মা তারার আরতি

Tarapith Temple : পয়লা বৈশাখ তারাপীঠে যাচ্ছেন তারা মায়ের দর্শনে? পৌঁছনর আগেই জানুন নতুন কী কী নিয়ম করা হল দর্শনার্থীদের জন্য

সৌভিক রায়, বীরভূম: আর হাতে গোনা কয়টা দিন, তারপরবাংলার ১৪৩১ সাল। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন মানেই বাঙালি বা ব্যবসায়ীদের কাছে এক আলাদা গুরুত্বপূর্ণ দিন।ওই বিশেষ দিনে বিভিন্ন মন্দিরে ভোর থেকেই থেকেই উপচে পড়ে ভিড়।বীরভূমেও অন্যথা হয় না। তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার কাছে দূর-দূরান্ত থেকে হালখাতা নিয়ে পুজো দিতে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুটা যাতে ভাল হয়, সে জন্য মা তারার কাছে পুজো দিয়ে বছর শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু বছরে প্রথম দিন নয়।বছরের অন্যান্য দিনও হাজার হাজার, আবার কখনও কখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।নতুন বছরের প্রথম দিনও দূর-দূরান্ত থেকে হোক বা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাতে তাঁদের পুজো ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, তার জন্য মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা করে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ থেকে শৃঙ্খলারক্ষা করার জন্য মন্দির চত্বরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনেরও এই দিনটির জন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে।

আরও পড়ুন : বেলের শরবত কি ব্লাড সুগারে খাওয়া ক্ষতিকর? বেল খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে? জানুন বিশদে

তারাপীঠ মন্দির কমিটির তথা তারামাতা সেবায়েত সংঘের সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ” একদিকে নতুন বছর অন্যদিকে শনি এবং রবিবার অর্থাৎ রবিবার পড়েছে বছরে প্রথম দিন।সপ্তাহের এই দু’দিন এমনিতেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। এইবার যেহেতু বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার পড়েছে তার জন্য ভক্ত সমাগম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। বছরে প্রথম দিন পরিবারের মঙ্গল কামনায় যেমন ভক্তরা পুজো দেন, তেমনইব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিয়ে থাকেন। এত সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে এই কথা আগে থেকেই ভেবে একদিকে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে যেমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনইমন্দির কমিটি এবং তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে সমস্ত রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

এছাড়াও যেহেতু বীরভূমের তাপমাত্রা এমনিতেই অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। সেই কথা মাথায় রেখে সাধারণ যে লাইন রয়েছে সেই লাইনের ওপরে একদিকে যেমন ত্রিপল খাটিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হবে ঠিক তেমনইপর্যাপ্ত পরিমাণে জল,গুড়,বাতাসা,ছোলার ব্যবস্থা করা হবে মন্দির কমিটির তরফ থেকে। সব মিলিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরে।