Tag Archives: Sujata Mondal

মুখোমুখি সৌমিত্র-সুজাতা! দুই প্রাক্তনের দেখা, তারপর যা হল…

বাঁকুড়া: গননা কেন্দ্রে, গণনার দিন মুখোমুখি হলেন সৌমিত্র এবং সুজাতা। যুযুধান এই দুই প্রার্থী সরজমিনে ঘুরে দেখলেন গণনার প্রস্তুতি। দেখা হল, কিন্তু দুজনের কিন্তু কথা হল না! চোখে চোখে কথাও নয়

যেন দুটি মানুষ একে অপরকে দেখতেই পেলেন না! মঙ্গলবার গণনা পর্ব শুরু  হয়েছে সকাল থেকেই। বাংলার যে কটি লোকসভা আসন রয়েছে সেখানে টান টান উত্তেজনার মধ্যে শুরু হয়েছে গণনা প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন- ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে লড়াই, গণনাকেন্দ্রে চমকে দিলেন মহুয়া-‘রানি মা’! দেখুন কী কাণ্ড

বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে নজর সবার। বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু প্রাক্কালেই একই রুমে মুখোমুখি হলেন বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।

কেমন যেন অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা দুজনের মধ্যে! প্রত্যক্ষভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা না বললেও দুজনের গলাতেই শোনা গেল বিরক্তির সুর। গণনার উত্তাপ যত চড়ছে, ততই যেন টান টান এগোচ্ছে বিষ্ণুপুর লোকসভা।

দুই প্রাক্তনের মধ্যে আজ চরম রাজনৈতিক লড়াই। জনগণের ভোটের উপর নির্ভর করে বিষ্ণুপুরের প্রতিনিধিত্ব করতে কে যাবেন দিল্লিতে, সেটাই নির্ধারিত হবে এদিন। সেই কারণেই এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নন কেউই।

২০০৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে বেশিরভাগ সময় জিতে এসেছেন বাম প্রার্থীরা। ২০১৪ সালে পরিবর্তন ঘটে। ২০১৪ সালে প্রথম এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ জেতেন।

আরও পড়ুন- সৌমিত্র না সুজাতা, একদা বামদুর্গ বিষ্ণুপুরে শেষ হাসি হাসবে কে? অপেক্ষার কিছুক্ষণ

এখনও বাকি ১২-১৩ রাউন্ড গণনা। প্রথম দিকে সুজাতা এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে প্রায় ১৮০০০ ভোটে লিড নিয়েছেন সৌমিত্র। তবে আদতে কী ফলাফল হবে, তার উত্তর আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই স্পষ্ট হবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Sujata Mondal: জিলিপি ছাড়া মন ভরে না! ভোটের দিনেও রসিয়ে খেলেন সুজাতা মণ্ডল! তারপরেই ঘটল কাণ্ড! জানুন

বাঁকুড়া: ভোটের দিন বেশ সক্রিয় দেখা গেল সুজাতা মণ্ডলকে! বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নিজের প্রচারের কারণে ট্রেন্ডিং ছিলেন নির্বাচনের আগে। তবে নির্বাচন শুরু হতেই সেই ধারা চোখে পড়ল। সকাল সকাল ছিন্নমস্তা মন্দির এবং ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে, আশীর্বাদ প্রার্থনা করে শুরু করেন দিন। ব্লকে  ব্লকে  চলে বুথ পরিদর্শন। সবচেয়ে নজর কাটা যে দৃশ্য ছিল সেটি হল বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীর জিলিপি খাওয়ার দৃশ্য।

বালসিতে দাঁড়িয়ে গরম গরম জিলিপি খেলেন সুজাতা মণ্ডল। দারুণ খোস মেজাজ তৃণমূল প্রার্থী, জিলিপি খেলেন এবং অন্যদেরকেও দিতে বললেন।মিষ্টিমুখ করে বুথ পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এক জওয়ানের সঙ্গে সাংবাদিকদের বুথের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে বচসা করতে দেখা গেল বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “সকলের জন্য একই নিয়ম।”

আরও পড়ুন: ‘সবুজ আবির লাগিয়েছি মানে, ভোটে জিতে গেছি, তা নয়!’ ভোট মিটতেই কেন বললেন দেব? জানুন

এরপর চলতে থাকে একের পর এক বুথ পরিদর্শন। ইন্দাস বড়জোড়া এবং বিষ্ণুপুর। সারাদিন বেশ সজাগ দেখালো বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীকে। প্রচারে যেভাবে নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে, ভোটের দিনও পুজো করে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিলিপি খেয়ে মিষ্টিমুখ করে এবং বুথ পরিদর্শন করে দিল্লি যাওয়ার লড়াইটা শুরু করলেন সুজাতা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জি

Lok Sabha Election 2024: ভোট দিতে এসে ভাবুক সুজাতা, শোনালেন ‘পেটে ব্যথার’ গল্প

বাঁকুড়া: ভোট  দিতে এসে ভাবুক হলেন সুজাতা। বললেন প্রচারে বেরিয়ে পেটে ব্যথার গল্প। বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে বড়জোড়া হাই স্কুলে শেষ বেলায় উপস্থিত হন। তিনি জানান, তৃণমূলের নিশ্চিত জয় হবে বলেই তিনি মনে করেন। এছাড়াও ভোট দিয়ে এক অনন্য অনুভূতি পেয়েছেন তিনি।

প্রচার শেষে চোখের জল এবং ভোটের শেষে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন সুজাতা। উঠে এল, প্রচার চলাকালীন পেটে ব্যাথার গল্প। সুজাতা জানান, “প্রচারের শেষ দিন চোখ দিয়ে জল পড়েছিল। ভোট দিয়ে অনন্য অনুভূতি। মায়েদের যেভাবে উৎসাহ পেয়েছি তা জীবনেও ভুলব না।” যদিও গোটা ভোটের দিন বেশ সক্রিয় দেখা গেছে সুজাতা মণ্ডলকে। বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূলের প্রার্থী নিজের অভিনব সব প্রচারের কারণে ট্রেন্ডিং ছিলেন নির্বাচনের আগে থেকেই।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমলের আতঙ্ক, রবিবার দুপুর থেকে কলকাতায় ২১ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ!

সকাল সকাল ছিন্নমস্তা মন্দির এবং ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে, আশীর্বাদ প্রার্থনা করে শুরু করেন দিন। দিনের শেষ হল বড়জোড়া হাই স্কুলে ভোট দিয়ে।দিনের সবচেয়ে নজর কাড়া যে দৃশ্য ছিল সেটি হল প্রার্থীর জিলিপি খাওয়ার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সঙ্গে বচসা করার।

আড়াই মাস ব্যাপী প্রচার এবং, একদিনের ভোট। এভাবেই শেষ হল দিল্লির সংসদে পৌঁছনোর লড়াই। তবে জনতা জনার্দন বলে দেবেন কে যাচ্ছেন দিল্লি। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নাকি বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ? এই উত্তর জানা যাবে ৪ জুন ভোট গণনার পর।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Sujata Mondal: হাসিমুখে ক্যামেরায় ‘ফটোসেশন’…! ভোটের সকাল সকাল মন্দিরে পুজো তৃণমূল প্রার্থী সুজাতার, প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে খুললেন মুখও

ষষ্ঠ দফা ভোটের সকাল থেকেই নজরে একাধিক কেন্দ্র। একদিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েই মন্দিরে পুজো সুজাতা মণ্ডলের। ছিন্নমস্তা মন্দিরে পুজো দিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী। জানালেন, বিকেলের দিক করে নিজের ভোট দান করবেন তিনি।
ষষ্ঠ দফা ভোটের সকাল থেকেই নজরে একাধিক কেন্দ্র। একদিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েই মন্দিরে পুজো সুজাতা মণ্ডলের। ছিন্নমস্তা মন্দিরে পুজো দিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী। জানালেন, বিকেলের দিক করে নিজের ভোট দান করবেন তিনি।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ। ষষ্ঠ দফায় ভোটের দিন নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নিশানা করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন স্বামীকে।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ। ষষ্ঠ দফায় ভোটের দিন নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নিশানা করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন স্বামীকে।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডলের তরজা শুরু থেকেই ভোটের বাজার গরম করেছে বার বার। এবার ভোটের দিনও সেই ধারাবাহিকতা জারি রেখে প্রাক্তন স্বামীকে নজিরবিহীন কটাক্ষ সুজাতার।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডলের তরজা শুরু থেকেই ভোটের বাজার গরম করেছে বার বার। এবার ভোটের দিনও সেই ধারাবাহিকতা জারি রেখে প্রাক্তন স্বামীকে নজিরবিহীন কটাক্ষ সুজাতার।
সুজাতা মণ্ডল এদিন নাম না করে সৌমিত্র খাঁকে 'পাগল - ছাগল' বলে কটাক্ষ করলেন। তাঁর কথায়, "পরপর ২ বার সাংসদ হয়েও তিনি কোনও কাজ করেননি। বিজেপির লোকেরাই ওঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে। আমি ওঁকে আমার প্রতিপক্ষ বলে মনে করি না। বিজেপি অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জায়গায়।"
সুজাতা মণ্ডল এদিন নাম না করে সৌমিত্র খাঁকে ‘পাগল – ছাগল’ বলে কটাক্ষ করলেন। তাঁর কথায়, “পরপর ২ বার সাংসদ হয়েও তিনি কোনও কাজ করেননি। বিজেপির লোকেরাই ওঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে। আমি ওঁকে আমার প্রতিপক্ষ বলে মনে করি না। বিজেপি অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জায়গায়।”
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ষাঁড়েশ্বর এবং এক্তেশ্বর মন্দিরেই গাজন উৎসবে হাজির হয়ে তৎকালীন স্বামী সৌমিত্রের জয়ের কামনায় পুজো দিয়েছিলেন সুজাতা।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ষাঁড়েশ্বর এবং এক্তেশ্বর মন্দিরেই গাজন উৎসবে হাজির হয়ে তৎকালীন স্বামী সৌমিত্রের জয়ের কামনায় পুজো দিয়েছিলেন সুজাতা।
এবার ছবিটা বদলেছে। এবারও দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখা যায় ওই মন্দিরে পুজো দিতে নিজ নিজ জয়ের কামনায়। চৈত্র সংক্রান্তির আগেই একই দিনে, একই সময় তাঁরা হাজির হন প্রসিদ্ধ এই মন্দিরে।
এবার ছবিটা বদলেছে। এবারও দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখা যায় ওই মন্দিরে পুজো দিতে নিজ নিজ জয়ের কামনায়। চৈত্র সংক্রান্তির আগেই একই দিনে, একই সময় তাঁরা হাজির হন প্রসিদ্ধ এই মন্দিরে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়া বারণ ছিল সৌমিত্রের। পাঁচ বছর পর ফের প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী ভোটে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বভাবতই ষষ্ঠ দফায় বিষ্ণুপুরে দুই নেতা নেত্রীর টক্কর তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়া বারণ ছিল সৌমিত্রের। পাঁচ বছর পর ফের প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী ভোটে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বভাবতই ষষ্ঠ দফায় বিষ্ণুপুরে দুই নেতা নেত্রীর টক্কর তুঙ্গে।
ভোটের সকালে সৌমিত্র খাঁকে দেখা না গেলেও, নজর করলেন সুজাতা মণ্ডল। মন্দিরে পুজো দিয়ে চাইলেন জয়ের প্রার্থনাও।
ভোটের সকালে সৌমিত্র খাঁকে দেখা না গেলেও, নজর করলেন সুজাতা মণ্ডল। মন্দিরে পুজো দিয়ে চাইলেন জয়ের প্রার্থনাও।

Abhishek Banerjee: সোনামুখীতে মাটিতে মাথা ঠেকালেন অভিষেক, কী এমন হল?

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া লোকসভার শালতোড়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভার সোনামুখীতে জনসংযোগে প্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রথমে বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এবং পরে বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে জনসংযোগ সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোনামুখীতে দুপুরের জনসংযোগে হঠাৎ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজাতা মণ্ডল মাথা ঠেকালেন মাটিতে। বাংলার মায়েদের ধৈর্যের জন্য প্রণাম করলেন দুজনেই। সভা তখন প্রায় শেষ মুখে। সুজাতা মণ্ডলের হাত ধরে দর্শকের উদ্দেশ্য করে উৎসাহ জ্ঞাপনও সম্পূর্ণ করেছেন অভিষেক। একবার দেখেছেন হাত ঘড়ি। সময় হয়েছে সভা শেষ করার। তা সত্ত্বেও দর্শকরা কেউই আসন ছেড়ে ওঠেননি বলে, মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: পাঁচ দফার ভোট শেষ, কত আসন পাবে বিজেপি? ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

একই কাজ করতে দেখা গেল বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থীকেও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মায়েদের যে ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা পেলাম, সেটা আমার কাছে ঋণ হয়ে থাকল। এর চারগুণ সোনামুখী এবং বিষ্ণুপুরে উন্নয়ন হয়ে ফিরে আসবে।”

সভায় বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেল অভিষেক এবং সুজাতা, দুজনকেই। এমন কি, বাঁকুড়ায় ভোটের আগেই জুন মাসে বিজয় মিছিল করতে আসার ফরমান দিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতায় বার বার উঠে এল, লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথীর কথা। একটি কাগজ হাতে নিয়ে গড় গড় করে দিলেন কিছু চমকপ্রদ “তথ্য”। সভার পরিবেশ দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বাঁকুড়ায় ভোট হতে আর মাত্র তিনদিন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Sujata Mondal: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই মাস্টারস্ট্রোক! কী ঘটতে চলেছে? সুজাতার প্রচারে বড় চমক

বাঁকুড়া: সুজাতার অস্ত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে মহিলাদের কেন্দ্রবিন্দু করে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে প্রচারের মুখ্য ভূমিকায় রেখে শেষ দফার নির্বাচনী প্রচার ছাড়ছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। শুক্রবার বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়র ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে বেশ হাসিখুশি দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থীকে। ফুল ছুড়ে,মালা পরিয়ে মহিলারা সক্রিয় যোগদান করেন এই মিছিলে। মিছিলের পুরোটা জুড়েই ছিল শুধু মহিলাদের ভিড়। সঙ্গে প্রধান সাবজেক্ট ,”লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”।

দুই দিন আগে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্বিগুণ করে দেওয়া মাস্টার স্ট্রোক বলেছেন সুজাতা মণ্ডল। এছাড়াও তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বলের পর বল ছক্কা হাঁকাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার পাত্রসায়রে সুজাতা মণ্ডল জানান, “বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়ের ব্লক, এখানে মহা মিছিলের আয়োজন করেছিল ব্লক প্রশাসন। যেখানে শত শত মহিলা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছেন। মানুষের আশীর্বাদ এবং মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বুঝিয়ে দেয় তারা নিজেদের ভুল সংশোধন করতে চান।”

আরও পড়ুন: এসির মতো ঠান্ডা হবে ঘর! বিদ্যুতের বিলও আসবে নাম মাত্র! কুলার চালানোর সময় করুন এই ছোট্ট কাজ

সৌমিত্র এবং সুজাতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক তরজা। একে অপরকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখতেও শোনা যাচ্ছে দুই প্রার্থীকে। তবে রাজনৈতিক কটাক্ষের চেয়েও প্রচারের নতুনত্ব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। সুজাতা মণ্ডলের মৌলিক প্রচার ধারা নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পায় প্রতিদিনই। চতুর্থ দফার নির্বাচনের পর পঞ্চম দফা আর তার পরই ২৫ মে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভায় চূড়ান্ত নির্বাচন। হাতে গোনা কয়েকটা দিন থাকায় প্রচার ধারা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Abhishek Banerjee: ‘১২ মাসে ১২ দিন বিষ্ণুপুরে আসেনি…’ সুজাতার প্রচারে সৌমিত্রকে তুমুল খোঁচা অভিষেকের! করলেন ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

বিষ্ণুপুর: পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের হয়ে প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে তীব্র নিশানা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “এই বিষ্ণুপুর লোকসভায় বড়জোড়া আর আর খন্ডঘোষ ছাড়া পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর দায়িত্ব এবার আপনাদের।”

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “বিষ্ণুপুরে সুজাতাকে জেতান। কেউ আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না। এপ্রিল মাস থেকে যাঁরা ৫০০ টাকা পেতেন তাঁরা ডাবল পাচ্ছেন৷ বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব৷ আর সাংসদ সৌমিত্র খাঁ খন্ডঘোষে সভা করতে গিয়ে বলছে ৩০০০ টাকা করে দেব। সৌমিত্র খাঁ যতদিন তৃণমূলে ছিল আপনাদের টাকা আটকাতে পারেনি৷ যেই বিজেপিতে গেল। জার্সি বদল করল। ওমনি আপনাদের টাকা বন্ধ করে দিল। সৌমিত্র খাঁয়ের উচিত কী কাজ করেছে তার জবাব দেওয়া।”

অভিষেক আরও বলেন, “এই লোকসভায় দুই হাজার বুথ আছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে আসেন। সেই মঞ্চে আমাকে ডাকা হোক। তোমাদের সরকার কী করেছে? আর আমাদের সরকার কী করেছে আশানুরূপ ফল না করেও তার হিসেব দেব। ইন্দাসে গত বছর বজ্রপাতে ৫০ জন আহত। এক জন মারা যান৷ আমি এসেছিলাম। প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম। সোনামুখীতে বসবাসকারী এক সেনা জওয়ান মণিপুরে নিহত হয়েছিল। এই সৌমিত্র খাঁ গিয়ে জিজ্ঞাসা করেনি কেমন আছেন তাঁরা।

এরপরেই অভিষেকের বিস্ফোরক মন্তব্য, “যে নিজের সহধর্মিণীর হাত ছেড়ে দেয় সে কী করে নারীদের উন্নয়নের কথা বলবে। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৯ সালে সৌমিত্র এখানে প্রচার করতে পারেনি৷ সুজাতা প্রচার করেছিল বিষ্ণুপুরে৷ আর খন্ডঘোষে প্রচার করেছিল সৌমিত্র৷ সেখানে ৩০ হাজার ভোটে হেরেছিল।” অভিষেক আরও যোগ করেন, “এই সৌমিত্র খাঁ, ২০২২ সালে বিজেপির দুই বিধায়ককে পাশে বসিয়ে বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী আসলে জিজ্ঞাসা করবেন, যারা বাংলা ভাঙতে চায় তাকে ফের টিকিট দিলেন?”

অভিষেকের তোপ, “১২ মাসে ১২ দিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে আসেন না৷ দিল্লিতে গিয়ে ফূর্তি করেন। তাই নিজের অধিকার রেখে ভোট দিন। বলছে প্রতি বুথে মদের খরচ ৫ হাজার টাকা। সাধারণ মানুষ খেতে পায় না৷ আর ৮০ হাজার বুথে ৪০ কোটি টাকার মদ ভোটের দিন৷ গরীব মানুষ জানে না ৪০ কোটিতে কটা শূন্য আছে। এত মদ কে খাবে রে বাবা?”

কেন্দ্রের বঞ্চনা ও উদাসীনতাকে নিশানা করে অভিষেক আরও বলেন, “বলেছিল গঙ্গাজলঘাঁটিতে স্টেডিয়াম করব৷ এক বালতি মাটি ফেলতে পারেনি।এত আর্থিক বোঝা থাকা সত্ত্বেও, আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। একবার ভাবুন যদি কেন্দ্র থেকে বকেয়া টাকা যদি পাওয়া যায় তাহলে কত রাস্তা, বাড়ি, আর আবাস পাবেন!”

Bankura News: “তৃণমূল ছক্কার পর ছক্কা হাঁকাচ্ছে” গোলসিতে বললেন সুজাতা

বাঁকুড়া: হাতে লক্ষ্মীর ঘট। যে ঘটে ছোটবেলায় দু এক টাকা করে জমাতেন অনেকেই। সেই ঘট হাতে সুজাতা মণ্ডলের প্রচারে অংশ নিলেন মহিলারা। বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল গলসি ২ নম্বর ব্লক ও ভুঁড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মহিলা কর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা সারলেন। এই সভাতেই দেখা গেল হাতে লক্ষ্মীর ঘট নিয়ে মহিলাদের।

বুধবার পুজো সেরে শুরু হয় প্রচার। মহিলাদের সাড়া পেয়ে প্রার্থী বলেছেন, “কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছি না। রোদে গরমে যেভাবে মহিলারা এসেছেন, তাতে আমি নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।

আরও পড়ুন: ধরা পড়ল বিরাট জালিয়াতি, ভোটে জিততে এমন কুকীর্তি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার!

তাছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দ্বিগুন করে দেওয়া একটা মাস্টারস্ট্রোক বলেও দাবি করেন সুজাতা। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল বলের পর বল ছক্কা হাঁকাচ্ছে।’ সৌমিত্র এবং সুজাতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক তরজা। একে অপরকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখতেও শোনা যাচ্ছে দুই প্রার্থীকে। তবে রাজনৈতিক কটাক্ষের চেয়েও প্রচারের নতুনত্ব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।

সুজাতা মণ্ডলের  নতুন নতুন প্রচার ধারা নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিনই। চতুর্থ দফার নির্বাচনের পর পঞ্চম দফা আর তার পরই ২৫ মে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভায় চূড়ান্ত নির্বাচন। হাতে সময় কম থাকায় তাই প্রচারে আরও সময় দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী৷

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

TMC Sujata Mondal: বাঁকুড়ার প্রচারে সব নজর সন্তোষে, কে তিনি? যার সঙ্গে দেখা করলেন সুজাতা মণ্ডল

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় ভোট ২৫ মে। তার আগে বিষ্ণুপুর লোকসভার ফুলিয়ারা অঞ্চলের ঘুমুট গ্রামে সন্তোষ নামক এক বিশেষভাবে সক্ষম সক্রিয় দলীয় কর্মীর সঙ্গে বেশ মানবিক আলাপচারিতা করতে দেখা গেল বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে।

কে এই সন্তোষ? কেনই বা ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সুজাতা মণ্ডলকে? দলের আর পাঁচটা কর্মীর মতোই, দলের সক্রিয় এক কর্মী সন্তোষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী সন্তোষ পেয়েছেন এটি বিশেষ গাড়ি, সঙ্গে পাচ্ছেন ‘প্রতিবন্দী ভাতা’।

আরও পড়ুনঃ এক কল্যাণে রক্ষে নেই, সঙ্গে আরও দুই! শ্রীরামপুর লোকসভায় ৩ কল্যাণের লড়াই

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল সাক্ষাৎ করছেন সন্তোষ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তোষের উদ্দেশ্যে প্রার্থী বলছেন, “মাকে প্রণাম করো। তোমরা রয়েছ বলেই দল বেঁচে আছে। খুব ভাল থেকো, শরীর ভাল রাখো।

চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ বার অপেক্ষা পঞ্চম দফা এবং অবশেষে ২৫ মে। নির্বাচনকে সামনে রেখে, প্রতিটি হেভিওয়েট প্রার্থী সেরে ফেলছেন নির্বাচনী প্রচার। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নজর কেড়েছেন জনগণের প্রতি তার সাবলীল আচরণের ফলে, সঙ্গে নিত্য নতুন প্রচার কৌশল তো রয়েছেই।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

ভোট প্রচারে বেরিয়ে অবাক কাণ্ড ঘটালেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল

ভোট প্রচারে সুজাতা মন্ডল, এক গ্রস্থের বাড়িতে ভাজলেন মাছ, ৪ জুনের পর মাছ ভাজার মত কড়াভাবে বিরোধীদের ভেজে দেওয়ার একটা হুঁশিয়ারি সুজাতা মন্ডলের,আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, তারপরেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট । প্রচারে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল এর।