Tag Archives: Thalassemia
Thalassemia Test Before Marriage: সুখী দাম্পত্য পেতে চান? বিয়ের আগে এই ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেই হবে
বিয়ের আগে কোষ্ঠী মেলানোই রেওয়াজ। বিশ্বাস করা হয়, কোষ্ঠী মিলে গেলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। কিন্তু এটাই সব নয়। সুখী জীবনের জন্য বিয়ের আগে হবু দম্পতির কিছু পরীক্ষা করানো জরুরি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা।
থ্যালাসেমিয়া জিনগত রোগ। পিতামাতার কাছ থেকে সন্তানের শরীরে যায়। এমনকি, সুস্থ মানুষও থ্যালাসেমিয়ার ধারক ও বাহক হতে পারেন। তাই বিয়ের আগে হবু দম্পতির থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
লোকাল 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত চিকিৎসক উমেশ ভারতী। তাঁর কথায়, হবু দম্পতির শরীরে যদি থ্যালাসেমিয়া পাওয়া যায়, তাহলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ। তাই কারওর শরীরে থ্যালাসেমিয়া আছে কি না, তা বিয়ের আগেই পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত।
সুস্থ মানুষও থ্যালাসেমিয়া বাহক হতে পারেন: ডাঃ উমেশ ভারতীর মতে, সুস্থ চেহারার মানুষের মধ্যেও থ্যালাসেমিয়া লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই প্রত্যেকের উচিত, পরীক্ষা করে সত্যিটা জানা। যেহেতু পিতামাতার কাছ থেকে সন্তানের শরীরে এই রোগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : এই মন্দিরে পূজিত লাল শিবলিঙ্গ! শ্রাবণ সোমবারের পুণ্যলগ্নে ঢল নেমেছে অগণিত ভক্তের
থ্যালাসেমিয়া রোগ কী: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের প্রতি মাসে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ভারতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত প্রায় এক লাখ শিশুকে প্রতি মাসে কয়েকবার রক্ত দেওয়া হয়। এর জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা খরচ হয়।
শিশুদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি এবং কম ওজন, থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ। হিমাচল প্রদেশের প্রায় ২ লাখ বাসিন্দা থ্যালাসেমিয়ার বাহক। ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের শরীরে থ্যালাসেমিয়া পাওয়া যায়।
Thalassemia Patient: এক শিশুকে বাঁচাতে জন্য যা করলেন এই ব্যক্তি! ধন্য ধন্য করছে সকলে!
Thalassemia Paitent: অসুস্থ শিশুর জন্য যা করলেন এই ব্যক্তি! ধন্য ধন্য করছেন সকলে | এই ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তিন বছর বয়সী শিশু কন্যাকে রক্ত দান করতে ছুটে এলেন কোচবিহারে। তার বাড়ি সাহেবগঞ্জ এলাকায়। যেখান থেকে কোচবিহারের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
Thalassemia Patient: প্রবল গরমে অসুস্থ শিশুর জন্য যা করলেন এই ব্যক্তি, ধন্য ধন্য করছে সকলে
কোচবিহার: গরম পড়তেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোয় রক্তের ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে। তার উপর নির্বাচনের মরশুম হওয়ায় আরওই রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে গিয়েছে। বিরল গ্রুপের রক্ত পাওয়া এক রকম অসম্ভব এই সময়। এমনই এক কঠিন পরিস্থিতিতে তিন বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু কন্যার জন্য এ পজিটিভ রক্তের সন্ধান করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েছিল একটি পরিবার। এমনই সময় ৪০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে এসে ‘দেবদূত’ রূপে দেখা দিলেন এক সহৃদয় ব্যক্তি।
কোচবিহারের শহরে বাড়ি রিপন দত্তের। তাঁর তিন বছরের মেয়ে জন্য রক্তের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে রক্ত দিতে হয়। এমন সময় সাহেবগঞ্জ থেকে শহরে এসে ওই শিশুর জন্য রক্ত দিলেন মিল্টন সরকার। তিনি জানান, এক সমাজসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এই ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি রক্ত দিতে আসেন। মিল্টন সরকার বাকিদেরকেও এই কঠিন সময়ে এগিয়ে এসে রক্তদান করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: গঙ্গা ভাঙনে আগেই হারিয়েছিল ভিটেমাটি, এবার অস্থায়ী বাড়িও গেল অগ্নিকাণ্ডে
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু কন্যার বাবা রিপন দত্ত জানান, তিন-চারদিন ধরে শহরের সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে ঘুরে খালি হাতে ফিরেছেন। কোথাও রক্ত ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে মেয়ের প্রাণ রক্ষা করবেন সেই দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল। তখনই দেবদূতের মত এসে হাজির হন মিল্টনবাবু।
সার্থক পণ্ডিত