Tag Archives: RSP

Biswanath Chowdhury death: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী, শোকপ্রকাশ করে অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা মমতার!

কলকাতা: প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ বাম আমলে দীর্ঘদিন রাজ্যের কারা এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ আজ সকাল ৬.৪০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর৷ দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷

কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশ্বনাথ চৌধুরীর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল৷ কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ টানা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর পরিবারের পক্ষে৷ এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে বিশ্বনাথবাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন৷ গত ১৬ জুলাই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷

বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণে আমি দু:খিত। উনি আমার বিরোধী রাজনীতি করলেও, আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। ওঁনার অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা ওঁনাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রচেষ্টাই কাজে এল না।এই দু:খের দিনে আমি ওঁনার পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের আমার আন্তরিক সহমর্মিতা জানাই।প্রাক্তন মন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রাজ্য সরকারী যে যে অফিস, কর্পোরেশন ইত্যাদি খোলা ররেছে সেখানে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে।’

আরও পড়ুন: বয়কট করল বিরোধী শিবির, তিনি কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে? দিল্লিতে জবাব দিলেন মমতা

১৯৭৭ সালে বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ এর পর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ছ বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি৷ ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হন বিশ্বনাথবাবু৷ যদিও ২০১৬ সালে ফের বালুরঘাট থেকে জয় পান তিনি৷ সবমিলিয়ে ৭ বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির বিধায়ক নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলান টানা ২৪ বছর৷

১৯৮৭ সালে প্রথমবার মন্ত্রী হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলান তিনি৷ প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷

Lok Sabha Election 2024: চা বাগানে হাতির হানায় ক্ষতিপূরণ বড় ইস্যু আলিপুরদুয়ারের ভোটে

আলিপুরদুয়ার: লোকসভা ভোটের প্রচারের প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে হাতি। আসলে গজরাজের আক্রমণে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার একের পর এক বাসিন্দার মৃত্যু এবং চাষবাসের ক্ষতি এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু আলিপুরদুয়ারে। মৃত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিকে হাতিয়ার করে সুর চড়াতে শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষই।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Lok Sabha Election 2024 West Bengal

আলিপুরদুয়ার জেলায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। লোকালয় বা বনবস্তি এলাকায় হাতির হানার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ মেলার আশা থাকে। কিন্তু চা বাগান এলাকায় হাতির হানায় কারোর মৃত্যু হলে বা ক্ষতি হলে কোন‌ও ক্ষতিপূরণ মেলে না। সেটাই এবারে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রশ্নে ব্রাত্যই থেকে যাবেন চা বাগান এলাকার বাসিন্দারা?

আর‌ও পড়ুন: ভোটের আগে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার পুলিশের, নাকা তল্লাশিতে অহেতুক আতঙ্ক নয়

চা বাগান এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে চা বাগান এলাকার বাসিন্দাদের আশা, এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে যিনি সংসদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি হয়ত এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সফল হবেন। লোকসভায় তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। হয়ত নতুন কোনও নিয়ম প্রণয়ন হবে। আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া চা বলয় ও বনবস্তি এলাকায় হাতির হানা নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হাতির হানার খবর আসে। সম্প্রতি মাদারিহাটে বুনো হাতির দলের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে। শুক্রবার কালচিনি ব্লকের ভার্নোবাড়ি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় একটি ঘর ও একটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়েছে হাতির হানায়। এদিকে বনববস্তি এলাকায় হাতির তাণ্ডবের জন্য ক্ষতিপূরণ মিললেও সেটা অনেক দেরি পাওয়া যায় বলে অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থী নয়, তবুও ভোটারদের বুথে আনতে চান ওঁরা! শহরজুড়ে পথ নাটকে বার্তা

এলাকাবাসীর এই দাবি প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, জেলায় জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থাকায় হাতির হানা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রাজ্য বিধানসভায় জানানো হয়েছে। বনমন্ত্রী কোন‌ওরকম কথা শোনেননি। লোকসভা নির্বাচনে জয় হলে বিষয়টি সংসদে তুলে ধরব। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, আইন প্রণয়ন করা কেন্দ্রের কাজ, চা বাগানের মানুষের ক্ষতি কেন্দ্র এতদিন দেখেনি। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত।

অনন্যা দে