Tag Archives: RG Kar murder

Supreme Court on RG Kar Murder Case: শুনানির দ্বিতীয় দিন! কর্মবিরতি ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বললেন প্রধান বিচারপতি

নয়াদিল্লি: আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে উত্তাল সারা দেশ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন ছিল। এদিন কর্মবিরতি ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। আরজি কর মামলার শুনানির জন্য বসল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আগে তাঁদের কাজে যোগ দিতে বলুন। কাজে উপস্থিত না থাকলে আমরা কীভাবে বলব তাঁদের উপস্থিতি ঘোষণা করতে? ওঁদের আগে কাজে যোগ দিতে বলুন। তারপর আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।“ চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, “হাসপাতালে এখনও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” বৃহস্পতিবারের সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই অভিযোগ করলেন আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন– পুরসভার ডেপুটি কমিশনার কাকাকে বিয়ে ভাইঝির, তরুণী বললেন, ‘প্রেম করেছি, কোনও অপরাধ করিনি’

শুরুতেই সিবিআই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টকে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টটি পড়েন। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘অভিযুক্তর মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়?’ জবাবে রাজ্যের তরফের আইনজীবী পিল সিব্বাল বলেন, ‘কেস ডায়েরির অংশ সেটা। সেখানেই আছে রিপোর্ট।’

চিকিৎসকদের আইনজীবী- আমাদের বক্তব্য শোনাই হয়নি
প্রধান বিচারপতি — আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এবং আপনারা আশ্বস্ত করুন পড়ুয়াদের তাঁদের কথা শোনা হবে।
আইনজীবী— আরডিএর কোনও সদস্যদের যুক্ত করা হোক
প্রধান বিচারপতি- আমরা অনেক ভেবে চিন্তে কমিটি তৈরি করেছি। একাধিক সিনিয়র মেম্বার আছেন। কমিটি সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা সেটা আমাদের অর্ডারে উল্লেখ করে দেব যেন কমিটি যেন সব স্টেক হোল্ডার এবং বিশেষ করে রেসিডেন্ট ডক্টরসদের সঙ্গে দেখা করবেন। দয়া করে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের এটা জানান।

গত সোমবারের শুনানিতে আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

Supreme Court on RG Kar Case: ময়নাতদন্তের ৫ ঘণ্টা পরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু! এত দেরি কেন? অফিসার ডেকে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি৷ এদিন আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই৷ রাজ্য এবং সিবিআই উভয়ের তরফেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় এদিন৷ অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্টও দেখতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ অন্যদিকে, সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তোলেন, দুর্ঘটনাস্থল ‘অল্টার্ড’ অবস্থায় মিলেছে৷

সলিসিটর জেনারেল জানান, চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ পুড়িয়ে ফেলার পরে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হলেও ঘটনাস্থলের কোনও ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি৷ চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী জানান, ছাত্রছাত্রীদের তরফে চাপ দেওয়ার পরে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়৷ যদিও রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল এদিন বারবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, রাজ্যের কাছে টাইমলাইন রয়েছে, অর্থাৎ, কখন ময়নাতদন্ত, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু, কী ঘটনাক্রম, তা বিস্তারিত তথ্য নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য৷

কিন্তু, তার পরেও উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ বলেন, ‘‘খুবই চিন্তার বিষয় একটা মিস্টার সিব্বাল, জিডি (জেনারেল ডায়েরি) এন্ট্রি হয়েছিল সকাল ১০টা ১০মিনিটে। তারপর রাত ১১টা ৪৫শের পর ক্রাইম সিন সিল করা হল?’’ যদিও এটি সঠিক তথ্য নয় বলে জানান কপিল সিব্বাল৷ তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ‘‘সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৭টা ১০-এর মধ্যে ময়নাতদন্ত হয়েছে৷ রাত ১টা ৪৫মিনিট নাগাদ আনন্যাচারাল ডেথের (ইউডি) কেস রেজিস্টার্ড হয়৷ ’’

কিন্তু, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বিচারপতি পাদ্রিওয়াল সিব্বালকে প্রশ্ন করেন, তাঁদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেখানে ইউডি (আনন্যাচরাল ডেথ) কেস ১১টা ৩০ মিনিটে রুজু করা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ এর আগে, এর আগে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাও আদালতকে জানিয়েছিলেন, আগে জিডি রেজিস্টার্ড হয়েছিল। রাত ১১টা ৩০শে ইউডি কেস রেজিস্টার্ড হয়। রাত ১১টা ৪৫শে এফআইআর রেজিস্টার্ড হয়।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ইনকোয়েস্ট বলছে ১০টা ১০শে ইউডি রেজিস্টার্ড হয়৷

সলিসিটার জেনারেল পাল্টা জানান, নির্যাতিতার বাবা জোর করায় এফআইআর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি৷

ইউডি কেস রেজিস্টার করা নিয়ে এই বিভ্রান্তি দূর করতে তাই পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশ আধিকারিককে আদালতে তলব করেন বিচারপতি পাদ্রিওয়াল৷

বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার ৩০ বছরের জীবনে এমন কেস ডায়েরি দেখিনি৷’’ যিনি এই ক্রম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সঠিক ভাবে আদালতকে জানাতে পারবেন, পরবর্তী শুনানির দিন তেমন কোনও আধিকারিককে আদালতে উপস্থিত রাখার জন্য রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে নির্দেশ দেন তিনি৷

বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা বলেন, ‘‘পরের দিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে, কলকাতা পুলিশের যে দক্ষ অফিসার পুরো ঘটনাক্রম আদালতকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন৷’’

তবে, তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে সিবিআই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা-ও এদিন আদালতে জানতে চান রাজ্যের তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বাল৷ সব শেষে আদালতের কাছে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানান, ‘‘আমরা জানতে চাই গত ১ সপ্তাহে সিবিআই কী তদন্ত করল৷’’

RG Kar Case: আদালতে সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর তৃণমূলের, ২৪ তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে মিছিলের প্রস্তুতি

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার দ্বিতীয় শুনানি। মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। এর পাশাপাশি স্বাধীনতার মধ্যরাতে হওয়া হিংসার তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দেবে রাজ্যও। তার আগে এইমস-সহ দেশের প্রতিটি কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থাগুলিতে সুরক্ষা ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১২টি নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

আরও পড়ুন– বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে বাংলায়, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

পাল্টা কর্মসূচির রাস্তায় হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেসও। আদালতে সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর তৃণমূলের। ২৪ তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে মিছিলের প্রস্তুতি করছে তারা। ‘নির্যাতিতার বিচার চাই, বিচার দাও, উত্তর দাও সিবিআই’ – এই স্লোগানে পথে নামার প্রস্তুতি চলছে।

আরজি করের ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিদিন চলছে নানা প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দল এক অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। আবার নাগরিক সমাজের বড় অংশের দাবি, তারা মনে করে না এই জঘন্য অপরাধের পিছনে কেউ একজন আছে। এর পিছনে একাধিক জনের জড়িত থাকার প্রসঙ্গের কথা তারা বারবার বলে আসছে ৷ এই অবস্থায় চাপ বাড়ছে সিবিআইয়ের।

আরও পড়ুন– নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু!‌ ‘গুলি চালাবেন না’ পুলিশকে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেডলাইন বিরোধী দলনেতার

আজ, বৃহস্পতিবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে তাদের অবস্থান জানাতে পারে ৷ আবার আগামিকাল, শুক্রবার সঞ্জয় রাইকে আদালতে পেশ করার কথা ৷ সেখানে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে খেয়াল রাখছে সবাই ৷ সেখানে সিবিআই নতুন কি তথ্য খাড়া করে সেদিকেও অনেকের নজর আছে। সব মিলিয়ে আগামী ২৪ তারিখ থেকে ফের রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে উঠতে পারে।

RG Kar Protest: গান হল প্রতিবাদের ভাষা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গান বাঁধলেন সঙ্গীত শিল্পী অর্পণ

হুগলি: সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডে জাস্টিস চেয়ে পথে নেমেছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষরা। ফুটবলপ্রেমী থেকে নাট্য ব্যক্তিত্ব কিংবা চিত্রশিল্পী সকলেই পা মিলিয়েছেন প্রতিবাদের মিছিলে। এবার আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদ নিয়ে গান বাঁধলেন একটি মিউজিক্যাল ব্যান্ড। তাঁদের গানের নাম অকালবোধন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই গান পোস্ট হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সহমত পোষণ করেছেন তাদের প্রতিবাদের গানের সঙ্গে।

আরও পড়ুনঃ চাকরি খুঁজছেন? স্নাতকোত্তর থাকলেই মিলবে মোটা টাকা! আবেদন করুন এখনই

গান শুধুমাত্র মনোরঞ্জনের জন্য নয়। গান হল একটি প্রতিবাদের ভাষা, যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এই মতাদর্শেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্বাধীনভাবে গান রচনা ও গান গেয়ে আসছেন অর্পণ সেনগুপ্ত। কখনো পরিযায়ী শ্রমিক, কখনবা শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি সমস্ত সোশ্যাল ইস‍্যুতেই গান বাঁধেন অর্পণ। এবার আরজি করের ঘটনার পর যা ঘটেছে যেভাবে মানুষ একত্রিত হয়ে পথে নেমেছেন এবার তাই নিয়েও প্রতিবাদের গান বাঁধলেন অর্পণ সেনগুপ্ত।

দক্ষিণেশ্বরের নিজের বাড়িতে বসেই চলে তাদের গানের আসর। সমাজে ঘটে যাওয়া সমস্ত ইস্যুতেই বেরিয়ে আসে তাদের গানের কথা। তার ব্যান্ডের অন্যান্য সঙ্গীরাও রয়েছেন তার এই গানের প্রতিবাদের সঙ্গে। নতুন হওয়া প্রতিবাদের এই গান কয়েক দিনের মধ্যেই মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক লক্ষ মানুষ সহমত পোষণ করেছে তাদের গানের সঙ্গে। এই বিষয়ে সংগীতশিল্পী অর্পণ সেনগুপ্ত বলেন, তাঁরা গান বাধেন মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, সমাজ পরিবর্তনের জন্য। অর্পণ আরও বলেন, তাঁদের গান শুনে যাতে আরও মানুষ উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে আসে জাস্টিসের জন্য সেই কারণেই তাঁদের গান বাধা। শুধু তাই নয় এই গান যদি মানুষের মনে নাড়া দেয় তাহলে তা মন্ত্রী-আমলাদের কাছেও পৌঁছাবে। তাদের গানের উদ্দেশ‍্য ভিউস বাড়ানো বা মনোরঞ্জন করা নয় বরং মানুষের যে প্রতিবাদের স্বর তাকে আরওউজ্জীবিত করা।

রাহী হালদার

Central Ministry RG Kar: আরজি করের নির্যাতিতার নাম-পরিচয় মুছতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করাল কেন্দ্র

কলকাতা: সমস্ত রকমের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা এবং নিহত চিকিৎসকের নাম, পরিচয়, ঠিকানা অথবা তাঁর সম্পর্কিত  যে কোনও তথ্য সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইলেক্ট্রনিক্স মন্ত্রক৷ বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সমস্ত সমাজমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম) এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম থেকে নিহতের নাম, ফোটোগ্রাফ এবং ভিডিয়ো ক্লিপিংস-সহ সমস্ত ‘পরিচয়চিহ্ন’ দ্রুত অপসারণ করতে হবে৷

আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতা এবং নিহত চিকিৎসকের ছবি এবং নাম-পরিচয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার ঘটনা নিয়ে এ বার তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার৷

ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার নাম-পরিচয় সামনে আনার বিষয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তলব করেছিল লালবাজার৷ তলব করা হয়েছে নাম-পরিচয় প্রকাশে অভিযুক্ত অন্যান্যদেরও৷

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বোনাস বাড়ল সিভিক ভলান্টিয়ারদের! বাড়তি কত টাকা? পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো ঘোষণা নবান্নের

কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্যাতিতার নাম বা ছবি প্রকাশ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য যাতে কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে না আসে, সমাজমাধ্যম পরিচালন সংস্থাগুলিকে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই নির্দেশের অন্যথা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ডাক! বিশৃঙ্খলা এড়াতে আরও নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সাবধানী নবান্ন

প্রায় এক দশক আগে জারি করা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর ছবি, পরিচয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে৷ যার পরে তৎপর হতে দেখা যায় লালবাজারকেও৷

Nabanna on RG Kar Issue: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ডাক! বিশৃঙ্খলা এড়াতে আরও নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সাবধানী নবান্ন

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় পথে নেমে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সংগঠন৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ৷ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের বৃহত্তর একটি অংশ৷ এমনকি, এর মধ্যেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন৷ সূত্রের খবর, তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করে বাড়ানো হতে চলেছে রাজ্যের প্রশাসনির ভবন, নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন নবান্নের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী। আরজি কর ইস্যু কে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ‘লোকদেখানো আন্দোলন’ নয়! মানুষের চোখে ধরা পড়ুক সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপের ঐক্যের ছবি, বার্তা দিল্লির

একাধিক সংগঠন ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছে আরজিকর ইস্যুকে সামনে রেখে। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিতে নবান্নের সংলগ্ন এলাকাতেও বিক্ষোভের আশঙ্কা করছে রাজ্য পুলিশ। তাই সবদিক মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নবান্নের বলেই সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ‘সব বহিরাগত!,’ শিণ্ডে সরকারকে অপমান করতেই বিক্ষোভ, নাবালিকা-শ্লীলতাহানি কাণ্ডে দাবি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর

অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবারও স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি৷ আন্দোলনের প্রথমসারিতে থাকার কথা সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপের৷ আজ, বুধবার থেকেই শ্যামবাজারে মঞ্চ বেঁধে সূচনা হয়েছে বিজেপির পাঁচ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির৷

অভিযোগ জানাতে কেন দেরি, সিবিআইকে কী যুক্তি দিলেন সন্দীপ? দেখুন ভিডিও

নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন৷ তাই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছিল৷ আরজি কর কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কেন এত দেরি করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই-এর সামনে এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজতে এখন মরিয়া সিবিআই-এর তদন্তকারীরা৷