Tag Archives: shoe

Hawai Chappal: হাওয়াই চটি উপহার! ভোটের বাজারে ব্যবসায়ীর কাণ্ডে শোরগোল

নদিয়া: লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করলেও মানবিক কারণে নজর স্বল্প আয়ের মানুষের পায়ের দিকে। আর তাই এই গরমের হাত থেকে অসহায়দের বাঁচাতে তাদের পায়ে পড়ার হাওয়াই চটি দান করলেন ব্যবসায়ী! বিষয়টি অভিনব শোনালেও যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বেশ কার্যকরী সাহায্য বলেই মনে হবে আপনার।

অর্থ নয়, প্রচন্ড গরমে দরিদ্রদের হাওয়াই চটি প্রদান করলেন ব্যবসায়ী। প্রচন্ড এই কাঠফাটা রোদে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। তার মধ্য দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া অসম্ভব। এসেই কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার শান্তিপুরের এক প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের ব্যবসায়ী দরিদ্রদের হাওয়াই চটি দান করেন।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে বিধ্বস্ত ডুয়ার্সের চা শিল্প, ভবিষ্যৎ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন

কাঁচের দরজার ভেতরে ২৫ ডিগ্রি টেম্পারেচার হলেও বাইরে ৪৭ ছুঁই ছুঁই। আর এই প্রখর রৌদ্রের মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তির জন্যই হোক কিংবা ছোটখাটো বিভিন্ন জীবিকা নির্বাহ করতে পরিবারের মুখে দুবেলা দুটো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য রাস্তায় বেরোনো ছাড়া উপায় নেই অনেকেরই। যাদের অনেকেরই পায়ে নেই চটি । হাত পেতেই হোক কিংবা কায়িক পরিশ্রম করে সারাদিনের সংগৃহীত ৫০ -১০০ টাকা দিয়ে কোনও মতে দু’বেলা দুটো খেয়ে বেঁচে থাকেন। তাই অনেকেরই ইচ্ছে থাকলেও পায়ের জুতো কিনতে পারেন না। ফলে এই গরমে সেই মানুষরা প্রচন্ড কষ্ট পান। তাঁদের কথা ভেবেই এগিয়ে আসেন শান্তিপুর গোভাগার মোড়ের প্রসিদ্ধ কাপড় ব্যবসায়ী সুভাষ দেবনাথ। চলতি বছর তিনি মোট ১৬ জন অসহায় মানুষকে হাওয়াই চটি উপহার দেন।

মৈনাক দেবনাথ

৫,৭,৮…কোন সাইজের জুতো পরেন? প্রতিটি ভারতীয়র জুতোর নম্বর বদলে যাবে এবার! বড় আপডেট

নয়াদিল্লি: UK 6, UK 7…। এমন শব্দ নিশ্চয়ই শুনেছেন! জুতোর দোকানে গিয়ে এই শব্দ সচরাচর শোনা যায়। অর্থাৎ জুতোর নম্বর বা সাইজ হয় আমেরিকা বা ইউটাইটেড কিংডম-এর হিসেবে।

আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানদের থেকে ভারতীয়দের পা চওড়া বেশি। কিন্তু কোম্পানিগুলো আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানদের পায়ের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের কথা মাথায় রেখে জুতো তৈরি করে। ভারতীয়দের পায়ের আকারের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় মান নেই।

কিন্তু এবার এই পুরো ব্যবস্থাই বদলে যেতে চলেছে। নতুন সিস্টেম-এ ভারতীয় মানের পায়ের জুতো ও চপ্পল প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবার থেকে জুতো তৈরির সংস্থাগুলি ২০২৫ সাল থেকে ভারতীয়দের জন্য আলাদাভাবে জুতো তৈরি করবে। এর জন্য ‘BHA’ কোড ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন- বিশ্বে সবচেয়ে ধনী পরিবারের কাছে ৪০০০ কোটির বাড়ি, ৮ প্রাইভেট জেট, ৭০০ গাড়ি!

যদিও ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ডস ব্যুরো থেকে এখনও এটির অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ভারতীয়দের পায়ের আকৃতি এবং আকার বোঝার জন্য সারা দেশে একটি সমীক্ষা হয়েছে।

সেই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, মহিলাদের পায়ের আকার ১১ বছর বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। পুরুষদের পায়ের আকার ১৫-১৬ বছর বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

জুতোর বাজারের পরিবর্তনের কারণ ভারতের বড় বাজার। এখানে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের গড়ে ২টি জুতো আছে। সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, অনলাইনে কেনা জুতার ৫০% ফেরত দেওয়া হয় কারণ সেগুলি সঠিক আকারের হয় না।

আরও পড়ুন- বলুন তো কোন কোম্পানি ভারতে প্রথম AC বানিয়েছিল? আজ-ও সেই সংস্থার সমান রমরমা

এবার থেকে একাধিক সংস্থাকে জুতো তৈরিতে পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমানে কোম্পানিগুলি শূন্য থেকে ১০-১১ নম্বর পর্যন্ত জুতো এবং চপ্পল তৈরি করে। কিন্তু এখন বয়স ও পায়ের মাপের ওপর নির্ভর করে ১ নম্বর থেকে ৮ নম্বর জুতা তৈরি করা হবে।