল৷ ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই ১৯ ওভারে ১৪২ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল৷ শেষ ওভারে ৪ রান করতে হত৷ কিন্তু দল এক রান বানাতে চলে যান৷ ৩ উইকেট হারায়৷ সে সময় রান আউট হয়ে যান৷