উত্তর ২৪ পরগনা: আড়িয়াদহে পর এবার পানিহাটি। দলের তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের শিকার হলেন দলেরই ওয়ার্ড সভাপতি। জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি সুমিত পালকে রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধর করা হয়।
সুমিত পাল ওরফে রানা অভিযোগ করেছেন, রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে সোদপুর অমরাবতীর কাছে তাঁর রাস্তা আটকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। তাঁর সঙ্গে দেবাঞ্জন বলে আরেকজন ছিলেন। তাঁদের দুজনকে সেখানে মারধর করে পরিতোষ দাস ওরফে পরি এবং তার দলবল। অভিযোগ, এই পরিতোষের মাথায় হাত রয়েছে পানিহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অপর তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা এবং এলাকার মানুষ পরিতোষের ডেরা সহ বুবাই মল্লিকের অফিসে ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: শ্রাবণের প্রথম সোমবারেই শিবভক্তদের ভিড় বানেশ্বরে, সেজে উঠেছে গোটা মন্দির
এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিক বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটাচ্ছে। এক সময় পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষের ছত্রছায়ায় ছিলেন এই বুবাই মল্লিক। নির্মল ঘোষ তাঁকে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম করতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সেই কথায় কান না দিয়ে বুবাই মল্লিক নিজের মতো করে চমকানো ধমকানোর কাজ চালিয়ে গিয়েছেন বলে এলাকাবাসীদের দাবি।
বর্তমানে বুবাই মল্লিক বাইরের কোনও তৃণমূল নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে, তাঁরই মদতে পানিহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিশ। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলার পাঠ দিয়েছেন। সেই দিন রাতেই এমন ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এখন দেখার প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ নেয়।
রুদ্রনারায়ণ রায়