Tag Archives: poila baishakh 1431

Bankura Viral News: একের পর এক ডুব, জমে গেল ভিড়! জলে ১৪৩১ বার ওঠানামা ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’র, কেন এমন কাণ্ড!

বাঁকুড়া: অভিনব বর্ষবরণ বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী যমুনা বাঁধের জলে। ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত। সদানন্দের এই কীর্তি দেখার জন্য প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন সাধারণ মানুষ। ইংরেজি বর্ষ বরণ এবং বাংলা বর্ষবরণের দিন এক অসাধ্য সাধন করেন সদানন্দ।

আরও পড়ুন: চিনি নয়, চায়ে মেশান এক চিমটে নুন…! ৪ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেবে এই লবণ চা, শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি!

সদানন্দের এই কাণ্ড দেখতে যমুনা বাঁধের চারপাশে ভিড় করতে দেখা গেল স্থানীয়দের। সদানন্দের ইচ্ছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ নাম তোলার। সেই কারণেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধে ২০২৪টি এবং যমুনাবাঁধে ১৪৩১টি ডুব দিলেন তিনি। তাঁর নাম ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’। বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত জানান, “অনেকেই অনেক কিছু করছে, আমার ইচ্ছা জলে ডুব দিয়ে রেকর্ড বুকে নাম তোলার, সঙ্গে বিষ্ণুপুরবাসী হিসেবে বিষ্ণুপুরের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।”

বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ অভিনব পদ্ধতিতে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন। বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের ইতিহাস জড়িয়ে যমুনাবাঁধে। এই বাঁধে প্রতি বছরই বাংলা এবং ইংরেজির নতুন বছরকে এই ভাবেই বরণ করেন সদানন্দ দত্ত। ১৪২৯ সালে ১৪২৯টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন। ১৪৩০ সালে ১৪৩০টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন সদানন্দ। এবার ১৪৩১ সাল, তাই ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Chhatu Sankranti Mela: একবেলার ছাতু সংক্রান্তি মেলার নাম শুনেছেন? রোদ উঠে বালি গরম হলেই বাড়ির পথ ধরে সবাই

পশ্চিম মেদিনীপুর: মেলা এখন সকলের কাছে অতি পরিচিত। সারা বছর বিভিন্ন জায়গায় নানা মেলা আয়োজিত হয়। হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বসে রকমারি দোকান থেকে খাবারের দোকান। কিন্তু মাত্র এক বেলার একটি মেলা এই বাংলায় হয় বলে জানতেন কি? তাও আবার নদীর বালির চরে। এই এক বেলার মেলায় বাংলার পাশাপাশি প্রতিবেশী ওড়িশার মানুষ‌ও অংশগ্রহণ করে।

এই এক বেলার মেলা উপলক্ষে নদীতে পুণ্য স্নান থেকে বেচা কেনা সবই হয়। বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদীর ঘাটে হয় একবেলার বালি মেলা। তপ্ত বালিতেই বসে দোকান, বিক্রি হয় হরেক রকমের জিনিসপত্রের। বহুকাল ধরে চৈত্র সংক্রান্তির দিন একবেলার এই মেলা চলে আসছে।

আর‌ও পড়ুন: আনারসের কালাকাঁদ, কামরাঙা সন্দেশ মাতিয়ে দেবে পয়লা বৈশাখ! দেখুন লোভনীয় ছবি

বাংলা নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনে সংক্রান্তির পুণ্যতিথিতে সুবর্ণরেখা নদীর চরে বসে এই একবেলার মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতনের বেলমুলা, বালিডাংরি, সদরঘাট সহ একাধিক নদী ঘাটে হয় এই মেলা। এই মেলাকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনী। চৈত্র সংক্রান্তির দিন বালি যাত্রায় মেতে ওঠেন বাংলা ও ওড়িশার মানুষজন। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীর চরে এই মেলা হয়। যার নাম ছাতু সংক্রান্তির মেলা।

এখানে মূলত সংক্রান্তির দিন পূর্ব পুরুষদের পিণ্ডদানের ধর্মীয় রীতি পালন করা হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই মেলায় চলে পূর্বপুরুষের উদ্দেশে পিণ্ড দান। তারপরেই ছাতু খাওয়া শুরু করেন মেলায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা।

এই মেলার একটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায়। বেলমূলা থেকে বারাসতী পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার নদীর চরের একদিকে বাংলা ও অপরদিকে ওড়িশা। দুই রাজ্যের মানুষের যাতায়াত যাতে সহজে হতে পারে তাই এমন জায়গাগুলোতেই মেলা বসে। বহু মানুষ পূর্বপুরুষদের তর্পণের উদ্দেশ্যে নদী ঘাটে আসেন।শুধু তর্পন না, মেলায় ঘোরা ও চৈত্র সংক্রান্তির পূন্যস্নানে মাতেন দুই রাজ্যের মানুষজন।

জলে হাঁটু মুড়ে বসে কেউ বালির উপর কলাপাতায় আতপচাল, পাকা কলা দিয়ে মণ্ড, আবার কেউ মুড়ির ছাতু, গুড়, দুধ, কলা, কাঁচা আম, আতপ চাল, তিল, মধু মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করেন। আবার কেউ কেউ সেদ্ধ চাল, কাঁচা আম, আলু ও অন্যান্য আনাজ দিয়ে তর্পণ করেন। সঙ্গে ফুল, ধূপ তো থাকেই। পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর তর্পণের নৈবেদ্য সুবর্ণরেখার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

আর‌ও পড়ুন: হেলা ফেলার পুঁইশাক ফলিয়ে এবার পকেট ভরুন

এরপর নদীতে স্নান সেরে মেলায় ঘোরেন সবাই। রোদ লেগে বালির তপ্ত হয়ে পায়ে ছ্যাঁকা দিলেই পাততাড়ি গুটিয়ে মেলা শেষ করে সবাই আবার বাড়ির পথ ধরেন। তর্পণের জন্য আসা মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে বসে মেলা। খাওয়ার দোকান থেকে যাবতীয় সামগ্রীর দোকান বসে।

রঞ্জন চন্দ

Poila Baishakh: আনারসের কালাকাঁদ, কামরাঙা সন্দেশ মাতিয়ে দেবে পয়লা বৈশাখ! দেখুন লোভনীয় ছবি

বাঁকুড়া: পয়লা বৈশাখ মানেই মিষ্টি। গতানুগতিক রসগোল্লা, জিলিপি, মিষ্টি দই তো থাকবেই। তবে বাংলা নববর্ষের এই সময়টাতে মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা বানিয়ে থাকেন স্পেশাল মিষ্টি। সেরকমই বাঁকুড়া শহরের একটি জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান তৈরি করেছে পয়লা বৈশাখের স্পেশাল রকমারি মিষ্টি। মিষ্টিগুলো যেরকম ইউনিক, তাদের নামগুলো আরও ইউনিক।

এখানে আনারস দিয়ে তৈরি কালাকাঁদের সে কী অপূর্ব স্বাদ। দাম মাত্র ১০ টাকা। এছাড়া থাকছে আপেল মিষ্টি, টু-ইন ওয়ান আপেল মিষ্টি এবং মোতিচুর বরফি। সেলিব্রেশনের মিষ্টির কারখানায় আনারস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সবুজ কালাকাঁদ, এটির দামও মাত্র ১০ টাকা।

আর‌ও পড়ুন: শনিবার বারবেলায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, দুই অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের মৃত্যু

মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার রমেশ মহান্ত জানান, চিরাচরিত মিষ্টির থেকে নতুন ধরনের ফিউশন মিষ্টির চাহিদা এই বছর পয়লা বৈশাখে অনেক বেশি। রসগোল্লা, সন্দেশ এবং দইয়ের চাহিদা থাকবেই। পাশাপাশি অন্যান্য ফ্লেভারের নতুন স্বাদের মিষ্টি মানুষ বেশি পছন্দ করছে। সকলের কথা ভেবে দাম রাখা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা করে।

পয়লা বৈশাখের আগের দিন এই দোকানে ভিড় বেশ চোখে পড়ার মত। সাজানো রয়েছে একের পর এক লোভনীয় দেখতে মিষ্টিগুলো। নামগুলিও বেশ নজর কেড়েছে ক্রেতাদের। যেমন- তালশাঁস, ঝিনুক সন্দেশ, কামরাঙা সন্দেশ ইত্যাদি।

আর‌ও পড়ুন: হেলা ফেলার পুঁইশাক ফলিয়ে এবার পকেট ভরুন

আগামীকালের ভিড়ের কথা ভেবে আগে থেকেই মিষ্টি কিনে ঘরে মজুত করে রেখে দিচ্ছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ একলা এসে চেখে দেখছেন নতুন মিষ্টিগুলি। বছরের শুরুটা মিষ্টি মুখ দিয়ে না করলে যেন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Poila Baishakh: শিল্পের দুরন্ত বাণিজ্যিকরণ, হাতে আঁকা জামা নতুন ট্রেন্ড নববর্ষে

হুগলি: বয়স যখন আট বছর তখন থেকেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন রং-তুলি। ছবি আঁকা প্রথম জীবনে ছিল ছিল ভাললাগা। ভাললাগা থেকে ভালবাসায় যখন পৌঁছায় তখন তিনি ছবি আঁকতেন ক্যানভাসে। সেই ছবি আঁকাকেই রোজগারের পথ হিসেবে বেছে দেওয়ার জন্য ক্যানভাস বদলে হয়েছে জামা কাপড়। এখানেই ছবি আঁকছেন সন্তু, যা বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে দেশীয় এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারে।

উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বাসিন্দা সন্তু দে। চুঁচুড়ার সোনাঝুরি মেলায় প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বসে জামা-কাপড়ে ছবি আঁকেন। শিল্পের এই অভিনব বাণিজ্যিকরণ মন কেড়েছে ক্রেতাদেরও। শুধুমাত্র হুগলি নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মেলায় দেখতে পাওয়া যায় সন্তুর মত অনেককেই। যারা জামা, পাঞ্জাবি, টিশার্ট সবকিছুর উপর নিজের হাতেই ছবি আঁকেন। অনেক ক্ষেত্রে খরিদ্দারের পছন্দ মত নকশাও এঁকে দেন।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের মরশুমে ‘ওরা’ ফের দলবেঁধে জঙ্গলমহলের গ্রামে

একদিনে সর্বোচ্চ ৫ টি কাপড়ে সম্পূর্ণ ছবি আঁকেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি কাপড় সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে দুই দিনও। এটি পুরোটাই কি ধরনের ছবি আঁকা হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে। তাঁর কাছে যে কাপড়গুলি রয়েছে তার মূল্য শুরু হচ্ছে হাজার টাকা থেকে। পাঞ্জাবির শুরু হচ্ছে মাত্র ৩০০ টাকা থেকে। তাঁর এই শিল্পের চাহিদা বর্তমান বাজারে এতটাই বেড়েছে যে তা জেলা, রাজ্য এমনকি দেশ পেরিয়েও পারি দিচ্ছে বিদেশে। নববর্ষ ও ২৫ বৈশাখ উপলক্ষে তাঁর বেশ কিছু হাতে আঁকা পাঞ্জাবি পাড়ি দিয়েছছ আমেরিকাতেও।

রাহী হালদার

Tarapith Temple : পয়লা বৈশাখ তারাপীঠে যাচ্ছেন তারা মায়ের দর্শনে? পৌঁছনর আগেই জানুন নতুন কী কী নিয়ম করা হল দর্শনার্থীদের জন্য

সৌভিক রায়, বীরভূম: আর হাতে গোনা কয়টা দিন, তারপরবাংলার ১৪৩১ সাল। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন মানেই বাঙালি বা ব্যবসায়ীদের কাছে এক আলাদা গুরুত্বপূর্ণ দিন।ওই বিশেষ দিনে বিভিন্ন মন্দিরে ভোর থেকেই থেকেই উপচে পড়ে ভিড়।বীরভূমেও অন্যথা হয় না। তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার কাছে দূর-দূরান্ত থেকে হালখাতা নিয়ে পুজো দিতে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুটা যাতে ভাল হয়, সে জন্য মা তারার কাছে পুজো দিয়ে বছর শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু বছরে প্রথম দিন নয়।বছরের অন্যান্য দিনও হাজার হাজার, আবার কখনও কখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।নতুন বছরের প্রথম দিনও দূর-দূরান্ত থেকে হোক বা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাতে তাঁদের পুজো ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, তার জন্য মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা করে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ থেকে শৃঙ্খলারক্ষা করার জন্য মন্দির চত্বরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনেরও এই দিনটির জন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে।

আরও পড়ুন : বেলের শরবত কি ব্লাড সুগারে খাওয়া ক্ষতিকর? বেল খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে? জানুন বিশদে

তারাপীঠ মন্দির কমিটির তথা তারামাতা সেবায়েত সংঘের সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ” একদিকে নতুন বছর অন্যদিকে শনি এবং রবিবার অর্থাৎ রবিবার পড়েছে বছরে প্রথম দিন।সপ্তাহের এই দু’দিন এমনিতেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। এইবার যেহেতু বাংলা বছরের প্রথম দিন রবিবার পড়েছে তার জন্য ভক্ত সমাগম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। বছরে প্রথম দিন পরিবারের মঙ্গল কামনায় যেমন ভক্তরা পুজো দেন, তেমনইব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিয়ে থাকেন। এত সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে এই কথা আগে থেকেই ভেবে একদিকে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে যেমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনইমন্দির কমিটি এবং তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে সমস্ত রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

এছাড়াও যেহেতু বীরভূমের তাপমাত্রা এমনিতেই অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। সেই কথা মাথায় রেখে সাধারণ যে লাইন রয়েছে সেই লাইনের ওপরে একদিকে যেমন ত্রিপল খাটিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হবে ঠিক তেমনইপর্যাপ্ত পরিমাণে জল,গুড়,বাতাসা,ছোলার ব্যবস্থা করা হবে মন্দির কমিটির তরফ থেকে। সব মিলিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরে।