Tag Archives: Tunnel

Horror Story:গা ছমছমে সুড়ঙ্গপথ, আরোহী মিলিয়ে গেল হাওয়ায়, কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এখানে? জানলে আঁতকে উঠবেন

লন্ডন: এক ভয়ঙ্কয় গা ছমছমে ঘটনা৷ টানা আলো আঁধারি সুড়ঙ্গ-পথ৷ এক পথচারী বাইক আরোহীর কাছ থেকে লিফ্ট চাইলেন৷ তিনিও তাঁকে দিলেন৷ কিন্তু সেই দীর্ঘ অন্ধকার সুরঙ্গ পথের শেষে গিয়েই ঘটল মারাত্মক ঘটনা৷

পথচারীটি আর বাইকেই নেই৷ যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল৷ এ কেমন হল! রোমাঞ্চে, ভয়, সারা শরীর কাঁপতে লাগল বাইক আরোহীর৷

আরও পড়ুন: পৃথিবীর অভিশপ্ত কাল! কী ঘটেছিল ৫৩৬ সালে? ইতিহাসবিদরা যে ভয়ঙ্কর কথা জানালেন

এই সুড়ঙ্গের লন্ডনে অবস্থিত৷ সেখানে গেলেই নানাধরনের অদ্ভুত ভৌতিক কান্ডের সামনাসামনি পড়তে হতে পারে৷ উপরের ঘটনাটিও এমনই এক ভৌতিক অভিজ্ঞতারই উদাহরণ৷

বাইক আরোহীটি এরপরও তাঁর কৌতুহল চেপে রাখতে পারেনি৷ সেই রহস্যজনক ব্যক্তির বলা ঠিকানায় তিনি গিয়েছিলেন৷ কিন্তু যা জানতে পারলেন তা মারাত্মক! ব্যক্তিটি বহুকাল আগে ওই সুড়ঙ্গেই বাইক দুর্ঘটনায় মারা যায়৷

আরও পড়ুন: ক্যামেরা চলে গেল হাজার ফুট নীচে, তারপর যা দেখা গেল! দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও

আইসি সেডগউইক, একজন পডকাস্টার তিনি এক চিঠিতে এই একই ঘটনার উল্লেখ করে৷ সময়টা ১৯৬০৷ তখনও এই সুড়ঙ্গ ব্যস্ত হয়ে ওঠেনি৷ এখানেই এক মারাত্মক বাইক অ্যাক্সিডেন্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়৷

অনেকেই বলে থাকেন ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ পর ওই একই জায়গায় এক আর্তনাদের শব্দ শোনা যায়৷

এই সুড়ঙ্গে আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ শোনা যায়, একটা নির্মাণ কার্য চালানোর সময় প্রায় সাতজন শ্রমিক মারা যায়৷

এমন আলো-আঁধারি কত জায়গাতে দাঁড়ালেই গা ছমছম করে ওঠে৷ কত জায়গার কত ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে৷ কেউ বিশ্বাস করে, কেউ করে না৷ ওই যে বলে ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’৷ এও ঠিক তেমনই৷

এই লন্ডনের সুড়ঙ্গ আজ হিচহিকার সুড়ঙ্গ নামে বিখ্যাত৷ প্রতিদিন কত কত গাড়িও চলে৷

কিন্তু যখনই শহরের বুকে রাত নেমে আসে তখনই যেন নতুন করে জেগে ওঠে সুড়ঙ্গটি৷ তার কারণ আশে পাশে ছড়িয়ে থাকা কিংবদন্তি গল্প না কি সত্যি কোনও ভৌতিক উপলব্ধি কে জানে?

Disclaimer: এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে জনশ্রুতির উপরে আধারিত। News 18 Bangla কোনও অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে সমর্থন করে না।

Shinku La tunnel in Ladakh: বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল তৈরি হচ্ছে দেশেই! কোথায় শুরু কোথায় শেষ, জেনে নিন বিশদে

কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশেষ উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছে মোদি জানান, শিংকুন লা টানেল প্রকল্পের কাজ শুক্রবার থেকেই শুরু হবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় লেহ-র সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে, এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ।কার্গিল বিজয় দিবস (ফাইল ছবি)
কার্গিল বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বিশেষ উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছে মোদি জানান, শিংকুন লা টানেল প্রকল্পের কাজ শুক্রবার থেকেই শুরু হবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় লেহ-র সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে, এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। কার্গিল বিজয় দিবস (ফাইল ছবি)
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকরী হতে চলেছে এই টানেল। এই টানেল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমস্ত মরসুমে যাতায়াত করার সুবিধা দেবে। সারা বছর লাদাখে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবে শিংকুন লা টানেল। সেনাবাহিনীর যাবতীয় চাহিদা যেমন অস্ত্র সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী এবং জ্বালানি সব মৌসুমেই পাওয়া যাবে এই পথে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকরী হতে চলেছে এই টানেল। এই টানেল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমস্ত মরসুমে যাতায়াত করার সুবিধা দেবে। সারা বছর লাদাখে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবে শিংকুন লা টানেল। সেনাবাহিনীর যাবতীয় চাহিদা যেমন অস্ত্র সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী এবং জ্বালানি সব মৌসুমেই পাওয়া যাবে এই পথে।
শিংকুন লা টানেলটি ১৫ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৪.১ কিলোমিটার। এটি একটি টুইন-টিউব টানেল, অর্থাৎ দুটি পথ বিশিষ্ট একটি টানেল। নিম্মু-পদুম-দরচা সড়কের উপর টানেলের নির্মাণ কাজ চলছে।
শিংকুন লা টানেলটি ১৫ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৪.১ কিলোমিটার। এটি একটি টুইন-টিউব টানেল, অর্থাৎ দুটি পথ বিশিষ্ট একটি টানেল। নিম্মু-পদুম-দরচা সড়কের উপর টানেলের নির্মাণ কাজ চলছে।
কৌশলগতভাবেও, ভারত-চীন সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করছে দেশ। কয়েকদিন আগে, অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চরিদ্বার-তাওয়াং রোডে ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেলা টানেল তৈরি করা হয়েছিল। এই টানেলটি ১৩ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছিল।
কৌশলগতভাবেও, ভারত-চীন সীমান্তের দিকে মনোনিবেশ করছে দেশ। কয়েকদিন আগে, অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চরিদ্বার-তাওয়াং রোডে ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেলা টানেল তৈরি করা হয়েছিল। এই টানেলটি ১৩ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছিল।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গটি কেবল চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে না বরং যুদ্ধের সময় অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জ্বালানীর ভূগর্ভস্থ স্টোরেজের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গটি কেবল চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে না বরং যুদ্ধের সময় অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জ্বালানীর ভূগর্ভস্থ স্টোরেজের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারত সরকার গত ৫ বছর ধরে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে যাতে শত্রুদের সহজেই মোকাবিলা করা যায়। ২০১৯ সালে গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পরে টানেল নির্মাণে জোর দেওয়া হয়।
ভারত সরকার গত ৫ বছর ধরে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে যাতে শত্রুদের সহজেই মোকাবিলা করা যায়। ২০১৯ সালে গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পরে টানেল নির্মাণে জোর দেওয়া হয়।

Sivok-Rangpo Rail Project: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে টানেল তৈরির কাজে নয়া মাইলস্টোন, খুব তাড়াতাড়ি সিকিমেও ট্রেন পরিষেবা

কালিম্পং: এক বৃহৎ মাইলস্টোন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলায় অবস্থিত সেবক-রংপো রেল প্রোজেক্ট (এসআরআরপি)-এর টানেল নং. টি-৭ -এর এক সাফল্য অর্জন করা হয়েছে। এই টানেলের সাফল্যের ফলে এই প্রকল্পের ১০টি টানেলের খননকার্য সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্টেশন অর্থাৎ তিস্তা বাজার স্টেশন এই টানেলে রয়েছে, যা দেশের রেলওয়ে পরিকাঠামোর উন্নতির এক অগ্রণী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মূল টানেলটি ৩০৮২ মিটার প্রশস্ত, এর সঙ্গে একটি প্রবেশযোগ্য টানেলও রয়েছে। ৬৫০ মিটার প্রশস্তের এই গুহাটির ডিজাইনের অংশ হিসেবে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্ম আছে। এই বিস্তৃত গুহাতে ছয়টি ক্রস প্যাসেজের নেটওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মোট অ্যাডিট দৈর্ঘ ৮০০ মিটার, এটি প্রকল্পটির ব্যাপক পরিসরকেই প্রদর্শন করে। যাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এর বিন্যাসে নিখুঁত বায়ু চলাচল সংযুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ একটি স্থানের মধ্যে এক অনকূল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: আজই আটকে থাকা টাকা ঢুকবে হুহু করে! নাকি খরচ হবে জলের মতো? রাশি মিলিয়ে জানুন নিজের অর্থভাগ্য

পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার তিস্তার নিকট অবস্থিত টানেলটি দুর্বল ও প্রত্যাহ্বানমূলক ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থা এবং তরুণ হিমালয়ের ভূকম্পীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। এসআরআরপি-এর অন্যান্য সমস্ত টানেলের মতো মাটির ভারের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে, সর্বশেষ ও সবচেয়ে আধুনিক ও পরিশীলিত টানেলিং টেকনোলজি তথা নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড (এনএটিএম) ব্যবহার করা হয়েছে।

সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিঃমিঃ লম্বা, যা সেবক (পশ্চিমবঙ্গ) ও রংপোকে (সিকিম) সংযুক্ত করবে এবং এতে ১৪টি টানেল, ১৭টি ব্রিজ ও ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘতম টানেলটি (টি-১০) ৫.৩ কিমি এবং দীর্ঘতম ব্রিজটি (ব্রিজ নং.-১৭) ৪২৫ মিটার লম্বা। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮.৬৪ কিঃমিঃ বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে এবং টানেল নির্মাণের ৯২.৩১ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।বর্তমানে টানেল টি-১৪, টি-০৯ এবং টি-০২ -এ ফাইনাল লাইনিং সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং টানেল টি-০৩, টি-০৫, টি-০৬, টি-০৭, টি-০৮, টি-১০, টি-১১ ও টি-১২-এর কাজ অগ্রগতি লাভ করেছে।

আজকের তারিখ পর্যন্ত মোট ১১.৯৬ কিমি লাইনিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সবগুলি বিভাগের কাজ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এই রেল নেটওয়ার্কটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিকিমের সঙ্গে একটি বিকল্পমূলক সংযোগ প্রদান করবে। প্রকল্পটি দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে।