Tag Archives: Yuvraj Singh

যুবরাজ সিং-এর জীবন, কেরিয়ার, রেকর্ড এক ঝলকে

পুরো নাম: যুবরাজ সিং

জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮১

উচ্চতা: ৬ ফুট

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: অল রাউন্ডার / বাম-হাতি ব্যাটসম্যান এবং স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স

পরিবার

পিতা: যোগরাজ সিং

মাতা: শবনম সিং

স্ত্রী: হ্যাজেল কিচ

সন্তান: ওরিয়ন কিচ সিং (পুত্র)

যুবরাজ সিং হলেন এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার, যিনি ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর এক পঞ্জাবি শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা যোগরাজ সিং হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। ফলে বাবার কাছে খুব ছোট বয়স থেকেই কঠোর অনুশীলন এবং অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়েই শুরু হয় তাঁর প্রশিক্ষণ। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি পঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ দলে যোগ দেন এবং পরে পঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। ১৯৯৭ সালে ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটে। মূলত হার্ড-হিটিং ব্যাটিংয়ের জন্যই বিখ্যাত যুবরাজ সিং। এক সময় ভারতীয় দলের অন্যতম মূল স্তম্ভ ছিলেন তিনি। ব্যাটিং থেকে শুরু করে বোলিং – সবেতেই পারদর্শী ছিলেন যুবরাজ। তাঁর কেরিয়ার ছবির চিত্রনাট্যের চেয়ে কিছু কম নয়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ক্যানসার এবং মারণ রোগকে হারিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ফের মাঠে নামা – এ যেন এক কিংবদন্তী আখ্যান।

কেরিয়ারের সূচনা:

শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯-এর বিপক্ষে ৫৫ বলে ৮৯ রান করে যুবরাজের কেরিয়ারের প্রথম সাফল্য আসে। ২০০০ সালে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান। এই টুর্নামেন্টে ভারত জয়ী হয় এবং যুবরাজ সিং তাঁর দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্য ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের শিরোপা লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুবরাজ:

অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের পরেই তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পান। ২০০১ এবং ২০০২ সালে রান কম করার কারণে দল থেকে বাদ পড়ার পর যুবরাজ একই বছরে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দুটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফের দলে জায়গা করে নেন।

২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া খেলায় তিনি মাত্র ১৯ বলে ৪০ রান করেন। এই সিরিজের ফাইনালে ভারত ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারায়। এর পর মহম্মদ কাইফের সঙ্গে পার্টনারশিপে রান হাঁকাতে শুরু করেন যুবরাজ। এই জুটি ১২১ রান করে। যার ফলে ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হয়। পল কলিংউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে যুবরাজ ৬৯ (৬৩) রানে আউট হন। এই ফাইনালকে এখনও পর্যন্ত ভারতের অন্যতম সেরা ওয়ান-ডে বলে মনে করা হয়। 

চূড়ান্ত সাফল্য:

তাঁর বহুমুখী পারফরমেন্সের পর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের জন্য এমএস ধোনির ডেপুটি অর্থাৎ ভাইস-ক্যাপ্টেন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ৬টি ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি দেশ-সহ গোটা বিশ্বকে চমকে দেন যুবরাজ। শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৩০ বলে ৭০ রান করে ভারতকে ফাইনালের দোরগাোড়ায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টের পর ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৩০০ রান করে এবং ১৫টি উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁকে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের শিরোপা দেওয়া হয়। 

কেরিয়ারের পতন:

যুবরাজ সিংয়ের ক্যানসার টিউমার ধরা পড়ে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ চালকালীনই আচমকা তাঁর রক্তবমি শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কেমোথেরাপি নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ফের ব্লু জার্সিতে মাঠে নামলেও আগের সেই যুবরাজকে আর দেখা যায়নি।

পুরস্কার:

২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন যুবরাজ সিং।

Yuvraj Singh: রোহিত-কোহলির টি-২০ দলে ফেরা কি ঠিক? গানের কথায় প্রশ্নের বাউন্সারকে মাঠের বাইরে পাঠালেন যুবরাজ

কলকাতা: শনিবার কলকাতায় নিজের কোচি সেন্টার ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ উদ্বোধন করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সুপার স্টার যুবরাজ সিং। ছয় ছক্কার মালিক শহরে আর ক্রিকেট নিয়ে, টিম ইন্ডিয়া নিয়ে আড্ডা হবে না তা আবার হয় নাকি। সাংবাদিক বৈঠকে স্বভাবতই যুবির দিকে ধেয়ে এল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির টি-২০ ক্রিকেটে কামব্যাক নিয়ে ‘বাউন্সার’ -এর মত প্রশ্ন। আর গানের কথায় সেই ‘বাউন্সার’ মাঠের বাইরে পাঠান ‘পঞ্জাব দ্য পুত্তর’।

প্রায় ১৪ মাস পর টি-২০ ক্রিকেটে কামব্যাক করেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে আর ক্রিকেটের সবথেকে ছোট ফর্ম্যাটে খেলেননি রোহিত-বিরাট। আরও এক টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফের দলে ফিরেছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। টি-২০ বিশ্বকাপে রোহিতের অধিনায়কত্ব করার সম্ভাবনাও বেশি। তবে তরুণ বসিয়ে ফের রোহিত-বিরাটদের ফিরিয়ে আনা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

এই প্রসঙ্গে কলকাতায় এসে যুবরাজ সিং গানের ভাষায় বলেন,”কুছ তো লোগ কহেঙ্গে। লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা।” এরপরই কারণ ব্যাখ্যা করেন ২০১১ বিশ্বকাপের সিরিজ সেরা যুবি বলেন, ওরা দুজন প্রায় দেড় বছর পর টি-২০ দলে কামব্যাক করেছে। কারণ ওরা তিন ফরম্যাটেই খেলে। তিন ফরম্যাট খেললে ক্রিকেটার বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। বিরাট ও রোহিত জানে যে কীভাবে নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে হয়। আর এই দুই ক্রিকেটারের যোগ্যতা নিয়ে তো কোনও প্রশ্নই নেই।”

আরও পড়ুনঃ Rinku Singh: এত টাকা কী করলেন রিঙ্কু সিং? কেন তাঁর পরিবার এখনও ভাঙা পুরনো বাড়িতেই থাকে? জানুন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত, এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে যুবরাজ সিংকে। নিজের হাতে গড়ে তুলবেন নতুন প্রজন্ম। কলকাতার রাজারহাটের মার্লিন রাইজ স্পোর্টস রিপাবলিকের ক্রিকেট উৎসাহীদের জন্য সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এবং “হাই-পারফরম্যান্স সেন্টার” -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুবরাজ সিং। যেখানে বিশিষ্ট কোচ, আধুনিক ক্রিকেটের সব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা সহ থাকছে সবকিছু।

Yuvraj Singh: নতুন ভূমিকায় যুবরাজ সিং, কলকাতায় শুরু ছয় ছক্কার মালিকের অ্যাকাডেমির পথচলা

কলকাতা: ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুবরাজ সিংয়ের ছয় বলে ৬ ছক্কা এখনও সকল ক্রিকেট প্রেমিরা নিজেদের স্মৃতির মণিকোঠায় যত্নে সাজিয়ে রেখেছেন। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিশ্বজয়ে নিয়েছিলেন গুরুত্নপূর্ণ ভূমিকা। সিরিজ সেরার তকমাও পেয়েছিলেন পঞ্জব দ্য পুত্তর। এবার নতুন ভূমিকায় যুবরাজ সিং। নিজের হাতে গড়ে তুলবেন নতুন প্রজন্ম। কলকাতার রাজারহাটের মার্লিন রাইজ স্পোর্টস রিপাবলিকের ক্রিকেট উৎসাহীদের জন্য সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এবং “হাই-পারফরম্যান্স সেন্টার” -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন যুবরাজ সিং।

অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন এই কোচিং সেন্টার কলকাতার মার্লিন রাইজে অবস্থিত। এখানে চালু হতে চলেছে অ্যাডভান্সড ট্রেনিং প্রোগ্রাম। যা দেশের মধ্যে প্রথম যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের একটি অগ্রণী উদ্যোগ। এই অনুষ্ঠানে যুবরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা সহ অন্যান্যরা।

যুবরাজ সিং বলেন, “আমরা পূর্ব ভারতে ক্রিকেট প্রতিভা গড়ে তোলার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টা শুরু করছি। এখানে আধুনিক ক্রিকেটের সমস্ত সুবিধা যুক্ত পরিবেশে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন আগামি প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। আমরা মহিলা ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটারদের জন্য দুটি বিভাগে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভেবেছি। আশা রাখি আগামী এই টুর্নামেন্টগুলি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে গন্য হবে।”

মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা বলেন,”মার্লিন রাইজে আমরা ক্রিকেট আইকন যুবরাজ সিংকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে ক্রিকেটের প্রসারে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আমরা যুবরাজ সিং-এর নির্দেশনায় তরুণ প্রতিভা গড় তুলতে সাহায্য করার জন্য উন্মুখ।”

আরও পড়ুনঃ Rinku Singh: এত টাকা কী করলেন রিঙ্কু সিং? কেন তাঁর পরিবার এখনও ভাঙা পুরনো বাড়িতেই থাকে? জানুন বিস্তারিত

যুবরাজ সিং সেন্টার অফ এক্সিলেন্স অত্যাধুনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকছে নামকরা কোচিং প্যানেলও। কোচিং প্যানেলে রয়েছে জাতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়রা, বিসিসিআই স্বীকৃত কোচ, ফিজিওথেরাপিস্টরা থাকছেন। থাকছে কাস্টমাইজড মডিউল, নিয়মিত মানসিক সেশন, শারিরীক পরীক্ষা করা হবে। যুবরাজ সিং ব্যক্তিগতভাবে এবং ওয়াইএসসিই-এর সিইও-র সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে ছাত্র ও ছাত্রীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

মদের নেশা ছিল এই ভারতীয় ক্রিকেটারদের! নামগুলো শুনলে চমকে যাবেন

বিরাট কোহলি। এখন ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় তিনি। অন্য সব খেলার মতো ক্রিকেটেও ফিটনেসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মদ্যপান, ধূমপান করে একজন ক্রিকেটারের পক্ষে সেই ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব নয়। সেটা সময়মতো বুঝেছিলেন কোহলি। একটা সময় মদ্যপান করলেও এখন তিনি মদের গ্লস ছুঁয়েও দেখেন না।
বিরাট কোহলি। এখন ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় তিনি। অন্য সব খেলার মতো ক্রিকেটেও ফিটনেসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মদ্যপান, ধূমপান করে একজন ক্রিকেটারের পক্ষে সেই ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব নয়। সেটা সময়মতো বুঝেছিলেন কোহলি। একটা সময় মদ্যপান করলেও এখন তিনি মদের গ্লস ছুঁয়েও দেখেন না।
২০১২ সালের আগে বিভিন্ন ইভেন্টে বিরাট কোহলিকে দেখা গিয়েছে মদের গ্লাস হাতে। তবে ২০১২ সালের আইপিএলের পর কোহলির জীবন বদলে যায়। তিনি সেবার পারফর্ম করতে পারেননি। তার পরই ঠিক করেন, আগে নিজেকে ফিট করে তুলবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ শুরু।
২০১২ সালের আগে বিভিন্ন ইভেন্টে বিরাট কোহলিকে দেখা গিয়েছে মদের গ্লাস হাতে। তবে ২০১২ সালের আইপিএলের পর কোহলির জীবন বদলে যায়। তিনি সেবার পারফর্ম করতে পারেননি। তার পরই ঠিক করেন, আগে নিজেকে ফিট করে তুলবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ শুরু।
২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় কেএল রাহুল বিয়ারের গ্লাস হাতে ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। বোর্ডের তরফে দলের ম্যানেজারকে জানানো হয়েছিল, একজন ক্রিকেটারের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিৎ।
২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় কেএল রাহুল বিয়ারের গ্লাস হাতে ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। বোর্ডের তরফে দলের ম্যানেজারকে জানানো হয়েছিল, একজন ক্রিকেটারের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিৎ।
তখন সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিক। একবার বন্ধু বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে তাঁর বিয়ার পানের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসব এখন অতীত। সচিন খেলা ছেড়়েথেন বহুদিন। তবে যখন খেলতেন, তখনও ফিটনেস ধরে রাখতে তিনি মদ্যপান থেকে দূরেই থাকতে শুরু করেন।
তখন সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিক। একবার বন্ধু বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে তাঁর বিয়ার পানের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসব এখন অতীত। সচিন খেলা ছেড়়েথেন বহুদিন। তবে যখন খেলতেন, তখনও ফিটনেস ধরে রাখতে তিনি মদ্যপান থেকে দূরেই থাকতে শুরু করেন।
বলিউড পার্টি হোক বা পরিবারের গেট টুগেদার, যুবরাজ সিংকে বহুবার মদ্যপান করা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। বিগবসের এক প্রতিযোগী আবার তাঁর বিরুদ্ধে মারিজুয়ানা নেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন।
বলিউড পার্টি হোক বা পরিবারের গেট টুগেদার, যুবরাজ সিংকে বহুবার মদ্যপান করা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। বিগবসের এক প্রতিযোগী আবার তাঁর বিরুদ্ধে মারিজুয়ানা নেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ইশান্ত শর্মার মদ্যপানের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সিডজনি ক্লাবের পার্টিতে তিনি, সুরেশ রায়না ও ভুবনেশ্বর কুমার ছিলেন।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ইশান্ত শর্মার মদ্যপানের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সিডজনি ক্লাবের পার্টিতে তিনি, সুরেশ রায়না ও ভুবনেশ্বর কুমার ছিলেন।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছিলেন! আজ সেই যুবির জন্মদিন, কোন বিরল রোগ হয়েছিল তাঁর জানেন?

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট দলের ছক্কার রাজা তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। আজ সেই যুবরাজ সিংয়ের জন্মদিন। ৪২ বছরে পা রাখলেন তিনি।

ভেবে দেখলে বলা যায়, যুবরাজ সিংয়ের দ্বিতীয় জন্ম। কারণ ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় তিনি মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা রোগে আক্রান্ত হন। এটি একটি বিরল ধরনের ক্যান্সার, যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ২০১১ সালে ভারতীয় দল ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পর, যুবি জানতে পারেন তিনি এই রোগে আক্রান্ত।

আরও পড়ুন- IND vs SA 2nd T20: দ্বিতীয় ম্যাচেও কি ভোগাবে বৃষ্টি? কেমন হবে পিচ ও দল, সব আপডেট

এর পর যুবির আমেরিকায় চিকিৎসা হয়। এক বছরের কঠিন লড়াইয়ের পর ক্যান্সারকে পরাজিত করেন ছয় ছক্কার মালিক। একটি সাক্ষাত্কারে যুবরাজ সিং বলেছিলেন, ২০১১ সালের শুরুতে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। সেই সময় মুখ থেকে রক্তপাত হত তাঁর। শরীরে শক্তির অভাবের মতো সমস্যা শুরু হয়েছিল।

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে চাননি যুবি। তাই এসব সমস্যাকে উপেক্ষা করে খেলেছিলেন তিনি। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বল এবং ব্যাটে দুরন্ত পারফর্ম করেন। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব জিতে নেন।

যুবরাজ সিংয়ের ফুসফুসের মাঝখানে ক্যান্সার হয়েছিল। একে বলা হয় মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা, যা বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা হল এক ধরনের সেমিনোমা, যা এক ধরনের টেস্টিকুলার ক্যান্সার।

মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা টেস্টিকুলার ক্যান্সার হয় মিডিয়াস্টিনামে, যা বুকের মাঝখানের স্থান। মিডিয়াস্টিনামে হৃদয়, ফুসফুস, থাইমাস গ্রন্থি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে।

এই বিরল ক্যান্সারের সময় যুবরাজ সিংকে অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ইচ্ছাশক্তি এবং দৃঢ় সংকল্পের সাহায্যে যুবরাজ সিং মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন- রিটেন হয়ে ৬ তারকা পাচ্ছেন ১ কোটির অনেক নীচে, নিলামে উঠলে পেতেন কোটি-কোটি!

এর পর ক্রিকেট মাঠেও ফিরেছেন যুবি। ২০১২ সালে তিনি You We Can সংগঠন শুরু করেন। এই সংস্থা মানুষকে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং লড়াই করতে সাহায্য করে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Kohli Gambhir Fight: কোহলি-গম্ভীর ‘যুদ্ধে’ এবার ময়দানে নামল যুবরাজ সিং, ঝামেলা কি আরও বাড়ল!

মোহালি: দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পেরিয়ে গিয়েছে আইপিএল ২০২৩-এর বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের বেনজির ঝামেলার। গত পয়লা মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচ শেষে তুমুল ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কোহলি ও গম্ভীর। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, একে অপরের দিকে তেড়ে যাওয়া, আঙুল একে অপরকে আক্রমণ। কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্বে বাদ যায়নি কোনও কিছুই। ম্যাচের পরও একে অপরকে নাম না করে বার্তা দিয়েছেন কোহলি-গম্ভীর। এবার এই মহা বিবাদে অংশ নিলেন যুবরাজ সিং। তবে ঝামেলা বাড়ানোর নয়, তা কমানোর চেষ্টা করলেন ‘পঞ্জাব দ্য পুত্তর’।

গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলিকে দুজনের সঙ্গেই ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন যুবরাজ সিং। দুজনের সঙ্গেই যুবির সম্পর্ক ভালো। তাই কোহলি-গম্ভীরের মধ্যেকার আগুন ঠান্ডা করতে একটি মজার উপায় বলেছেন যুবরাজ সিং। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেছে যুবরাজ। সেই পোস্টে একটি কোল্ড ড্রিঙ্কস কোম্পানির নাম করে বলেছেন, এই কোম্পানি চাইলে কোহলি ও গম্ভীরের বিবাদ মেটাতে পারে। যুবরাজ সিং লিখেছেন,”আমার মনে হয় এই সংস্থা গোতি (গৌতম গম্ভীর) ও চিকু (বিরাট কোহলি)-কে বিজ্ঞাপনের জন্য সই করানো। তাহলে দুজনের মাথা ঠাণ্ডা থাকবে। বন্ধুরা তোমরা কী বল?”

আরও পড়ুনঃ KKR: এখনও কীভাবে প্লে অফে পৌছতে পারে কেকেআর, কী বলছে অঙ্ক ও সমীকরণ, রইল তথ্য

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আরসিবি ও এলএসডি ম্যাচ শেষে ঝামেলার ঘটনায় বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীর ও নবীন উলল হককে শাস্তি দিয়েছেন বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বিরাট এবং গম্ভীরের পুরো ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়েছে নবীন উল হকের। ভবিষ্যতে এমন ঝামেলায় ফের জড়াল আরও কঠিন শাস্তিও হতে পারে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন আচরণের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।

Yuvraj: ‘সূর্যগ্রহণ হয়নি, আবার উঠবে আকাশে’! বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বড় বয়ান যুবরাজের

দিল্লি: সূর্য কুমার যাদব এত তাড়াতাড়ি খারাপ ব্যাটসম্যান হয়ে যেতে পারেন না পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যুবরাজ সিং। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটে ম্যাচ দেখে সূর্য কুমারের বিচার করা ঠিক নয় মনে করেন যুবি। যুবরাজ বলেছেন, সূর্যগ্রহণ হয়নি, বিশ্বকাপের আকাশে আবার দেখা যাবে সূর্য। যুবি মনে করেন যে, ২০২৩ অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের দলে সূর্যকে প্রয়োজন হবে।

২০২২ সালে সূর্যকুমার যাদব টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। এখনও তিনি আইসসি ক্রমতালিকায় এক নম্বর টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার। সূর্য ৩১টি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে ১১৬৪ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৮৭.৪৩। এবং গড় ৪৬.৫৬। এই ইনিংসের মধ্যে তাঁর ২টি সেঞ্চুরি এবং ৯টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।

আরও পড়ুন – East Bengal: গম্বাউ সম্ভবত বাদ, ইস্টবেঙ্গলের কোচের দৌড়ে হাবাস এবং এক জার্মান ম্যানেজার

২০২৩ সালের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটারের। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে সূর্য তিনটি ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচে গোল্ডেন ডাক করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এই ধরনের খারাপ পারফরম্যান্সের পর যে কোনও ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে যেতে পারে। আর সূর্যও এর ব্যতিক্রম নয়।

ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান ৩৬০ ডিগ্রি শট খেলার জন্য পরিচিত। কিন্তু ওডিআই সিরিজে তাঁকে একেবারেই পরিচিত ছন্দে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে অজিদের বিরুদ্ধে টানা তিন ম্যাচে গোল্ডেন ডাক করার পর যখন তাঁকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে, তখন সূর্য পাশে পেয়েছেন যুবরাজ সিং-কে।

যুবি মনে করেন যে, ২০২৩ অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের দলে সূর্যকে প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য এর আগে কপিল দেব পর্যন্ত বলেছিলেন সূর্য কুমার অসাধারণ এক প্রতিভা। এমন প্রতিভা খুব বেশি আসে না। এমনকি ভিভ রিচার্ডস, ডিভিলিয়ার্সদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে রাখেননি, সূর্যকে। এখন দেখার সূর্য কুমার বিশ্বকাপে নিজের পুরনো ছন্দে ফিরতে পারেন কিনা।

হঠাৎ করেই ঋষভ পন্থকে দেখতে হাজির যুবরাজ! দিয়ে এলেন জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ের মন্ত্র

দিল্লি: হঠাৎ করেই ঋষভ পন্থকে দেখতে হাজির হয়ে গেলেন যুবরাজ সিং। সম্ভবত দিল্লিতে ঋষভকে তার বাড়িতে গিয়ে দেখে এলেন যুবি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করেছেন যুবরাজ। ক্যাপশন লিখেছেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে এভাবেই এগোতে হবে। প্রতিদিন একটা লড়াই। দিনের শেষে এই চ্যাম্পিয়ন জিতবে। ঋষভ মনের খুশিতে হাসছে। ও ঘুরে দাঁড়াবেই। যন্ত্রণার মধ্যেও হাসতে জানে। ঈশ্বর তোমায় আরও শক্তি দিক।

উল্লেখ্য গাড়ি দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থ। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। আসন্ন আইপিএলে খেলবেন না তিনি। তাঁর মাঠে ফিরে আসতে আরও পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। তবে ফিটনেস নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের আপডেট দিতে থাকেন।

তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ক্রাচ-এর সাহায্যে পুলে হাঁটছেন পান্থ। এই মুহূর্তে তাঁর হাঁটার জন্য ক্রাচ প্রয়োজন। ভিডিওটি শেয়ার করার সময় তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “ছোট জিনিস, বড় জিনিস এবং এর মাঝামাঝি সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ।পন্থের এই ভিডিও ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও লাইক করেছেন।

কমেন্টে তিনি লিখেছেন, ‘কিপ ইট আপ পন্থ।’ একই সঙ্গে তাঁরর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে খুবই খুশি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। সূর্য কুমার যাদব পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখে পন্থকে প্রশংসা করেছেন। যুবরাজ নিজে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছিলেন।

ফলে তিনি জানেন মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে। সেসব গল্প তিনি ঋষভকে বলেছেন কিনা জানা নেই। তবে জীবন যুদ্ধে জয়ী যুবির মন্ত্র পেয়ে ঋষভ যে আরও মানসিক শক্তি পাবেন তাতে সন্দেহ নেই।

Viral Video: শরীর চর্চায় যুবরাজ ও শিম্পাঞ্জির ‘যুগলবন্দি’, ভিডিও দেখলে হেসে পেটে খিল ধরবে

পঞ্জাব: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে যুবরাজ সিং বিদায় জানিয়ছেন দেখতে দেখতে চার বছর হয়ে গেল। ২২ গজ থেকে দূরত্ব বজার রাখার কষ্ট সহ্য না করতে পেরে কামব্যাক করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু তাঁর ফ্যান-ফোলায়ার্স এতটুকু কমেনি। ছয়-ছক্কার নায়ককে ভোলাটা সহজও নয়। এবার আরও একবার সকলের মন জয় করলেন যুবরাজ সিং। তবে ২২ গজে কোনও কীর্তির মাধ্যমে নয়। এক মজাদার ভিডিওর মাধ্যমে সকলকে হাসালেন যুবি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যুবরাজ সিং। যেখানে তাকে ও একটি শিম্পাঞ্জিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। যদিও পাশাপাশি দুটি আলাদা উইন্ডোতে। কিন্তু যুবরাজ সিং ও সেই শিম্পাঞ্জিকে একসঙ্গে মিউজিকের তালে তাল মিলিয়ে শারীর চর্চা করতে দেখা গিয়েছে। যেখানে যখন দুজনই একসঙ্গে পা তুলছে, একসঙ্গে বসছে, একসঙ্গে বুকে হাত দিচ্ছে। যেই ভিডিও যেমন মিষ্টি ঠিক তেমনই হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরাবে। ইতিমধ্যেই এই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে।

আরও পড়ুনঃ Lionel Messi: মেসির অবিশ্বাস্য গোল, স্তম্ভিত-হতবাক গোটা বিশ্ব, অবাক এমবাপে-নেইমার, দেখুন ভিডিও

প্রসঙ্গত, নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০৪টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৮৭০১ রান করেছেন যুবি। ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫২টি হাফ সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটে ৪০ ম্যাচে ৩টি শতরান, ১১টি অর্ধশতরান সহ ১৯০০ রান ও টি-২০ ক্রিকেটে ৫৮ ম্যাচে ৮টি অর্ধশতরান সহ ১১৭৭ রান করেছেন যুবরাজ সিং। এছাড়া আইপিএলে ১৩২টি ম্যাচ খেলে ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ২৭৫০ করেছেন পঞ্জাব দ্যা পুত্তর।

শুভমন গিল কৃতজ্ঞ যুবরাজের কাছে, `বড় ভাই এবং মেন্টর’ বলে দিলেন যোগ্য সম্মান !

#হায়দরাবাদ: দ্বিশতরানের স্টেশনে পৌঁছন ১৪৫ বলে। উল্টোদিকে একের পর এক উইকেট পড়লেও আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াননি শুভমান গিল। বরং টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ অনুসারে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। ২০৮ রানের রাজকীয় ইনিংস খেলে যখন ফিরছেন, তখন ইনিংসে আর মাত্র চারটি বল বাকি!

কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস কার্যত বিশ্বকাপে তাঁর রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামাতেও সিলমোহর দিল। ঈশান কিষানকে বাইরে রেখে তাঁর ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে চর্চা চলছিল নানা মহলে। কারণ, কিছুদিন আগে দ্রুততম দ্বিশতরান করেছিলেন ঈশান। বুধবার নিজামের শহরে গিল অবশ্য বুঝিয়ে দিলেন যে তিনিও কম যান না!

আরও পড়ুন – ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন বিরাট কোহলি! অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে নতুন ভাবনায় তারকা ব্যাটসম্যান

২৩ বছর বয়সি সেজন্যই বলেছেন, আমার কাছে এই ইনিংসের বিশাল গুরুত্ব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে বড় রানের সুযোগ হারিয়েছিলাম। ওই দুই ম্যাচে লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনি। কিউয়িদের বিরুদ্ধে তাই সেট হওয়ার পর ফোকাস ছিল একটাই, যতটা সম্ভব বেশি রান করতে হবে।

পরপর তিনটি ছয় মেরে দুশোর গণ্ডি পার করেন গিল। পুরুষদের একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন তিনি। যা আসে ২৩ বছর ১৩২ দিনে। পাশাপাশি, এই ঘরানায় হাজার রানও হয়ে গেল তাঁর। ক্রিকেট মহলের নজর কেড়েছে তাঁর ছক্কা হাঁকানোর ক্ষমতা। গিলের কথায়, হাত খুলে মারার জন্য ছটফট করছিলাম। কিন্তু নিয়মিত উইকেট পড়ছিল।

ড্রেসিং-রুমের নির্দেশ ছিল, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার। তাই মাঝেমধ্যে সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করেছি। ঠিক করেছিলাম শেষ পাঁচ ওভার চালিয়ে খেলব। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হয়ে যাওয়ায় আরও দু’ওভার ঝুঁকি না নেওয়ার বার্তা পেয়েছিলাম। শেষ তিন ওভারে তাই বড় শট নিয়েছি।

অন্তিম ১১ বলে তাঁর মারা ছয়টি ছক্কাতেই তা প্রতিফলিত।বাবা লখিন্দর সিং ও মেন্টর যুবরাজ সিংকে কৃতিত্ব দিয়েছেন গিল। তাঁর মতে, যুবি পাজি আমার মেন্টর। বড় ভাইয়ের মতো। ব্যাটিং নিয়ে সবসময় কথা হয় ওঁর সঙ্গে। আর শুরুতে বাবা ছিলেন আমার কোচ। এই দু’জনকে গর্বিত করতে পেরে আমি তৃপ্ত। শুভমন গিল মনে করেন যুবরাজের পরামর্শ তাকে সব সময় আলাদা আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আগ্রাসী থাকতে সাহায্য করেছে।

Yuvraj Singh on Jos Buttler : বাটলারের সততায় মুগ্ধ যুবরাজ! ঘুরিয়ে অশ্বিনকে কথা শোনালেন তারকা

#মুম্বই: জস বাটলার টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুনে ব্যাটসম্যান বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যে এবারের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের বিরুদ্ধে তার শতরান রয়েছে। জস বাটলার বর্তমানে টু্নামেন্টে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। তাঁর ক্রিকেটীয় স্পিরিটের প্রশংসাও করেছেন যুবরাজ সিং। আর তা করতে গিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা জড়িয়ে পড়েছেন বিতর্কে। ঘটনা গুজরাত টাইটান্স ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে।

আরও পড়ুন – Rohit Sharma, Mumbai Indians: ব্যাট হাতে রোহিতের বিস্ফোরণ শুধু সময়ের অপেক্ষা, নিশ্চিত সচিন তেন্ডুলকর

জিমি নিশামের দ্বিতীয় বলটিতে জোরালো শট খেলেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। অনেকটা দৌড়ে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন লং অনে দাঁড়ানো জস বাটলার। বল থামানোর প্রশংসনীয় প্রয়াস। কিন্তু ওঠার সময় তাঁর হাত বাউন্ডারি লাইনে লেগে যায়। ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারদের অনুরোধ করেন তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার জন্য। শেষ অবধি এটি চারই হয়।

এই ক্রিকেটীয় স্পিরিটে মুগ্ধ যুবরাজ সিং বাটলারকে ট্যাগ করে টুইটে লেখেন, এখনও ক্রিকেটে জস বাটলারের মতো ভদ্রলোকেরা রয়েছেন। অন্যরা, বিশেষ করে তাঁর সতীর্থদের এটা দেখে শেখা উচিত। যুবরাজ কোনও ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করেননি। যদিও তাঁর বক্তব্যের শেষ অংশটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেউ কেউ যুবরাজকে আনফলো করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

তাঁদের অনেকেরই দাবি, যুবরাজ কারও নাম উল্লেখ না করলেও তিনি যে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেই খোঁচা দিয়েছেন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ক্রিকেটীয় স্পিরিট সংক্রান্ত বিষয়ে বারেবারেই উঠে আসে অশ্বিনের কথা। এমনকী বাটলারের সঙ্গে তাঁর শীতল সম্পর্কের কথাও অজানা নয়। কিন্তু এখন দুজনেই একই দলে রয়েছেন।

কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলার সময় বাটলারকে অশ্বিনের মাঁকড়ীয় আউট করা জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা যুবরাজকে তাঁর টুইটের জন্য সমালোচনা করেছেন। অনেকে এমনও লিখেছেন, অশ্বিনকে জেন্টলম্যান প্রমাণের জন্য যুবরাজের সার্টিফিকেট লাগবে না। কারও মতে, অশ্বিনকে টার্গেট করে সস্তার শট খেলেছেন যুবরাজ।

অশ্বিন যা করে থাকেন তা নিয়ম মেনে সঠিকই করে থাকেন, তিনি একজন ট্রেন্ডসেটার। কেউ লিখেছেন, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দল থেকে বাদ পড়া হজম হয়নি বলেই অশ্বিনকে আক্রমণ করছেন যুবরাজ। যুবরাজ সিংয়ের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠতাকে কটাক্ষ করে তাঁকে ঈর্ষাকাতর বলে দেগে দিতেও দ্বিধা করেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা।

কেউ লিখেছেন, সম্মান আদায় করতে সময় লাগে, হারাতে এতটুকু সময় লাগে না। সব মিলিয়ে টুইটকে কেন্দ্র করে যুবি সমালোচনায় বিধ্বস্ত। যুবরাজ অবশ্য সমালোচনা পাত্তা দিচ্ছেন না। বাটলার ক্রিকেটের স্পিরিট মেনে দুর্দান্ত নিদর্শন রেখেছেন মনে করেন তিনি।