Tag Archives: South Africa

Viral Video: প্রেমে বাধা! ট্যুরিস্ট সমেত সাফারি গাড়িকে তুলে ছুঁড়ে ফেলে দিল পুরুষ হাতি !

#আফ্রিকা:   শীতকাল মানেই খুলতে শুরু করেছে সব জঙ্গল (viral video)। এই সময়ে জঙ্গলের মজা একেবারেই আলাদা। আসলে শীত বা গরম হোক কিংবা বর্ষা জঙ্গল সব সময়েই বদলে ফেলে তার রূপ। আর যারা সত্যিকারের অরণ্যপ্রেমী তারা এই সময়ে কিছুতেই নিজেদের দূরে রাখতে পারেন না। তবে বর্তমানে ওয়াইল্ড লাইফ ছবি তুলতে অনেকেই ভালবাসেন। আর প্রতি সিজনে তাঁরা সব দল বেঁধে চলে যান জঙ্গল। সে ভারতে হোক বা দেশের বাইরে।

আর জঙ্গল মানেই সাফারি (Viral video) । সকালের আলো ফোটার আগে বেড়িয়ে পড়া। আবার সন্ধ্যের মধ্যে সাফারি শেষ। গোটা দিন জুড়ে চলে জঙ্গল সাফারি। মাঝে বিরতি থাকে। আর এই সাফারির মাঝে কখনও দেখা মেলে বাঘা মামার। আবার কখনও সামনে এসে দাঁড়ায় পেল্লাই ভালুক। কিংবা মস্তো হাতির দল। আবার কখনও বিরল পাখি ধরা দেয় আকাশে। নয়তো হরিণ ছুটে যায় জল খেতে। তবে জঙ্গলের বাঘ সিংহ কিংবা হাতি বা যে কোনও জীব দেখার মজাই আলাদা।

তবে এই সব সাফারির মাঝে অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। সাধারণত কোনও জঙ্গলেই সাফারি চলাকালীন সময়ে নামতে দেওয়া হয় না গাড়ি থেকে (Viral video)। তবে তার মাঝেও জীব জন্তুরা এমন কাণ্ড ঘটায় যা ভাইরাল হয়।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিকার জঙ্গলের একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার ঘন জঙ্গলে সরু রাস্তায় পর পর দু’টো ট্যুরিস্টের গাড়ি ঢোকে। সাউথ আফ্রিকার লিম্পুর সিলাটি গেম রিজার্ভ ফরেস্টে যায় এই ট্যুরিস্ট দল। তাঁরা সামনেই দু’টি হাতিকে দেখতে পায়। একটি পুরুষ হাতি ও মহিলা হাতি এক সঙ্গে ছিল।

 আরও পড়ুন: পা ভেঙে হাসপাতালে প্রিয়াঙ্কা ! কেমন আছে ছেলে সহজ? জানালেন প্রাক্তন স্বামী রাহুল

সাফারি গাড়িটি ওই হাতিদের (Angry Elephant Attacks Safari Jeep in South Africa)  কাছাকাছি আসতেই বিপদ ঘটে যায়। এই সময় সাধারণত মেটিং সিজন হয়। আগে থেকেই উত্তেজিত ছিল ওই দুই হাতি। সাফারি গাড়িটিকে দেখেই বিরক্ত হয় হাতিরা। এবার পুরুষ হাতিটি এগিয়ে এসে শুড় দিয়ে গাড়িটিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু একা পেরে ওঠে না। এর পর দু’টি হাতি মিলে এক সঙ্গে উল্টে দেয় সাফারি গাড়ি। ছিঁটকে মাটিতে পড়েন ট্যুরিস্টরা। তারপর দৌড়ে পালিয়ে পিছনের গাড়ির কাছে চলে আসেন তাঁরা।গাড়ি উল্টে দিয়ে হাতি দু’টি চলে যায় অন্যদিকে। এ যাত্রায় প্রাণে বাঁচেন ওই ট্যুরিস্ট দল। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়।

কী ছিরির আম্পায়ারিং! ট্যুইটে প্রতিবাদের ঝড় স্টেইন, ডিভিলিয়ার্সের, দেখুন

#নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকান তারকারা এবি ডিভিলিয়ার্স ও ডেল স্টেইন একটি আম্পায়রিং সিদ্ধান্তের জন্য একেবারে প্রতিবাদে সরব৷ ওয়েস্টইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে একটি শর্ট পিচ বল ডেলিভারি যেটা লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল তাই নিয়েই আম্পায়রের সিদ্ধান্তে সকলেই অবাক৷ দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মালডারকে ওয়াইড দেওয়া হয়নি৷ এটা ওয়েস্টইন্ডিজের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ ছিল৷ এই ঘটনাটি তখন ঘটে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪ উইকেটে ১৬০ রান ছিল৷ মালডার ক্যারিবিয়ান বোলাক ওবেড ম্যাককয়ের ১৯ ওভারের শেষ বল করেছিলেন৷ ম্যাককয় শর্ট বল করেন যেটা লেগস্টাম্পের বাইরে থেকে গিয়েছিল ব্যাট দিয়ে নাগাল পাননি তিনি৷ মালডার মনে করেছিলেন স্বাভাবিকভাবেই বলটি ওয়াইড দেবেন কিন্তু তা না করে আম্পায়র ওভার শেষ  করে দেন৷

প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স বলেন , “Shocker”  -অর্থাৎ ভয়ানক৷  এর উত্তরে ডেল স্টেইন ট্যুইট করেন “How on earth is that not a wide???!!!!.” অর্থাৎ ‘‘এই পৃথিবীতে কী করে এটা ওয়াইড না হয়৷ ’’

এই সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল ২৫ রানে ম্যাচ জেতে৷ পঞ্চম এই টি টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে তারা সিরিজ জিতে নিল ৩-২ এ৷

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে ২০ ওভারে৷ এডিয়েন মারক্রাম ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন৷ কুইন্টন ডি কক ৪২ বলে৬০ রান করেন৷ জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্টইন্ডিজ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৩ রানই করতে পারেষ এভিন লুইস ৫০ ও শিমরন হেটমেয়ার ৩৩ রান করেন৷

এক জোড়া নতুন অধিনায়ক বেছে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা

#কেপটাউন: টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডিন এলগার (Dean Elgar) ও তেম্বা বাভুমার (Temba Bavuma) কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব সঁপে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা৷ বাভুমাকে সীমিত ওভারের ও এলগারকে টেস্ট ক্যাপ্টেনসির গুরুভার দিল ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (CSA)৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল সিএসএ-র ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট গ্রেম স্মিথ (Graeme Smith)৷ বাভুমা ২০২১ এর টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন৷ অন্যদিকে এলগার পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (WTC) ক্যাপ্টেন হবেন৷

বাভুমা ও এলগার দু’জনেই দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন৷ বাভুমা বলছেন, “বহু বছর ধরেই স্বপ্ন দেখেছি প্রোটিয়াদের অধিনায়ক হব৷ আমার জীবনের এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান৷ কুইনি (কুইন্টন ডি কক) দলে একটা নতুন সংস্কৃতি নিয়ে এসেছে৷ আমরা সেটাকেই আরও উন্নত করেছি৷ সেটারও ওপরেই ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যেতে হবে৷” একই সুরে কথা বলেছেন এলগারও৷ তাঁর সংযোজন, “আমি সবসময় বলেছি, যে কোনও ফর্ম্যাটেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা প্লেয়ারের কাছে বিরাট সম্মানের৷ ক্রিকেটের শৃঙ্গে অবস্থিত টেস্ট৷ সেই ফর্ম্যাটে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারলে কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় দিক হবে৷ আমি কৃতজ্ঞ এভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমাকে দেওয়ার জন্য৷”

Viral Video: মাস্ক পরতে ভুলেছিলেন, শপিংমলের মধ্যেই অন্তর্বাস খুলে মুখ ঢাকলেন মহিলা! তুমুল ভাইরাল ভিডিও…

#কেপটাউন: করোনা ভাইরাস মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলার পর থেকেই মাস্ক আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। ঠিক যেভাবে মানুষ নিজের রুমাল, টাকার ব্যাগ নিয়ে যেতে কখনও কখনও ভুলে যান, বাচ্চারা স্কুলে টিফিন বক্স, ছাতা, পেন্সিল হারিয়ে আসে, সেভাবেই আমরা অনেকেই। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরতে ভুলে যাই। সেক্ষেত্রে ভিড় জায়গায় যেতে হলে হয় নতুন মাস্ক কিনে নেন অনেকে, আবার অনেকে অন্য উপায়ে মুখ ঢেকে নেন জরুরি ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রেও এক মহিলা সুপার মার্কেটে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে তিনি যে ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন, তা নিয়ে মানুষের বিস্ময় কাটছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলার আজব ‘কীর্তি’ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ঝড়ের গতিতে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মধ্য বয়সী মহিলা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সুপার মার্কেটে গিয়েছেন বাজার করতে। তাঁর মুখে মাস্ক নেই। আর তাতেই সুপার মার্কেটের নিরপত্তারক্ষী তাঁকে জিনিষ বিক্রি করতে চাননি। লাইনে দাঁড়ালে তাঁকে বলা হয় মাস্ক না পরে আসলে তাঁকে মার্কেটে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। কারণ করোনার জোনও বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলি লঙ্ঘন করলে, তা শাস্তিমূলক অপরাধ। এরপরেই মহিলা তাঁর নিজের নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে ফেলেন, এবং সেটিকেই মাস্ক বানিয়ে মুখ ঢেকে নেন সকলের চোখের সামনে।

মহিলার এই বিস্ময়কর কাণ্ড ধরা পরেছে সুপারমার্কেটের সিসি ক্যামেয়ায়। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কী করছেন এ কী!’ বা ‘হে ভগবান’ জাতীয় একাধিক কথা। তবে যিনি েই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, ঠিক তাঁর পিছনেই আরও এক মহিলা দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি এই ঘটনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “মাস্কে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে অন্তর্বাসে তার থেকে কম ছিল। ফলে সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।” এমনকি তিনি জোরে জোরে হাততালি দিয়ে মহিলার কাজকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাই নন। অন্তর্বাসের এ হেন ব্যবহার এবং তাঁর বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

‘সিংহ রাগে কেশর নাড়ে’ আর সেই কেশর যদি হয় দুধ সাদা! দেখুন ভাইরাল ছবি

#কেপটাউন: সাধে কী আর সে পেয়েছে পশুরাজের তকমা! রাজকীয় ভঙ্গিমা, অসীম শক্তি, গাম্ভীর্যের জেরেই সে হয়ে উঠেছে বনের রাজা। চোখের সামনেই যদি এ হেন বিশালাকায় সিংহ তার নিজস্ব ছন্দে, কেশর দুলিয়ে এগিয়ে আসে, তবে সেই দৃশ্য দেখা এবং ক্যামেরাবন্দী করা ভাগ্যের ব্যাপার। তার উপরে সে যদি হয় বিরল প্রজাতির তুষারশুভ্রকায়, তবে যেন সোনায় সোহাগা! সম্প্রতি এই সব কিছু মিলিয়েই কপাল খুলেছে ব্রিটিশ ফটোগ্রাফারের। সিমন নিধাম (Simon Needham) ক্যামেরাবন্দী করেছেন বছর ছয়েকের মোয়াকে (Moya)। মোয়া দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিরল সাদা বন্য সিংহ (White Lion)।
খবর মোতাবেকে, মোয়াকে দেখতে এতটাই সুন্দর যে সিমন প্রায় বাকরহিত হয়ে গিয়েছিলেন! সিংহের (Lion) কেশর হল তার সৌন্দর্য ও অহঙ্কারের প্রতীক। মোয়ার কেশরও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। ঘন দুধসাদা কেশরে তার সৌন্দর্য আরও বেশি বিকশিত হয়েছে।
মোয়া থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) গ্লেন গ্যারিফ কনজারভেশন সেন্টারে। সিমন জানতেন এর সামনে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মোয়ার আকর্ষণ যেন অপ্রতিরোধ্য ছিল তাঁর কাছে। তাই দূর থেকেই পশুরাজকে ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি।

সিমন জানিয়েছেন যে একজন ফটোগ্রাফার যখন ছবি তোলেন, তখন তিনি নিজের কাজের মধ্যে ডুবে যান। ফলে যার ছবি তোলা হচ্ছে, তার সৌন্দর্য বোঝার মতো সময় বা সুযোগ কোনওটাই থাকে না। যদিও প্রথমবার এই সিংহকে দেখে সিমন চমকে গিয়েছিলেন, তবুও ছবিগুলো তোলার পরেই একমাত্র তিনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন যে এই প্রাণী আদতে কতটা সুন্দর!
সিমনের তোলা ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে। এই ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম (Instagram) অ্যাকাউন্টে দেওয়ার পরই মোয়া ভাইরাল হয়ে যায়। সিমনের মতো মোয়াকে সামনাসামনি না দেখলেও এই ছবিতে তার সৌন্দর্য দেখে নেটিজেনরা স্তম্ভিত হয়ে যান।

প্রসঙ্গত জনিয়ে রাখা যায় যে এখন অনেক স্যাংচুয়ারিতেই সাদা সিংহ আছে, কিন্তু জঙ্গলে এই বিরল প্রজাতির প্রাণী প্রায় দেখাই যায় না! জেনেটিক মিউটেশনের (Genetic Mutation) ফলেই এই রকম সাদা রং দেখা যায়। এমনিতে সিংহের গায়ের রং সোনালি হয়। কিন্তু দু’টি বিরল জিনের মিলনে এই রকম সাদা রং হতে পারে।

সিমন জানিয়েছেন, ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সিংহ সংরক্ষন সংস্থার প্রধান সুজান স্কট। এই ধরনের ছবির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাই এই ছবি তোলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।