Tag Archives: Winter 2024

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: শীতের আমেজে চায়ের দোকান গুলিতে কম কিংবা বেশি ভিড় লেগেই রয়েছে। তবে শীতের সময় আরও একটি জিনিসের প্রতি ঝোঁকে বহু মানুষ। এবার যদি চায়ের মধ্যেই সেই সুরা, মানে Rum কিংবা সুরার স্বাদ পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি কেমন হয়? ভাবছেন চায়ের মধ্যে সুরা, এটাও আবার হয় নাকি? হ্যাঁ, এটাই সত্যি। কোচবিহারের এক ক্যাফেতে মিলছে এমনই এক অনবদ্য চায়ের ফিউশন। যা ইতিমধ্যেই বহু সুরাপ্রেমী ও চাপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। তবে বলে রাখা ভাল, এই চায়ের মধ্যে সরাসরি Rum মেশানো হয় না। পরিবর্তে মেশানো হয় রামের ফ্লেভারের চা পাতা। যার ফলে এই চায়ের মধ্যে সুন্দর একটা Rum-এর গন্ধ পাওয়া যায়।

ক্যাফের কর্ণধার শম্ভু রক্ষিত জানান, “সাধারণ চা তো সবসময় খাওয়া হয়। তবে একটু বিশেষ ধরনের চা খেতে সকলের বেশ ভাল লাগে। তাই এই বিশেষ চা নিয়ে আসার কথা মাথায় আসে। তবে জেলায় এই চা আর কোথাও পাওয়া যায় না। কারণ, এই ফ্লেভার চা পাতার দাম তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। তাই সমস্ত দোকানে এই চা রাখে না। কিন্তু, এই চা বিক্রি করা শুরু করার পর থেকে বহু মানুষ এই চা খেয়েছেন। কারণ, এতে সরাসরি রামের কিংবা সুরার কোন যোগ নেই। পরিবর্তে এই চায়ের মধ্যে মেশানো হয় Rum ফ্লেভারের চা পাতা। যা ছোট থেকে বড় সকলেই খেয়ে, এই চায়ের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।”

আরও পড়ুন : নিত্যপুজোয় অপরিহার্য টগরফুল ধরছে না বাড়ির গাছে? দিনের এই সময় দিতে হবে এই বিশেষ জিনিস! সাদা কুঁড়ি ও ফুলে ঢেকে যাবে গাছ

তিনি আরও জানান, “গত বছরের রাস মেলার সময় এই চা প্রথম সকলের সামনে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। তারপর স্থায়ী ভাবে এই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যারা রাসমেলা খেয়েছিলেন, অনেকেই দোকানে আসছেন এই চায়ের খোঁজে। এই চা ৭০ টাকা প্রতি কাপ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যাঁরা এখনও পর্যন্ত এই চায়ের স্বাদ নিয়েছেন। সকলেই এই চায়ের স্বাদের প্রশংসা করেছেন। ”বর্তমানে জেলার বুকে এই ক্যাফে ব্যাপক ভাইরাল। নিত্য নতুন ধরণের এই চায়ের ফিউশনের আকর্ষণে বহু মানুষ আসছে এই ক্যাফেতে। ভবিষ্যতে আরও মানুষ এই চায়ের খোঁজে আসবেন এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব।

লাইফস্টাইল

Winter Gardening Tips: তরতরিয়ে বাড়বে গাছ…! উপচে পড়বে ফুল…! ‘এই’ ছোট্ট নিয়ম জানা থাকলেই আপনি ‘নিশ্চিন্ত’! মালি বলে দিলেন বড় ‘রহস্য’

February 1, 2024 Bangla Digital Desk

হাওড়া: মেঘলা বা নিম্নচাপে মরশুমি গাছ রক্ষা করা রীতিমতো কঠিন হয় পরে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক বা তাপের অভাবে গাছপালা নেতিয়ে পরে। কিন্তু জানেন কী কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস জানা থাকলেই আপনি সহজেই কিন্তু পাল্টে ফেলতে পারবেন আপনার গাছের সেই চেহারা। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিন ঠিক কোন নিয়মে আপনার গাছ শীতেও তরতরিয়ে বাড়বে, ভরে উঠবে ফুলে ফলে।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে মারাত্মক ক্ষতি হয় যায় সিজন গাছে। শীতের মরশুমে হঠাৎ করে মেঘলা আকাশ নিম্নচাপের মত সমস্যা বা হঠাৎ গরম হাওয়া বইতে থাকা দারুন ক্ষতি করে এই সব সিজন গাছে।

ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইনকা গাঁদার মত নানা গাছ মূলত শীতের মরশুমী গাছ। এই শীতের সময় যা গাছ আছে প্রায় প্রত্যেক গাছই জাকিয়ে শীত এবং শিশির গাছের পক্ষে ভাল। কিন্তু শীতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনে গরম আবহাওয়া দারুন ক্ষতি করে সিজন গাছে। সেই দিক গুরত্ব রেখে সিজন গাছের ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রায় আবহাওয়ার দিক গুরুত্ব রেখে গাছের পরিচর্যার প্রয়োজন।

আরও পড়ুন : বেগুন ফল নাকি সবজি…? বলুন তো, এই প্রশ্নের ‘নির্ভুল’ উত্তরটি কী? আপনি ঠিক জানেন কিনা দেখুন!

সাধারণত শীতকালে মেঘলা আকাশ বা হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সিজন গাছে বিভিন্ন রকম পোকা ও ফাঙ্গাসের আক্রমন ঘটে। কনকনে ঠাণ্ডা গাছের পক্ষে উপকারী। এই সময় হঠাৎ গরম হাওয়া বইতে শুরু করলে। গরম বাতাসের সঙ্গে বিভিন্ন রকম পোকা বা ক্ষতিকারক ছত্রাক বাড়তে দেখা যায় গাছে। ফলে যে কারণে সিজন গাছের পাতা বা গাছ নষ্ট হয়ে যায়। তবে সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে এই আবহাওয়া পরিবর্তনে গাছ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন : ৯২ বছরের প্রাচীন ‘ঐতিহ্য’ বাজেটে ভেঙে দিয়েছে মোদি সরকার! জানেন কি সেই ‘রেকর্ড’? চমকে দেবে উত্তর!

এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানালেন অভিজ্ঞ নার্সারি মালিক উমা প্রসাদ বোস, মরশুমি এই সব ফুল গাছের ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিন আবহাওয়ার উপর লক্ষ্য রেখে গাছের পরিচর্যা করতে হবে। মেঘলা ওয়েদার বা গরম হাওয়া শুরু হলে, প্রথমে সিজন গাছে পোকা বা ছত্রাক দমনের ওষুধ স্প্রে করে রাখতে হবে।

গাছের গোড়ায় একদমই বৃষ্টির জল জমতে দেওয়া যাবে না। শীতের সিজন গাছ বৃষ্টির জল থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। একইসঙ্গে বৃষ্টির আবহাওয়া কেটে গেলে ওষুধ দিয়ে স্প্রে বা গাছকে স্নান করানো প্রয়োজন। এর ফলে গাছের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা খুবই কম।

রাকেশ মাইতি

উত্তরবঙ্গ, কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ

IMD West Bengal Weather: চড়চড় করে চড়ছে পারদ! ২০ ডিগ্রি ছুঁল কলকাতার ‘সর্বনিম্ন’! আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার ‘ট্যুইস্ট’! লেটেস্ট আপডেট দিয়ে দিল IMD

Gallery January 31, 2024 Bangla Digital Desk

শীতশেষে আবহাওয়ার বিরাট ভোলবদল গোটা দেশজুড়ে। ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার একের পর এক ঘাত। দেশের উত্তর থেকে পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যেই আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, জেলায় জেলায় আজ থেকেই হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস `বলছে, বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। এদিকে পূবালী হাওয়ার প্রভাবে ক্রমে তাপমাত্রা বাড়ছে রাজ্যে। রাজ্যে নতুন করে আর জাঁকিয়ে শীত নয়। তবে পশ্চিমের জেলাগুলোয় এখনও শীত থাকবে কিছুদিন।

দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় আজ সকালে ছিল হালকা কুয়াশা এবং পরে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। আজ, বুধবার ও কাল, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বঙ্গোপসাগরে পূবালী হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে।

পূবালী হাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়ল আজ রাজ্যে। উত্তর পশ্চিমের হাওয়ার বদলে পূবালী হাওয়ার প্রভাব এরপর আরও বাড়বে বাংলায়।

আজ উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আগামিকাল, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সব জেলাতে। শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিঙের উঁচু এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা। কালিম্পং এ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

কলকাতায় এক ধাক্কায় চার ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলল ২০ র ঘর। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রসঙ্গত, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মঙ্গলবার ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে হালকা কুয়াশা আর মেঘলা আকাশ। টিমটিম করে জ্বলছে সূর্য। পরে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মেঘের ঘনঘটা। বেলার দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।

আর বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ শনিবার থেকে শীতের ফের ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫৯ থেকে ৮৯ শতাংশ। পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৯ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

উত্তর দিনাজপুর, লাইফস্টাইল

Strawberry Gardening Tips: কাঁড়ি কাঁড়ি দামে কিনবেন কেন? ৪০ দিনেই টব ভরিয়ে দেবে স্ট্রবেরি! শুধু ‘এই’ নিয়ম মানলেই হাতে হাতে ফল

January 30, 2024 Bangla Digital Desk

উত্তর দিনাজপুর: এই শীতে বাড়িতে টবে লাগিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ও লোভনীয় স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি চাষের জন্য এক মাঠ জমি লাগবে, এমন কোনও মানে নেই! ইচ্ছে থাকলে, এই শীতে বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে স্ট্রবেরি ফলাতে পারেন আপনিও। কী ভাবে? চলুন এ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক…

স্ট্রবেরি হল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের সুমিষ্ট ফল। শুধুমাত্র জমিতে নয় ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে টবে ও স্ট্রবেরির চাষ করলে মাত্র ৪০ দিনেই ফল পাওয়া যেতে পারে।

কৃষিবিদ অশোক রায় জানান, এ ক্ষেত্রে টিস্যু কালচার চারা বসালে ভাল ফল পাওয়া যায়। নার্সারিতে উইন্টার ডন, সুইট চার্লি, কামা রোজা ইত্যাদি একাধিক প্রজাতি স্ট্রবেরি চারা পাওয়া যায়। এর মধ্যে যেকোনও একটি সহনশীল জাত নির্বাচন করতে হবে।

আরও পড়ুন : ফুলে ফুলে ভরে যাবে গাঁদা গাছ! ফ্রি-তে শুধু টবের মাটিতে দিয়ে দিন ‘এই’ ঘরোয়া জিনিস! একটাও পোকা ঘেঁষবে না কাছে

সঠিক পদ্ধতি মেনে চাষ করলে এক একটি গাছ থেকে গড়ে ৬০০ গ্রাম স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি চাষ করার উপযুক্ত সময় অক্টোবর ও নভেম্বর এই দুই মাস।

প্রথমে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। তারপর শুকনো গোবর বা জৈব সার মিক্সড করে মাটিকে উর্বর করে নিতে হবে। যে কোনও নার্সারিতেই গোবর সার পাওয়া যায়। গোবর যদি হাতের কাছে পাওয়া না যায় তবে বাড়িতে ব্যবহৃত শাক সবজির অবশিষ্ট অংশ পচিয়ে তা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন : ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে রাজ্যে! কী হতে চলেছে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD

রোদ গাছের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে সারাদিন সরাসরি সূর্যালোক থেকে গাছ দূরে রাখা ভাল। সকালের হালকা সূর্যালোক আর শেষ বিকেলের মৃদু রোদ্দুর গাছের জন্য উপকারী। আবার খেয়াল রাখতে হবে রাতের‌ শিশির যেন গাছের উপর পড়ে। মোট কথা, এই গাছের সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত রোদ এবং শিশির দুটোই প্রয়োজন।

অন্যান্য গাছের মতোই স্ট্রবেরির নিয়মিত কিছু পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। আগাছা পরিষ্কার, মরা পাতা কেটে ফেলে দেওয়া, মাঝে মাঝে মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হয়। প্রতিদিন অল্প করে জল দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন জল জমে না থাকে। এভাবে খুব সহজেই ছাদবাগান বা বারান্দা বাগানে স্ট্রবেরি চাষ করা যায়।

পিয়া গুপ্তা