Tag Archives: Rahul Dravid

রাহুল শরদ দ্রাবিড়: জীবন, পুরস্কার, কেরিয়ার এক ঝলকে

পুরো নাম

রাহুল শরদ দ্রাবিড়

জন্ম

১১ জানুয়ারি, ১৯৭৩

উচ্চতা

৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)

জাতীয়তা

ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ

প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক, ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ডানহাতি অফ-স্পিন, উইকেট-রক্ষক, জাতীয় দলের কোচ

পরিবার

বাবা: শরদ দ্রাবিড়

মা:  পুষ্পা দ্রাবিড়

স্ত্রী: বিজেতা পেনধারকর

কেরিয়ারের সূচনা

তিনি অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলে কর্নাটক রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এরপরই তিনি রঞ্জি ট্রফি দলে জায়গা করে নেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে কর্নাটকের হয়ে রঞ্জিতে অভিষেক করেন। দুর্দান্ত প্রথম সিজনে তিনি ৬৩.৩ গড় রেটে মোট ৩৮০ রান করেছিলেন। এর মধ্যে কয়েক শতাধিক রানও রয়েছে। এরপর তিনি দলীপ ট্রফিতে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হন।

খেলার প্রেক্ষাপট

রাহুল দ্রাবিড় ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ‘দ্য ওয়াল’, ‘জ্যামি’ এবং ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ হিসেবে পরিচিত রাহুলের জন্ম ১১ জানুয়ারি, ১৯৭৩ সালে ইন্দোরে।

পরবর্তীতে তিনি বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন। লেখাপড়ায় তিনি বরাবরই বেশ ভাল। তাঁর বাবা ছিলেন ক্রিকেটের ভক্ত। রাহুল ও তাঁর ছোট ভাইকে নিয়ে নিয়মিত ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে যেতেন। সেখানেই রাহুলের ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। রাহুল ১২ বছর বয়স থেকে পেশাদার ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।

অভিষেক

রাহুল তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক দিবসীয় সিরিজে। কয়েক মাস পরে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। অভিষেক ইনিংসে তিনি ৯৫ রান করেন।

উত্থান

একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে রাহুলকে ‘স্লো মোশন ব্যাটসম্যান’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। আর এই কারণেই একদিনের দলে জায়গা পেতে তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছিল। কিন্তু অচিরেই এই সমালোচনা কাটিয়ে উঠে তিনি একদিনের ক্রিকেটে উন্নতি করেছিলেন। ভারতীয় জাতীয় দলে তাঁর জায়গা পাকা হয়ে যায়। অভিষেকের তিন বছর পর ১৯৯৯ বিশ্বকাপে তিনি শীর্ষ ফর্মে ছিলেন। ৪৬১ রান করে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়েছিলেন।

ব্যাটিং ছাড়াও, তিনি ভারতের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দীর্ঘদিন উইকেট রক্ষক হিসেবে খেলেছেব। ৭১টি ক্যাচ ও ১৩টি স্টাম্পিং-সহ উইকেটরক্ষক হিসেবে তিনি ৮৪ জন ব্যাটারকে প্যাভিলিওয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যাচ (২১০) লোফার বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে তাঁর, তাও উইকেট রক্ষণ ব্যতিরেকে।

তার একদিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তিনি ৩৪৪ ম্যাচে ৩৯.১৭ গড় রান করেছেন। মোট ১০,৮৮৯ রান রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি শতক এবং ৮৩টি অর্ধশতক। ভারতের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

১৬৪ টেস্টে তিনি ৫২.৩১ গড় তাঁর। সংগৃহীত রান ১৩২৮৮। তিনি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে ৩৬টি শতক এবং ৬৩টি অর্ধশতক করেছেন। এ ছাড়াও তিনি টেস্টে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

রাহুলকে ভারতীয় জাতীয় দল এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তাঁর অধীনে ভারত-১৯ দল ২০১৬ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ২০১৬ এডিশনে রানার্স আপ হয়। ঋষভ পান্ত, শ্রেয়াস আইয়ার এবং সঞ্জু স্যামসন তাঁরই অসাধারণ আবিষ্কার।

২০১৭ সালে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি, দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ করেছেন। ভারত-সহ বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি।

Ravi Shastri : কোচ হিসেবে আমার থেকেও বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ রাহুল দ্রাবিড়! সহজ স্বীকারোক্তি শাস্ত্রীর

 

#লন্ডন: ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে আইসিসি ট্রফি জয় করতে পারেনি তিনি। সেটা অবশ্যই একটা ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতা মাথা পেতে নিচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আর্থারটন এবং নাসির হোসেনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শাস্ত্রী। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে তিনি যেটুকু সফল হয়েছেন তাতে তিনি গর্বিত।

টেস্ট ক্রিকেট দল হিসেবে তার আমলে ভারত ধারাবাহিক পারফর্ম করেছিল। ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে দুবার টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে এগিয়েছিল। সাদা বলের ক্রিকেটেও ধারাবাহিক ছিল ভারত। রবি শাস্ত্রী মনে করেন তিনি যে জায়গায় ভারতীয় দলকে রেখে গেছেন, সেখান থেকে রাহুল দ্রাবিড় কোচ হিসেবে আরো উপরে নিয়ে যাবেন দলকে।

রবি মনে করেন তার আসল জায়গা ছিল কমেন্ট্রি বক্স। যেহেতু বিসিসিআই তাকে একাধিকবার দলের প্রয়োজনে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল, সেটা ফেরাতে পারেননি তিনি। রবি শাস্ত্রী সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। সেটা ক্রিকেটার হিসেবেও ছিল, কোচ হিসেবেও তাই। তবে বিরাট কোহলি এবং দলের বাকিরা তার অধীনে যেভাবে লড়াকু ক্রিকেট খেলেছেন সেটা ভুলতে পারবেন না রবি শাস্ত্রী।

তিনি নিশ্চিত যেহেতু রাহুল দ্রাবিড় বয়স ভিত্তিক স্তরে কোচিং করিয়েছেন, তাই এখনকার ছেলেদের মানসিকতা বোঝার ক্ষেত্রে রাহুল অনেক বেশি এগিয়ে। বিসিসিআই একেবারে সঠিক লোককে দায়িত্ব দিয়েছে মনে করেন রবি শাস্ত্রী। সঠিক পথেই তিনি ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

ক্রিকেটার হিসেবে যেমন শান্ত মাথার ছিলেন রাহুল, কোচ হিসেবেও ড্রেসিংরুমে শান্তির পরিবেশ নিয়ে আসবেন তিনি। রবি শাস্ত্রী জানিয়েছেন ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটে আগামী দিনে অনেক রেকর্ড ভেঙে দেবে। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটে ধোনিকে পেছনে ফেলতে খুব বেশি দেরি হবে না তার। উইকেট রক্ষক হিসেবেও পন্থ যে অনেক উন্নতি করেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে।

Rahul Dravid : নো টেনশন, নো চিন্তা! ব্রিটিশ সিংহ বধের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী রাহুল দ্রাবিড়

#লন্ডন: ভারতের বিরুদ্ধে লিস্টারশায়ার প্রস্তুতি ম্যাচ অমীমাংসিত শেষ হয়েছে। মাঝে হাতে রয়েছে তিনটে দিন। তারপর শুক্রবার থেকে এজবাস্টন টেস্ট শুরু। নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে এমনিতেই দারুন আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। দলের সেরা ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন ভারতের বিরুদ্ধে খেলবেন বলে বিশ্রামে ছিলেন। অতীত ট্র্যাক রেকর্ড বলছে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের মাটিতে বরাবর একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।

তবে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় আত্মবিশ্বাসী একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানোর ব্যাপারে। রাহুল জানিয়েছেন দলের প্রস্তুতি যতটা হয়েছে, তাতে তিনি খুশি। বিশেষ করে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ প্রথম দুদিন ব্যাটিং করা রীতিমতো কঠিন ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরাট কোহলি, শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা যেভাবে পারফর্ম করেছেন তাতে তারা ইংলিশ আবহাওয়ার সঙ্গে এবং উইকেট এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন সেটা বোঝা গিয়েছে।

দ্রাবিড় মনে করেন আসল টেস্ট ম্যাচ অনেক বেশি কঠিন চ্যালেঞ্জ হলেও এই প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্লাটফর্ম দিয়েছে নিজেদের ভুল ত্রুটি যাচাই করে নেওয়ার। শুধরে নেওয়ার। তাই বেন স্টোকস, অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট
ব্রডদের সামলাতে তার ছেলেরা তৈরি।

চেতেশ্বর পূজারা রান না পেলেও তাকে নিয়ে চিন্তিত নন দ্রাবিড়। পূজারা আইপিএল চলার সময় ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলে গিয়েছেন। হয়তো এই ম্যাচে রান করতে পারেননি। কিন্তু এজবাস্টন টেস্ট ম্যাচে তিনি রান পাবেন নিশ্চিত রাহুল দ্রাবিড়। পাশাপাশি শামি, সিরাজ, বুমরাহদের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।

উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই জো রুটের জায়গায় ইংল্যান্ডের নতুন দায়িত্ব নেওয়া অধিনায়ক বেন স্টোকস ভারতকে ঘুরিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য এই সব মানসিক চাপের খেলা কি করে সামলাতে হয় বিলক্ষণ জানেন।

বেন স্টোকস কি বলেছেন সেটা নাকি তার কানে পৌঁছয়নি। আসলে পৌঁছলেও সেটা নিয়ে কথা বলে অযথা বিপক্ষকে নম্বর দিতে চান না টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যার। নিজের দলের ওপর অগাধ আস্থা দেখিয়েছেন তিনি।

IND vs SA : নিজের শহরেই আজ আফ্রিকান সিংহ বধ করে ভারতের সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে কোচ দ্রাবিড়

#বেঙ্গালুরু: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে সমতা ফিরিয়েছে সিরিজে। প্রবল চাপের মধ্যেও পরপর দুই ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ঋষভ পন্থরা। রবিবার গার্ডেন সিটিতে টি-২০ সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে, দু’বার সিরিজ পকেটে ভরার সুযোগ হারিয়ে টলে গিয়েছে প্রোটিয়া ব্রিগেডের মনোবল।

তাদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে শেষ ম্যাচে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার খেলা ঘিরে অনিশ্চয়তা। শুক্রবার ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ কনুইয়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাভুমা না খেললে তা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জোর ঝটকা হয়ে দাঁড়াবে। ভারতীয় শিবিরেও রয়েছে উদ্বেগ। তা সে বিশাখাপত্তনম ও রাজকোটে যতই ৪৭ ও ৮২ রানে জয় আসুক না কেন!

অধিনায়ক পন্থই তো রানের মধ্যে নেই। চার ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৫৭ রান। গড় ১৪.২৫। যেভাবে তিনি আউট হচ্ছেন, তা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। নেতা হিসেবেও নজর কাড়তে পারেননি ঋষভ।
এই সিরিজে প্রতি ম্যাচেই ওপেন করেছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রশ্নের মুখে তাঁর টেকনিক। গতির বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে দেখা যাচ্ছে তরুণ ওপেনারটিকে। সিরিজে মাত্র একবারই পঞ্চাশের গণ্ডি পেরতে সফল হয়েছেন ঋতুরাজ।

তিন নম্বরে নামা শ্রেয়স আয়ারের অবস্থাও তথৈবচ। স্পিনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ হলেও পেসারদের সামনে সমস্যায় পড়েছেন বারবার। বোলিংয়ে আবার বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব প্রকট।
অবশ্য ইতিবাচক দিকও রয়েছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় ভরসা রেখেছিলেন ক্রিকেটারদের উপর।

সিরিজে ০-২ পিছিয়ে পড়ার পরও দলে পরিবর্তন ঘটাননি। চার ম্যাচেই একই দল খেলিয়েছেন। তার মর্যাদাও দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ৪৭.৭৫ গড়ে ঈশান কিষানের ১৯১ রান ভরসা দিয়েছে দলকে। কয়েক মাস পরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপের দলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে জায়গা পাওয়ার দাবি জোরাল করেছেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া মিডল অর্ডারের ওজন বাড়িয়েছেন।

IND vs SA : আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ভারতের! কোন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন রাহুল দ্রাবিড় ?

#বিশাখাপত্তনম: কয়েকদিন আগে আইপিএলের মঞ্চ যাঁরা আলোকিত করেছিলেন, তাঁরাই এবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে চরম ব্যর্থ। হুট করে এভাবে আঁধার ঘনিয়ে আসার কারণ কি অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার ধকল? নাকি উদ্দীপনার ঘাটতি? স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল হোক কিংবা ঋতুরাজ গায়কোয়াড়— যেন এক খুরে সবার মাথা কামানো। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিপুল রান ব্যয় করছেন সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া চাহাল।

তারকা স্পিনারটি দুই ম্যাচে দিয়েছেন ৭৫ রান! একই পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা সাফল্য পেলেও ভারতীয় বোলিংয়ের এই হাল কেন? শুধু কী চাহাল, তথৈবচ অবস্থা অক্ষর প্যাটেলেরও। বর্ষীয়ান ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়া পাতে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স নেই ভারতীয় বোলিংয়ে। আভেশ খান কখনওই যশপ্রীত বুমরাহর বিকল্প নয়।

সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তাই উমরান মালিকের হয়ে সওয়াল করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে পারে আইপিএলে সাড়া ফেলা জম্মু ও কাশ্মীরের পেসারটির। হতাশ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। গুজরাত টাইটান্স তাঁর নেতৃত্বে এবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

হার্দিকের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল ভক্তদের। কিন্তু ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে আইপিএলে দেখা হার্দিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে বলছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটাররা যতটা তাগিদ অনুভব করেন, দেশের জার্সিতে ততটা নয়।

ভারতীয় ব্যাটিং একেবারেই জমাট বাঁধছে না। তার বড় কারণ ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অফ ফর্ম। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটারটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারছেন না। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তুলনায় ঈশান কিষান নামের প্রতি সুবিচারে সফল।

শ্রেয়স আয়ার আবার শুরুটা ভালে করেও আচমকা উইকেট ছুড়ে দিচ্ছেন। একেবারেই ছন্দে নেই অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দুই ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ২৯ ও ৫। শেষ ৪৫টি টি-২০ ইনিংসে মাত্র দু’টি হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার পন্থদের কাছে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। কাজটা সহজ নয়।

কারণ, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দুই ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। ছন্দ পেয়ে যাওয়া বাভুমারা জানেন, যতই তিনটি ম্যাচ বাকি থাকুক প্রথম রাতেই বেড়াল মারতে হবে।

Rahul Dravid : নেটে হার্দিক পান্ডিয়া এবং উমরানকে দেখে কতটা খুশি কোচ দ্রাবিড়? জানুন

 

#নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচ ভারতের। অনেকেই মনে করছেন ঘরের মাঠে ফেভারিট ভারত। কিন্তু তাদের সঙ্গে একমত নন রাহুল দ্রাবিড়। টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাদের সামনে কঠিন একটি দক্ষিণ আফ্রিকা দল অপেক্ষা করছে। যাদের হালকা করে দেখার কোন মানে নেই। গুজরাতকে আইপিএল জিতিয়েছেন সপ্তাহ খানেক আগে।

হার্দিক কি ভবিষ্যতে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন? ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। জানালেন, হার্দিকের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কথা বলেছেন উমরান মালিককে নিয়েও। ৯ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ শুরুর আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বললেন দ্রাবিড়। হার্দিককে নিয়ে ভারতীয় কোচের কথায়, কিছু ক্ষণ আগেই হার্দিকের সঙ্গে দেখা হল।

যারা আইপিএলের ফাইনালে খেলেছিল তাদের বাড়তি এক দিন ছুটি দিয়েছিলাম। হার্দিকের নেতৃত্ব আমার খুব ভাল লেগেছে। নেতা হতে গেলে অধিনায়কের পদে বসতেই হবে, এমন কথা নেই। ওকে বোলিংয়ে ফিরতে দেখে বেশি খুশি হয়েছি। ক্রিকেটার হিসেবে ওর থেকে সেরাটা বের করে আনতে চাই। ভবিষ্যতে কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচকরা। তবে তরুণ ক্রিকেটারদের আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে দেখে ভাল লেগেছে।

এদিন নেটে হার্দিকের বোলিং খুঁটিয়ে লক্ষ করেছেন দ্রাবিড়। তরুণ জোরে বোলার উমরান মালিক নজর কেড়েছেন। তাঁকে নিয়ে দ্রাবিড়ের মন্তব্য, খুব জোরে বল করতে পারে। আইপিএলে অনেক জোরে বোলার দেখলাম এ বার। বেশ ভাল লেগেছে। কোচ হিসেবে আমি দলের সীমিত ওভারের সাফল্য টেস্ট ক্রিকেটেও দেখতে চাই।

উমরানকে নেটে দেখে ভাল লাগল। এখনও শিখছে। উন্নতি করছে। যত বেশি খেলবে তত উন্নতি করবে। ওর মতো ক্রিকেটারকে পেয়ে দলের লাভ হবে। দেখা যাক ক’টা ম্যাচে ওকে সুযোগ দেওয়া যায়। বড় দল রয়েছে আমাদের। সবাইকে তো প্রথম একাদশে রাখা যায় না। তবে যে-ই সুযোগ পাক, আমি তাকে নিয়মিত খেলিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। রাহুল দ্রাবিড় জানিয়ে দিয়েছেন একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। আগে থেকে বেশি ভাবনা ভাবতে রাজি নন।

India vs South Africa: বদলা চাই বদলা! দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করতে মরিয়া দ্রাবিড়ের ভারত

নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ওয়ানডে সিরিজ হারতে হয়েছিল। সেই অপমান ভুলতে পারেননি রাহুল দ্রাবিড়। তাই ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বদলা ছাড়া কিছুই নেই ভারতীয় দলের মাথায়। হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয় লক্ষ্য ভারতের। অর্শদীপ সিং ও উমরান মালিক। সোমবার ফিরোজ শাহ কোটলায় ভারতের নেটে দুই পেসারের দিকেই ছিল নজর।

আরও পড়ুন – Umran Malik : শাহিনের কথায় রাগ করিনি, ওকে মাঠেই দেখে নেব! পাল্টা হুঙ্কার উমরানের

সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের ভুলত্রুটি শুধরে দিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে এই সিরিজে থাকছে টানা ১৩ টি-২০ ম্যাচ জিতে রেকর্ড গড়ার হাতছানি। পাশাপাশি, টি-২০ বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে ক্রিকেটারদের দেখে নিতে চাইছেন দ্রাবিড়। সেই কারণেই বুমরাহ, সামিদের অনুপস্থিতিতে ফোকাস থাকছে অর্শদীপ-উমরানের দিকে।

সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে গতির তুফানে মুগ্ধ করেছেন উমরান। কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও বোলিং কোচ পরস মামরের তত্ত্বাবধানে নেটেও আগুন ঝরালেন তিনি। তবে তাঁর তুলনায় অর্শদীপকে বেশি পরিণত দেখাল। বাঁহাতি পেসার ঘাম ঝরালেন ইয়র্কারকে শানিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে। তবে প্রথম ম্যাচে কে সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়াও স্কোয়াডে আছেন হার্শল প্যাটেল ও আভেশ খান।

ভুবিকে অবশ্য এদিন মিনিট পনেরোর বেশি বল করতে দেখা গেল না। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল যুজবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পান্ডিয়া ও হার্শলকে। দীনেশ কার্তিক আবার নেটে ল্যাপ স্কুপের জন্য সময় দিলেন। নেট বোলারদের সেইমতো নির্দেশ দিয়ে শর্ট ফাইন লেগ ও শর্ট থার্ডম্যানে ক্রমাগত শট মারার চেষ্টা চালালেন তিনি।

তবে প্রথম এগারোয় কার্তিকের জায়গাও নিশ্চিত নয়। কারণ, ঋষভ পন্থ দলের এক নম্বর কিপার। তিনি রাহুলের ডেপুটিও। নেটে উমরানের বলে জোরে জোরে শট নিলেন বাঁহাতি পন্থ। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে এই সিরিজে জৈব সুরক্ষা বলয় না থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। ঋষভের কথায়, আশা করছি আগামী দিনে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আর থাকতে হবে না।

বছরভর মারাত্মক চাপের মধ্যে ক্রিকেট খেলতে হলে মানসিকভাবে তরতাজা থাকা জরুরি। নাহলে একশো শতাংশ উজাড় করে দেওয়া যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ডোয়েন প্রিটোরিয়াস আবার মহেন্দ্র সিং ধোনির মন্ত্রে বিশ্বাসী। চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সুবাদে এমএসডি’কে দেখেছেন কাছে থেকে। তাঁর কথায়, ধোনির থেকে চাপ সামলানোর কৌশল রপ্তের চেষ্টা করেছি।

Harbhajan Singh on Dravid: নেটে দ্রাবিড়ের বোলিং গ্রিপ দেখে নেট মাধ্যমে ভুল শুধরে দিলেন হরভজন

#আমেদাবাদ: ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বুধবার অবশ্য পোলার্ড, হোল্ডার, পুরাণদের দল ভরপুর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে তাতে সন্দেহ নেই। ভারতীয় দলের নেট সেশনে স্পিন বোলিং করতে দেখা গেল রাহুল দ্রাবিড়কে। ক্রিকেট জীবনে অফ স্পিন বোলিং করেছেন হাতে গোনা কয়েক বার।

আরও পড়ুন – Harbhajan Singh on Dravid: নেটে দ্রাবিড়ের বোলিং গ্রিপ দেখে নেট মাধ্যমে ভুল শুধরে দিলেন হরভজন

সেই ছবি বিসিসিআই ট্যুইট করার পরে হরভজন লিখেছেন, বোলিং গ্রিপ বড্ড বেশি ফাঁক রয়ে গিয়েছে জ্যাম। এর ফলে বল তুমি যতটা চাইছ, ততটা ঘুরবে না। গ্রিপ আরও টাইট করতে হবে। তবেই স্পিন হবে বলে। উল্লেখ্য ১৯৯৯ ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে টেস্ট ম্যাচে একাই ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। তার বর্ষপূর্তি পালন করেছে বিসিসিআই।

আরও পড়ুন – IPL 2022 Mega Auction: বিশ্বকাপ জিতেও আইপিএলের মেগা নিলামে থাকবেন না অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় ক্রিকেটাররা?

নিজের রাজ্যের সিনিয়র ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন সতীর্থকে সম্মান দিতেই হয়তো বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। হরভজন নিজে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অফস্পিনার। রাহুল দ্রাবিড়ের প্রাক্তন সতীর্থ। কত ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছেন। ঘাম রক্ত ঝরিয়েছেন’। তাই টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান কোচের সঙ্গে এইটুকু মজা তিনি করতেই পারেন।

রাহুল দ্রাবিড় কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট এবং একদিনের সিরিজ দুটোই হেরে ফিরেছেন। কিন্তু হরভজন মনে করেন সঠিক লোকের হাতে দায়িত্ব রয়েছে ভারতীয় দলের। এই বছরের শেষে টি ২০ বিশ্বকাপ এবং তার পরের বছর দেশের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ।

হরভজন মনে করেন দ্রাবিড় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়ে ঠিক একটা দল সেট করে নেবেন। ক্রিকেটের জীবনে যতটা সিরিয়াস ছিলেন, কোচ হিসেবেও ততটাই সিরিয়াস আছেন।

Rahul Dravid on India vs New Zealand : হোয়াইটওয়াশ স্বস্তিদায়ক! কিন্তু উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই, বললেন দ্রাবিড়

#কলকাতা: জয়পুরের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির শহর রাঁচিতেই সিরিজের ফয়সালা হয়ে গিয়েছিল। রবিবার ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে তিন নম্বর ম্যাচটা ভারতের কাছে কার্যত নিয়ম-রক্ষার ছিল। দুটি পরিবর্তন হয়েছিল দলে। ঈশান কিশান এবং চাহাল। তাতেও দিনের শেষে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। টি টোয়েন্টিতে ৭৩ রানে জয় প্রমাণ করে বিপক্ষ দলকে দাঁড়াতেই দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল বলে কথা! সেই নিউজিল্যান্ডকে টি টোয়েন্টিতে ৩-০ মাত দেওয়া সহজ কাজ নয়।

আরও পড়ুন – Rohit Sharma At Eden: রোহিত-ইডেনের ‘প্রেম কাহিনী’ চলছেই, এবার ভেঙে দিলেন বিরাট কোহলির রেকর্ড

ম্যাচ শেষে রাহুল দ্রাবিড় জানালেন হোয়াইটওয়াশ ভেবে দেখার ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক। দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কাজটা কঠিন ছিল। বিশ্বকাপ খেলা দলটা ভারতে এসেই ছয়দিনের বিরতিতে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলল। এটা ওদের পক্ষে সহজ নয়। কিন্তু এটাই আমাদের জয়ের কারণ বলব না। দেখে ভাল লাগছে যে কজন তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, প্রত্যেকে সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। ঈশান ওপেন করে রান করার চেষ্টা করেছে। ভেঙ্কটেশ অলরাউন্ডার হিসেবে অবদান রাখছে।

অক্ষর দুরন্ত বল করেছে। চাহাল এবং হর্ষল প্যাটেল লড়াই করেছে। একটা টিম পারফরম্যান্স দেখা যাচ্ছে। একজন কোচ হিসেবে এটাই আমার কাছে স্বস্তিদায়ক বলছেন দ্রাবিড়। তবে সামনে লম্বা রাস্তা পড়ে রয়েছে। আরো কয়েকজন ক্রিকেটারকে সুযোগ দেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। ঋতুরাজ, আবেশ খানদের মত প্রতিভাবান তরুণ অপেক্ষা করছে রিজার্ভ বেঞ্চে। রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন দলের গ্রাফ শুধু ওপরেই উঠবে না। নিচেও নামবে। এই দল হারের সম্মুখীন হবে। কিন্তু কত তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারে সেটাই ঠিক করে দেবে দলে কাদের জায়গা পাকা হবে।

এই দলটা থেকে মাত্র কয়েকজন কানপুরে যাবে টেস্ট খেলতে। তাই সকালে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দরকার। হেড কোচ তাদের অনুরোধ করবেন তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে। বাকিরা রাতে মজা করতেই পারে। অর্থাৎ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে হেড কোচ হিসেবে নরমে-গরমে ছেলেদের এক ছাতার তলায় আনতে চাইছেন রাহুল দ্রাবিড়। তার কাজ করার স্টাইল বাকিদের থেকে ভিন্ন।

Rohit Sharma and Rahul Dravid PC : নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন রোহিত – দ্রাবিড় জুটি?

#জয়পুর: বুধবার থেকে জয়পুরে শুরু হতে চলা সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং টি টোয়েন্টি অধিনায়ক রোহিত শর্মা একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়াকে সম্বোধন করলেন এদিন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর এই প্রথম রাহুল দ্রাবিড় সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বললেন। টিম ইন্ডিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তার দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার পাশাপাশি, দ্রাবিড় এই কঠিন সময়ে দলের কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা বজায় রাখার বিষয়েও কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন – Harry Kane England 10 goals : ৫৬ বছর পর হ্যারি কেনের চার গোলে নতুন রেকর্ড স্পর্শ ইংল্যান্ডের

দ্রাবিড় এটাও স্পষ্ট করেছেন যে আলাদা ফরম্যাটের জন্য আলাদা দলের প্রয়োজন নেই। রোহিত শর্মা মনে করেন বিরাট কোহলির গুরুত্ব আগের মতোই থাকবে। ব্যাটসম্যান হিসেবে বিরাট কোহলি ভারতের সম্পদ। যখন ফিরে আসবেন, তখন বিরাটের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নেবেন তারা। রোহিত মনে করেন দলের কিছু জায়গায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেগুলো আগে পূর্ণ করতে হবে।

সৈয়দ মোস্তাক আলি, আইপিএল, ভারতের হয়ে খেলা। সবকিছুই সামাল দিতে হবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট মাথায় রেখে। তিনি এবং রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন অন্য দল টি টোয়েন্টিতে কী করছে সেটা দেখে ভারত চলবে না। ভারতীয় দল নিজেরাই নিজেদের মানদণ্ড ঠিক করবে। টি টোয়েন্টিতে আগ্রাসী ক্রিকেট শেষ কথা নয়। হিসেব করে এগোনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেহেতু একজন ক্রিকেটার অন্যজনের থেকে আলাদা, তাই প্রত্যেকের ভূমিকা আলাদা হবে।

কোচ এবং অধিনায়ক হিসেবে জায়গা না হারানোর প্রতিশ্রুতি এবং খোলা মনে খেলে যাওয়ার সাহস দেবেন তারা। তরুণ ক্রিকেটারদের যথেষ্ট ভরসা দিতে চান রোহিত এবং রাহুল দ্রাবিড়। দ্রাবিড় মনে করেন ভারতের কাছে টেস্ট ক্রিকেট যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ একদিনের ক্রিকেট এবং টি টোয়েন্টি। কিছু ক্রিকেটার এদিক-ওদিক করা যেতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা টিম প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না তার।

তবে পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং তারপর ভারতের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হবে দ্রুত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আইসিসি ট্রফি জয় ভারতের টার্গেট পরিষ্কার করে দিয়েছেন রাহুল এবং রোহিত জুটি। বিরাট কোহলি এবং রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক মনে রাখার মত মুহূর্ত উপহার দিলেও আইসিসি ট্রফি জিততে ব্যর্থ। নতুন কোচ এবং অধিনায়ক জানেন বোর্ড তাদের কাছে এটাই প্রত্যাশা করে।

অধিনায়ক হিসেবে এশিয়া কাপ এবং নিদাহাস ট্রফিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। রাহুল দ্রাবিড় ভারতের এ দল, অনূর্ধ্ব ১৯ এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোচের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু সিনিয়র দলের দায়িত্ব অন্য চ্যালেঞ্জ। প্রতি মুহূর্তে আতস কাঁচের তলায় থাকতে হবে। রাহুল দ্রাবিড় চাপ নিতে রাজি নন। ক্রিকেট জীবনে যেমন মুখে নয়, ব্যাটে জবাব দিতেন, কোচ হিসেবেও সেই ফর্মুলায় বিশ্বাসী তিনি।

KL Rahul on Dravid : রাহুল কলিং রাহুল! দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে খেলতে মুখিয়ে আছেন কে এল রাহুল

#মুম্বই: তিনি রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। শক্ত দেওয়াল। দ্বিতীয়জন, ইনিও রাহুল। কে এল রাহুল। দুজনেই বেঙ্গালুরুর। একজন অতীত হলে অন্যজন বর্তমান। ভবিষ্যতের সুপারস্টার। সুনীল গাভাসকার থেকে সচিন তেন্ডুলকর, যাঁর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ। ভারতীয় ক্রিকেটের টি টোয়েন্টি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সহ-অধিনায়ক কে এল রাহুল। তিনি মুখিয়ে আছেন রাহুল দ্রাবিড় এবং নতুন কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কাজ করার জন্য।

আরও পড়ুন – Rizwan medicated pillow : যেখানেই যান সঙ্গে থাকে বালিশ, রিজওয়ানের এই কান্ড কেন জানেন?

কে এল রাহুল জানিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ের সাহায্য তিনি ছোটবেলা থেকে পেয়েছেন কর্নাটকের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার সময় থেকেই বিভিন্ন সময় পরামর্শ পেয়েছেন দ্রাবিড়ের। আর এখন ভারতীয় দলে তার কোচিংয়ে খেলবেন। ব্যাপারটা ভাবলেই একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। কে এল রাহুল জানিয়েছেন দ্রাবিড়ের কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে মোটামুটি তিনি অবহিত।

এমন একটা পরিস্থিতি তিনি তৈরি করেন যাতে ড্রেসিংরুমে সব ক্রিকেটার হালকা মনে থাকতে পারে। যেমন সিরিয়াস, তেমনই মজা করতেও জানেন। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে বুঝিয়ে দিতে পারেন তাদের ভূমিকা। সাহস দেন। স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরার স্বাধীনতা দেন। ভারতের এ দলের হয়ে খেলার সময় তিনি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। দ্রাবিড়ের মস্তিষ্ক এবং গেম রিডিং অত্যন্ত প্রখর। কঠিন পরিস্থিতিতেও কখনও বাড়তি চাপ নিতে দেন না।

শুধু অনুশীলনে কার কোথায় খামতি, কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, হাতে ধরে দেখিয়ে দেন। দ্রাবিড়ের অন্যতম প্লাস পয়েন্ট কখনোই কড়া কোচের মত ব্যবহার করেন না। বড় দাদার মত ধৈর্য ধরে সাহায্য করেন। পাশাপাশি কেল রাহুল মনে করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা কতটা যোগ্য সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। রবি শাস্ত্রীর থেকেও অনেক পরামর্শ পেয়েছেন।

রোহিত শর্মার সঙ্গে তিনি ওপেন করেন। এমনিতেই একটা বোঝাপড়া আছে। তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে রোহিতের সাফল্য প্রশ্নাতীত। সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিত শর্মা কিংবদন্তী। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যে আঘাত ভারতীয় দল পেয়েছে এবারে ব্যর্থ হয়ে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তার জবাব দিতে মরিয়া থাকবে টিম ইন্ডিয়া। মাঝের সময়টা রাহুল দ্রাবিড় সময় পাবেন কম্বিনেশন তৈরি করার। কে এল রাহুল আশাবাদী ভারত রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়াবে।