সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়, কিন্তু কখনও কখনও একটি ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে এবং এর জন্য জেলেও যেতে হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই অনলাইনে ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার নিয়ম জেনে নিতে হবে, না হলে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
ভিডিও এবং ফটো শেয়ারিং সংক্রান্ত ভারতে অনেক আইন রয়েছে, যা লঙ্ঘন করলে জেলে যেতে হতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০
এই আইনটি ইলেকট্রনিক ডেটা যেমন ফটো, ভিডিও, ইলেকট্রনিক সিগনেচার, কপি রাইটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করলে জেল হতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম, ২০২১
এই নিয়ম ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা এবং হোস্ট করা বিভিন্ন প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ এর মানে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার যত্ন নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২২ ক্যারাট না ২৪ ক্যারাট, কোন সোনা ভবিষ্যতে ভাল রিটার্ন দিতে পারে? জানুন সমস্ত খুঁটিনাটি
ভারতীয় দণ্ডবিধি আইন, ১৮৬০
এই আইনে কারও অপরাধ এবং অপরাধীর শাস্তির বিধান রয়েছে।
হেট স্পিচ অ্যাক্ট, ১৯৫৬
এই আইনের অধীনে, কাউকে অনলাইনে অশ্লীল বা অশালীন ভাষা ব্যবহারের জন্য শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।
মহিলা অপরাধ এবং যৌন উৎপীড়ন সংরক্ষণ আইন, ২০১৩
এই নিয়মে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও যৌন নিপীড়ন গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য।
কেমন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করলে জেল হবে?
• একজন ব্যক্তির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে৷
• কোনও ব্যক্তির মানহানি করলে বা মানসিক পীড়া দিলে।
• অশ্লীল ভাষা বা যৌনতাপূর্ণ বিষয়বস্তু পোস্ট করলে।
• শিশুদের যৌন শোষণ বা নির্যাতনের ছবি পোস্ট করলে৷
• ঘৃণাত্মক বক্তব্যকে প্ররোচিত করলে৷
আরও পড়ুন: Fixed Deposit থেকেই আসতে পারে বাম্পার রিটার্ন, শুধু জানতে হবে এই কৌশল, যা অনেকেই জানেন না
কোথায় অভিযোগ করতে হবে?
কেউ যদি মনে করেন যে কোনও ভিডিও বা ফটো আইন লঙ্ঘন করছে, তাহলে সাইবার ক্রাইমের অধীনে পোর্টালে অভিযোগ করতে পারেন: https://cybercrime.gov.in/। এছাড়াও জাতীয় মহিলা কমিশনেও অভিযোগ করা যেতে পারে http://ncw.nic.in/ এবং স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ করা যেতে পারে।