Tag Archives: Wriddhiman Saha

ঋদ্ধিমান সাহা: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে

পুরো নাম: ঋদ্ধিমান প্রশান্ত সাহা

জন্ম: ২৪ অক্টোবর ১৯৮৪

উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৬ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ব্যাটার, উইকেট-কিপার

পরিবার:

পিতা: প্রশান্ত সাহা

মাতা: মৈত্রেয়ী সাহা

স্ত্রী: রোমি সাহা

সন্তান: অবনী সাহা

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে জন্মেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর বাবা চাকরি করতেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ডে। ঋদ্ধিমান সাহা এবং রোমি সাহা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ২০১১ সালে এবং ২০১৩ সালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এই দম্পতির।

কেরিয়ারের সূচনা:

ঋদ্ধিমান সাহা হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২২ দলের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত উইকেট রক্ষক দীপ দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে ২০০৬ – ২০০৭ সালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় ঋদ্ধিমানের। একাধিক বার ন্যাশনাল জোনাল প্রতিযোগিতায় পূর্বাঞ্চলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাগপুরে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ঋদ্ধিমানের। ব্যাক-আপ ‘রক্ষক’ হিসেবেও দলে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে বাংলার ছেলে ভালো পারফর্ম করতে পারনি। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৩৬ রান করেন। 

দ্বিতীয় বার ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এ-ছাড়াও টেস্ট স্কোয়াডের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফর করেছিলেন, কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি ঋদ্ধিমান।

এর পর টেস্ট ক্রিকেটে সাহার ফর্ম ফিরে আসে। ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। উইকেট রক্ষক হিসেবেও তাঁর বেশ কৃতিত্ব রয়েছে। 

২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর গুয়াহাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে ফরম্যাটে অভিষেক হয় তাঁর। এই ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির ফলে ভারত ২৭৬ রান করে ফেলে। ঋদ্ধিমান ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫০ ওভারের ম্যাচগুলিতে উইকেট রক্ষক হিসেবে এমএস ধোনি থাকার কারণে সাহা খুব একটা সুযোগ পাননি। 

আইপিএল কেরিয়ার: 

ঘরোয়া ম্যাচে চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্সের কারণে আইপিএল-এর প্রথম তিন মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সুযোগ পান ঋদ্ধিমান। ২০১৪ সালে আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের একজন উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। এই টুর্নামেন্টে সাহা উইকেটের পিছনে থেকে একাধিক ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটেও ভালো পারফর্ম করেন। তিনি মোট ৩২.৯০ গড়ের সঙ্গে ২০১৪ সালের সিজনে ৩৬২ রান করেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৫.৩৮। এটিই ছিল সাহার জীবনের সবচেয়ে ভালো আইপিএল মরসুম। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পুরনো দল কলকাতার মুখোমুখি হন তিনি এবং মাত্র ৫৫ বলে (অপরাজিত) ১১৫ রান করেন। যার মধ্যে ১০টি চার এবং ৮টি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। যদিও কেকেআর-এর মণীষ পান্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে জয়ের শিরোপা ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর মাথায়। ২০১৮ সালের মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ঋদ্ধিমানকে ১.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়। হায়দরাবাদের স্কোয়াডেই ছিলেন তিনি কয়েক বছর। এর পর ২০২২ সালের মেগা অকশনে গুজরাত টাইটান্স কিনে নেয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। গুজরাতের দলে উইকেট রক্ষক হিসেবে খেলেছেন তিনি। 

Gujarat Titans, IPL : কালবৈশাখীর প্রভাবে দেরিতে নামল বিমান, কলকাতায় পা দিয়ে উত্তেজিত ঋদ্ধিমান, শামি

#কলকাতা: একদিন আগেই ঋদ্ধিমান সাহা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কলকাতায় আসার জন্য মুখিয়ে আছেন তারা। নিজের প্রিয় শহরে আইপিএল প্লে অফ খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। আইপিএলের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে কলকাতায় চলে এল গুজরাত টাইটান্স। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছন হার্দিক
পান্ডিয়ারা। ঝড়বৃষ্টির জন্য তাঁদের বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে কিছুটা দেরি হয়।

আরও পড়ুন – ATKMB vs Basundhara : যুবভারতীতে মোহনবাগানের গোলের কালবৈশাখী! উড়ে গেল বাংলাদেশের বসুন্ধরা

কলকাতার আকাশ সীমায় প্রবেশ করার পরেও নামতে পারল না গুজরাত দলকে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা বেসরকারি সংস্থার বিমান। কারণ, প্রবল ঝড় এবং ব়ৃষ্টি। বেশ কিছুটা সময় আকাশে চক্কর কাটার পর আবহাওয়ার উন্নতি হলে ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামিদের বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া হয় কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে।

ঋদ্ধিমানরা অবশ্য নির্বিঘ্নেই কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিমানে উঠে নেট মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তাঁর পাশের আসনেই ছিলেন শামি। দীর্ঘ দিন পর নিজেদের প্রিয় শহরে ফিরে খুশি দুই ক্রিকেটারই। ছবির সঙ্গে নিজের খুশির কথাও লিখেছেন ঋদ্ধিমান।

শুক্রবারই কলকাতায় চলে এসেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউ দলের কর্ণধার কলকাতার বাসিন্দা শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অর্থাৎ, কলকাতার ছেলের দলের পর শহরে চলে এলেন বাংলার ক্রিকেটাররাও।খেলা শুরু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। তবে তার অনেক আগেই গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে বুধবার দুপুর একটা পর্যন্ত কোনও মালবাহী গাড়ি ইডেন সংলগ্ন এজেসি বোস রোড, ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হল সংলগ্ন রাস্তা, ডিএল খান রোডে মালবাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অকল্যান্ড রোড, নর্থ ব্রুক অ্যাভিনিউ, গোষ্ঠ পাল সরনীতে কোনও রকম গাড়ি চলাচল করবে না। এই অঞ্চলে গাড়ি পার্কও করা যাবে না।

দক্ষিণ কলকাতা থেকে আসা বাস, মিনি বাস আরআর অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহেরু রোড থেকে বেন্টিঙ স্ট্রিট, মিশন রো, মাংগউ লেন, বিবাদি বাগ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

Wriddhiman Saha, IPL : ঘরের মাঠ ইডেনে প্লে অফ খেলার জন্য তর সইছে না ঋদ্ধি এবং শামির

#কলকাতা: আবির্ভাবেই সুপারহিট গুজরাত টাইটান্স। কেউ ভাবতে পারেনি একটা নতুন দল শীর্ষে থেকে আইপিএল প্লে অফ খেলতে আসবে। সেটাই করে দেখিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। জানা গিয়েছে, বাংলার হয়ে আর না খেলার কথা বলেছেন অপমানিত ঋদ্ধিমান। অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে চেয়ে সিএবির কাছে নাকি এনওসি চেয়েছেন। সিএবি কর্তাদের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হলেও ইডেন গার্ডেন্স এখনও তাঁর প্রিয় মাঠ।

আরও পড়ুন – Pietersen on KKR : নিজেদের পুরনো রোগেই ভুক্তভোগী নাইট রাইডার্স ! বোমা ফাটালেন পিটারসেন

সেই মাঠেই খেলবেন আইপিএলের প্লে-অফ পর্বের ম্যাচ। নিজের প্রিয় মাঠে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি ঋদ্ধিমান। তিনি উত্তেজিতও। সেই ইডেন, যা জানে তাঁর পরিশ্রম, অধ্যাবসায়ের কথা। তাই বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পরও কলকাতায় আসা নিয়ে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ঋদ্ধিমান।

ইডেনে নামার জন্য ফুটছেন তিনি। ঋদ্ধিমান জানেন, অপমানের সেরা জবাব দিতে পারে তাঁর পারফরম্যান্সই। নেট মাধ্যমে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিখেছেন, দিনটা আমাদের ছিল না! আমাদের আবার তরতাজা হয়ে উঠতে হবে। কলকাতায় প্লে-অফের লড়াইয়ের আগেই আমাদের তৈরি হতে হবে। আমরা আসছি!

প্রিয় ইডেনে আসছেন, নিজের শহরে আসছেন— সেই বার্তাই দিয়েছেন ঋদ্ধিমান। আইপিএলের ম্যাচ খেলতে এলে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই সাক্ষাতে বরফ গলবেই এমন নিশ্চয়তা অবশ্য নেই। ঋদ্ধিমানের সঙ্গে গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রয়েছেন মহম্মদ শামিও।

তিনিও পরিচিতি পেয়েছেন এই মাঠে খেলে। তবে ঘরোয়া ম্যাচের সঙ্গে আইপিএলের পিচের পার্থক্য থাকে বিরাট। তাই ঋদ্ধিমান এবং শামি, দুই ঘরের ছেলের খেলা দেখতে পাবেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। লড়াইয়ে নাই বা থাকল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনের ইউএসপি তো ঋদ্ধিমান, শামিরাই। কেকেআরের সমর্থন যে বাঙালি সমর্থকদের মধ্যে কমছে সেটা পরিষ্কার।

Wriddhiman Saha, IPL : ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ফের আগুনে বাংলার ঋদ্ধিমান!

#মুম্বই: কেউ বলেন বুড়ো ঘোড়া। কেউ বলেন সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি নাকি অচল। কিন্তু যাবতীয় সমালোচনার জবাব মুখে নয়, ব্যাটে দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। নির্বাচকদের এবং নিন্দুকদের অন্যরকম ভাবতে বাধ্য করছেন বাংলার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ফর্মে আছেন প্রমাণ করছেন প্রতিনিয়ত। দাপটের সঙ্গে আবার ব্যাট করলেন এদিন।

শুরুতেই মুকেশ চৌধরীর বল ব্যাটের ভিতরের কানায় লাগে ঋদ্ধিমান সাহার। বল স্টাম্পের ঠিক পাশ দিয়ে উইকেটকিপারের পিছনে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যায়। সেই ওভারেই আরও একটি বল ঋদ্ধির ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে ফের উইকেটকিপারের পিছনে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে যায়। মাঝে একবার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাত থেকে জীবনদান পান ঋদ্ধি।

তবে শেষমেশ ঋদ্ধিমান সাহা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে গুজরাটকে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাকিরা রান তুলতে সমস্যায় পড়লেও দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাংলার তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। চলতি আইপিএল মরশুমের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন ঋদ্ধি।

বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে যে রকম আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ঋদ্ধি, তা প্রশংসার যোগ্য। চলতি আইপিএলের পাওয়ার প্লেতে ৯৫.৫০ গড়ে ১৩৮.৪ স্ট্রাইক-রেটে ১৯১ রান সংগ্রহ করেন ঋদ্ধি। এমন পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে গুজরাটের সাফল্যের ভিত তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন ঋদ্ধিই।

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋদ্ধিমান। টুর্নামেন্টের ৮টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৪০.১৪ গড়ে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছেন সাহা।

অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়াও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে ২টি ক্যাচ ধরে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ঋদ্ধিমান সাহা। সবচেয়ে বড় কথা যে ধারাবাহিকতা এখন দেখাচ্ছেন ঋদ্ধিমান, তাতে তার কথা উপেক্ষা করা কঠিন হবে নির্বাচকদের।

IND VS ENG: উইকেটের পিছনে পন্থ না ঋদ্ধি? উত্তর দিলেন বিরাট কোহলি

#চেন্নাই: ১১ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ভারতের মাটিতে৷ আর কয়েক ঘণ্টা পরে চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড (India vs England) চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ৷ এখন প্রশ্ন জো রুটদের (Joe Root) বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে ভারত কাকে খেলাবে? উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসাবে দলে রয়েছেন টেস্টের এক নম্বর কিপার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও তরুণ প্রতিভা ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)৷

বৃহস্পতিবার প্রাক ম্যাচ ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)৷ তাঁকে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল৷ বিরাট সাফ জানিয়ে দিলেন যে গাব্বার নায়ক পন্থই ভারতের পছন্দ৷ পন্থের প্রসঙ্গে কোহলি বলছেন, “আগামিকাল ঋষভ খেলবে৷ অস্ট্রেলিয়ায় ও বিরাট প্রভাব ফেলেছিল৷ ও ভাল জায়গায় রয়েছে৷ ওকে নিয়েই এগিয়ে যাব আমরা৷ আইপিএলের পর নিজের খেলা ও ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে ঋষভ৷ ওর উন্নতি দেখে আমরা খুশি৷”

বিরাটের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় অজিঙ্কা রাহানের দুর্দান্ত ক্যাপ্টেনসি নিয়েও প্রশংসা করলেন কোহলি৷ তিনি বলেন, ” শুধু জিঙ্কস (রাহানেকে এই নামেই দলে ডাকা হয়) নয়, দলের সকলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে বিশ্বাস থেকে৷ আমাদের একটাই লক্ষ্য, ভারতের জয়৷ আমি বলতে চাই জিঙ্কস দেশের পতাকা তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ায় নিজের দায়িত্ব পালন করেছে৷ এটা দেখে অসাধারণ লাগল যে, ও দলটাকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছে৷ সবসময় এটাই আমাদের লক্ষ্য৷” রাহানের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া নিয়েও কথা বললেন, “আমি আর জিঙ্কস এক সঙ্গে ব্যাটিং করা উপভোগ করেছি৷ এটা দেখে বোঝা যায় যে, আমাদের মধ্যে একটা পারস্পরিক সম্পর্ক আছে৷ মাঠের বাইরেও সেই বন্ডিং আছে৷ আমরা প্রচুর কথা বলি৷ একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকি৷ বিশ্বাস থেকেই এই সম্পর্কটা হয়েছে৷”

IPL 2020: বঞ্চনার জবাব দিল ঋদ্ধির ব্যাট, অধিনায়ক থেকে ফ্যান সকলেই মজে বাংলার ছেলের দাপটে

#দুবাই:  সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন৷ গোটা টুর্নামেন্টে প্রথম একাদশের বাইরে৷ বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা সকলেই জানেন ঋদ্ধিমান সাহা বা বঙ্গক্রিকেটের পাপালি কতটা ফোকাসড৷ তাই বঞ্চনার জবাব মুখ বলে নয়, বলে ঘা মেরে দিতে হয় তা ভালোই জানেন৷ আর সেটাই মঙ্গলবার দেখল মরুপ্রদেশ৷

দুবাইতে তাঁর ইনিংসকে ‘এলেন,দেখলেন, জয় করলেন’ না বলে বরং বলা ভালো এক ছোবলেই ছবি- ঋদ্ধির বিষাক্ত ব্যাটে জ্বলে গেল দিল্লি ক্যাপিটাল্স৷ এই মুহূর্তে ধোনির অবসরের পর জাতীয় দলে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতের সবচেয়ে বড় দাবিদার নাকি ঋষভ পন্থ! তাঁর ব্যাট নাকি কথা বলে৷ অন্যদিকে ভারতে এই মুহূর্তে উইকেটের পিছনে সবচেয়ে সেরা স্কিলের মালিক ঋদ্ধি -র নাকি ব্যাটটা ততটা ধামাকাদার না হওয়ায় তাঁর নামের পাশে বসে প্রশ্ন৷

বঙ্গে দুর্গোৎসব শেষ হয়ে গেছে, তাই যেন তাঁর আশিষ নিয়েই এদিন ঋদ্ধির ব্যাট অনেককে অনেক কিছুর জবাব দিল৷ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে তিনি জবাব দিলেন নিজের ফ্রাঞ্চাইজিকে , জবাব দিলেন বিসিসিআই নির্বাচকদেরও৷

এদিন ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে নেমে একেবারে কামাল করে দেন ঋদ্ধি৷ ৪৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ১২ টি চার ও ২ টি ছয়৷ অজি সুপারস্টার ও এসআরএইচের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটও এদিন ঋদ্ধির পাশে কিছুটা ফিকে হয়ে যায়৷ ওয়ার্নার এদিন করেন ৩৪ বলে ৬৬ তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৮ টি চার ও ২ টি ছয়৷

এদিকে সতীর্থ এই চমৎকার ইনিংস মূলত যার সুবাদে এখনও সানরাইজার্সের প্লে অফের স্বপ্ন বেঁচে রইল তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক ওয়ার্নার৷ তাঁর সরল স্বীকারোক্তি- “Difficult decision to leave Jonny out and get Saha in, and especially batting a batsman like Kane at 4. Incredible knock from Saha though and his strike-rate in the powerplay was incredible. Unfortunately he’s got a little groin niggle but hopefully it isn’t too bad”- অর্থাৎ জনিকে বসিয়ে সাহাকে খেলানোটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল৷ পাশাপাশি কেনকে ৪ খেলানো, কিন্তু সাহার থেকে একটি অবিশ্বাস্য ইনিংস৷ স্টাইকরেটও মারাত্মক বিধ্বংসী৷ যদিও ওঁর কুচকিতে সামাণ্য সমস্যা হয়েছে আশা করি ভালো আছে৷ ’

এদিকে অধিনায়েকর থেকে দরাজ সার্টিফিকেটের পর সাহাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে নেট দুনিয়াও৷

এদিকে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সানরাইজার্স পয়েন্ট টেবলের ৬ রইল পাশাপাশি নিজেদের প্লে অফের সম্ভবনাও বাঁচিয়ে রাখতে পারল এক বাঙালি ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে৷

মানবিক ঋদ্ধি, মাঝ রাতে পারিবারিক বন্ধুর প্রয়োজনে ‘A-’ রক্ত চেয়ে ট্যুইট পাপালির

#কলকাতা: মানবিক ঋদ্ধিমান সাহা। পারিবারিক এক বন্ধুর প্রয়োজনে নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেই রক্ত চেয়ে প্রায় মাঝরাতে পোস্ট ভারতীয় উইকেটরক্ষকের। ঋদ্ধির পোস্ট দেখে এগিয়ে এলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া, রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা-সহ প্রচুর মানুষ।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ ট্যুইট করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ট্যুইটে ঋদ্ধি লেখেন, “এ নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন। খুব জরুরী। আমাকে কি একটু সাহায্য করবেন?” ঋদ্ধির এই পোস্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রি-টুইট করেন হাজার হাজার মানুষ। ঋদ্ধির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন অনেকেই। নিউজ18 বাংলার তরফেও ঋদ্ধিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন, ব্যক্তিগত কোনও সমস্যায় পড়েছেন ঋদ্ধি। পরিবারের কোনও সদস্যের রক্তের প্রয়োজন। তবে ঋদ্ধি নিজেই আশ্বস্ত করেন, তাঁর নিজের পরিবারের নয়, তবে এক কাছের মানুষের প্রয়োজনে এই ট্যুইট করেছেন তিনি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করার কারণ, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানো যায়।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে রক্তের ব্যবস্থা করেন। সিএবি-র এক সদস্যের তরফে ১ ইউনিট রক্ত জোগাড় করা হয়। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা রক্ত জোগাড় করেন। শুক্রবার সকালে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নিজে ঋদ্ধিমানের ট্যুইট রি-টুইট করে কলকাতা পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেন। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ঋদ্ধির পারিবারিক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রয়োজনীয় ৪ ইউনিট রক্ত জোগাড় করা সম্ভব হয় শুক্রবার বিকেলে।

ঋদ্ধির পারিবারিক বন্ধু জানান, কোনও উপায় না দেখে আমি সমস্যার কথা রাতে ঋদ্ধিমানকে জানাই। পাপালি সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে আশ্বস্ত করে নিজের টুইটার থেকে টুইট করে। আমি নিজে যোগাযোগ করলে কতটা কি করতে পারতাম জানি না। ঋদ্ধিমান সাহাকে ধন্যবাদ এভাবে পাশে থাকার জন্য। একজন আন্তর্জাতিক তারকা অন্যের প্রয়োজনে এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে আমি ভাবতেই পারিনি। ঋদ্ধি পাশে না দাঁড়ালে সমস্যা হত। ও নিজেও বহু জায়গায় ফোন করে।” তবে ঋদ্ধিমান এই নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে নারাজ। যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঋদ্ধি। অতীতে বিভিন্ন সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাপালি। কয়েক মাস আগে বন্ধুর মাথার অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা জোগাড় করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় প্রচুর অসহায় মানুষকে সাহায্য করেছেন। তবে সেসব নিয়ে কখনই প্রচার করতে চাননি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সব সময় ঋদ্ধিমানেরর উত্তর” মানুষকে সাহায্য করার জন্য প্রচার চাইনা।”

Eeron Roy Barman

সদ্যোজাত পুত্র নিয়ে জোড়া ছবি পোস্ট ঋদ্ধিমানের

মায়ের কোলে সদ্যোজাত সন্তান। একদিন বয়স ঋদ্ধিমান সাহার ছেলের। ছেলেকে নিয়ে ছবি পোস্ট ঋদ্ধিমানের স্ত্রী রোমি সাহার। হাসপাতালে বেডে শুয়েই সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট রোমির। পাশেই রয়েছেন ঋদ্ধিমান।

শুধু একটি নয়, আরও একটি ছবি পোস্ট করেছেন ভারতীয় টেস্ট দলে উইকেটরক্ষকের স্ত্রী। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঋদ্ধিমানের সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন একটি ছোট মেয়ে। সে মেয়েটি আর কেউ নন ঋদ্ধি ও রোমির মেয়ে আনভি। সেই ছবিতে স্পষ্ট একদিন বয়সের ভাইকে কোলে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আনভি। শুক্রবার বিকেলে নিউটাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ঋদ্ধিমান সাহার স্ত্রী রোমি।

ছবি পোস্ট করে রোমি লেখেন, From Messi kicks to Tyson punches and innumerable footworks this little 2020 boy gave me huge challenge as he finally popped out giving beautiful smiles to his family yesterday 6th of March…?                            শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্যোজাত ছেলেকে কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করে সুখবর জানান ঋদ্ধিমান নিজেই। বাংলা এবং ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই পাপালিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ঝুলন গোস্বামী, উমেশ যাদব, অক্ষর প্যাটেলরা ইনস্টাগ্রামে শুভেচ্ছা জানান। সৌরাষ্ট্র বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনাল ম্যাচ খেলতে শনিবার রাতেই রাজকোটে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ঋদ্ধিমান। নিউজিল্যান্ড থেকে বুধবার কলকাতায় ফেরেন ঋদ্ধি। স্ত্রী রোমির ডেলিভারির কারণে দলের থেকে একদিন বেশি ছুটি চেয়ে নেন পাপালি। গত বছর ২৪ অক্টোবর করে ফের বাবা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন  ঋদ্ধিমান সাহা।

ERON ROY BURMAN