Tag Archives: west bengal schools

West Bengal: শিক্ষকের অভাবে নয়, বরং অবাক করা এক কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোনারপুরের এই স্কুল! অবাক হবেন শুনে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ হচ্ছে, ঠিক তখনই অন্য দৃশ্য ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার দক্ষিণ শ্রীপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে শিক্ষকরা আসে যায়, বেতন পায় অবস্থা। এ এক বেনজির চিত্র।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষিকা অথচ একজনও ছাত্র-ছাত্রী নেই। শিক্ষকরা স্কুলে আসে বসে থাকে তারপর বাড়ি চলে যায় বেতন ও ঠিক সময় মত পেয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছাত্রছাত্রী কমতে কমতে এখন শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই স্কুলে ছাত্রছাত্রী না আসায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার কলকাতা লাগোয়া ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এই প্রাথমিক স্কুলটি এখন ভগ্ন দশা অবস্থায়।

আরও পড়ুন: আর কি ইলিশ মিলবে না? বাঙালির পাতে আর পড়বে না রূপোলি শস্য! চিন্তায় সকলে, কী ঘটল আসলে?

এমনকী যাত্রাপালার রিয়ার্সালের জন্য স্টেজ ও করা রয়েছে স্কুলের এক কক্ষে। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়ার জন্য সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী কাঠের চুলো। গোটা স্কুল জুড়ে ভর্তি হয়ে রয়েছে আগাছায়, যার ফলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তিনি জানান, এবছর অর্থাৎ ২০২৪ এর জানুয়ারি মাস থেকে একেবারে শূন্য হয়ে গেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। প্রাইমারি স্কুল ম্যানেজমেন্টকে এই স্কুলের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই স্কুলের সভাপতি তিনি বলেন, আশেপাশে প্রাইমারি স্কুলের সাথে হাই স্কুল একসঙ্গেথাকায় তারা সেখানেই চলে যাচ্ছে।

এই অবস্থায় প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? কারণ একসময় গমগম করে চলা স্কুল এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে কি এখন এই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হবে, নাকি এই স্কুলকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাবে প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্নই এখন এলাকার সাধারণ মানুষদের।

— সুমন সাহা

Summer Vacation: গরমের ছুটি নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল…? অত্যধিক তাপপ্রবাহের জের! স্কুলে স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের ফোন শিক্ষা দফতরের

কলকাতা: স্কুল খুললেও কমেনি গরম। তাহলে কি বাড়ানো হতে পারে গরমের ছুটি? সূত্রের খবর, অত্যধিক তাপ প্রবাহের জেরে এবার প্রধান শিক্ষকদের মতামত নিতে শুরু করল স্কুল শিক্ষা দফতর। কী ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখেই পঠন পাঠন নিয়মিত রাখা যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্কুল শিক্ষা দফতর।

বিভিন্ন স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষকদের স্কুলের সময়সীমা এগিয়ে আনলে কি অসুবিধা হতে পারে? অত্যধিক গরমের জেরে কি সমস্যা হচ্ছে স্কুলে স্কুলে? ছাত্র ছাত্রীদের কি সমস্যা হচ্ছে? একাধিক জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের তরফে ফোন করা হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের।

আরও পড়ুন: ‘এইদিন’ থেকেই রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি…! সুখবর দিল IMD! অতিভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর! কলকাতা ভিজবে কবে? আবহাওয়ার ‘নতুন’ আপডেট

গরম পরিস্থিতি নিয়ে মতামত নিতে স্কুলে স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই স্কুল পরিদর্শকরা প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এক প্রস্থ রিপোর্ট দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে।

প্রসঙ্গত, টানা গরমের ছুটির পর সোমবার থেকেই স্কুলে যেতে শুরু করেছে ছাত্র ছাত্রীরা। কিন্তু তারপরও অত্যধিক তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। আরও বাড়ছে তাপমাত্রা।

এবার এই সমস্ত বিষয় কে মাথায় রেখে স্কুলে স্কুলে মতামত নিতে শুরু করল স্কুল শিক্ষা দফতর।স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে অবশ্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রধানশিক্ষককে কাছ থেকে নেওয়া এই মতামত জেনারেল মতামত। গরমের পরিস্থিতির জন্যই মতামত নেওয়া হচ্ছে।” এখনও পরিস্থিতি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই দাবি স্কুল শিক্ষা দফতরের।

West Bengal Schools: গরমের ছুটি শেষ, কিন্তু বহু স্কুলই খোলা গেল না একটি মাত্র কারণে! কড়া নির্দেশ নবান্নের

কলকাতা: ভোট মিটলেও স্কুলে-স্কুলে রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার তা নিয়ে কড়া নির্দেশ নবান্নের। স্কুলে রাখা যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে। এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সোমবার থেকেই গরমের ছুটির পর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খুলেছে স্কুল।

তারপরও একাধিক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুল চালু করা যায়নি বলে সূত্রের খবর। আর তাই স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাতে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি জেলাকে নির্দেশ স্বরাষ্ট্র দফতরের। কলকাতা পুলিশের কমিশনারকেও বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারী কেন গ্রেফতার হননি? আদালতে উঠল প্রশ্ন, তুমুল চাঞ্চল্য!

নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এই ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুলের ক্লাস যাতে ব্যাহত না হয়, তারই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

প্রসঙ্গত, তীব্র গরমের জন্যেই ছুটি এগিয়ে নিয়ে এসে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল শিক্ষা দফতর। প্রায় দেড় মাস পর ১০ জুন, সোমবার পড়ুয়ায়া স্কুলে গেল। কিন্তু এতদিন পরেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরম, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া সামান্য উন্নত। তবে তীব্র গরমে গলদঘর্ম হয়েই এদিন স্কুলে গেল ছাত্রছাত্রীরা। আবার বহু স্কুলেই এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে স্কুল খোলা গেল না।