Tag Archives: Perfume
Vastu Tips for Love: প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ‘এই’ উপহার এঁরা দিলেই প্রেম ভেঙে চুরমার! জীবন তছনছ! জানুন বিশদে
Bengali News: পারফিউমে বাঁচেন সায়ক! সুগন্ধির বিরল সংগ্রহ বাঙালি যুবকের
উত্তর ২৪ পরগনা: শখ তো অনেক রকমেরই হয়। কিন্তু অশোকনগরের এই যুবকের শখ রীতিমতো অবাক করছে সকলকে। অশোকনগর তিন নম্বর এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত যুবক সায়কদীপ্ত সাহার শখ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি অর্থাৎ পারফিউম সংগ্রহ করা। ইতিমধ্যেই তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিদেশি নানা ডিজাইনার হাউসের সুগন্ধি। প্রায় ৩০০ র কাছাকাছি এই ধরনের বেস্ট সেলার পারফিউম সংগ্রহ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রেম দিবসে ধরা পড়ল ২০ জোড়া ‘ভালবাসার পাখি’!
এই যুবকের এমন শখ রীতিমতো সকলকে অবাক করে দিয়েছে। তাঁর এই সুগন্ধির সম্ভার দেখতে এখন অনেকেই হাজির হন বাড়িতে। আর এই শখই যেন এখন নেশা হয়ে উঠেছে সায়কের। দেশীয় পারফিউম, ডিওড্রেন্ট তো আছেই, তাঁর সংরক্ষণে এখন আছে বিদেশি নানা দুষ্প্রাপ্য পারফিউম। যার দাম রীতিমতো আকাশ ছোঁয়া। এমনও অনেক পারফিউম আছে যা ভারতে না পাওয়া গেলেও বিদেশ থেকে বিশেষভাবে অর্ডার করে নিয়ে আসেন সায়ক। আর এই পারফিউম নিয়েই অবসর সময়ে চলে গবেষণামূলক পড়াশোনা।
পারফিউম লাভার সায়কের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পারফিউম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দুই ধরনের ভাগ রয়েছে। একটি ভাগ জেনারিক অর্থাৎ কমন রেঞ্জের পারফিউম, আর অপর ভাগটি ডিজাইনার হাউসের ফ্র্যাগনেন্স। যেমন তাঁর সংগ্রহে আছে ভার্সাসে, বুলগেরি, জর্জিও আরমানি। আর পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ শ্রেণির যে সুগন্ধির সেগমেন্ট থাকে তাকে বলা হয় ‘নিস ফ্র্যাগনেন্স। যার মধ্যে ক্রিড-এর বিভিন্ন রেঞ্জ রয়েছে বলেও জানান তিনি। ক্রিড এভেন্ডার্স, ক্রিড মিলেসেমি এম্পেরিয়াল, ক্রিড গ্রিন আইজেস টুইস্ট সহ নানা ধরনের সুগন্ধীর ১০ এমএল-এর বোতল বহু মূল্য দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন তিনি। যার মধ্যে ১১,৫০০ থেকে শুরু করে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার পারফিউমের কালেকশন রয়েছে সায়কের কাছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগ্রহ তৈরি হয় এই পারফিউমের বিভিন্ন কালেকশন নিয়ে। সেই থেকেই যাত্রা শুরু। সুগন্ধির মূল্য বিচারে প্রথম পর্যায়ে পারিবারিক দিক থেকে তেমন কোনও সমস্যা না হলেও এই শখের নেশায় ক্রমশ বিদেশি সুগন্ধির সংরক্ষণে অত্যাধিক মূল্য ব্যয় করে পারফিউম কেনার কারণে পরিবারের তরফ থেকেও আসে বাধা। কিন্তু স্বামীর এই সুগন্ধি প্রেমকে যেন এখন নিজের করে নিয়েছেন স্ত্রী পারমিতাও। তাই স্বামীর এই শখকে গুরুত্ব দিতে এখন রীতিমতো সুগন্ধির সংরক্ষণে উৎসাহ দেন সায়ককে। এখন অনুষ্ঠান হোক বা বিশেষ কোনোদিন, উপহারের ক্ষেত্রে সুগন্ধি পারফিউমই যেন বেশি পছন্দ সায়কের। ফলে, দিনের অধিকাংশ সময় এখন সুগন্ধিতেই মেতে থাকেন সর্বক্ষণ।
রুদ্রনারায়ণ রায়
Most Expensive Perfume: হার মানাবে সোনা-রুপোর দামকেও; মাটির সোঁদা গন্ধযুক্ত এই পারফিউম প্রাণ-মন জুড়িয়ে দেবে
কলকাতাঃ পারফিউম বা সুগন্ধী মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। উত্তরপ্রদেশ, অসম, কেরলের মতো ভারতের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক ভাবে পারফিউমের ব্যবসা হয়ে থাকে। এমনকী এইসব রাজ্য থেকে গোটা বিশ্বেই পৌঁছে যায় পারফিউম। আর এই সমস্ত সুগন্ধীর দাম হয় সাধারণত ২০০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু একটি পারফিউম রয়েছে, যার মূল্য সোনা এবং রুপোর তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর সারা বিশ্বে এর চাহিদাও দেখার মতো। এমনকী ব্রিটিশ রাজপরিবার-সহ বিশ্বের বেশ কিছু রাজপরিবার এই সোঁদা গন্ধযুক্ত সুগন্ধী ব্যবহার করে থাকে। জেনে নেওয়া যাক, সেটা কোথায় পাওয়া যায়? আর এর দামই বা কত?
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পর টলি হার্টথ্রবের সঙ্গে ‘রোমান্স’? শুভশ্রীকে নিয়ে ‘নতুন গুঞ্জন’…
মূলত হংকংয়ে তৈরি হয় এই সুগন্ধী। এর নাম হল আগরউড। সোঁদা গন্ধযুক্ত এই মহার্ঘ্য পারফিউম বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দামি। মাত্র ১ গ্রাম এই সুগন্ধী বিকোয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায়। উত্তরপ্রদেশের কনৌজের কিছু ব্যবসায়ী এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা জানান যে, সেখানে এই সুগন্ধীর নাম আদ্রাউদ। ব্যবসায়ীদের মতে, অসমে প্রাপ্ত আসমাকীট নামের একটি কাঠ থেকে কৈরি হয় এই সুগন্ধী। আর এই কাঠের মূল্য কেজি প্রতি ২৫ লক্ষ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগরউড কাঠ প্রচুর দামে বিক্রি হয়। কারণ এটা আগে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত। এই কাঠ থেকে প্রস্তুত করা ওষুধ ব্যথা উপশমের জন্য খুবই উপকারী। আর সেই কারণেই এর চাহিদা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। বিবিসি-র একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, আগরউড গাছ যখন পচে যায়, তখন তার কাঠ নিষ্কাশন করা হয়। আসলে গাছের গুঁড়ির বাকল ছাড়িয়ে আলাদা করা হয়। এরপরে তার মধ্যে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জন্মায়। যা এক বিশেষ ধরনের আঠা নির্গত করে।
সেই আঠাকে হংকংয়ে রেজিনে রূপান্তরিত করা হয়। এরপরে সেই আঠা পিষে তেল নিষ্কাশন করা হয়। যা আউধ অয়েল নামে পরিচিত। শুধুমাত্র এর থেকেই আগরউড পারফিউম তৈরি হয়। এমনকী সুগন্ধী ধূপকাঠিও বানানো হয়। আর এখানেই চমকের শেষ নেই। তেল নিষ্কাশনের পরে অবশিষ্ট কাঠ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৫ লক্ষ টাকায়। কেউ কেউ এই কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র বানান। এমনকী গাছের বিশাল বিশাল গুঁড়ি খোদাই করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়। প্রবল চাহিদার কারণে বেআইনি ভাবে এই কাঠ পাচারও করা হয়।