Tag Archives: Repair Work

RG Kar Doctor Death: যে ঘরে ধর্ষিত হন ডাক্তার তরুণী, তার উল্টোদিকেই চলছে সংস্কার! প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? 

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের ভয়াবহতার জেরে উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদী স্বর শোনা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও। রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বেহাল। শহর ও জেলার ডাক্তাররা বিচার চেয়ে বিক্ষোভে শামিল। সে পরিস্থিতিতে নিঃশব্দে সেজে উঠছে আরজি কর? এমনই জানালেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।

আরজি কর হাসপাতালের যে চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনাররুমে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, তার বিপরীতেই নাকি চলছে সংস্কারের কাজ। তবে কি সূত্র লোপাটের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই প্রশ্ন উঠছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-এর একাংশের থেকে। ডিসি নর্থ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

যদিও সংস্কার কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। যা ছবি নজরে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘরে ভাড়া বাঁধা। দরজার জায়গায় বড় খোঁদল। চলছে মেরামতি।

আরও পড়ুন- মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

এ দিকে আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্টের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত।

আরজি কর মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন কখনওই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে ছিল না। সেই সঙ্গে আদালত আরও বলে, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী। এই মামলায় মৃতের পরিবারের মামলাকে মূল মামলা ধরে এগোনো হবে বলে মঙ্গলবার শুনানিতে জানায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে, সেই সঙ্গে আদালতের নজদারিতেই হবে শুনানি। সেই পরিস্থিতিতে আরজি করের সেই অভিশপ্ত সেমিনার রুমের বিপরীত দিকে মেরামতির ঘটনা সন্দিগ্ধ করছে বিক্ষুব্ধদের।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সেই তরুণী। গভীর রাতে ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর দেহ মাটিতে পড়ে ছিল সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। তাঁর সারা দেহে গভীর এবং ভয়ানক ক্ষতের নমুনা মিলেছে ময়নাতদন্তে।

Bridge Repair: বর্ষা আসতেই চাঁদা তুলে সেতু মেরামত করলেন গ্রামবাসীরা

পূর্ব বর্ধমান: নেই কোনও পাকা সেতু। বর্ষায় সেটাও বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে। তাই প্রশাসনের ভরসায় না থেকে একমাত্র ভরসার বাঁশের অস্থায়ী সেতু মেরামতি শুরু করলেন স্থানীয়রাই। পূর্ব বর্ধমানের এই বাঁশের সেতুটি দেখলে ভয় হবে আপনারও।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কালো মেঘে ঢাকছে আকাশ। তাই বর্ষা আসতেই দুর্ভোগ ঠেকাতে নিজেরাই সেতু মেরামতিতে হাত লাগলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা-১ ব্লকের ঘুঘুডাঙার বাসিন্দারা। নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই ঘুঘুডাঙায় খড়ি নদীর উপর রয়েছে একটি বাঁশের সেতু। যে সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ ফুট।

আর‌ও পড়ুন: অবশেষে যানজট মুক্ত হ‌ওয়ার পথে রানিহাটি

দীর্ঘদিন ধরে এখানে পাকা সেতুর জন্য স্থানীয়রা আবেদন করে আসছেন। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে প্রতি বছর বর্ষা এলেই এখানকার গ্রামবাসীরা নিজেরাই হাত লাগান সেতু মেরামতিতে। এই বছরেও এলাকাবাসীরা চাঁদা তুলে হাত লাগিয়েছেন সেতু মেরামতির কাজে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পাকা সেতু তৈরীর প্রতিশ্রুতি মিলেছে একাধিক বার। কিন্তু গত ২০-২৫ বছর ধরে আজও পাকা সেতু হল না। বহু মানুষ যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়ে। কয়েকদিন আগেও এই সেতুর খারাপ অবস্থার জন্য একজন গাড়ি নিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তাই এবার আমরা গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে নিজেরাই সেতু ঠিক করলাম।

জানা গিয়েছে খড়ি নদীর ওপরের এই সেতুটি স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বাঁশের অস্থায়ী এই সেতুর ওপর দিয়েই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা সহ অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। যার ফলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। কিন্তু বাঁশের সেতুর বেহাল অবস্থার জন্য প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে খুব শীঘ্রই এলাকাবাসীদের জন্য পাকা সেতুর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নান্দাই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সাহানাজ মোল্লা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী