Tag Archives: Prisoners

North Dinajpur News: রায়গঞ্জ সংশোধনাগার থেকে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি! তদন্তে পুলিশ

উত্তর দিনাজপুর: সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেল যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত এক বন্দী। ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের। এই ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ থানাতেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, পলাতক ঐ বন্দির নাম প্রেমচাঁদ বর্মন। বাড়ি কোচবিহারের মাথাভাঙায়। বেশ কয়েকবছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা হয় তার। দীর্ঘ সময় ছিলেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। সেখানে ভাল আচরণের জন্য চলতি বছর জানুয়ারিতে রায়গঞ্জ মুক্ত সংশোধনাগারে থাকার সুযোগ পায়।

আরও পড়ুনঃ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে যা করলেন এই শিল্পী…! ধন্য ধন্য করছে কোচবিহারবাসী

মুক্ত সংশোধনাগারে সেইসব বন্দিরাই আসতে পারে, যাদের আচার ব্যবহার ভাল থাকে। এখানে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন বন্দি তথা আবাসিকেরা থাকে সংশোধনাগারেরই একটি ভবনে। সকাল ৬টায় তারা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান। এই সময়টা কেউ কোনও কাজ করতে পারে বা বাড়ি যেতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে থাকারই নিয়ম এবং রাত ৮টায় তাদের ফের সংশোধনাগারে ফিরে আসার কথা। কিন্তু রায়গঞ্জ মুক্ত সংশোধনাগারের এই আবাসিক প্রেমচাঁদ শনিবার রাতে নির্ধারিত সময়ে আর ফিরে আসেনি। পরে আবাসিক সংখ্যা মেলাতে গিয়ে সংশোধনগার কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে উধাও হয়েছে ঐ আবাসিক। তার মোবাইলেও ফোন করে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু ফোন কেউ ধরেনি।

শেষপর্যন্ত ওই রাতেই শুরু হয় খোঁজখবর। রায়গঞ্জে বাইপাসের ধার থেকে তার মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। এরপর বন্দি পালানোর বিষয়টি রায়গঞ্জ থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়, বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ মুক্ত সংশোধনাগারের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেলার শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে।

কয়েকদিন পরেই হত মুক্তি, তার আগেই…খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির হঠাত্‍ মৃত‍্যু!

কলকাতা:  খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় জেলবন্দী সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতী মিজানুর রহমানের মৃত্যু। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে প্রায় ১১ বছর ৫ মাস ২৪ দিন বন্দী থাকা অবস্থায় আচমকা মৃত্যু মিজানুর রহমানের। জেল সূত্রে খবর, বুধবার রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।

জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অসুস্থ মিজানুরকে নিয়ে প্রথমে এসএসকেএমে যায়। তারপর সেখান থেকে চিত্ত রঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ২ টো নাগাদ তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানায়।

এরপর ময়না তদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহ। জেল সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন মিজানুর দুটো কিডনি নষ্ট ছিল, হার্টের সমস্যা ছিল। অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বলে দাবী হাসপাতাল ও জেল কর্তৃপক্ষর।

আরও পড়ুন: রূপকথার মতো সাফল‍্য! খ‍্যাতির শীর্ষে অভিনয়কে বিদায়, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়ে এখন আইএএস অফিসার, চেনেন অভিনেত্রীকে? র‍্যাঙ্ক জানলে মাথা ঘুরে যাবে

কে এই মিজানুর? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিলজলা এলাকায় ২০০১ সালে পার্থ রায় বর্মন খাদিম কর্তা অপহরণ মামলা গ্রেফতার করা হয় মিজানুর রহমানকে। সেই ঘটনায় তিলজলায় অভিযোগ হয়। পরবর্তী কালে সিবিআই মামলা তদন্ত ভার হাতে নেয়। এই ঘটনায় -৩৬৪A(অপহরণ), ১২০B( ষড়যন্ত্র), এবং ৩৪২ IPC খাদিম কেস অপহরণ মামলা ছিল। সেই ঘটনায় মিজানুর রহমান অভিযুক্ত যাবজীবন সাজাপ্রাপ্ত।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলা এলাকায় সি এন রায় রোডে খাদিম কর্তা পার্থ রায় বর্মনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের সময় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহতও হয় তিনি। পার্থ রায় বর্মনকে রাখা হয়েছিল হাড়োয়ার পুকুরিয়ার একটি নির্জন বাড়িতে। সেই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে বহু বছর পরে মিজানুর রহমান সর্দারকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনায় মিজানুর রহমান অভিযুক্ত যাবজীবন সাজাপ্রাপ্ত।

ব্যবসায়ী অপহরণে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। সিআইডি তদন্ত ভার নেয়। মূল চক্রী আফতাব আনসারী-সহ পাঁচ গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। এই মামলায় আফতাব-সহ পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। পরে আরও কিছুজন ধরা পরে। এর মধ্যে মিজানুর ছিল। ২০০৯ সালে মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিচার চলে। মিজানুর দোষী সাবস্ত্য হয়।

বসিরহাট এলাকায় বাড়ি মিজানুরের। মিজানুরের বিরাশি বছরের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মিজানুরের চুয়ান্ন বছর বয়স হয়েছিল। হঠাৎ বুকে ব্যথা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জেল সূত্রে খবর। এই খবর পাওয়া মাত্রই তার পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া । তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বিবির কথায়, ‘‘আর কয়েকদিন পরেই মিজানুর রহমান সর্দার সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেত।’’

আরও পড়ুন: মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা, ঘনিয়ে আসছে প্রবল বৃষ্টি! দক্ষিণের ৪ জেলায় বড় দুর্যোগ, আকাশ ফালাফালা করবে বাজ

মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগেই মিজানুরের মৃত‍্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। তবে হঠাত্‍ই খাদিম কর্তা অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মৃত্যু ঘিরে প্রেসিডেন্সি জেলে চঞ্চল্য ছড়ায়। অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণও রয়েছে? ঘটনায় এই ইতিমধ‍্যেই ময়না তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ দাবি, মিজানুর দীর্ঘ বছর ধরে অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার জন্য মৃত্যু হয়েছে।

ARPITA HAZRA and ANUPAM SAHA

World Blood Donor Day: আসামির বাবাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন চার ওয়ার্ডার

বাঁকুড়া: জেলা সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির বাবার জীবন বাঁচালেন চার জেল ওয়ার্ডার। চরম বিপদে এগিয়ে এলেন তাঁরা। যদিও এই ওয়ার্ডাররাই জানিয়েছেন, সংশোধনাগারে যারা থাকেন তাঁদেরকে আসামির চোখে দেখেন না। নিজেদের পরিবার বলেই মনে করেন কারারক্ষী থেকে শুরু করে ওয়ার্ডার এবং জেলাররা।

বাঁকুড়া জেলার সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ খবর আসে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুকুমার সোরেনের বাবা লাখু সোরেন একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়ে যায় জেলের ভিতরে বন্দি থাকা সুকুমারের। বাবার চিকিৎসা হবে কীভাবে, কে দেখবে এইসব চিন্তা পেড়ে ফেলে তাঁকে। যদিও জেলবন্দি আসামির বাবা লাখু সোরেনের জীবন বাঁচাতে এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঁকুড়া সংশোধনাগারের চার ওয়ার্ডার অভিজিৎ মিশ্র, সৌমেন মণ্ডল, সন্দ্বীপ নন্দী এবং প্রশান্ত ঘোষ। চার ইউনিট রক্ত দেন তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: উত্তরে ভারী বৃষ্টির জেরে শহরমুখী শতাধিক জংলি হাতির দল

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে এর চেয়ে বড় লাল সংগ্রামের উদাহরণ কিই বা হতে পারে। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার ধ্রুবজিত চৌধুরী বলেন, আসামি নয়, ওরা আমাদের পরিবার। তাই ওঁদের দুঃখে পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। ওই চার ওয়ার্ডার সটান হাজির হয়ে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সই করে, নাম লিখিয়ে এবং ওজন করিয়ে সবরকম নিয়ম মেনে তাঁরা রক্তদান করেন। আর এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন জেলবন্দি সুকুমার সোরেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী