Tag Archives: R G KAR MEDICAL COLLEGE

R G Kar Protest: স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অন্য এক কোজাগরীর রাত দেখলেন বাংলার লক্ষ্মীরা

নদিয়া: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর কথা আমরা সকলেই জানি। কোজাগরী- মানে ‘কে জাগো রে’৷ কোজাগরীর রাতে গৃহস্থ থেকে গৃহকর্তী সকলেই প্রতীক্ষায় থাকেন মা লক্ষ্মীর আগমনের। স্বাধীনতার পুণ্য লগ্নেও আরও এক কোজাগরীর রাত পালন করলেন বাংলার মা বোনেরা।

স্বাধীনতার এত বছর পরেও আবারও অন্য এক স্বাধীনতার সংগ্রামের সাক্ষী থাকলো গোটা দেশ। তবে এবারের সংগ্রামটা বাইরের কোনও শত্রুর জন্য নয়, সংগ্রামটা নিজের দেশের নারী সুরক্ষা নিয়ে। স্বাধীনতার আগের রাতে অর্থাৎ, ১৪ আগস্ট গোটা রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করলেন শিশু, কিশোরী, যুবতী, বৃদ্ধা সমস্ত বয়সের মহিলারা। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখনও আক্ষরিক অর্থে তারা পরাধীনতার চাদরে মুড়ে রয়েছেন তারই প্রতিবাদে এই নৈশ্য জমায়েত।

গোটা দেশ তথা বাংলার মতোই নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এদিন ছিল মৌন মিছিল ও নৈশ্য জমায়েত। বাড়ির সকল মহিলারা বেরিয়ে এসেছিলেন রাস্তায়। শুধু মহিলারাই নন তাদের পাশাপাশি তাদের সাহস জোগাতে ছিলেন পুরুষেরাও।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও মোদির মুখে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গ! লাল কেল্লা থেকে বার্তা রাজ্য সরকারদের

কলকাতার নামকরা হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। বছরের ৩৬৫ দিন রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খান সেখানকার জুনিয়র থেকে সিনিয়র সমস্ত চিকিৎসকেরাই। সেই আর জি করে হয়ে গেল ভয়াবহ এক নৃশংসতা। নাইট ডিউটিতে কর্মরত এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন জখম মৃতদেহ পাওয়া গেল হাসপাতালে সেমিনার হলে।

এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য! মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি! বসানো হল তদন্ত কমিটি! দু’দিনের মধ্যেই ধরা হল এক অভিযুক্তকে! যে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার, এই ঘটনায় ‘আপাতত’ মূল অভিযুক্ত! তবে এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা!

আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

যদিও এর আগে এই ঘটনায় বিভিন্ন চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে! প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তবে জাতি, ধর্ম, এমনকি রাজনৈতিক রঙ ভুলে সম্মিলিতভাবে সমস্ত নারী জাতিকে নিশুতি রাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে প্রতিবাদ করা হয়তো দেখেনি গোটা বাংলা! এই প্রথম বাংলার মেয়েদের এই প্রতিবাদের সাক্ষী থাকলো গোটা সমাজ!

Mainak Debnath

R G Kar Hospital: ভাঙচুরে হাত পড়েনি সেমিনার রুমে! গুজব ছড়ালেই কড়া শাস্তি, জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ

কলকাতা: আর জি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছেন তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকেরা৷ তার পরবর্তী ক্ষেত্রে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যেতে পারে সিবিআই টিম৷

এরই পাশাপাশি একটি বিষয় ইতিমধ্যেই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে৷ গত বুধবার রাতে যে পরিস্থিতি হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে সেখানে ঘটনাস্থলে অর্থাৎ, সেমিনার হলে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও বৈঠকের আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও মোদির মুখে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গ! লাল কেল্লা থেকে বার্তা রাজ্য সরকারদের

গতকাল হাসপাতালের ভেতরে থাকা পুলিশের ঘরে চলে ভাঙচুর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যেখানে সংগ্রহ করা হয় সেখানে কার্যত লন্ডভন্ড পরিস্থিতি। অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে ভাঙা হয়েছে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক৷ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পুলিশের ঘরে থাকা প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

তবে, পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ক্রাইম সিন অর্থাৎ, সেমিনার রুমে ভাঙচুরের হাত পড়েনি৷ এ বিষয়ে অকারণ গুজব না ছড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে৷ গুজব ছড়ালে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷

R G Kar: সিসিটিভির হার্ডডিস্ক, মোবাইল ভাঙার অভিযোগ… ‘আরও জোরাল হবে’, দাবি আন্দোলনকারীদের

কলকাতা: রাত দখলের রাতেই ভাঙচুর চলল আরজি কর হাসপাতালে। প্রচুর মানুষ আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ভিতর থেকে আন্দোলনকারীরা বহিরাগতদের ভিতরে ঢুকতে বারণ করেন। কিন্তু এই বহিরাগতদের আটকানো যায়নি। মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বহিরাগতরা। ভাঙচুর চালানো হয় সেই এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়েই। হাসপাতালের ভেতরে থাকা পুলিশের ঘরে চলে ভাঙচুর। অভিযোগ, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যেখানে সংগ্রহ করা হয় সেখানে কার্যত লন্ডভন্ড পরিস্থিতি। আরও অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে ভাঙা হয় সিসিটিভির হার্ডডিক্স, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পুলিশের ঘরে থাকা প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনও ভাঙচুর করা হয়।

আরজিকর অবস্থান মঞ্চের আন্দোলনকারী ছাত্র প্রীতম সরকার বলেন “আন্দোলন যেরকম চলছিল সেভাবেই চলবে সেই দাবিতেই চলবে বরং আরো জোরাল হবে।চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতো রয়েছেই। পাশাপাশি এমারজেন্সির সরকারি সম্পত্তি যারা ভাঙচুর করল তাদেরও চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।”

আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে আরজি করে হামলা! জোর করে ভিতরে ঢুকে হাসপাতালে ভাঙচুর বহিরাগতদের

আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত, তাই প্রতিবাদের ঝাঁঝও বেশি ছিল আরজি করের সামনে। প্রচুর মানুষ আরজি করের সামনে থেকে মশাল নিয়ে মিছিল করার জন্য জড়ো হন, শ্যামবাজার পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল এই মিছিল। প্রচুর মানুষ জড়ো হওয়ায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় আরজি করের সামনে। মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বহিরাগতরা।

R G Kar Hospital Vandalism: ‘মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখল’-এর লড়াই, তাণ্ডব আরজি করে ! ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক এসইউসিআইয়ের

কলকাতা: যেন এক অন্য শহর৷ ঘড়ির কাটা বলছে রাত ১১টা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ রাজ্য জুড়ে মেয়েরা রাজপথে ৷ মুহুর্মুহু স্লোগান উঠছে ৷ রাতের শহরে নারীদের রাত দখল যেন অন্য এক যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷ তালটা কাটে তার ঠিক পরেই৷

হঠাৎ করে দেখা যায়, একদল জনতা আরজি কর হাসপাতালের ভিতর ঢুকে যায় ৷ এবং তাণ্ডবলীলা চালাতে শুরু করে ৷ ভেঙে দেয় ধরনা মঞ্চ ৷ শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বেলাগাম হামলা ৷

আরও পডুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে ৷ আরজি কর প্রাঙ্গণ তখন যেন যুদ্ধক্ষেত্র ৷ ঘন ঘন টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটছে ৷ এরই প্রতিবাদে আগামিকাল ১৬ অগাস্ট ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই ৷

তাদের অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন মহিলা ডাক্তারের যৌন নিগ্রহ ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের প্রায় সর্বত্র মেডিক্যাল পেশায় যুক্ত বহু সংখ্যক মানুষ এই আন্দোলনে নেমেছেন ৷

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক ডাক্তারদের! ১৪ অগাস্টে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদে মেয়েরা

সর্বস্তরের মানুষ এই আন্দোলনকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করছেন৷ হাজার-হাজার মহিলারা মাঝ রাতে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ প্রায় মধ্য রাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে অবস্থানরত ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ৷

ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঢুকে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

RG Kar Hospital Incident Protest: আরজি কর কাণ্ডের জেরে চিকিৎসকদের প্রতিবাদে অমিল পরিষেবা, চরম ভোগান্তি রোগীদের

পার্থপ্রতিম সরকার এবং প্রিয়ব্রত গোস্বামী, কোচবিহার ও বাঁকুড়া: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদে ব্যাহত স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ৷ বুধবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড় চোখে পড়ে। বেলা গড়ালেও দীর্ঘ ক্ষণ টিকিট কাউন্টার খোলেনি। ক্রমশ রোগীদের অপেক্ষার লাইন লম্বা হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা অপেক্ষা করতে থাকেন৷

এই পরিস্থিতিতে কোচবিহার থেকে আসা এক প্রবীণ রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফিরতে হল শূন্য হাতে! ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। জানান, গত শনিবার তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শেষ ২ দিন কোনও চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, উল্টে মঙ্গলবার জোর করে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার এসেছিলেন বর্হিবিভাগে ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে আউটডোর না খোলায় ক্ষোভ, হতাশা। এভাবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনের বিরোধী তিনি।

কার্যত একই ছবি বাঁকুড়াতেও৷ বুধবার ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোর খুলেছে ঠিকই। রোগীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ ক্ষণ পরও টিকিট দেওয়া শুরু হয়নি। আদৌ বুধবার আউটডোরে পরিষেবা মিলবে কি না তা জানেন না রোগী, রোগীর পরিজন এমনকি আউটডোরের কর্মীরাও।

আরও পড়ুন : গাড়ির মালিকদের জন্য স্বস্তি! যানবাহন থেকে দূষণ ছড়ানোর ঘটনায় জরিমানা ১০ হাজার থেকে এক লপ্তে কমল অনেকটাই! জানুন এবার থেকে কত টাকা দিতে হবে

কারণ বাঁকুড়ার ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে আউটডোর বন্ধের নোটিশ পড়েছে। নোটিশ দেখে চিকিৎসা করাতে এসে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। হয়রানি শিকার রোগী-সহ পরিজনরা।

প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ একইসঙ্গে হাই কোর্টের তরফে আন্দোলনকারী আবাসিক ডাক্তারদের কাছে আবেদন রাখা হয়েছে৷ যাতে সরকারের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে আসা দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা৷

তবে এই মুহূর্তে আন্দোলন এবং কর্মবিরতি থেকে তাঁরা সরছেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা৷ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের পরিষেবা সামলাচ্ছেন। কিন্তু তা-ও কিছু জায়গায় জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।