উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার, লাইফস্টাইল Heritage Lake: মাত্র ২০ টাকায় ঘুরে আসুন, ১ দিনের দারুণ ট্যুর, মন ফুরেফুরে হবে, রইল প্ল্যান Gallery August 28, 2024 Bangla Digital Desk জেলা কোচবিহারের সদর শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে মদনমোহন বাড়ি। আর মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকেই রয়েছে রাজ আমলে খনন হওয়া বৈরাগী দিঘি। রাজ আমলে মদন বাড়ির পুজোর কাজ এবং মন্দিরের ভক্তদের জলের অভাব পূরণ করতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। (Sarthak Pandit) তবে বর্তমানে এই দিঘির জল অনেকটাই পবিত্র মনে করে কোচবিহারের মানুষেরা। বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই দিঘির জল ব্যবহার করা হয় পবিত্র গঙ্গা জল হিসেবে। তবে একটা সময় এই দিঘির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল পূর্ণ হয়ে থাকত। তবে এখন আর সেগুলির দেখা যাবে না। কোচবিহারের এক পর্যটক শোভন হোড় জানান, “রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জেলার সর্বত্র। সেই ঐতিহ্য গুলির মধ্যে এই দিঘি অন্যতম। তবে বর্তমানে এই দিঘির চারপাশের সংস্কার কাজ হয়েছে। ফলে এলাকার সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকটাই। আগে একটা সময় বৈরাগী দিঘির চারপাশ ঝোপ-জঙ্গল ভর্তি হয়ে থাকত। তবে এখন চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড। ফলে অসামাজিক কাজকর্ম কিংবা সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। এছাড়া এখানে প্রবেশের মূল্য রাখা হয়েছে জন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা।” কোচবিহারের আরেক পর্যটক মাধব দাস জানান, “কোচবিহারের সদর শহরে কিংবা মদনমোহন বাড়িতে ঘুরতে আসলে এই জায়গাটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষের মন মুহূর্তে শান্ত করে দিতে পারে। দিঘির পাড়ে কিছুক্ষণ বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোন মানুষের। এছাড়া তোলা সম্ভব সুন্দর সুন্দর সমস্ত ছবি।” কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “এই দিঘি ও দিঘির চারিপাশ সংস্কার করা হয়েছে জেলার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া এখানে রয়েছে সিকিউরিটির ব্যবস্থা। ফলে আগামী দিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।” বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে নতুন এই পার্কের মধ্যে। দিঘির পাড়ে গাছের ছায়ার তলে বসে সময় কাটানোর মজাটাই যেন আলাদা। যে কোন পর্যটক চাইলেই এখানে এসে সেই প্রাকৃতিক আনন্দের মজা নিতে পারেন। এছাড়াও এখানে তোলা সম্ভব আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি। তবে কুড়ি টাকা মূল্যে এই পার্কের প্রবেশ একেবারেই যথার্থ বলেই জানাচ্ছেন পার্কের পর্যটকেরা।