Tag Archives: Sandip Ghosh

Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষ জমানার দুর্নীতির তদন্তে CBI-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ!

R G Kar Hospital News: Sandip Ghosh জমানার দুর্নীতির তদন্তে CBI। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ সন্দীপ ঘোষের। বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ।

Sandip Ghosh-RG Kar Case: বিরাট খবর! এবার সন্দীপ ঘোষ জমানার দুর্নীতির তদন্তও করবে CBI! নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ জমানার আর্থিক দুর্নীতি তদন্তও এবার সিবিআই-কে দিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। রাজ্য সরকার গঠিত সিট সমস্ত নথি তুলে দেবে সিবিআই-কে। সামনে এসেছে এমনই তথ্য। আখতার আলির করা মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ৩ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দেবে সিবিআই। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সমস্ত নথি হস্তান্তর করে দেবে সিট।

তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির পুরোনো একগুচ্ছ অভিযোগ নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছিল। এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে রাজ্য। টালা থানায় দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও দায়ের হয়েছে, যেখানে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: বলুন তো, পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ থাকে? ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক, নামটা জানলে কিন্তু আশ্চর্য হয়ে যাবেন

এ বার এই আর্থিক দুর্নীতি-সহ আরজি করে বেশ কিছু কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে ইডি তদন্তের দাবিতে নতুন মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে আটদিন ধরে সন্দীপকে বারবার তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। তার মধ্যে এ দিন আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও চলে গেল সিবিআই-এর কাছে।

প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক বছর আগেই স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুলিশেও। তবে সেই অভিযোগের পরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে গত ক’দিন ধরেই দাবি করছিলেন। বুধবার আখতার আলিই ইডি তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে, সেই তদন্তভার আপাতত সামলাবে সিবিআই’ই।

Sandip Ghosh: সর্বনাশ! সন্দীপের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে! ভয়ঙ্কর ঘটনা ২২-২৩ সালে

কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরও কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে আরজি কর হাসপাতালে স্যালাইন সংকট দেখা দেয়। হঠাৎ করেই রাতে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। জানা যায় যে স্যালইন সরবরাহকারী সংস্থা স্যালাইন দিত, তাদের দীর্ঘদিন ধরে টাকা বাকি। ফলে তারা স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গোটা আরজি কর হাসপাতাল জুড়ে দেখা দেয় স্যালাইনের তীব্র সংকট। তবুও ওই সংস্থাকে টাকা না দিয়ে পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান সন্দীপ ঘোষ। উঠে আসছে এমনটাই অভিযোগ। শেষমেষ কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে বাড়তি স্যালাইন নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ সহ ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের! হাজির না হলেই ওয়ারেন্ট জারি

এখানেই শেষ নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হাসপাতালের মর্গ থেকে চারটি মরদেহ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, মৃতদের পরিবারকে না জানিয়ে মরদেহ অন্য মেডিক্যাল কলেজে ফরেনসিক মেডিসিনের ওয়ার্কশপের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। এই কাজের জন্য মৃতদেহের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত লোপাট করা হয় বলে অভিযোগ।

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তৎকালীন আরজি করের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস। অভিযোগের পরপরই অবশ্য সোমনাথ দাসকে দ্রুত বদলি করে দেওয়া হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই বিষয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনে। নিজের পছন্দের যে জুনিয়ার ডাক্তার, ইন্টার্নদের দল, তাদের নিয়মিত মদ্যপানের ব্যবস্থা করা হত গেস্ট হাউসে। কলেজের ফেস্টে নিজের কাছের ছাত্রছাত্রীদের দেদার ফুর্তির ব্যবস্থা করার অভিযোগও উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়। তবে আদৌ পর্যাপ্ত সিসিটিভি ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকি যে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল, সেখানেও সিসিটিভির অস্তিত্ব প্রায় ছিলই না। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও আন্দোলনকারীদের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন।

Polygraph Test in RG Kar Case: মিথ্যে বলছে না তো? সঞ্জয়ের পর এবার সন্দীপ, সঙ্গে আরও ৪ চিকিৎসকের পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রস্তুতি CBI-এর

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইযের। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতে যায় সিবিআই। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

সন্দীপ ছাড়াও আরও পাঁচ জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের চার জন চিকিৎসক পড়ুয়া, যাঁরা সেই রাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ডিনার করেছিলেন বলে দাবি। এ ছাড়া, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের এক ঘনিষ্ঠের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: ‘১৫ দিনে শাস্তি’! আরজি কর-কাণ্ডের মধ্যেই মোদির কাছে বিশেষ আইনের দাবি মমতার, পাঠালেন চিঠি

বৃহস্পতিবারই সন্দীপ ঘোষ-সহ ওই চার জন পড়ুযা চিকিৎসকের গোপন জবানবন্দিরও আবেদন করে সিবিআই। শিয়ালদহ আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করে নেয়। এবার মঞ্জুর হল পরিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদনও। এর আগে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইয়েরও পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: ওই রাতে হাসপাতালে ঠিক কী হয়েছিল? নিহত ডাক্তারের সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি CBI-এর

পলিগ্রাফ টেস্ট বা লাই ডিটেকটর পরীক্ষা হল সন্দেহভাজনের বলা কথা কতটা সত্যি বা মিথ্যা, তা ধরার একটি পরীক্ষা। এই টেস্টে চার থেকে ছয়টি সেন্সর ব্যবহার করা হয়। পলিগ্রাফ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। সেখানে এই সেন্সর থেকে একাধিক সংকেত কাগজের একটি স্ট্রিপে গ্রাফ আকারে রেকর্ড করা হয়।

অর্পিতা হাজরা

Sandip Ghosh RG Kar Ex Principal CBI: আরজি কর-কাণ্ডে গোয়েন্দাদের নজরে সন্দীপ ঘোষ, এবার গোপন জবানবন্দির তোড়জোড় CBI-এর

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গোপন জবানবন্দি করতে চায় সিবিআই। ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবারই ৮ অগাস্ট রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে।

অন্যদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আরজি করে ডক্টর সন্দীপ ঘোষ জমানায় অনিয়ম হয়েছে এটা স্পষ্ট, অনিয়ম আছে বলেই সিট গঠন হয়েছে। তদন্ত কে করবে সিবিআই না সিট (রাজ্য) তা আদালত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। শুক্রবার ফের মামলার শুনানি। জানান বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ।

আরও পড়ুন: ওই রাতে হাসপাতালে ঠিক কী হয়েছিল? নিহত ডাক্তারের সঙ্গে ডিনার করা ৪ জনের গোপন জবানবন্দি CBI-এর

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক ‘দৌড়বাজ’ ASI অনুপের? পরিবার-প্রতিবেশীর দাবি শুনলে চমকে যাবেন!

সন্দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।

অমিত সরকার

RG Kar Hospital Transfer: প্রিন্সিপালের নামে নিখোঁজ ব্যানার! সরলেন সুহৃতা, এবার আরজি করের দায়িত্বে কে?

কলকাতা: দুপুরেই তাঁর খোঁজে পড়েছিল নিখোঁজ ব্যানার৷ সন্ধের মধ্যেই অপসারিত হতে হল তাঁকে৷ আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবং হাসপাতালে পরিষেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহতা পালকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল স্বাস্থ্য ভবন৷ তাঁর বদলে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হল বারাসাত সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷

পাশাপাশি, বুধবার সরানো হয় আরও তিন আধিকারিককেও। MSVP সহ চেস্ট মেডিসিনের প্রধান ও অ্যাসিট্যান্ট সুপারকেও৷

বদলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান সুপার ডক্টর সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার পদে নিযুক্ত করা হল বুধবার৷

আরও পড়ুন: হাসপাতালেই যান না তিনি! সরিয়ে দেওয়া হল আরজি করের নয়া প্রিন্সিপালকে, বাতিল সন্দীপ ঘোষের অর্ডারও

আরজি কর হাসপাতালের অপসারিত প্রিন্সিপাল সুহৃতা পালকে পাঠানো হল বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পদে৷

আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে পাঠানো হল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে জটিলতা কাটাতে তৎপর সিবিআই! বৃহস্পতিতেই হাইকোর্টে যাওয়ার ভাবনা

বুধবার দুপুরে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যভবন চত্বর। শোনা যায়, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ১ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল, সন্দীপ ঘোষ সহ ঘটনার দিন আরজি করে শীর্ষপদে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্য কোনও প্রশাসনিক পদে নিয়োগ করা যাবে না। ১ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না জানানো হলেও, সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে সরানোর কথা জানান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সরানো হয় আরজি করে অন্যান্য শীর্ষপদে থাকা বাকি ৪ জনকেও৷

অভিযোগ জানাতে কেন দেরি, সিবিআইকে কী যুক্তি দিলেন সন্দীপ? দেখুন ভিডিও

নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন৷ তাই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছিল৷ আরজি কর কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কেন এত দেরি করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই-এর সামনে এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজতে এখন মরিয়া সিবিআই-এর তদন্তকারীরা৷

Sandip Ghosh RG Kar Ex Principal: হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য নিয়েও সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! মামলা এবার হাইকোর্টে

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

সন্দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আপনার হৃদয় কেমন আছে? খেয়াল রাখেন? ঘুমের সময় কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন বড় বিপদ জানুন

হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পিডব্লিউডি (PWD)-কে বাদ দিয়ে বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সেই কাজ করানো হত। হাসপাতালের যে কোনও কাজের জন্য তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করে এক লাখ টাকার কমে করানো হত, যাতে ই-টেন্ডার না করতে হয়,সমস্তটাই বেআইনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করতেন সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

তাঁর আরও দাবি, ক্ষতিকারক বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করা হত। এমনকী হাসপাতালের লাওয়ারিশ লাশ বিক্রি করারও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের এজলাসে। সঙ্গে আখতার আলির তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

অভিজিৎ চন্দ