আগুন নেভানোর কাজ চলছে

North 24 Parganas News: নাগেরবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণ নেভাতে আরও সময় লাগবে

উত্তর ২৪ পরগনা: মধ্যরাতে দমদমের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে দমকলের প্রায় ২০টি ইঞ্জিন। ওই এলাকায় পরপর কারখানা, গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে, দাবি স্থানীয়দের।

জানা গিয়েছে, দমদম নাগেরবাজার এলাকায় ২৯ নম্বর যশোর রোড এলাকায় গেঞ্জির কারখানা, আইসক্রিম কারখানা-সহ একাধিক গোডাউন ছিল। গেঞ্জির কারখানায় কাজ করা কর্মীরা প্রথমে ভোর তিনটে দশ নাগাদ আগুনের ফুলকি দেখতে পায় আইসক্রিম কারখানা থেকে। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়। এরই মাঝে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেখে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়েরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।

আগুন দ্রুত বিধ্বংসী আকার ধারন করতে শুরু করায় দমকলের আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এক কারখানা থেকে আরেক কারখানায়। চোখের সামনে গেঞ্জির কারখানা-সহ পার্শ্ববর্তী গোডাউনকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আশপাশের আবাসনে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে কাজ শুরু করে দমকলের মোট কুড়িটি ইঞ্জিন। ঘটনার কথা চাউর হতেই, এলাকায় ভিড় জমায় আশপাশের বহু মানুষ।

কীভাবে এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে পরবর্তীতে দমকলের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন আগুন লাগার কারণ, খতিয়ে দেখা হবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও। তবে এখন আগুন সম্পূর্ণ নেভানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দমকলকর্মীদের কাছে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ জনপ্রতিনিধিরা।

যদিও দমকলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে ঘটনা ঘটার দীর্ঘ সময় পরে দমকলে খবর দেওয়া হয়েছে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। প্রায় এক লক্ষ স্কোয়ার ফুট মতো এলাকা আগুনের গ্রাসে চলে যায়। আগুন এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে, তবে গোডাউন থাকায় পকেটগুলিতে জল দিয়ে আগুন নেভাতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন দমকল আধিকারিকেরা।