Tag Archives: Surya Kumar Yadav

Viral Video: শট মারার পর ভারসাম্য হারিয়ে ধাঁই করে মাটিতে পরে গেলেন সূর্যকুমার, তারপরেও ‘কাজের কাজ’

#নয়াদিল্লি: অনবদ্য, দুর্দান্ত, ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের শতরানের ইনিংস নিয়ে এরকম বেশ কিছু তাগড়া বিশেষণ ব্যবহার করাই যায়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে (IND vs SL), তিনি ৫১ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। গত বছরও তিনি ২টি শতরান করেছিলেন পাশাপাশি ১১০০- র বেশি রানও করেছিলেন।

এদিনের ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচ ব্যাটিং ধামাকায় ভরিয়ে দেন তিনি৷ তাঁর শতরানের ইনিংসে ৯টি বড় সাইজের ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচে ভারতীয় দল প্রথমে খেলতে গিয়ে ৫ উইকেটে ২২৮ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা দল। বাঁহাতি ফাস্ট বোলার অর্শদীপ সিং নেন ৩ উইকেট। ফলে ২-১  সিরিজ দখল করল টিম ইন্ডিয়া।  ১০ জানুয়ারি থেকে দুই দেশের মধ্যে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের শতরানের ইনিংসে সূর্যকুমার যাদব দুর্দান্ত শট খেলেন। তবে তাঁর একটি ছক্কা মারা নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। বাঁহাতি ফাস্ট বোলার দিলশান মধুশঙ্কার ফুল টস বলে উইকেটের পিছনে ছক্কা মারেন তিনি। শটটি অফার করার পর তিনি নিজের শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতেই পড়ে যান, কিন্তু কাজের কাজ হওয়া তাতে আটকায়নি৷ তাঁর সেই ছক্কার ভিডিও এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷

 

দেখে নিন সেই ভাইরাল ভিডিও (Viral Video)

 

 

সূর্যকুমার যাদবের ফ্যানরাও এই শট দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এদিনের ম্যাচে ৫১ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সূর্য কুমার যাদব।৯টি ছক্কার পাশাপাশি তাঁর এদিনের ইনিংসে ৭টি চারও মারেন তিনি। টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান আবারও দেখালেন কেন তাকে স্কাই বলা হয়।

প্রতি ইনিংসে গড়ে ২টি ছক্কা, কেউ নেই সূর্যকুমার যাদবের আশেপাশে

সূর্যকুমার যাদব T20 আন্তর্জাতিকের ৪৩ ইনিংসে ৪৬ গড়ে ১৫৭৮ রান করেছেন। মেরেছেন ৯২ টি ছক্কা। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে তিনি প্রায় ২.১৩টি ছক্কা মারেন। টি-টোয়েন্টিতে ৯০টির বেশি ছক্কা মেরেছেন এমন কোনো ব্যাটসম্যানের রেকর্ড তার চেয়ে ভালো নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, রোহিত শর্মা সর্বোচ্চ ১৮২ টি ছক্কা মেরেছেন। এর জন্য তিনি নিয়েছেন ১৪০ ইনিংস। মানে প্রতি ম্যাচে ১.৩ ছক্কা। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি রান করা বিরাট কোহলির কথা বলতে গেলে, তিনি ১০৭  ইনিংসে ১১৭ টি ছক্কা মেরেছেন। মানে প্রতি ম্যাচে ১.০৯ ছক্কা।

শুধু রোহিতের পিছনে
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকের কথা বললে, মাত্র ৫ জন ব্যাটসম্যান ৩ বা তার বেশি সেঞ্চুরি করেছেন। সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত শর্মা। একই সঙ্গে সূর্যকুমার যাদব, চেক প্রজাতন্ত্রের সাবাভুন দাভিজি, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো ৩-৩ সেঞ্চুরি করেছেন। সোজা কথায় রোহিতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সূর্যকুমার যাদব৷ হিটম্যানের রেকর্ড পিছনে ফেলতে মরিয়া স্কাই সূর্যকুমার যাদব৷

ব্যাটে সূর্য, বলে অশ্বিন ! জিম্বাবোয়েকে উড়িয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে ভারত

#মেলবোর্ন: মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। একটা পরিবর্তন দলে এনেছিল টিম ইন্ডিয়া। কার্তিকের জায়গায় ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাই বলে জিম্বাবোয়েকে হালকা করে নেয়নি ভারত। কারণ টুর্নামেন্টের এই জায়গায় এসে জয়কে একটা অভ্যাসে পরিণত করতে হয়। সেটাই ছিল ভারতীয় দলের লক্ষ্য।

ভারতীয় দলে যবে থেকে তার অভিষেক হয়েছে, প্রতিদিন নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। সূর্য কুমার যাদব কেন বিশ্বের সেরা টি টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সেটা আবার প্রমাণ করলেন আজকে। মেলবোর্ন জুড়ে শুধুই সূর্যের বিকিরণ। একের পর এক মারকাটারি শট খেলতে থাকেন। অদ্ভূত সব শট উপাহার দেন সূ্র্যকুমার যাদব। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন হার্দিক পান্ডিয়া।

নিজের বিধ্বংসী ইনিংসের দুশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করতে থাকেন সূর্য কুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। ১৮ রান করে আউট হন হার্দিক। শেষ ওভারেও জারি থাকে সূর্যের তান্ডব। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সূর্য। ৬টি চার ও ৪টি ছয় মারেন তিনি।

জিম্বাবোয়ের সামনে ১৮৭ রানের বিশাল টার্গেট। এই রান তাড়া করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় সেটা বোঝার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। প্রথম বলেই উইকেট পেলেন ভুবনেশ্বর। ওয়েসলির ক্যাচ নিলেন কোহলি। পরের ওভারেই চাকাবভাকে বোল্ড করলেন আরশদীপ। উইলিয়াম (১১) করে আউট হলেন শামির বলে। এরভিন (১৩) কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন হার্দিকর বলে। পাওয়ার প্লের মধ্যেই জিম্বাবোয় শেষ সেটা বোঝা গেল।

দেখার ছিল সিকান্দার রাজা কতটা লড়াই করতে পারেন। মুনিয়ঙ্গা (৫) এল বি ডব্লিউ হলেন শামির বলে। এই জিম্বাবোয়ের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। যদিও বাংলাদেশ এবং ডাচদের কাছে হেরেছিল জিম্বাবোয়ে। রায়ান বারল কিছুটা চেষ্টা করলেন বটে। সিকান্দার রাজার সঙ্গে একটা দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হল। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। ব্যক্তিগত ৩৫ করে অশ্বিনের বলে বোল্ড হলেন।

আজকের পর হাতে তিন দিন সময়। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। বাটলার, মইন আলি, বেন স্টোকসদের হারাতে হলে নিজেদের সব বিভাগে উন্নতি প্রয়োজন। ম্যাচ শেষে সেটাই জানিয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ইংলিশরা অন্যতম সেরা দল। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবোয়ের রান ছিল ৫৯/৫। তবে ভারতের পক্ষে আর একটা প্লাস পয়েন্ট ওপেনার রাহুলের ফর্মে ফেরা। ২২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিলেন অশ্বিন।

বিশ্বের সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান! সূর্য কুমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আক্রম থেকে মিসবাহ

#লাহোর: যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ভারত, তাতে সন্দেহ হচ্ছিল দলের রান ১০০ পৌঁছবে কিনা। বড় বড় তারকারা ফিরে যাওয়া সত্ত্বেও একা সূর্য কুমার যাদব যেভাবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে পাল্টা লড়াই করলেন তা দেখে অবাক ওয়াসিম আক্রম, মিসবাহ উল হকের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।

সূর্য কুমারকে বিশ্বের সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আখ্যা দিলেন দুই প্রাক্তন পাক তারকা। সূর্যকুমার যাদব দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাত্র ৪০ বলে ৬টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্য ৬৮ রান করেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং তারকা ব্যাটসম্যান মিসবাহ উল হক সূর্যের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত।

আরও পড়ুন – পাকিস্তানকে ছিটকে দিতে ইচ্ছে করেই হেরেছে ভারত! শোয়েব আখতারের অভিযোগে নতুন বিতর্ক শুরু

পাকিস্তান টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন যে, সূর্যকুমার যাদবের টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স এমন পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে তাঁর খেলায় ত্রুটি খুঁজে পাওয়া কঠিন। সূর্য মন একটি কৌশল তৈরি করেছে যা বোলারদের জন্য সঠিক লেন্থ খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে। কারণ বোলাররা যদি একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বল করে, তবে শটটি কভারের উপর দিয়ে যাবে এবং আবার যদি শর্ট বল করে, তবে বলটি কভারের উপর দিয়ে চলে যাবে। থার্ড ম্যান বা পয়েন্ট।

প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার এবং সুইং সুলতান ওয়াসিম আক্রম জানিয়েছেন, সুর্যকুমার যাদব এমনই স্টাইলে খেলে যে, একজন বোলার হিসাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না, কোন জায়গায় ফাঁর খুঁজে ওর উপর আধিপত্য বিস্তার করা যায়। ও বিভিন্ন ধরনের শট খেলে। সব এলাকায় রান স্কোর করে। ও দুরন্ত কম্পোজার। ওর এত শট আছে, কিন্তু আমি ওকে তাড়াহুড়ো করতে দেখিনি।

আক্রম যখন অতীতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তখন সেই দলে ছিলেন সূর্য কুমার। তখন তার মধ্যে প্রতিভা ছিল বটে, কিন্তু এত উদ্ভাবনী শট ছিল না। ওয়াসিম মনে করেন বাবর এবং রিজওয়ান পাওয়ার প্লে খেলার যে সুবিধা পান সেটা পান না সূর্য কুমার। যদি সেটা পেতেন তার রানের সংখ্যা আরও বেশি হত। এমন ব্যাটসম্যানশিপ চোখে দেখাও আরামের বলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা।

Viral Video: নিজেই নিজের ছক্কা দেখে হেসে চলেছেন, সূর্যকুমারের ভিডিও কাঁপাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

#সিডনি: রবিবার ভারতের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল ছুটছে জয়ের পথে। ভারতীয় দল প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারিয়ে দারুণ জয় পেয়ে উৎফুল্ল ভারত। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার দ্বিতীয় ম্যাচেও ৫৬ রানে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন ভারতীয় দলের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩৯ বলে ৫৩ রান করেন। সেই ম্যাচে ফের একবার ঝলসে ওঠে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির ব্যাট। কিং কোহলি, যিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮২* রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন৷ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ৬২* রানের একটি দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেছিলেন৷

এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াও ভারতীয় দলের  হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা সূর্যকুমার যাদব মাত্র ২৫ বলে ৫১* রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। এদিনের ম্যাচে তার স্ট্রাইক রেট ২০০ ছাড়িয়ে যায়। সূর্যের তেজে তিনি ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে তার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের দশম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। এই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন –  ছিল নার্সিংহোমের সিসিটিভি! তাও ডাস্টবিনের পাশ থেকে শিশুভ্রূণ উদ্ধার

 

এরপর নিজে নিজের এই ছক্কার ভিডিও দেখে মজা নিচ্ছেন তিনি, সেটাই এখন ভাইরাল ভিডিও৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এখন সূর্যকুমার যাদব আবার নিজের রিঅ্যাকশনও দিয়েছেন৷  একজন ফ্যানের হ্যান্ডেল থেকে  শেয়ার  হওয়া ভিডিওতে সূর্যকুমার যাদবকে নিজের দুর্দান্ত ছক্কা দেখতে দেখা যাচ্ছে। নিজের বিছানায় শুয়েই ছক্কা হাঁকানোর আনন্দে বুঁদ হয়েছেন৷

যাদবের এই ভিডিও তাঁর ফ্যানরাও বেশ পছন্দ করছেন। সূর্যকুমার যাদব বর্তমানে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের প্রাণ। বেশ কিছু ম্যাচে তিনিই গেম চেঞ্জার হয়ে ভারতীয় দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি।

রাহুল, সূর্য কুমারের ধ্বংসলীলায় গুয়াহাটিতে আফ্রিকান সিংহদের বিরুদ্ধে বড় রান ভারতের

ভারত – ২৩৭/২

#গুয়াহাটি: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিরুবন্তপুরমে সেভাবে লড়াই হয়নি দুই দলের। বাভুমা, রুসোদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেদিন ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল ভারত। তাই আজ টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ওপেন করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং কেএল রাহুল দুর্দান্ত শুরু করলেন। পাওয়ার প্লেতে দলের রান ছিল ৫৭/০।

আঙুলে চোট পেলেন রোহিত। কিন্তু সেটা তার ব্যাটিংয়ে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারেনি। রাহুল গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। আজ আবার দেখার মত কিছু শট খেললেন। তিনি ধীরে ধীরে নিজের সেরা ছন্দে ফিরছেন সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাক ফুটে যে ওভার বাউন্ডারি মারলেন নকিয়াকে, সেটা ছিল দেখার মত। ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন।

অন্যদিকে রোহিত বিধ্বংসী না হলেও কার্যকরী ইনিংস খেলছিলেন। কিন্তু মহারাজের বলে মারতে গিয়ে আউট হলেন ব্যক্তিগত ৪৩ করে। সাতটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা মারলেন হিটম্যান। রাহুল আউট হয়ে গেলেন মহারাজের বলে এল বি ডব্লিউ ৫৭ করে।

কিন্তু এরপর সূর্য কুমার যাদব নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাট করতে শুরু করলেন। রাবাডাকে ফ্লিক করে এমন একটা ছক্কা মারলেন যার ব্যাখ্যা পাওয়া মুশকিল। একই ওভারে উইকেট কিপারের মাথার উপর দিয়ে মারলেন একটি বাউন্ডারি। জীবনের সেরা ছন্দে আছেন সূর্য সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ১৫ তম ওভারে উঠল ২২ রান।

কমেন্ট্রি করতে থাকা রবি শাস্ত্রী ভাষা হারিয়ে ফেললেন। ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার কেন তাকে বলা হচ্ছে প্রমাণ রাখলেন সূর্য। পরিস্থিতি বুঝে বিরাট কোহলি নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। যত বেশি সম্ভব স্ট্রাইক নিতে দিলেন সূর্যকে। ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন সূর্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা করলেন। শেষ পর্যন্ত বিরাটের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৬২ করে রান আউট হলেন সূর্য (৬২)।

সূর্য কুমারের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে কেকেআরের অবদান সবচেয়ে বেশি ! বার্তা পন্টিংয়ের

#সিডনি: আজ শুধু ভারতীয় ক্রিকেটে নয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। একটি ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। আইসিসি তালিকায় রয়েছেন দ্বিতীয় নম্বরে। সবচেয়ে বড় কথা যেভাবে ব্যাট করছেন দেখে মনে হচ্ছে না নিজে ভুল না করলে তাকে কেউ আউট করতে পারে। সুনীল গাভাসকার, ওয়াসিম আক্রম অনেক আগেই প্রশংসা করেছিলেন সূর্য কুমারের।

কিন্তু এবার আসল কথাটা জানালেন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক জানিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স না থাকলে আজ হয়তো সূর্য কুমার যাদবের এই জায়গায় পৌঁছানো হত না। আসলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছিলেন না সূর্য। ২০১৪ সালে তাকে কিনে নেয় কেকেআর।

২০১৭ পর্যন্ত ছিলেন কলকাতার দলে। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যান। লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে বেশ কিছু দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন সূর্য। সেটাই সারা ভারত বর্ষকে ইঙ্গিত দিয়েছিল তার ব্যাটিং প্রতিভা সম্পর্কে। পরে আবার তাকে ফিরিয়ে নেয় মুম্বই।

কিন্তু খারাপ সময় সূর্য কুমারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেকেআর দলের অবদান অনস্বীকার্য জানিয়েছেন পন্টিং। সূর্য কুমার নিজেও মনে করেন শাহরুখ খানের দলে সুযোগ পেয়েই প্রথমবার আইপিএলে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিলেন তিনি। রিকি পন্টিং মনে করেন এই মুহূর্তে সূর্য কুমার যেরকম ব্যাট করছেন, তাতে তিনি লিখে দিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় থাকবেন।

সূর্য ফ্রন্টফুট এবং ব্যাকফুট দুটোতেই শক্তিশালী। বলের মাপ অনেক আগে থেকে বুঝতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা স্পিনারদের এত লেটে কাট করতে পারেন, সেটা বিরল ক্ষমতা। পাশাপাশি সুর্য কুমারের এই ছন্দ ধরে রাখার জন্য তাকে বিশ্রাম নয়, বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত টানা খেলিয়ে যাওয়া উচিত মনে করেন গাভাসকার। সূর্য অবশ্য জানিয়ে রেখেছেন চার নম্বর তার পছন্দের জায়গা হলেও দলের প্রয়োজনে তিনি যে কোনও জায়গায় খেলতে প্রস্তুত।

সূর্য – রাহুল জুটিতে খালাস দক্ষিণ আফ্রিকা! সহজ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু ভারতের

#তিরুবনন্তপুরম: দক্ষিণ আফ্রিকার এত অল্প রান ভারত কত তাড়াতাড়ি তুলতে পারে সেটাই ছিল দেখার। ওপেন করতে নেমে এদিন রোহিত শর্মা খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন রাবাডার বলে। বিরাট সংগ্রহ করলেন তিন। নখিয়ার বলে খোঁচা দিলেন তিনি। সাময়িক ধাক্কা সামলে নিলেন রাহুল এবং স্বপ্নের ফর্মে থাকা সূর্য কুমার যাদব।

ভারতের চেষ্টায় ছিল যখন বিপক্ষ এত কম রান করেছে, তখন রাহুলকে যতটা পারা যায় স্ট্রাইক নিতে দেওয়া। যাতে নিজের ছন্দ খুঁজে পান তিনি। রাহুল কয়েকটা দেখার মত শট খেললেন। কিন্তু সেরা ফর্ম এখনও ফিরে পেতে সময় লাগবে তার। তবে সূর্য ব্যাট হাতে এই মুহূর্তে যেন কবিতা লিখে চলেছেন।

যা করতে চাইছেন তাই হচ্ছে। তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সেভাবে তাড়াহুড়ো ছিল না। ম্যাচটাকে ব্যাটিং প্র্যাকটিস হিসেবে নিয়েছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত কে এল রাহুল এবং সূর্য মিলেই জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। সূর্য ৫০ পূর্ণ করলেন। অন্যদিকে রাহুলও অনেকক্ষণ উইকেটে সময় কাটালেন। দুটোই ভারতের কাছে পজিটিভ দিক।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিরুবন্তপুরমের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে নাকি পিঠে ব্যথা অনুভব করেছিলেন জসপ্রীত
বুমরাহ। তাই এদিনের ম্যাচ থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফিরে এসেছিলেন দীপক চাহার এবং আর্শদীপ সিং। দুই সুইং বোলার দেখালেন সঠিক জায়গায় বল রেখে মুভ করাতে পারলে ব্যাটসম্যানদের কতটা চাপে ফেলা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা আগের দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন নতুন বলে ভারতীয় পেসারদের সামলানো কঠিন হতে পারে। তার আশঙ্কা যে সঠিক সেটা প্রমাণ হতে থাকল প্রথম থেকে। প্রথম ওভারেই খাতা না খুলে দীপকের ইনসুইং সামলাতে না পেরে বোল্ড হলেন তিনি।

এরপর কুইন্টন ডি কক (১), রুসো এবং ডেভিড মিলার (০) কয়েক মিনিটের মধ্যে ফিরে গেলেন। অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন আর্শদীপ। তার সুইং বুঝতেই পারল না দক্ষিণ আফ্রিকানরা। যে বলটায় বোল্ড করলেন রুশোকে, সেটা পৃথিবীর যেকোন ব্যাটসম্যান বোল্ড হতেন। মনে করিয়ে দিল ওয়াসিম আক্রমকে।

হাওয়ায় অনেকটা কেটে গেল বলটা। নয় রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তখন কি করবে বুঝতে পারছে না। এদেন মার্করাম (২৫) কিছুটা প্রতিরোধ না করলে আরো লজ্জায় পড়তে হত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৪৮/৬।

পাশাপাশি মহারাজ এবং পার্নেল দুই বাহাতি ব্যাটসম্যানকে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করলেন অশ্বিন। কিন্তু দুজনেই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। পার্নেল (২৪) করে আউট হলেন অক্ষরের বলে। শেষ বেলায় ছক্কা মেরে অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন কে এল রাহুল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। তবে আপাতত ৮ উইকেটে জয় ভারতের মনোবল বাড়িয়ে দিল।

পাকিস্তানের রিজওয়ানকে পেছনে ফেললেন, যন্ত্রণার ওষুধ খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন সূর্য কুমার

#মুম্বই: ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও কয়েকটা বছর আগে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল তার। এমনটা জানিয়েছিলেন কপিল দেব থেকে সুনীল গাভাসকার। সূর্য কুমার যাদব দেরিতে সুযোগ পেয়েছেন বটে, কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে দেওয়ার পর থেকে তার মত ধারাবাহিক রান কজন করেছেন?

এই ব্যাপারে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটপ্রেমীদের নিশ্চয়ই মনে আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম বল সূর্য কুমার খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার আর্চারকে। প্রথম বলটাই মেরেছিলেন ছক্কা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক নতুন তারকা ব্যাটসম্যান এসে গিয়েছেন, ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল সেদিন।

আরও পড়ুন – দুর্গাপূজার আনন্দে অবসরের দুঃখ ভুলে গিয়েছি, কলকাতায় পা দিয়ে জানালেন ঝুলন

এরপর যত সময় গিয়েছে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সূর্য। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করার দিক থেকে সূর্য রয়েছেন এক নম্বরে। তিনি করেছেন ৬৮২ রান। দুই নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান (৫৫৬)। একটি ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড (৪২) ছিল পাকিস্তানের উইকেট রক্ষকের দখলে। সেটাও এবছর স্পর্শ করে ফেলেছেন সূর্য।

হায়দ্রাবাদে সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ খেলতে নামার আগে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ওষুধ খেয়ে নেমেছিলেন সূর্য কুমার। আরেকটি মজার তথ্য হল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পাওয়ার ব্যাপারে শীর্ষে রয়েছেন সূর্য। অস্ট্রেলিয়ার কোচ ম্যাকডোনাল্ড জানিয়ে দিয়েছেন, সূর্য কুমারকে দেখে অবাক হতে হয়।

যেভাবে মাঠে গ্যাপ তৈরি করে নিতে জানে, সেটা আধুনিক ক্রিকেটে খুব বেশি ব্যাটসম্যান পারে না। কব্জির কাজ অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সূর্য কুমার কিন্তু আগুন জ্বালাবে। ফিঞ্চ মেনে নিয়েছেন ম্যাচটা ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন প্রধানত সূর্য কুমার।

না হলে একা বিরাট কোহলির পক্ষে সম্ভব ছিল না। রোহিত শর্মা থেকে বিরাট কোহলি জানিয়েছেন সূর্য কুমার সবচেয়ে ভাল টাইমিং করছিল। তাই যতটা সম্ভব তাকেই স্ট্রাইক নিতে দেওয়ার হিসেব ছিল ড্রেসিং রুমে।

সূর্যের ঝলকানিতে পুড়ে ছাই অস্ট্রেলিয়া, শেষ বেলায় নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া

ভারত জয়ী ৬ উইকেটে

#হায়দারাবাদ: যেকোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ১৮০ র ওপর রান তাড়া করা সব সময় চ্যালেঞ্জ। তাই আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হায়দরাবাদে ভারতের কাজটা কঠিন ছিল সন্দেহ নেই। ওপেন করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট রাহুল (১)। রোহিত দুটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা মারলেন। কিন্তু প্যাট কামিন্সর বলে ফিরলেন ১৭ করে।

ত্রিশ রানের মধ্যে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল ভারত। কিন্তু এরপর ধাক্কাটা সামলে নিলেন বিরাট কোহলি এবং সূর্য কুমার যাদব। দুজনে মিলে ভারতের ইনিংসকে পায়ের তলার মাটি দিলেন। শুধু বাউন্ডারি নয়, সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। ম্যাচ ১০ ওভার পের হতেই হাত খুললেন সূর্য কুমার।

একের পর এক দুর্দান্ত শট খেলতে থাকলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। বুঝিয়ে দিলেন যেদিন তিনি খেলবেন সেদিন এই দলের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি ছাড়া কেউ হবেন না। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৯ করে ফিরলেন। কিন্তু ততক্ষণ ভারতকে একটা প্লাটফর্ম দিয়ে যেতে সক্ষম হলেন।

এলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অন্যদিকে বিরাটও সেট হয়ে বেশ কয়েকটা দেখার মত স্ট্রোক উপহার দিলেন। প্যাট কামিন্সকে কভারের ওপর দিয়ে মারা ছক্কাটা প্রমাণ করে তিনি নিজের পুরনো ছন্দে ফিরে আসছেন। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন।

অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ফিঞ্চ এবং ক্যামেরন গ্রিন ঝড়ের গতিতে শুরু করলেন। বিশেষ করে গ্রিন। মাঠে যেন সাইক্লোন বয়ে গেল। একের পর এক বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি আসতে থাকল তার ব্যাট থেকে। বুমরাহ, অক্ষর, ভুবি – কেউ তাকে থামানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছিল রোহিত শর্মার। তবে ভারতকে প্রথম ব্রেক দিলেন অক্ষর।

ফিঞ্চকে (৭) আউট করলেন তিনি। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা গ্রিন (৫২) ফিরিয়ে দিলেন ভুবনেশ্বর। এরপর স্মিথ (৯), ম্যাক্সওয়েল (৬) ফিরে গেলেন পরপর। এই সময়টা অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ের গতি রান সংগ্রহ আটকে দিল ভারতীয় বোলাররা। জশ ইংলিশ (২৪) মাঝখানে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেন।

তাকে ফিরিয়ে দিলেন অক্ষর। কিন্তু ফর্মে থাকা ওয়েডকে (১) যেভাবে ফেরালেন অক্ষর, তাতে বোঝা যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গায় নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। এখান থেকে রান বাড়ানোর ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার শেষ আশা ছিল টিম ডেভিড। কিন্তু চাহাল, অক্ষর, ভুবিরা এই সময়টা বুদ্ধি করে বল করলেন। সহজে মারার জায়গা দিলেন না ক্যাঙ্গারুদের। একটি উইকেট পেলেও আজ দুর্দান্ত বল করলেন চাহাল। অক্ষর নিলেন তিনটি উইকেট।

শেষ দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। ১৯ তম ওভারে হ্যাজেলউড দিলেন ১০। শেষ ওভারের প্রথম বলেই স্যামসকে বিশাল ছয় মারলেন বিরাট (৬৩)। পরের বলেই অবশ্য আউট হয়ে গেলেন। তখন প্রয়োজন চার বলে পাঁচ। পরের বলে এক রান নিলেন কার্তিক। তারপরের বল মিস করলেন হার্দিক। কিন্তু স্নায়ু হারাননি হার্দিক। এক বল বাকি থাকতেই ভারতকে জয় এনে দিলেন।

 

Sachin on Surya Kumar Yadav : সূর্য কুমারের ভক্ত হয়ে গিয়েছেন ক্রিকেটের ভগবান! সালাম জানাচ্ছেন স্বয়ং সচিন

#লন্ডন: আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে মেন্টর হিসেবে কাজ করেন তিনি। তাই সূর্য কুমার যাদবের সঙ্গে প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে সচিন তেন্ডুলকরের। কিন্তু রবিবার রাতে নটিংহ্যামের মাঠে সূর্য কুমার যে ইনিংস খেলেছেন তা ভুলতে পারছেন না সচিন তেন্ডুলকর। চোখে লেগে আছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে ৫৫ বলে ১১৭ রানের ইনিংস উপহার দিলেন সূর্যকুমার যাদব।

ট্রেন্ট ব্রিজেই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এল অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। নিয়মরক্ষার ম্যাচে দল না জিতলেও সেই লড়াই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেগর্বিত করেছে। মোট ১৪টি চার ও ছ’টি ছয়ের সাহায্যে ইনিংস সাজান সূর্যকুমার। যা দেখে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে রোহিত বলেছেন, অল্পের জন্য আমরা ম্যাচ জিততে না পারলেও অসাধারণ চেষ্টা ছিল ছেলেদের।

বিশেষ করে, সূর্যকুমারের লড়াইয়ের তুলনা হয় না। ওকে দেখে আমি সত্যি গর্বিত। যোগ করেন, সূর্যকুমারকে বেশ কয়েক বছর ধরেই কাছ থেকে দেখছি। ও এই ফর্ম্যাটটা খুবই পছন্দ করে। ওর শটে যা বৈচিত্র আছে, তা অনেকেরই নেই। ধীরে ধীরে আরও উন্নত হয়েছে। শট নির্বাচনে আর কোনও খামতি নেই। যতই চাপ আসুক, ও নিজের খেলাটাখেলে দেয়।

মুগ্ধ সচিন তেন্ডুলকরও। তিনি টুইট করেছেন, অসাধারণ ইনিংস, সূর্য। পয়েন্টের ওপর দিয়ে স্কুপ শটে ছয় মারাটা এক কথায় দুরন্ত। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ টুইট, সূর্যের কী তেজ! উজ্জ্বলতম লাগছে। অবিশ্বাস্য সব স্ট্রোক খেলল। সচিন এবং সেহওয়াগ মনে করেন সূর্য কুমার নিজের প্রতিভার বিচারে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন কিছুটা দেরি করে। আরো আগে পাওয়া উচিত ছিল।

কিন্তু তার যোগ্যতা এবং উইকেটের চারিদিকে শট খেলার দক্ষতা এতটাই বেশি যে এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের খুব কম ব্যাটসম্যানের সেটা আছে। তাই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সূর্য কুমার নিজের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে বলছেন সচিন। বিশেষ করে তিনটে উইকেট করে যাওয়ার পর যে চাপ মাথায় নিয়ে তিনি খেলেছেন, সেটা প্রমাণ করে সূর্য কত বড় ব্যাটসম্যান।