সৌভিক রায়, বীরভূম: সামনের রবিবার ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা।আর তার আগেই বড় চমক থাকছে তারাপীঠে আগত পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য।বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন দ্বারকা নদীর পাশে প্রত্যেকদিন হবে সন্ধ্যারতি। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের অফিসে এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় প্রশাসনিক কর্তাদের। পুণ্যার্থীদের মতে এই আরতির মধ্য দিয়ে তারাপীঠের মতো পর্যটন কেন্দ্রের শিরোপায় নতুন পালক হিসেবে সংযোজিত হবে এটি।এই আরতি শুরু হলে তারাপীঠে পর্যটকদের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা।
তারাপীঠে আগত পর্যটকরা মন্দির ছাড়া আটলা মোড় এবং বীরচন্দ্রপুর ছাড়া দেখার মতো তেমন কোনও জায়গা পেতেন না এতদিন।ফলে এই তিনটি জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর পরেই হোটেল বন্দি হয়ে থাকতে হত পর্যটকদের। তাঁদের চাহিদা মেটাতে দ্বারকা নদীর পশ্চিম দিকে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচকরে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নদীর পাড়। টাইলস দিয়ে রাস্তা ছাড়াও নিরিবিলি পরিবেশে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইখানে বসে মন্দির,শ্মশান দেখার পরেও সুন্দর পরিবেশ চাক্ষুষ করা যায়।
রংবেরঙের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।দ্বারকার পাড়ের এই সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।এবার সেই পাড়েই আরতির প্রস্তাব দিয়েছেন জেলাশাসক। পরিকল্পনা রূপায়িত করতে তৎপরতা শুরু করেছে টিআরডিএ। বারাণসীর মতো দ্বারকাবক্ষে নৌকো থেকে আরতি দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।সন্ধ্যায় দেবীর আরতির সঙ্গেই পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারাপীঠের সেবাইতরা এখানে আরতি করবেন।বছরের ৩৬৫দিন বারাণসীতে এই গঙ্গারতির আয়োজন হয়ে থাকে।পর্যটন-আকর্ষণ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে গঙ্গারতি। এবার রাজ্যের অন্যতম অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠে এই সন্ধ্যারতির প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।শ্মশানের পাড়ে রেলিং দিয়ে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে যাতে সেখান থেকে পর্যটকরা সামনের পার্কে সন্ধ্যারতি দেখার সুযোগ পান। শ্মশানের পাশে যেহেতু দ্বারকা নদী তাই পর্যটকরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেই কথা মাথায় রেখে এই পাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে।কৌশিকী অমাবস্যা থেকে এই সন্ধ্যারতি করা শুরু হবে। এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি।