Tag Archives: Ukraine

প্রথমে ইউক্রেন, তারপর বাংলাদেশ! পরপর ২ ঘটনার সাক্ষী, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ডাক্তারি পড়ুয়ার

যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য মাত্র চার মাসের মাথায় ফিরতে হয়েছিল! এবারে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ থেকে ফিরল শান্তিপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া। ছাত্রের সামনে বার বার একের পর এক বাধা।

নদিয়ার শান্তিপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্র অর্ক সমাদ্দারকে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন থেকে মাত্র চার মাসের মাথায় ফিরতে হয়েছিল। এরপর সে ভর্তি হয় বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ থেকেও তাকে ফিরতে হয়েছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তার সাক্ষাৎকারে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ অগাস্ট সে ভর্তি হয়। বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি ভারতীয় হিসেবে প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করেন যার মধ্যে ৫০ জন ছাত্র।

Ukraine | Russia: আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ধুন্ধুমার কাণ্ড! রাশিয়ার প্রতিনিধিকে সপাটে চড় ইউক্রেনীয় ব্যক্তির, ভাইরাল ভিডিও

তুরস্ক: আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ রাশিয়ার প্রতিনিধিকে একের পর এক চড়, থাপ্পড় কষালেন ইউক্রেনের প্রতিনিধি৷ তুরস্কের সম্মেলনের সেই ভিডিও হুহু করে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷

গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে পুতিনের রাশিয়া৷ কিভ-কে নাস্তানাবুদ করতে গত ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক স্ট্র্যাটেজি ছকছে ক্রেমলিন৷ এ দিকে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো পশ্চিমি দেশের রাষ্ট্রনেতারা৷

এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ৬১ তম পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অফ ব্ল্যাক সি ইকোনমিককমিউনিটির একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল৷ এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন রাশিয়া ইউক্রেন সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা৷

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সম্মেলন চলাকালীন ইউক্রেনের প্রতিনিধি ওলেকজান্দ্রা মারিকভস্কি যখন নিজের দেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন রাশিয়ার এক জনৈক প্রতিনিধি এসে তাঁর হাত থেকে সেই পতাকা কেড়ে নেন৷ শুধু তা-ই নয়, ওই রুশ প্রতিনিধি টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে দেন ইউক্রেনের পতাকা৷

আরও পড়ুন:যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর অব্যর্থ ‘টোটকা’! এই প্রাণীর তেল দেদার বিকোচ্ছে পাকিস্তানে

এরপরেই রাশিয়ার ওই প্রতিনিধির উপরে চড়াও হন ইউক্রেনের প্রতিনিধি৷ ছিনিয়ে নেন নিজের দেশের পতাকা৷ হাতাহাতিও চলে৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি৷

Ukraine Football Team : যুদ্ধের ময়দানে লড়াই জারি থাকলেও বিশ্বকাপের ময়দানে হেরে বিদায় ইউক্রেনের

#কার্ডিফ: দেশ কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে কেউ জানে না। যুদ্ধ চলছে এখনো। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ইউক্রেন বাসীদের। এমন অবস্থায় সব হারানোর দেশ কিছুটা মুক্তি চেয়েছিল ফুটবলকে জড়িয়ে ধরে। বিশ্বকাপে পৌঁছলে কিছুটা দুঃখ কম হত ইউক্রেন বাসীর। আত্মঘাতী গোল থামিয়ে দিল স্বপ্নের দৌড়। ফিফা বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান প্লে অফের শেষ ম্যাচে ওয়েলসকে হারালেই কাতার বিশ্বকাপে পৌঁছে যেতে পারত ইউক্রেন।

কিন্তু শেষ বাঁশি বাজতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফুটবলাররা। ফুটবলারদের পাশাপাশি গ্যালারিতে থাকা ইউক্রেনের সমর্থকদেরও একই অবস্থা। বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পৌঁছে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসে গিয়েছিল ইউক্রেনের সামনে। ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচে গতকাল কার্ডিফে অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের ফ্রি কিক বিপন্মুক্ত করতে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো।

কিন্তু তা জালে জড়িয়ে যায়। এই আত্মঘাতী গোলে অগ্রগমন শেষ অবধি ধরে রাখে ওয়েলস। এই গোল ১৯৫৮ সালের পর ফের ওয়েলসকে পৌঁছে দিল ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে। ইউক্রেনকে ছিটকে দিয়ে। রাশিয়ার যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন যে কোনও মূল্যে বিশ্বকাপে পৌঁছাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন চুরমার হতেই আর আবেগকে সামলাতে পারেনি গোটা ইউক্রেন দল।

গত বছর ইউক্রেন ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। তাতেই ইউক্রেনবাসী অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচগুলি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দেশের বাইরে গিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের অনুশীলন শুরু করতে হয় ইউক্রেন ফুটবলারদের।

এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে যুদ্ধ বন্ধের আর্জিও জানান জিনচেঙ্কো। আমরা ফুটবলাররা নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব আরও বেশি করে করতে চাই। প্রত্যেকেই চান শান্তিতে বসবাস করতে। সকলে মিলে এই যুদ্ধ থামাতে হবে। আজ ইউক্রেনে যুদ্ধ হচ্ছে। কে বলতে পারে কাল অন্যত্র তা হবে না? ফলে আমাদের সকলকে একজোট থাকতে হবে। ইউক্রেনের এই হার মন ভেঙে দিয়েছে অনেক ফুটবলপ্রেমীর। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা জিনিস ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখছিল। সেটা আর হল না।

War in Ukraine : হাতে ফুলের তোড়া, সেনা উর্দির সঙ্গেই মাথায় ওড়না, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে বিয়ে দুই সেনানীর

কিভ : রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ কয়েক হাজারের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ গৃহহীন লক্ষাধিক৷ এর মধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে নজর কাড়লেন দুই সেনানী৷ হাতে সমরাস্ত্র নিয়ে নয়৷ কিভে যুদ্ধের প্রান্তরে বিয়ে করে৷ নববিবাহিত দম্পতি লেসিয়া এবং ভ্যালেরি এখন ইন্টারনেটের আকর্ষণ৷ (war in Ukraine)

লেসিয়া এবং ভ্যালেরিকে বিয়ের সময় ঘিরে ছিলেন বাকি সেনারা৷ এক জন সেনাকে দেখা গিয়েছে ইউক্রেনের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রে সুর তুলতেও৷ পরনে সেনার পোশাক থাকলেও কনের মাথায় ক্যামোফ্লেজড হেলমেটের বদলে ছিল হোয়াইট ভেইল বা সাদা ওড়না৷

জার্মান সাংবাদিক পল রনঝেইমার প্রথম এই দম্পতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন৷ তার পর তা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে৷ ১৩ দিন ধরে ক্রমাগ রুশ আক্রমণে হিমশীতল মৃত্যুর করালছায়া গ্রাস করেছে কিভ, খারকিভ, মারিয়ুপোল, সুমি-সহ ইউক্রেনের শহরগুলিকে৷

আরও পড়ুন : ব্যাগপ্যাক, মায়ের লেখা চিরকুট এবং হাতে লেখা ফোননম্বর সম্বল করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১০০০ কিমি একাই পাড়ি বালকের

আরও পড়ুন : বাইরে অবিরাম বোমাবর্ষণ, জাগুয়ার এবং লেপার্ড-সন্তানকে নিয়ে বেসমেন্টের অন্ধকারে দিন কাটছে ভারতীয় চিকিৎসকের

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রঁর ব্যক্তিগত অনুরোধে রুশ প্রতিরক্ষা দফতর জানায় ইউক্রেনের একাধিক শহরে মানব করিডোর খুলে দেওয়ার কথা৷ কিন্তু যুদ্ধবিরতির পরও রুশ হানা বন্ধ হয়নি৷ অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডাইমার জেলেনস্কির দাবি, মধ্য ইউক্রেনের ভিন্নাইৎসিয়া বিমানবন্দর ধ্বংস হয়েছে রুশ মিসাইলের আক্রমণে৷

আরও পড়ুন :  পাতলা ভুরুর জন্য ভরসা কাজলপেন্সিল? ঘরোয়া টোটকায় নিমেষে ঘন করুন ভ্রুপল্লব

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পালানোর ঢল পড়ে গিয়েছে৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই দেড় মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে ভয়ঙ্করতম শরণার্থী সমস্যা দেখা দিয়েছে৷

Ukrainian Woman Singing National Anthem: রুশ হামলায় ভেঙেছে বাড়ি, ভেজা চোখেই জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন ইউক্রেনের মহিলা, ভাইরাল ভিডিও

#কিভ: ইউক্রেনে ক্রমশ বাড়ছে রাশিয়ার আগ্রাসন (Ukraine Crisis)৷ সেনা ছাউনি, সরকারি সম্পত্তি তো বটেই, রুশ গোলা বারুদ আছড়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ির উপরেও৷ কিন্তু ইউক্রেনের (Russia Attacks Ukraine)আমজনতা যে মনোবল হারাচ্ছেন না, একের পর এক ভিডিও, ছবিতেই তার প্রমাণ মিলছে৷

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করতে দেশের জাতীয় সঙ্গীতকেই বেছে নিয়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ৷ তার প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷

আরও পড়ুন: কৌতুক অভিনেতা থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, গোটা বিশ্বের মন জিতেছেন জেলেনস্কি

সেরকমই একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার হামলা বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে তছনছ হওয়ার পর তা পরিষ্কার করছেন ইউক্রেনের বাসিন্দা একজন মহিলা৷ একে বিপদের মুখে দেশ, ভিটে মাটি হারানোর ভয়, তার উপর সাধের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত, সবমিলিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ওই মহিলা৷

আরও পড়ুন: অন্ধকার শহর, এয়ারপোর্টে হঠাৎ মিসাইল হানা! ইউক্রেন থেকে ফিরলেন কলকাতার ছাত্র

কিন্তু ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কার করতে করতে অশ্রুসিক্ত চোখেই ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শোনা গিয়েছে কিভের বাসিন্দা ওই মহিলাকে৷

ইউক্রেনের এক সরকারি আধিকারিকের শেয়ার করা আরও একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী কিভের অদূরে একটি জনশূন্য রাস্তায় ভেসে আসছে ইউক্রেনের জাতীয় সঙ্গীতের সুর৷

যে কোনও মুহূর্তে ওই এলাকাতেও ঢুকে পড়তে পারে রুশ বাহিনী৷ কিন্তু বাদ্যযন্ত্রে জাতীয় সঙ্গীতের সুর শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার সব বাসিন্দা তাঁর সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন৷ রুশ হামলার মুখে এ ভাবেই নিজেদের মনোবল বাড়াচ্ছেন ভিটে মাটি আঁকড়ে থাকা ইউক্রেনবাসী৷

 

War in Ukraine : মিসাইল হামলার পরেও কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনের শিক্ষিকা! রক্তাক্ত মুখের ছবি দেখে শিউরে উঠছে বিশ্বের মানুষ

#কিভ: রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মুখ। যেন মৃত্যুর মুখ থেকে সদ্য ফিরে এসেছেন। কিন্তু তবুও চোখ দুটো যেন এই যুদ্ধ পার করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। এমনই এক রক্তাক্ত মুখের ছবি এই মুহূর্তে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে (War in Ukraine) কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন ওলেনা কুরিলো। তাঁরই ক্ষতবিক্ষত মুখের ছবি নেটিজেনের চোখে জল আনছে। একদিকে যুদ্ধের সাক্ষী থাকার যন্ত্রণা, অন্যদিকে বাঁচার প্রবল আশা। এই ছবি যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।

ওলেনা পেশায় ইউক্রেনের (War in Ukraine) একজন শিক্ষিকা। রাশিয়া অবরত মিসাইল আক্রমণ করে চলেছে ইউক্রেনের উপর। প্রাণে বাঁচতে বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন নাগরিকরা। এমনই এক মিসাইল হামলার সাক্ষী থেকেছেন ওলেনা। তাঁর চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অনেক কিছু। ঝুঁকিতে ছিল তাঁর প্রাণও। তবে ভাগ্যের জোরেই বেঁচে গিয়েছে ৫২ বছরের শিক্ষিকা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে দেশমাতৃকার জন্য সব কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- বাংলার তিয়াসা আশ্রয় নিয়েছেন বাংকারে! ইউক্রেনে মেয়ে আটকে, ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের

রাশিয়ার হামলায় ধূলিস্মাৎ হয়ে গিয়েছে ওলেনার বাড়িও। বাড়িতে যখন বিরাট বিস্ফোরণ হয়, তখন জানলার কাঁচের টুকরোগুলো এসে বিঁধে যায় ওলেনার মুখে। আশা করেননি বাঁচবেন। তাই ভাগ্যকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি। ওলেনা ইতিহাসের শিক্ষিকা। কোনও দিনও আশা করেননি এই জীবনে এমন অবস্থার সাক্ষী হতে হবে।

শিক্ষিকার কথায়, “আমি ইউক্রেনের জন্য সবকিছু করব যা যা সম্ভব, যেটুকু শক্তি বেঁচে আছে। আমি আমার দেশমাতৃকার পক্ষেই থাকব সব সময়ে।” আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-কে বলেছেন ওলেনা। ইউক্রেনবাসী এই মুহূর্তে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা বলে দিচ্ছে ওলেনার রক্তাক্ত মুখের এই ছবি। মুহূর্তে সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছে তাঁর ছবি।

এই ছবি দেখে ইউক্রেনের (War in Ukraine) উপরে পুতিনের রাশিয়ার এহেন আক্রমণের নিন্দা চলছে নেটদুনিয়ায়। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের ও রাশিয়ার ভাষায় জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের মানুষ শুধু শান্তি চায়। ইউক্রেনের সরকার শুধু শান্তি চায়। যুদ্ধ নয়। এও জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ার উপর পাল্টা আক্রমণ করবেন না। বরং নিজেদের রক্ষা করবেন।

Viral Video: একেই বলে সাহস! সামনেই বন্দুকধারী রুশ সেনা, ইউক্রেনের এই মহিলা যা করলেন…দেখুন

#কিভ: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি ছিল, যুদ্ধ নয়, সামরিক অভিযান। ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিগুলিই তাঁর সেনাবাহিনীর লক্ষ্য (Ukraine War Crisis)। সে দেশের আম জনতার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে না। কিন্তু আসলে তা হয়নি, বৃহস্পতিবার থেকেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। গোটা ইউক্রেনে মুহুর্মুহু বোমা-গুলির শব্দ। ত্রস্ত গোটা দেশ। চলছে যুদ্ধবিমান, সড়কপথে রুশে সেনার টহল, চারিদিকে গোলা-বারুদ, রকেট ভর্তি ট্যাঙ্ক (Ukraine War Crisis)।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই গোটা বিশ্বে এর নিন্দা শুরু হয়েছে। টোকিয়ো থেকে নিউ ইয়র্ক– রাশিয়ার দূতাবাসের বাইরে, বিভিন্ন জনবহুল স্থানে বহু মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের এক সাহসী মহিলার ভিডিও নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Video)। সশস্ত্র এক রুশ সেনার সামনে দাঁড়িয়ে নির্ভীক ওই মহিলা প্রশ্ন করেছেন, ‘এই দেশে কী করছ তোমরা?’ (Viral Video)

আরও পড়ুন: জঙ্গল পার করার সময় চা বাগানে ঢুকল ১২ হাতির দল, চলছে ফেরানোর চেষ্টা!

আরও পড়ুন: জিমের বাইরে সাবেকি পোশাকে আরও উজ্জ্বল সারা আলি খান, দেখুন নায়িকার ভাইরাল সব ছবি

আরও পড়ুন: গপ গপ করে ফুচকা খাচ্ছেন ফারহানের নতুন বউ শিবানি, বিয়ের ছবি ভাইরাল!

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের এক মহিলা রুশ সেনাকে প্রশ্ন করছেন, ‘কে আপনি?’। সেনার জবাব, ‘আমাদের কাজ আছে এখানে, দয়া করে ওদিকে যান’। যখন ওই মহিলা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি রাশিয়ার সেনা, পোর্ট সিটি হেনিচেস্কের ওই মহিলাকে বলতে শোনা যায়, ‘তাহলে এখানে কী করছ তোমরা?’ নেটপাড়ায় মহিলাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেন।

ওই সেনা তখন মহিলাকে বলেন, ‘আমাদের কথা বলে কোনও লাভ হবে না।’। সেনার হুঁশিয়ারি শুনেও পিছপা হননি মহিলা, তিনি নির্ভীক ভাবে বলেন, ‘তোমরা দখল করছ, তোমরা ফ্যাসিস্ট। বন্দুক নিয়ে আমাদের দেশে কী করছ তোমরা? এই নাও, এই সূর্যমুখী ফুলের দানাগুলো পকেটে রেখে দাও, যাতে তুমি মরলে অন্তত সূর্যমুখী জন্মায়।’ ইউক্রেনের জাতীয় ফুল সূর্যমুখী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কোনও পথচারী এই ভিডিও তোলেন এবং তা পরে ভাইরাল হয়ে যায়। (Viral Video)

লক্ষ লক্ষ ফলোয়ারদের বলেছিলেন করোনা আবার কী? তারপর যা করুণ পরিণতি হল সেলিব্রিটির

#নয়াদিল্লি: লক্ষ লক্ষ তরুণের কাছে তিনি আইকন, তিনি ৩৩ বছরের ফিটনেস এনথুজিয়াস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দিমিত্রি স্তুজুখ৷ যিনি বলেছিলেন করোনা ভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব নেই তিনিই মারা গেলেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে৷ করোনা সংক্রমণের প্রভাবে তাঁর হৃৎপিন্ডে বৈকল্য তৈরি হয়৷

তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সোফিয়া স্তুজুক  এই দুসংবাদ দিয়েছেন৷ সোফিয়া ও দিমিত্রি -র মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছেন৷ একবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের একবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়৷ তাঁর পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল এবং অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল৷

তিনি জানিয়েছেন , কার্ডিও ভ্যাসকুলার সিস্টেমে বড়সড় অসুবিধা তৈরি হয়েছিল৷ ওঁর হৃৎপিন্ড কাজ করছিল না৷ কারোরই কিছু করার ছিল না৷ ংং’

 

View this post on Instagram

 

КОРОНАВИРУС «COVID», ДЕНЬ 8 ⠀ Как вы все знаете из историй, я болею корлнавирусом. Сегодня, вернувшись домой, первый раз появился энтузиазм хотя бы что-то написать. Хочу поделиться, как я заболел и убедительно предостеречь всех: я тоже думал, что нет никакого ковида, и это все относительно. Пока сам не заболел. COVID-19 БОЛЕЗНЬ НЕ ЭФЕМЕРНАЯ! И тяжелая. Но обо всем по порядку. ⠀ Как это было? Плохо мне стало на второй день в Турции. Я проснулся среди ночи от того, что у меня отекла шея и было тяжело дышать. При этом немного побаливал живот. ⠀ На следующий день начал появляться кашель, но температуры никакой не было. Особых симптомов болезни тоже не было, поэтому я подумал, что это могут быть последствия после занятия спортом, смены климата и питания ну и плюс сон под кондиционером. ⠀ После возвращения из Турции я сразу же пошел сдавать разные анализы, делать УЗИ и на всякий случай решил пройти тест на COVID. Он оказался положительным? ⠀ На следующий день я поехал делать КТ. Мне назначили лечение и стали настаивать на госпитализации. Это отдельная история, потому что сейчас там идут ремонтные работы, больница полностью набита людьми, некоторые из них живут в коридоре?? Питания никакого нет, бумаги нет, столовых приборов тоже нет! Меня никто об этом не предупреждал. Медицине в нашей стране будет посвящён отдельный пост — что уж там, она это заслужила. ⠀ ПРО ЛЕЧЕНИЕ. Мне назначили курс лечения и сказали, что нужно его продолжать. Дали кислородный аппарат для дыхания, так как у меня низкий уровень кислорода (хотя я считаю, критическим он считается после 90, у меня же 94-96 это вполне позволительно для лечения дома, врач в приемной мне сказал тоже самое?). ⠀ ☝?Учитывая все эти факторы, я принимаю решение, что мне будет удобней и комфортней находиться на дистанционной опеке у себя дома, где у меня есть все условия для нормального лечения. В конце концов я всегда могу обратиться в нужные службы. Та и дома, как говорится, и стены лечат?? ⠀ Мое состояние стабильное.

A post shared by Dima Stuzhuk (@stuzhuk_dmitriy) on

দিমিত্রি সদ্য টার্কি গিয়েছিলেন৷ সেখানেই তিনি ভাইরাস সংক্রমিত হন৷ তিনি একদিন ঘুম থেকে উঠে টের পান গলায় অস্বস্তি রয়েছে , পাশাপাশি শ্বাসের কষ্ট রয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন এই কথা৷ নিজের স্বাস্থ্যের আপডেট দিচ্ছিলেন তিনি৷

তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা ১১ লক্ষ৷ তিনি প্রথমে করোনা আছে বলেই মানতে চাননি৷ তিনি অসুস্থ হওয়ার পর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছিলেন , “I also thought that there was no Covid… Until I got sick”. “COVID-19 DISEASE IS NOT EPHEME (short-lived)! And heavy,” আমি মনে করেছিলাম কোনও কোভিড নেই৷ যতক্ষণ অবধি না আমি অসুস্থ হচ্ছিলাম৷