পুজোর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন ঢাকিরা।

Durga Puja 2024: পুজোর আগেই মন খারাপ ঢাকি বাদকদের, দেখুন

 পশ্চিম বর্ধমান :  আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক। এখন পুজো উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু পুজো যারা মাতিয়ে তোলেন, এবছর মন খারাপ তাদেরই। কারণ এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে বুকিং আসেনি। পুজোর আগে বিষন্ন জেলার ঢাকিপাড়া। বরাত তেমন আসেনি তাই বাড়তি লক্ষ্মী লাভের আশাও কমেছে। মন খারাপ ঢাকি সহ বাদকদের।

বুদবুদের শুকডাল এলাকায় ১৮ থেকে ২০টি বাড়িতে বাদক পরিবারের বসবাস। বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজ, বাঁশের কুটির শিল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। তবে উৎসবের মরশুমে ঢাকিপাড়ায় বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা যায়। মন্ডপে ঢাকের আওয়াজ শোনার আগে ঢাকের তালে মেতে ওঠে এই ঢাকিপাড়া। পুজো মাতিয়ে তোলার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেন তারা। কিন্তু চলতি বছরের সেই উচ্ছ্বাস কেমন যেন উধাও।

আরও পড়ুন : স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জড়িয়ে নেতড়ার নন্দীবাড়ির পুজোয়

উল্লেখ্য, ঢাকিপাড়ায় গেলেই আর্থিক অসঙ্গতির ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে আপনার চোখের সামনে। এই জায়গায় ঢাকি সহ ঢোল বাদক, তাসা বাদকদের বসবাস। অন্যান্য বছরে পুজোর আগে প্রচুর সংখ্যায় বুকিং হয় তাদের। কিন্তু এবছর সেই বুকিং হয়নি। ঢাকিরা মনে করছেন, আরজি কর কান্ড নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনের জেরে অনেক পুজো উদ্যোক্তারা বাজেট কমিয়েছেন। উন্মাদনা কমিয়েছেন। তারই সরাসরি প্রভাব পড়েছে ঢাকিপাড়ায়।

তবে যেটুকু বুকিং পেয়েছেন, তা দিয়েই চলতি বছর চালিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছেন তারা। কিন্তু আরও কি বুকিং আসার সম্ভাবনা রয়েছে? ঢাকিরা বলছেন, সেই সম্ভাবনা বেশ ক্ষীন। বুকিং এলেও আর খুব বেশি হবে না। তারা কৃষিকাজ সহ অন্যান্য ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালিয়ে নেন। তবে পুজোর সময় তাদের বাড়তি উপার্জন হয়। যা দিয়ে বেশ কিছুদিন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘর চালাতে পারেন। তবে এ বছর পরিস্থিতি অন্য তাই টেনেটুনেই সারাটা বছর চালাতে হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে তাদের।

নয়ন ঘোষ