Tag Archives: tea stall
Free Gold Offer: সেল, সেল, সেল! চৈত্র সেলে ফ্রি সোনা, খেতে হবে শুধু এই স্টলের চা
নবদ্বীপ: চৈত্র সেলে অভাবনীয় ভাবনা, চা পান করলেই মিলবে সোনা নবদ্বীপের গরীব টি স্টলে। এক কাপ গরম চা’য়ে চুমুক, আর তাতেই মিলবে খাঁটি সোনা। ভাবছেন এ আবার কি? হাঁ ঠিক’ই শুনেছেন, পয়লা চৈত্র থেকে শুরু হয়েছে চায়ে চৈত্র সেল। যা পুরো চৈত্র মাস জুড়ে চলবে। এমন’ই অভাবনীয় ভাবনা গরিব টি স্টলের কর্ণধার বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুর।
এতদিন পর্যন্ত আমরা সবাই জানতাম চৈত্র সেল মানেই তো বিভিন্ন রেডিমেডের পোশাক থেকে প্রসাধনী দ্রব্য, তাই বলে চায়ে চৈত্র সেল? হ্যাঁ পাঁচ টাকার বিনিময়ে এক কাপ চা। আর তাতেই মিলবে খাঁটি সোনা। আপনি হয়তো ভাবছেন এটা কি করে সম্ভব। হ্যাঁ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে ২০১৮ সাল থেকে গরিব টি স্টল এর কর্ণধার শিশির বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন চা’য়ে চৈত্র সেল।
যদিও বা ২০-২১ সালে লকডাউন এবং ২২ সালে ব্যক্তিগত কারণে বন্ধ রাখা রাখার পর ২০২৩ সালে ১০ জন ভাগ্যবানকে দিঘা ভ্রমণ করিয়েছিলেন গরিব টি স্টলের কর্ণধার বন্দ্যোপাধ্যায় বাবু৷
২০২৪ এর ভাবনাটা একটু অন্যরকম। এবার আর ভ্রমণ নয়। গরম চায়ে চুমুক দিলেই লটারির মাধ্যমে উপহার তুলে দেওয়া হবে ১০ জনকে খাঁটি সোনার গয়না। আর তা তুলে দেওয়া হবে এক কাপ চা পান করলেই। চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ শহরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রতাপনগর নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল লাগোয়া গরীব টি স্টল, প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা খোলা থাকে।
সকাল থেকে রাত গরীব টি স্টলে গরম চায়ে চুমুক দিতে ভিড় জমান নবদ্বীপের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট ও পূর্বস্থলী এলাকা আসা বহু মানুষজন। আগামী পয়লা বৈশাখ লটারির মাধ্যমে ১০ জন ভাগ্যবান বিজেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে উপহার স্বরূপ একেবারে খাঁটি সোনার নাক ছাবি।
Mainak Debnath
Heritage Tea Stall: বোলপুরের কালোর চা দোকানে গিয়েছেন? কবিগুরুর সঙ্গে সিংহল গিয়েছিলেন এই চা দোকানি
বীরভূম: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় লাল মাটির বোলপুর, শান্তিনিকেতন। এই পাশাপাশি দুই জায়গার আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে কবিগুরুর বহু ইতিহাস। অনেকের কাছেই তা জানা, আবার অনেকের কাছে তা অজানা হয়ে রয়ে গিয়েছে। অনেকের মতো আপনিও হয়ত বোলপুরে বহুবার গিয়েছেন। কিন্তু কোনও দিনঘুরে দেখেছেন কালোর চায়ের দোকান?
চায়ের দোকানের নাম শুনে মনে হতেই পারে এ আবার দেখার কী আছে! তবে এই চায়ের দোকানের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নানান অজানা ইতিহাস। শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীর বেশ ভিতর দিকে অবস্থিত ‘কালোর দোকান’। সকালে এবং রাত্রে নিয়ম করে রোজ এই দোকানে চা বিক্রি হত এক সময়। চা বলতে শুধু লিকার চা। আর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মাঝে মাঝে লেবু চা। কয়েকটি বেঞ্চ আর টেবিল না থাকলে অবশ্য চায়ের দোকান বলে ঠাওর করা যেত না। কারণ, সেখানে রয়েছে বসবাস যোগ্য দুটি ঘর। যদিও সেখানে কেউ বাস করে না। দীর্ঘদিনের পুরানো বলে ঘরগুলিতে এখন জীর্ণতার ছাপ। কিন্তু, দুটি ঘরেই প্রবীণতার নানাবিধ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। রবি ঠাকুরের প্রিয় এই ‘কালোর দোকান’।
আরও পড়ুন: আবার ধরা পড়ল চিতাবাঘ, একই চা বাগানে পরপর চারটে
কালোর উদ্দেশ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাও লিখেছিলেন। ১৯১৮ সালে ‘কালোর দোকান’ যাত্রা শুরু করেছিল শান্তিনিকেতন আশ্রমে। ওই আশ্রমে কবিগুরুর বৈঠকে চা সরবারহ করতেন কালিপদ দলুই ওরফে কালো। রবি ঠাকুরের নির্দেশেই তিনি আশ্রমের মধ্যেই খোলেন চায়ের দোকান। দেশ-বিদেশ থেকে কবিগুরুর কাছে আগত বহু গুণীজনকে তৃপ্তি দিয়েছে এই ‘কালোর চা’। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকিঙ্কর বেজ, নন্দলাল বসু প্রমুখেরা ছিলেন কালিপদবাবুর নিয়মিত খদ্দের।
১৯৪০ সালে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধি। সেই সময় আতিথেয়তা রক্ষার্থে জাতির জনককে এই কালোর দোকানের চা খাইয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সময়ের ছবি এখনও ফ্রেমবন্দি হয়ে রয়েছে ‘কালোর দোকানে’র একটি ঘরে। ফ্রেমবন্দি কবিগুরু এবং জাতির জনক। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর ১৯৫২ সালে আশ্রম থেকে রতনপল্লীতে স্থানান্তরিত হয় ‘কালোর দোকান’। এখন কালিপদবাবু আর ইহলোকে নেই। গুরুদেবের নির্দেশে চালু হওয়া দোকানটি অবশ্য কয়েক বছর আগেও রমরমিয়ে চলেছে।। কালিপদবাবুর জ্যেষ্ঠপুত্র মদন মোহন দলুই এই দোকানটি। কালিপদ দলুইয়ের চার ছেলের মধ্যে একমাত্র মদনবাবু ছাড়া আর কারোরই এই চায়ের দোকানের প্রতি তেমন আকর্ষণ ছিল না।
তাহলে প্রায় শতাব্দী প্রাচীন ‘কালোর দোকানে’র ভবিষ্যৎ এখন কী? সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠভবনে অমর্ত সেনের থেকে এক ক্লাস উঁচুতে পড়তেন। তাঁর লেখায় উল্লেখ পাওয়া যায় বিশ্বভারতীর কো-অপারেটিভ স্টোরের কথা, যা ‘কোয়াফ’ নামে পরিচিত ছিল। এই কোয়াফ-এর গায়ে একটা ছোট্ট মাটির ঘর ছিল। এক সময় সেটি ছিল হাবুর দোকান।এ ছাড়া আর কোনও দোকান সেই সময় ছিল না। পরে এই হাবুর দোকানের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শান্তিনিকেতনে সেই সময় সকলের আড্ডার জায়গা ছিল কালোর দোকান। তবে এই কালো কে?
জানা যায় কালো দলুই ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহচর। ভুবনডাঙার বাসিন্দা। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সিংহল ভ্রমণও করেছেন। কালো’দা দোকান শুরু করেন -১৯১৮ সালে। এখন কালোর দোকান রতনপল্লীতে। কিন্তু কালোর দোকানের শুরু শ্রীসদন হস্টেলের পিছনে। তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই পুরানো সেই দোকান দেখেননি। এখন তাঁরা দেখেছেন রতন পল্লীর কালোর দোকান। দুটো ঘর, বারান্দা আর সামনের অংশটুকু খড়ের চালা। সেখানে কতকগুলো বেঞ্চ আর টেবিল একপাশে উনুন আর মাটির জালা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বেঞ্চ আর টেবিল প্রতি বছর পৌষ মেলার সময় রং করা হত। তবে কালো’দা নেই বহুদিন হয়ে গেল। এখনও আড্ডা বসে। আগের জৌলুস নেই ঠিকই, কিন্তু রতনপল্লীতে কালো’দার নামের দোকান আজও আছে তবে, সেটা ধ্বংসাবশেষ। কালিপদবাবুর নাতি অমিত দলুই জানান, ১০০ বছরের পুরানো এই দোকান। গত তিন বছর ধরে তা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত বোলপুরের পৌষ মেলায় এই দোকানের স্টল খুলেছিলেন। কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় আর চালু রাখা সম্ভব হয়নি। তিনি চান রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং যে কোনও সংস্থা নিজেদের প্রয়াসে তাঁদের এই দোকানটি চালু করুক। কারণ এই দোকানের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।
সৌভিক রায়
Edible Tea Cup: চায়ের সঙ্গে পেয়ালাও খাচ্ছেন! কতটা স্বাস্থ্যকর এই ট্রেন্ড? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
কলকাতা : চা নিয়ে চিন্তা ভাবনা কিন্তু বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছে।সঙ্গে চায়ের ভাঁড় কিম্বা প্লাস্টিকের,কাগজের চায়ের কাপ।এগুলো নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তার মধ্যে সুন্দর একটা উদাহরণ তৈরি হয়েছে।’চা খেয়ে ভাঁড় ফেলার দিন শেষ। চা খান, ভাঁড়ও খেয়ে ফেলুন।’ এই উদ্যোগে মানুষজনের বেশ ভিড় তৈরি হয়েছে চা দোকানের সামনে। সবাই চা যে রকম খাচ্ছে,সঙ্গে চা খাওয়ার পরে ভাঁড়ও চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে।ফলে চা দোকানের সামনে নোংরা আবর্জনা থাকছে না।
এরকম এক চা দোকানদারকে দেখা গেল শ্যামবাজার পাঁচ রাস্তার কাছাকাছি একটি জায়গাতে। ওই দোকানে গিয়ে বললেই হবে। দোকানদার আপ্পা জানালেন কাপগুলো তিনি নিজেই বানিয়েছে। যদিও এই কাপ অনেক দিন আগেই বাজারে এসেছে। কাপগুলি মূলত বিস্কুট জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরি। যা আম, ক্যাডবেরি, চেরি এইসব স্বাদের রয়েছে। গরম চা ওই কাপে ঢালার পর কাপগুলি কোনওভাবে নরম হয়ে যাচ্ছে না। চা শেষ অবধি বেশ শক্ত থাকছে কাপগুলো।
চা দোকানদারের বক্তব্য চায়ের কাপগুলি মানুষের খাবারের জিনিস দিয়েই তৈরি। ওই কাপে চা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে না। তবে কুলফি আইসক্রিমের যে কাপ গুলো রয়েছে, সেগুলো কিছুক্ষণ থাকার পর নরম হয়ে যায়। তবে এই চায়ের কাপগুলোতে গরম তরল ঢালার পরও কোনওভাবে নরম হয় না।
আরও পড়ুন : হাই প্রেশার ও হৃদরোগ থাকলে কি ডিম খাওয়া নিরাপদ? খেলেও রোজ ক’টা করে? জানুন চিকিৎসকের মত
এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের অধ্যাপক গবেষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘‘কাপগুলি খুব শক্ত করা হয় যে পদার্থ দিয়ে, সেটি মানুষের শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী সেটা জানা প্রয়োজন। অন্যদিকে এই কাপগুলি FSSAI দ্বারা স্বীকৃত নয়। সেটা নিয়ে ভাববার আছে। স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে সমস্ত কিছু মেনে চললে,আশা করি এই উদ্যোগ ভাল হবে।কারণ কাপ খেয়ে ফেললে পরিবেশগত অনেক সুধিধা হবে।’’ তবে এক কাপ চায়ের দাম এই মুহূর্তে ৩০ টাকা।