Tag Archives: Sandip Ghosh

CBI-RG Kar Case: সন্দীপ ঘোষের ‘ডানহাত’ কে? শেষমেশ ‘জেনেই’ ফেলল সিবিআই! খোঁজ মিলল ‘সিং’য়েরও, ভয়ঙ্কর অভিযোগ

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষের দুই ঘনিষ্ঠ আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহকারী সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংয়ের। হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছার বাসিন্দা এই দুই ব্যবসায়ী ছিল সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির মিডলম্যান, এমনটাই মনে করছে CBI।

রবিবার দুজনের বাড়িতে ও সুমন হাজরার মেডিক্যাল শপে সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করে। সুমন হাজরা প্রথম থেকেই মেডিক্যাল পেশায় যুক্ত ছিলেন। আরজি করে সামগ্রী সরবরাহ করতেন, সেখান থেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বেড়ে ওঠে সুসম্পর্ক। ধীরে ধীরে সুমন হয়ে ওঠে সন্দীপের ডান হাত। সরাকারি ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেডিক্যাল সামগ্রী রিসাইকেলিং করে তা বাজারে বিক্রি করা, এমনকি সরকারি হাসপাতালে বিক্রিও করা হত।

আরও পড়ুন: শুধু সন্দীপ নয়, উঠে এল একের পর এক চমকে দেওয়া নাম! আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে বড় মোড়! কারা তারা?

যার একটি ভাগ কমিশন হিসাবে চলে যেত সন্দীপ ঘোষের পকেটে। ধীরে ধীরে সন্দীপ হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতালের হর্তাকর্তা। হাসপাতালের বেড থেকে দ্রুত অস্ত্রোপচার সবই হত অর্থের বিনিময়। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর। সাঁকরাইলের বাসিন্দা বিপ্লব সিং সুমনের এলাকার বাসিন্দা। বিপ্লবের বাবা ছিলেন মেডিকেল কলেজের সাধারণ কর্মী। ছোট থেকেই বিপ্লব ভাল ছবি আঁকত। পরবর্তী কালে ব্যানার পোস্টার লেখা, বাবার সোর্স লাগিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যানার পোস্টার লেখার কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই সুমনের সঙ্গে ধীরে ধীরে শুরু করে মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের কাজ।

সময়ের সঙ্গেসঙ্গে বিপ্লব হয়ে ওঠে বেতাজ বাদশা। একদিকে সুমন, অন্য দিকে বিপ্লব, সন্দীপ ঘোষের যাবতীয় দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ায় দুজনের। মেডিক্যাল সামগ্রী থেকে মৃত দেহ বিক্রি, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কমিশনের ভিত্তিতে কাজ পাইয়ে দেওয়া, সবই করত বিপ্লব আর সুমন। সাইকেল চালিয়ে বাচ্চাদের আঁকার শিক্ষকের এখন বিলাসবাহুল বাড়ি ও একাধিক গাড়ি। একই রকম ভাবে আন্দুল রোডের ওপর ওষুধের দোকান। সেই দোকানের আড়ালেই চলত যাবতীয় দুর্নীতির কাজকর্ম। প্রথম দিকে দোকানে গেলেও পরবর্তী কালে কর্মীদের হাতেই দোকান ছেড়ে বিলাসবাহুল জীবনযাত্রা শুরু করে সাধারণ ব্যাংক কর্মীর ছেলে সুমন। এই মুহূর্তে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলায় CBI-এর নজরে তারা দুজনই।

Sandip Ghosh House Search: সাড়ে ১২ ঘণ্টার তল্লাশি…! গোয়েন্দারা বেরোতে ১ মিনিটে তালা! সন্দীপের বাড়ি থেকে কী কী পেল CBI? চমকে দেওয়া তথ্য

কলকাতা : এককথায় ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ সন্দীপ ঘোষ। ধর্ষণ-খুনে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও স্ক্যানারে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। রবিবার ছিল ঘটনার ঘনঘটা। সকাল সকাল সিবিআই পৌঁছে যায় আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষের বেলেঘাটার বাড়িতে। কিন্তু দরজা খোলেননি সন্দীপ। রীতিমতো ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পরেই এন্ট্রি পায় সিবিআই।

সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের দল। কিন্তু তখনই তারা ভিতরে ঢুকতে পারেনি। সোয়া একঘণ্টা পর ভিতরে প্রবেশের অনুমতি পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এরপর দিনভর বেলেঘাটার বাড়িতে প্রিন্টার নিয়ে চলে সাড়ে বারো ঘণ্টার অ্যাকশন। রাতে সিবিআই বেরোনোর এক মিনিটেই গেটে তালা সন্দীপের। কী এমন মিলল সন্দীপের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশিতে?

আরও পড়ুন: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত…! অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ১১ রাজ্যে! কী হবে বাংলায়? সতর্কবাণী আইএমডি-র

সকাল ৮টা ৬ মিনিটে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। তার পর থেকে টানা ১২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের তল্লাশির পরে সিবিআই গোয়েন্দারা সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাত ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। সূত্রের খবর, সন্দীপের বাড়ি থেকে বহু নথিপত্র নিয়ে ফিরেছেন তাঁরা।

প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা এ ভাবেই তল্লাশির পরে বাইরে থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল সন্দীপের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এই দলে ছিলেন ছ’জন সদস্য। কিছু ক্ষণ পরে যাঁরা ভিতরে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিন জন একটি ব্যাগ হাতে বেরিয়ে আসেন। সূত্র মারফত জানা যায়, সন্দীপের বাড়ি থেকে ওই ব্যাগ নিয়ে সিবিআই গোয়েন্দারা সরাসরি কলকাতায় সিবিআইয়ের দলের একাংশ সদর দফতর নিজাম প্যালেসে চলে যান।

আরও পড়ুন: দুধের সঙ্গে ‘কী’ খেলে ‘ডায়াবেটিস’ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলুন তো…? চমকে দেবে ‘উত্তর’, ১০০% গ্যারান্টি!

সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে সিবিআই গোয়েন্দাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। কিন্তু তারপরে সেখানে আর কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নজরে পড়েনি। এর পর থেকে যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই বাড়ছিল জল্পনা। অবশেষে রাত পৌনে ন’টা নাগাদ সন্দীপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেখান থেকে ‘বেশ কিছু’ নথিপত্র ও তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সিবিআইএর।

CBI on R G Kar Issue: বিনামূল্যে পাওয়া জিনিস কেনা হত লক্ষ লক্ষ টাকায়! সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির শিকড় কোথায়? ‘ফাঁদে’ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক

কলকাতা: সকালে বাড়িতে তল্লাশি৷ আর বিকেলে স্ত্রীকে নিয়েই নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক সায়েন্স বিভাগের প্রধান তথা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ দেবাশিস সোম৷ এদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরতে দেখা যায় তাঁকে৷

রবিবার সকালে তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে বেরিয়েও আসেন তাঁরা। এর পর গাড়ি করে সস্ত্রীক নিজাম প্যালেসে ঢুকতে দেখা যায় দেবাশিস সোমকে। তবে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি৷

অভিযোগ, আরজি করের শবাগারে যে সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে, তাতে যোগ থাকতে পারে এই দেবাশিসের৷ যদিও সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে সিবিআই সূত্র৷ এদিন বেরনোর সময় তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে কি না, তা জিজ্ঞাসা করা হলে নেতিবাচক উত্তর দেন দেবাশিস সোম৷

আরও পড়ুন: ২৮ অগাস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর! চাক্কা বনধ থেকে ধরনা! কোথায় কোথায়? আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচির ঘোষণা বিজেপির

অন্যদিকে, আর্থিক টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে উঠে এসেছে ৪ জন অভিযুক্তের নাম৷ তাঁরা হলেন, সন্দীপ ঘোষ,মা তারা ট্রেডার্সের মালিক, ঈশান ক্যাফের মালিক,ও খামা লৌহার মালিক৷

আরজিকরের দুর্নীতিতে নাম থাকা মা তারা ট্রেডার্সের তরফে যে লেনদেন হয়েছে অর্থাৎ, একাধিক সামগ্রী আরজি করে যে কেনা হয়েছে, সেই সমস্ত নথি ইতিমধ্যেই এসেছে প্রকাশ্য। প্রত্যেকটি কাগজেই উল্লেখ রয়েছে মা তারা ট্রেডার্সের নাম এবং তারা কত টাকার জিনিস কিনেছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।

আরও পড়ুন: পরীক্ষার হ’লে পৌঁছতে না পারলে মিলবে সাহায্য…নবান্ন অভিযানের দিন নেট পরীক্ষার্থীদের অভয় দিল পুলিশ

অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবন থেকে যেসব জিনিস বিনামূল্য সরকারি হাসপাতাল পায়, সেই জিনিসগুলো আরজি কর হাসপাতাল মা তারা ট্রেডার্স এর তরফ থেকে কিনত এতদিন৷

CBI RG Kar Sandip Ghosh: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

কলকাতা: সকাল থেকে শহরের আনাচ-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রবিবার ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবার সুমন হাজারার বাড়িতে পৌঁছেই গেল সিবিআই। হাওড়া পুকুরতলায় রয়েছে সুমনের ওষুধের দোকান। সেখানেও সিবিআইয়ের টিম পৌঁছেছে। কে এই সুমন হাজরা?

সুমন হাজরা-বিপ্লব সিং এর মতো ডেভলপার ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক। সিবিআই সূত্রে খবর, বিপ্লবের পাশাপাশি এই সুমনও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সন্দীপ ঘোষের। হাসপাতালের একাধিক জিনিসপত্র রিসাইকেল করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: পুজোর সরকারি অনুদানে ‘না’, উত্তরপাড়ার পর এবার বারাসতের এই বিখ্যাত ক্লাব

শুধু তাই নয় একাধিক হাসপাতাল সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সুমন। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ কোথাও কোন প্রোগ্রাম করলে হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেখভাল করতেন এই সুমন হাজরা। এমনকী বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’, মাছ-মাংসকে হার মানায় এই ডাল! ঝটপট ওজন কমায়-লিভারকে রাখে যত্নে

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করতেন এই দু’জন।

অমিত সরকার

Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষের ‘কারবার’! সব ফাঁস ‘কাছের লোক’ দেবাশিস সোমের? দেখুন ভিডিও

RG Kar Hospital News LIVE | আর জি করে দুর্নীতি তদন্ত! সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় CBI-হানা। দুর্নীতি তদন্তে একাধিক জায়গায় CBI হানা। সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে CBI হানা। আর জি করের প্রাক্তন সুপারের বাড়িতেও CBI। এন্টালিতে সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাটে CBI হানা। ট্যাংরায় সঞ্জয় বশিষ্ঠের স্ত্রীর ফ্ল্যাটও তল্লাশি। আর জি করের আরও এক ডাক্তারের বাড়িতে CBI। কেষ্টপুরে দেবাসিশ সোমের বাড়িতে হানা। ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোম। আরজি কর হাসপাতালেও CBI-এর একাধিক টিম। হাওড়ায় মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের বাড়িতেও CBI তল্লাশি।

Sandip Ghosh-RG Kar Case: সন্দীপের বাড়িতে মিলল ‘বড়’ কোনও প্রমাণ? সিবিআই-এর দুটি পদক্ষেপেই জল্পনা তুঙ্গে! কী ঘটল এমন?

কলকাতা: রবিবার সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যদিও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া দেননি সন্দীপ। অবশেষে সকাল ৮.০৫ মিনিট নাগাদ খোদ সন্দীপ এসে সিবিআই-কে গেট খুলে দে। ততক্ষণে অবশ্য এ বিষয়ে বেলেঘাট থানাকে জানান সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু গেট খুলতে এতক্ষণ দেরি হল কেন সন্দীপ ঘোষের? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অবশ্য এদিন শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আরজি করের দুর্নীতি মামলায় কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে, সবচেয়ে বেশি নজরে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।

রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় সিবিআই। সেই দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক-সহ সাত জন। এরপর দুপুর ১২টা নাগাদ আরও ৬ জন তদন্তকারী সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ঢোকেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিবিআইয়ের তরফ থেকে প্রিন্টার নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির ভিতরে। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি এই দুর্নীতির তদন্তে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও নথি হাতে পেল সিবিআই? এখনও পর্যন্ত অবশ্য কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। পরে অবশ্য ৩ জন অফিসার সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করত এই দুজন। এমনকি সরকারি ওষুধ নিয়ে সেগুলিকে রিসাইক্লিং করে সেগুলিকে বাইরে বাজারে বিক্রি করত বিপ্লব আর সুমন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যবসায় তাদের সঙ্গ দিত সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন হোটেলে পার্টির ব্যবস্থা করা এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে।

এদিকে, আরজি করের অপসারিত সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালির আবাসনেও হানা দেয় সিবিআই। আরজি করে টেন্ডার দুর্নীতি, আর্থিক তছরূপ মামলায় সিবিআই-এর অভিযানে সকাল পৌনে আটটা নাগাদ সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। আবার, কেষ্টপুর হানাপাড়ায় আরজি করের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক দেবাশিস সোমের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও এই মামলার অভিযোগকারী চিকিৎসক আখতার আলি একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন। সেই দেবাশিস সোমের বাড়িতেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিবিআই-এর তল্লাশি চলছে আরজি কর হাসপাতালের স্টোরেও। এই বিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত প্রশাসনিক নথি সংরক্ষিত হয়। অপরদিকে, বেলগাছিয়া জেকে ঘোষ রোডের একটি বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। এই বাড়িতেই আরজি করের ভিতরে যে ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, তার মালিক থাকেন বলে খবর।

CBI-RG Kar Case: শুধু সন্দীপ নয়, উঠে এল একের পর এক চমকে দেওয়া নাম! আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে বড় মোড়! কারা তারা?

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ও কিছু সংস্থার অফিস মিলিয়ে হচ্ছে এই তল্লাশি। কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে প্রায় ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা।

এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের হাঁটগাছায় বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতেও এই কাণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বিপ্লব আরজি কর হাসপাতালের ভেন্ডর। সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালে দুজন ভেন্ডর ছিল। সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিং। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহ করত এই দুজন। এমনকি সরকারি ওষুধ নিয়ে সেগুলিকে রিসাইক্লিং করে সেগুলিকে বাইরে বাজারে বিক্রি করত বিপ্লব আর সুমন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যবসায় তাদের সঙ্গ দিত সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন হোটেলে পার্টির ব্যবস্থা করা এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশন থেকে টাকা পয়সার লেনদেন সবই হত বিপ্লব আর সুমনের মাধ্যমে। এদিকে, কেষ্টপুর হানাপাড়ায় আরজি করের অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিস সোমের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল এই চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও আখতার আলি একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন। সেই দেবাশিস সোমের বাড়িতেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিবিআই-এর তল্লাশি চলছে আরজি করের স্টোরেও। এই বিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত প্রশাসনিক নথি সংরক্ষিত হয়। অপরদিকে, বেলগাছিয়া জেকে ঘোষ রোডের একটি বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। এই বাড়িতেই আরজি করের ভিতরে যে ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, তার মালিক থাকেন বলে খবর।

CBI Raid-RG Kar Case: ৭৫ মিনিট! শুরুতেই জেগে গেল ‘সন্দেহ’, সন্দীপের বাড়ি গিয়ে শুরুতেই চমকে উঠল CBI

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে রবিবার ঘটল নয়া মোড়। ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আলাদা মামলাও রুজু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিট তৈরি করা হলেও সেই তদন্তের ভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই দায়িত্ব হাতে পেয়েই এফআইআর রুজু করে সিবিআই। আর এরপরই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। কিন্তু সকাল ৬.৪৫ মিনিটে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপের বাড়িতে গেলেও তাঁদের গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হল প্রায় ৭৫ মিনিট। এতক্ষণ কেন সময় লাগল সন্দীপের দরজা খুলতে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।

সাত-সকালে সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই হানা দিলেও বারবার কলিং বেল বাজানো সত্ত্বেও কেউ দরজা খুলছিলেন না। অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে বাইরে বেরিয়ে এসে দরজা খোলেন সন্দীপ। তারপর ভিতরে যান সিবিআই অফিসাররা। এরপর প্রায় ৮.৫০ মিনিটে আরও এক সিবিআই আধিকারিক আসেন সন্দীপের বাড়িতে। তখনও সন্দীপ এসেই তাঁকে ভিতরে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় সিবিআই হানা! তোলপাড় বাংলা

সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ছাড়াও আরজি করের ফরেন্সির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের বাড়ি, এন্টালিতে রয়েছে আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাট। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, হাওড়ার একটি জায়গায় বিপ্লব সিং নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। মোট ১৫ জায়গায় তাঁরা হানা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করেন। আরজি করে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি, তাতে এঁদের নাম রয়েছে।

আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপের নাম প্রকাশ্যে আসার পরই নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। বেলেঘাটা থানার ওসির নজরদারিতে সন্দীপের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে। সেই পুলিশকর্মীরাও বাড়ির সামনে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

CBI Raid: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় সিবিআই হানা! তোলপাড় বাংলা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আলাদা মামলাও রুজু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিট তৈরি করা হলেও সেই তদন্তের ভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই দায়িত্ব হাতে পেয়েই এফআইআর রুজু করে সিবিআই। আর এরপরই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সহ ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই।

সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ছাড়াও ফরেন্সির মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস সোমের বাড়ি, এন্টালিতে রয়েছে আরজি হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের ফ্ল্যাট। সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, হাওড়ার একটি জায়গায় বিপ্লব সিং নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই।

তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করেন। আরজি করে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি, তাতে এঁদের নাম রয়েছে।

বিস্তারিত আসছে…

Sandip Ghosh: আবার নতুন ফ্যাসাদে সন্দীপ, এফআইআর দায়ের করেই কাজে লেগে গেল সিবিআই

কলকাতা: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভারও গতকাল সিবিআই-কে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ সকালে রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের পক্ষ থেকে সমস্ত নথি তুলে দেওয়া হল সিবিআইকে৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখার হাতে নথি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি৷

গতকালই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আরজি করের আর্থিক অনিয়মে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের গড়ে দেওয়া সিটের তদন্ত ভার সিবিআইকে তুলে দেওয়ার। সমস্ত নথি আজ সকাল ১০ টার মধ্যে সিবিআই-কে দিতে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: কীভাবে হয় পলিগ্রাফ টেস্ট, মিথ্যে বললেই ধরা পড়বেন সঞ্জয়-সন্দীপরা? জানুন গোটা প্রক্রিয়া

সূত্রের দাবি, সেই নির্দেশ মতোই নথি তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে৷ নথি হাতে পেয়েই বৈঠকে বসেন সিবিআই কর্তারা। নথি খতিয়ে দেখেন লিগ্যাল সেলের অফিসাররা। কলকাতায় সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারের পাশাপাশি দিল্লির সদরর দফতর থেকে ভার্চুয়াল কয়েকজন অফিসারও সেই বৈঠকে ছিলেন৷ এর পর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সিবিআই৷

এফআইআর করে আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফআইআর-এর কপিও জমা দিয়েছে সিবিআই৷ এই মামলাটির শুনানি হবে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে৷