Tag Archives: Ukraine Russia War

Ukraine Russia War: ‘ভারতের অনেক প্রভাব’, ইউক্রেন যুদ্ধে মোদিকে পাশে চাইলেন জেলেনস্কি

কিয়েভ: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রায় ৩০ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এরমধ্যেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর মোদিকে পাশে পেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী জেলেনস্কি। তিনি ভারতকে ‘বড় প্রভাবশালী দেশ’ হিসাবে উল্লেখ করেন এবং এই যুদ্ধে ভারতকে ইউক্রেনের পাশে চাইছেন তিনি এই কথাও তিনি জানান।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ভারত নিজের কাজ করছে। আমার ভারতও বুঝতে পেরেছে এটা শুধু কোনও দ্বন্দ্ব নয়। এটা প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধ এবং এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোটা ইউক্রেন লড়ছে সেই ব্যক্তির নাম হল পুতিন। ভারত একটা বড় দেশ। তাঁর অনেক প্রভাব রয়েছে।” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঠিক এই কথাই জানান জেলেনস্কি।
এছাড়াও তিনি বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী মোদি পুতিনের থেকেও বেশি শান্তি চান। সমস্যা হল পুতিন শান্তি চান না।”

আরও পড়ুন: এনক্লোজার টপকে বাঘের খাঁচার সামনে তরুণী, শুরু ‘কুকর্ম’! তারপর? ভাইরাল ভিডিও
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝেই ভারতের দিকে সাহায্যের আবেদন রেখেছেন জেলেনস্কি, তিনি বলেন, “আপনি পুতিনের দেশের অর্থনীতি স্তব্ধ করে দিতে পারেন। আমি মোদিকে অনুরোধ করব তিনি যেন ভারতে একটি বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেন।”
ভারতে আসার ক্ষেত্রেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। এই প্রসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ” আমার ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। কারণ যখন কোনও সমঝোতা হয় সেটা দুই পক্ষের মধ্যে সমানভাবে হয়। পরের সাক্ষাৎ ভারতে হলে আমি খুশিই হব। “

Indian Dies Fighting For Russian Army: নিহত রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ১ ভারতীয়, মৃতদেহকে দেশে ফেরানোর আর্জি মৃতের পরিবারের

মস্কো: কয়েকদিন আগেই রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয়েছে৷ সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন৷ তাঁদের দ্রুত মুক্তির ব্যপারেও তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷

এরই মধ্যে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে একজন ২২ বছরের তরুণের মৃত্যুর খবর এল৷ মৃত ব্যক্তিটি হরিয়ানার কাইথাল জেলার মাতুল গ্রামের বাসিন্দা৷ ব্যক্তির নাম রবি মউন৷

আরও পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই চোখে ছিল ইউপিএসসির স্বপ্ন, দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় সলিল সমাধি স্বপ্নের, হাহাকার তানিয়ার পিতার

তাঁর দাদা অজয় মউন জানান, ‘‘রবি জানুয়ারি মাসে রাশিয়াতে গিয়েছিল৷ একজন এজেন্ট তাঁকে পরিবহন দফতরের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন৷ কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর তাঁকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য এক প্রকার বাধ্য করা হয়৷’’

আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত ১ সেনা, আহত মেজর পদমর্যাদা সহ ৪ জন

অজয়ের দাবি, রবি মউনকে কারাবাসের হুমকি দিয়ে এক প্রকার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ পরিবারের সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মৃত সেনাকে পরিখা খননের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ ৬ মার্চ থেকেই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন৷ ১২ মার্চের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর সমস্ত যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷

২১ জুলাই, ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে রবি মউনের ভাইয়ের কাছে একটা ইমেল আসে৷ তারপরই রবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, রবির পরিবারকে দেশের কোনও একটা হাসপাতাল থেকে করা ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে৷

রবি মউনের পরিবার তাঁর মৃতদেহকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরেজওয়ালা পরিস্থিতিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন৷ সংকট মোকাবেলার জন্য সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানিয়েছেন৷

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জুলাই মাসেই আরও দুজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সুরাট, আর এক জন হায়দরাবাদের ব্যক্তি৷ এবার আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যুতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ভারতীয়দের দুরবস্থার চিত্রটি স্পষ্ট করল৷

Modi And Putin Visit: মস্কো সফরে মোদি পেলেন সর্বোচ্চ বেসরকারি সম্মান, তালিকায় আছে আরও অনেক কিছু

মুম্বই: রাশিয়ার মাটিতে যুদ্ধরত ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে মোদি-পুতিনের মধ্যে৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির মুকুটেও যোগ হল নতুন এক পালক৷ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্টেল’ উপাধিতে ভূষিত করেন। মূলত রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অভাবনীয় উন্নতির কারণেই এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল৷

আরও পড়ুন:মোদি-পুতিনের সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরে কোন কোন সুবিধা পাচ্ছে ভারত?

প্রধানমন্ত্রী মোদির দুই দিনের রাশিয়া সফর শেষ৷ রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির যে বৈঠকটি হয়েছিল, তা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও দুই দেশের যৌথ বৈঠক নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে করা হচ্ছে এই সফরের পর দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়েছে।

এই সফরে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ছিল পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিস্তারিত আলোচনা৷ প্রসঙ্গত রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর আগ্রাসনের পর প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ায় গেলেন৷ শোনা গিয়েছে মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন৷ সেখানে ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দুই দেশের শান্তি পুনরুদ্ধার করতে তারা সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷

আরও পড়ুন:পরাজিত ঋষি সুনক, বিদায়ী সম্ভাষণে কী বললেন প্রথম ভারতীয় বংশদ্ভূত ব্রিটিশ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী?

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানান, “শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য, ভারত সব উপায়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত৷ আমি সারা বিশ্বকে আশ্বস্ত করছি যে ভারত শান্তির পক্ষে৷”


যুদ্ধে ভয়াবহতার কথাও নিয়েও প্রধানমন্ত্রী তাঁর চিন্তা ব্যক্ত করেছেন৷ বিশেষ করে যুদ্ধে নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যু প্রসঙ্গে করে বললেন, “যুদ্ধ, সংঘাত হোক বা সন্ত্রাসী হামলা হোক – যখন প্রাণহানি হয় মানবতায় বিশ্বাসী সকল মানুষেরই তখন বেদনা হয়। কিন্তু যখন নিরপরাধ শিশুদের হত্যা করা হয় তখন তা হৃদয় বিদারক। সেই যন্ত্রণা অপরিসীম। এ নিয়ে আমি আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও করেছি।”

এই সফরের ভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি – ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াইরত ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ মেনে নিয়েছেন। সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি তাঁর বাসভবনে আয়োজিত এক ব্যক্তিগত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত অনেকদিন ধরেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করা ভারতীয়দের দুর্দশা, নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল। খবর অনুযায়ী, যুদ্ধে চার ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে৷ তারমধ্যে ১০ জন দেশে ফিরেছে। অনুমান করা হচ্ছে এখনও প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন ভারতীয় রাশিয়ায় আটকে আছে।

এছাড়াও রাশিয়ার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্টেল’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

Boycott Russian Vodka: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে নেটিজেনরা, বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বয়কট ভদকা’র ডাক

#নয়াদিল্লি: রাশিয়ার ইউক্রেন (Russia Ukraine Conflict) আক্রমণের পর থেকেই ট্যুইটারে ঝড় তুলেছে ‘রাশিয়ান ভদকা’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত মদ ‘রাশিয়ান ভদকা’ বয়কট (Boycott Russian Vodka) করেছে। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনে এই পদক্ষেপটি অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। একাংশের ধারণা, প্রতিটি ছোট বিষয়ও পার্থক্য তৈরি করে। অন্য কিছুজনের মতে এই বয়কটের (Boycott Russian Vodka) কোনও অর্থই নেই কারণ এই দেশগুলি অন্যান্য রাশিয়ান পণ্য আমদানিতে বাধা রাখেনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ জন নাগরিক। ইউক্রেন সংকট (Ukraine War) যত গভীর হচ্ছে যুদ্ধ বিপর্যস্ত দেশটির প্রতি নিজেদের সমর্থন জানাতে বিভিন্ন উপায়ে (Boycott Russian Vodka) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নেটিজেনরা।

আরও পড়ুন- বোমার শব্দে আতঙ্কে সারমেয়, পোষ্যকে ফেলে ভারতে ফিরতে নারাজ পড়ুয়ার সাহায্যের আর্তি

“অন্টারিওর লিকার কন্ট্রোল বোর্ড (এলসিবিও) আর রাশিয়ান ভদকা বিক্রি করবে না। কানাডার LCBO বিশ্বের বৃহত্তম না হলেও অন্যতম বড় অ্যালকোহল আমদানিকারক।”

ট্যুইটারে অনেকেই লিখছেন, “সমস্ত রাশিয়ান ভদকা বয়কট করুন। ওদের তেল এবং গ্যাস বয়কট করা অবশ্যই অনেক বেশি অর্থবহ— কিন্তু ও দেশের ভদকা বয়কট (Boycott Russian Vodka) করাটা আমরা আজ, এক্ষুণি করতে পারি। বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে রিট্যুইট করুন। আপনার বারটেন্ডার এবং স্টোর ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মুদি দোকান এবং অন্যান্য খুচরা বিক্রেতাদের ট্যুইট করুন।”

একজন লিখেছেন, “আমরা রাশিয়ান ক্যাভিয়ার, বোর্শট এবং ভদকা বয়কট করছি, কিন্তু এখনও রাশিয়ান তেল কিনছি। মানেটা কী?”

আরও পড়ুন- জনপ্রিয় ভারতীয় গানে নিজেদের ভিডিও করুক ভারতের যুবরা! মন কি বাতে আর্জি মোদির

“কিছু বার এবং মদের দোকানের মালিকরা ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার একটি শক্তিশালী উপায় খুঁজে পেয়েছেন। দোকানগুলি রাশিয়ান ভদকা (Boycott Russian Vodka) ফেলে দিচ্ছে এবং পরিবর্তে ইউক্রেনের ব্র্যান্ডের প্রচার করছে। #StandWithUkraine”, ট্যুইট করেছেন একজন।

আরেকজনের অবশ্য বক্তব্য, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভ্লাদিমির পুতিনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য তাদের ভদকার বোতলগুলি ফেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাদের সরকার প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করে…”

“কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদের দোকানগুলি রাশিয়ান ভদকা বিক্রি করতে অস্বীকার করছে দেখে ভালো লাগছে৷ পৃথিবীও একই কাজ করুক,”

কানাডার অন্টারিওর অর্থমন্ত্রী পিটার বেথলেনফ্যালভি লিকার কন্ট্রোল বোর্ডকে স্থানীয় দোকানগুলি থেকে রাশিয়ান ভদকা এবং অন্যান্য রাশিয়ান অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

Fact Check: হাতে অস্ত্র, যুদ্ধে নেমেছেন ইউক্রেনের সব থেকে সুন্দরী মহিলা! আসল সত্যিটা জেনে নিন

#কিভ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ৩৫২ জন্য সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারি হিসেব বলছে, ১৬৮৪ জনের বেশি সাধারণ মানুষ আহত। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের সামনে বুক চিতিয়ে লড়ছে ইউক্রেনের সেনা। এরই মধ্যে দেশ রক্ষার জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনের অনেক সাধারণ মানুষ।

যুদ্ধে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক মহিলা ও সেলিব্রেটিও অবদান রাখছেন। এমনকী ইউক্রেনের মহিলা একজন সংসদ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এদিকে, কিছুদিন আগে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা ও প্রাক্তন মিস ইউক্রেন হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন। ২০১৫ সালে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন তিনি। তবে আসল সত্যিটা কিন্তু অন্য।

আরও পড়ুন- ইউরোপে হাজার হাজার কম্পিউটারে ইন্টারনেট বন্ধ, সাইবার হামলা ইউরোপে

রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন আনাস্তাসিয়া লেনা। খবর ছিল এমনই। সেই খবর ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তবে এবার লিনা নিজেই জানিয়েছেন, তার নামে যেটা রটেছিল সেটা সত্যি নয়। ২০১৫ মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কনটেস্টে ইউক্রেনের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। জিতেছিলেন খেতাব। ইউক্রেনে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ইউক্রেনের মহিলাদের মনোবল বাড়াতে তিনি সব সময় কিছু না কিছু উদ্যোগ নিয়েই চলেছেন তবে লিনা জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেননি।

লিনা ইউক্রেনের সেনায় যোগ দিয়েছেন বলেও খবর রটেছিল। তবে সেই খবরও সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন লিনা। ইনস্টাগ্রামে আনাস্তাসিয়ার ফলোয়ার ৭৫ হাজারের বেশি। তাই ইনস্টাগ্রামের প্ল্যাটফর্মেই সত্যিটা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তবে অস্ত্র তুলে তিনি যুদ্ধে নামেননি। তিনি ইউক্রেনের আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে ভীত, সন্ত্রস্ত। তিনিও চাইছেন, জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যেন শেষ হয়!

আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলে পৃথিবী থেকে জীবের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে

এদিন ইনস্টাগ্রামে লিনা লিখেছেন, “আমি ইউক্রেনের সেনায় যোগ দিইনি। আমি ইউক্রেনের একজন সাধারণ মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমি কয়েকটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি সেনাতে যোগ দিইনি। আমি একজন নারী, একজন সাধারণ মানুষ। শুধু একজন মানুষ, আমার দেশের সব মানুষের মতো। আমিও বছরের পর বছর ধরে একজন এয়ারসফট প্লেয়ার। #airsoft মানে কী সেটা জনাতে আপনি Google করতে পারেন (এয়ার সফট হল সামরিক বিভাগের আয়োজন করা বিভিন্ন স্পোর্ট। এই স্পোর্ট – এ অংশ নেওয়া প্রতিনিধি হাতে বন্দুক নিয়ে, সামরিক নিয়ম মেনে মক কমব্যাট করেন। একেবারে সেনার সাজে )। আমার প্রোফাইলের সমস্ত ছবি মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া। লক্ষাধিক মানুষের মতো আমার স্বাভাবিক জীবন ছিল। আমাদের ইউক্রেনের মহিলাদের শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী করা ছাড়া আমি কোনও প্রচার করি না। আমি আমার দেশের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রশংসা করি। ইউক্রেনের সমস্ত মানুষ প্রতিদিন রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা জিতব। আমি কিয়েভে জন্মেছিলাম এবং এখানেই বসবাস করি। এই আমার শহর। ইউক্রেন আমার দেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়ান ফেডারেশন আমাদের জমিতে পা রেখে সাধারণ মানুষ, নারী, শিশুদের হত্যা শুরু করে। ইউক্রেনের জনগণের কোনো অপরাধ নেই। আমাদের কারো কোনও দোষ নেই। আমরা আমাদের জমিতে আছি। আমি পৃথিবীর সব মানুষের কথা বলি। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করুন! কোন মানুষকেই মেরে ফেলা উচিত নয়! আমরা একসাথে এই সব বন্ধ করতে পারি। পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করুন। @nato কে আকাশপথ বন্ধ করতে বলুন সবাইমিলে। রুশ আগ্রাসন বন্ধ করতে আমাদের ইউক্রেনীয় জনগণকে সাহায্য করুন।”