Tag Archives: Russia Ukraine conflict

Kalimpong News: চোখে মুখে আতঙ্কের ছবি, রাশিয়া থেকে কোনও মতে বেঁচে ফিরলেন এ রাজ্যের বাসিন্দা…

বাগডোগরা: রাশিয়া থেকে শেষমেষ ভারতে ফিরল এই রাজ্যের এক বাসিন্দা৷ তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ এতদিনের ভয়ের সাক্ষী৷

সিকিউরিটি গার্ডের কাজে করতে গিয়েছিলেন কালিম্পঙের ছেলে তথা প্রাক্তন ভারতীয় সেনাকর্মী উরগেন তামাং। কিন্তু সেখানে গিয়েই ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি৷ রাশিয়ার সেনাকর্মীতে যোগ দিতে হয়েছিল তাঁকে৷

এর পরই মার্চ মাসে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম সারিতে লড়াই করতে হয়েছিল উরগেনকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি৷ ঘরে ফেরার আবেদন জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠান পরিবারকে।

আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁটা হয়েছিল হাসনাবাদের নাবালিকা, মুখ খুলতেই জানা গেল প্রতিবেশীর কুকীর্তি!

এরপরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার৷ সামাজিক মাধ্যমেও উরগেনের ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হতে থাকে৷ প্রশাসনের নজরে আসে উরগেনের এই ভিডিও।

আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিডের যম, এই পাতা খেলেই গায়েব হাঁটু ব্যথা, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

তখন থেকেই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রচেষ্টা চালানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷ দুইদেশের অনুমতিতে বৃহস্পতিবার, মস্কোতে পৌঁছান তিনি৷ এরপর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ আজ শনিবার, ঘরে ফিরলেন উরগেন।

বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন উরগেন৷ দেশে ফিরে জানান, ‘‘আনন্দ হচ্ছে, কালিম্পঙ চেয়ারম্যান এবং পরিবারের সকলের প্রার্থনায় আমি আজ দেশে ফিরতে পারলাম। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’’

তবে তিনি জানান দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই আসতে পারিনি৷ এবার পাকাপাকিভাবে দেশে ফিরছি।

অপরদিকে কালিম্পং পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান রবি প্রধান ঘর ওয়াপসি নিয়ে জানান,‘‘ আজ খুব আনন্দের দিন। দীর্ঘ লড়াই করে অনেক চিঠিপত্র পাঠানোর পর আজ উরগেন ফিরে আসতে পারল। উরগেনকে পেয়ে তার স্ত্রী এবং সন্তানরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন।’’

প্রসঙ্গত মোদির রাশিয়া সফরে পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেচিলেন৷ তখন ভারতীয় যারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে আছে, তাঁদের মুক্তির ব্যাপার নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা করেন তিনি৷ এর আগেও বেশ কয়েকজন রাশিয়া থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন৷

বিশ্বজিৎ মিশ্র

Kalimpong News: চোখে মুখে আতঙ্কের ছবি, রাশিয়া থেকে কোনও মতে বেঁচে ফিরলেন এ রাজ্যের বাসিন্দা…

বাগডোগরা: রাশিয়া থেকে শেষমেষ ভারতে ফিরল এই রাজ্যের এক বাসিন্দা৷ তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ এতদিনের ভয়ের সাক্ষী৷

সিকিউরিটি গার্ডের কাজে করতে গিয়েছিলেন কালিম্পঙের ছেলে তথা প্রাক্তন ভারতীয় সেনাকর্মী উরগেন তামাং। কিন্তু সেখানে গিয়েই ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি৷ রাশিয়ার সেনাকর্মীতে যোগ দিতে হয়েছিল তাঁকে৷

আরও পড়ুন:ইউরিক অ্যাসিডের যম, এই পাতা খেলেই গায়েব হাঁটু ব্যথা, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এর পরই মার্চ মাসে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম সারিতে লড়াই করতে হয়েছিল উরগেনকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি৷ ঘরে ফেরার আবেদন জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠান পরিবারকে।

আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁটা হয়েছিল হাসনাবাদের নাবালিকা, মুখ খুলতেই জানা গেল প্রতিবেশীর কুকীর্তি!

প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার৷ সামাজিক মাধ্যমেও উরগেনের ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হতে থাকে৷ প্রশাসনের নজরে আসে উরগেনের এই ভিডিও।

তখন থেকেই তাঁকে ভারতে ফেরানোর প্রচেষ্টা চালানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷ দুইদেশের অনুমতিতে বৃহস্পতিবার, মস্কোতে পৌঁছান তিনি৷ এরপর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ আজ শনিবার, ঘরে ফিরলেন উরগেন।

বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন উপগেন৷ দেশে ফিরে জানান, ‘‘আনন্দ হচ্ছে, কালিম্পঙ চেয়ারম্যান এবং পরিবারের সকলের প্রার্থনায় আমি আজ দেশে ফিরতে পারলাম। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’’

Modi On Russia-Ukraine Conflict: ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’’, ইউক্রেন সফরের আগেই পোল্যান্ড থেকে বার্তা মোদীর

ওয়ারশ: ইউরোপে যুদ্ধের আবহের মধ্যেই পোল্যান্ডে সরকারি সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝেই শান্তির বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷

তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’’৷ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে দু’দিনের ইউক্রেনে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার আগেই এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷

আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমাতঙ্ক ! তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে জারি হল ‘Full Emergency’

প্রায় ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন৷ ওয়ারশ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়৷

হোটেলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন৷ সেখানেও তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন৷ এই আতিথেয়তার জন্য তিনি পোল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে মাণিক সাহা, খতিয়ে দেখলেন ত্রাণের ব্যবস্থা 

সামনেই তাঁর ইউক্রেন সফর৷ তাঁর ঠিক আগে পড়শি দেশে দাঁড়িয়ে তিনি শান্তির বার্তা দিয়েছেন৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন ভারত মনে করে না যুদ্ধের মাধ্যমে কিছু সমাধান সম্ভব৷ আলোচনা ও কুটনীতির মাধ্যমে যুদ্ধের আবহে শান্তি স্থাপন সম্ভব৷

তিনি পোল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন, ‘‘আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট৷ আমরা কখনওই যুদ্ধকে সমর্থন করি না৷ যুদ্ধ সবসময়ই মানবতার পরিপন্থী আমরা পৃথিবীতে শান্তি-মানবতা স্থাপনে বিশ্বাসী৷ পৃথিবী জুড়ে সংঘাতের আবহে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করা জরুরি৷’’

Russia Ukraine conflict: রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের সেনা! কোন দিকে মোড় নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত

কিয়েভ: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের এখনও কোনও বিরাম নেই৷ ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনা কাল৷ রাশিয়াই প্রথম ইউক্রেনের মাটিতে আক্রমণ চালায়৷

অনেকেই ভেবেছিলেন কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়া কিয়েভের দখল নেবে৷ কিন্তু তা হয়নি৷ কিয়েভ রাশিয়ার আক্রমণকে ২০২২ থেকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে৷

আরও পড়ুন: মলদ্বীপ সফরে এস জয়শঙ্কর, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ কি গলতে শুরু করেছে?

এবার ইউক্রেনের তরফ থেকে পাল্টা হামলার পালা৷ মঙ্গলবার, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনীর প্রায় ১,০০০ সেনা ও দুই ডজনের বেশি সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা রয়েছে৷

আরও পড়ুন: ইরানের হুঁশিয়ারি, সামরিক প্রস্তুতি শুরু ইজরায়েলে, কোন দিকে মোড় দিচ্ছে মধ্য-প্রাচ্যের যুদ্ধের আবহাওয়া

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর থেকে এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় প্রত্যাঘাত৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সংস্থার মতে, ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার ১০ কিমি অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে৷

যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের ইউনিটগুলোকে ধ্বংস করতে রাশিয়া এয়ারস্ট্রাইক করেছে৷

এই প্রসঙ্গে জেলেনেস্কি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘এই যুদ্ধটাকে রাশিয়াই আমাদের মাটিতে নিয়ে এসেছে৷ তারা কী ভুল করেছে? সেটা তাদের বোঝা উচিত৷ ইউক্রেনের বাসিন্দারা জানে কীভাবে নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে হয়৷ আমরা কিন্তু তাঁর জন্য প্রথমে যুদ্ধকে বেছে নিইনি৷’’

রাশিয়া ইউক্রেনের মাটিতে ক্রমাগত রকেট হামলা করেছে৷ ইউক্রেনের এই পাল্টা প্রত্যাঘাত ইউরোপের যুদ্ধকে আবার অন্যদিকে মোড় নিল৷

Indian Dies Fighting For Russian Army: নিহত রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ১ ভারতীয়, মৃতদেহকে দেশে ফেরানোর আর্জি মৃতের পরিবারের

মস্কো: কয়েকদিন আগেই রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয়েছে৷ সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন৷ তাঁদের দ্রুত মুক্তির ব্যপারেও তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷

এরই মধ্যে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে একজন ২২ বছরের তরুণের মৃত্যুর খবর এল৷ মৃত ব্যক্তিটি হরিয়ানার কাইথাল জেলার মাতুল গ্রামের বাসিন্দা৷ ব্যক্তির নাম রবি মউন৷

আরও পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই চোখে ছিল ইউপিএসসির স্বপ্ন, দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় সলিল সমাধি স্বপ্নের, হাহাকার তানিয়ার পিতার

তাঁর দাদা অজয় মউন জানান, ‘‘রবি জানুয়ারি মাসে রাশিয়াতে গিয়েছিল৷ একজন এজেন্ট তাঁকে পরিবহন দফতরের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন৷ কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর তাঁকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য এক প্রকার বাধ্য করা হয়৷’’

আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত ১ সেনা, আহত মেজর পদমর্যাদা সহ ৪ জন

অজয়ের দাবি, রবি মউনকে কারাবাসের হুমকি দিয়ে এক প্রকার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ পরিবারের সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মৃত সেনাকে পরিখা খননের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ ৬ মার্চ থেকেই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন৷ ১২ মার্চের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর সমস্ত যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷

২১ জুলাই, ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে রবি মউনের ভাইয়ের কাছে একটা ইমেল আসে৷ তারপরই রবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, রবির পরিবারকে দেশের কোনও একটা হাসপাতাল থেকে করা ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে৷

রবি মউনের পরিবার তাঁর মৃতদেহকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরেজওয়ালা পরিস্থিতিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন৷ সংকট মোকাবেলার জন্য সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানিয়েছেন৷

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জুলাই মাসেই আরও দুজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সুরাট, আর এক জন হায়দরাবাদের ব্যক্তি৷ এবার আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যুতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ভারতীয়দের দুরবস্থার চিত্রটি স্পষ্ট করল৷

Rodger Federer helps Ukraine : মানবিক রজার ফেডেরার! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে দিলেন বিশাল আর্থিক সহায়তা

#জুরিখ: চ্যাম্পিয়নরা বোধ হয় এরকমই হন। খেলার মাঠে যতটা নির্দয় এবং লড়াকু, সাধারণ জীবনে ততটাই মানবিক এবং নরম মনের। তিনি টেনিস বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা।। জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু ইউক্রেনের অবস্থা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল। বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে।

আরও পড়ুন – SA vs BAN, Sakib Al Hasan: সাকিব, তামিমদের ব্যাটিং বিক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের

রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী শাখার হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। যা সে দেশের মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বহু শিশু বাবা বা মাকে হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। তাদের দুর্দশায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন ফেডেরার। সেই সব শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন সুইস তারকা। জানিয়েছেন, ইউক্রেনের শিশুদের সাহায্যে কাজ করবে রজার ফেডেরার ফাউন্ডেশন। তিনি নিজে দিচ্ছেন পাঁচ লক্ষ ডলার।

মূলত ইউক্রেনের শিশুদের শিক্ষার জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। নেট মাধ্যমে ফেডেরার লিখেছেন, আমি এবং আমার পরিবার ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত নির্দোষ মানুষদের ছবি দেখে মর্মাহত। আমাদের হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে। ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী আরও লিখেছেন, ইউক্রেনের যে সব শিশুর সাহায্য প্রয়োজন, আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই।

উইক্রেনের প্রায় ৬০ লক্ষ শিশু স্কুল যেতে পারছে না। জানি এই কঠিন সময়ে তাদের পক্ষে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আমরা ওদের পাশে থাকতে চাই এই সময়। এর আগে বিশ্বের আর এক প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় এবং ইউনিসেফের দূত অ্যান্ডি মারে জানান, ২০২২ সালে তিনি পুরস্কার মূল্য হিসেবে তাঁর সমস্ত আয় ইউক্রেনের শিশুদের সাহায্যে দান করবেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনবাসীর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। এছাড়া ফুটবল বিশ্বে রাশিয়াকে আগেই এক ঘরে করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফিফা এবং উয়েফা পুতিনের দেশকে বিশ্বকাপ ছাড়াও বিভিন্ন ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দিয়েছে।

Ukraine Viral Video: যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা খাওয়ালেন ইউক্রেনীয়রা, সহমর্মিতার ভিডিও ভাইরাল!

#ইউক্রেন: যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সেনার সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণের ভিডিও এখন ভাইরাল (Ukraine Viral Video)। ইউক্রেনীয়দের একটি দল এক যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে (Russian Army) গরম চা ও খাবার দিচ্ছে এবং যুদ্ধস্থল থেকেই সৈন্যের মাকে ফোন করে ছেলের সুস্থ থাকার বার্তা দিয়ে নেটিজেনদের মন জয় করেছেন ইউক্রেনীয়রা। রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা এবং জলখাবার দেওয়ার তথা রাশিয়ান সৈন্যের প্রতি সমবেদনা দেখানোর এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে (Ukraine Viral Video) দেখা গিয়েছে একজন ইউক্রেনীয় মহিলা ওই সৈন্যকে শান্ত করছেন, অন্য একজন সৈন্যের খাওয়ার জন্য এক টুকরো পেস্ট্রি ধরে রেখেছেন। যুদ্ধবন্দি ওই সৈন্য অবিরাম কাঁদছেন।

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মাঝেই নতুন সূচনা, বম্ব শেল্টারে বিয়ে করলেন ইউক্রেনের দম্পতি! ভাইরাল ছবি

“টেলিগ্রামে প্রচারিত অসাধারণ এক ভিডিও (Ukraine Viral Video)। ইউক্রেনীয়রা একজন বন্দি রুশ সৈন্যকে খাবার ও চা দিলেন এবং সেনার মাকে ফোন করে জানালেন যে তার ছেলে ঠিক আছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছে ওই সৈন্য। এই ভিডিওর সংবেদনশীলতা আর পুতিনের বর্বরতা দু’টোর তুলনা করুন,” বলেন সাংবাদিক ক্রিস্টোফার মিলার। ভিডিওটি ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে, ২৭,০০০ এরও বেশি মানুষ এটি লাইক করেছেন।

একজন লিখেছেন, “সহানুভূতি, গরম চা এবং ঘরে তৈরি কেক রাশিয়ার হাইকমান্ডের নিস্তরঙ্গ হৃদয় গলানোর উপায়”, অন্য একজন অবশ্য বলেছেন, “ক্যামেরাতে যুদ্ধবন্দিদের দেখানো অনুচিত।”

দ্য ইউ.এস. সান জানিয়েছে, ওই ভিডিওতে (Ukraine Viral Video) এক ব্যক্তি বলছেন, “এই যুবকদের তো দোষ নয়। তারা জানেও না কেন তারা এখানে এসেছে। ওরা পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করছে, রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে।

আরও পড়ুন- ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর ভালো প্রভাব পড়বে বিধানসভা ভোটে: অমিত শাহ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যরা এই মুহূর্তে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ‘সবাইকে গুলি করতে’ বলা হয়েছে তাঁদের। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের খাদ্য ও জ্বালানি সহ নানান সম্পদেরও অভাব রয়েছে। খাবারের অভাবে, রাশিয়ান সৈন্যরা যুদ্ধ এড়াতে তাদের নিজেদের যানবাহনেই হামলা করছে বলে জানা গিয়েছে। সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন অংশীদার ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র ঢের। ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষ রাশিয়ান ভাষায় কথা বলেন। ইউক্রেনের মানুষ জানিয়েছেন তারা সৈন্যদের বিরুদ্ধে নন, রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে। সৈন্যদের খাবার এবং চা দেওয়া স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যুদ্ধের আবহেও মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতা সম্পূর্ণ ঘুচে যায়নি।