Tag Archives: heritage lake

Heritage Lake: রাজ আমলের দিঘি আজ বেহাল দশায়, ক্ষোভ স্থানীয়দের

কোচবিহার: রাজার আমলে এই শহরে বহু দীঘি খনন করা হয়েছিল। এলাকার সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ কর্মের জন্য এই দীঘি গুলো ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমান সময়ে এই দীঘি গুলোর মধ্যে শিববাড়ি দিঘির বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর যাবত এই দিঘিটির কোনও সংস্কারের কাজ হয় না। ফলে দীঘির চেহারা দেখলে যেকোনও মানুষ সহজেই ভয় পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে এই দিঘির জল আর ব্যবহারের উপযোগী নেই। দীঘি একেবারে কচুরিপানা ও আগাছায় পূর্ণ হয়ে রয়েছে।

এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা মীরা তেওয়ারি জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই দীঘিটির বেহাল দশা থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দীঘির আশেপাশে যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে তাঁরা সবসময় ভীতির মধ্যে থাকেন। যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে কাপ কিংবা অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। এছাড়া সন্ধে নামলে মশার উপদ্রবে নাজেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যায় গোটা এলাকায়। তাই স্থানীয়রা দ্রুত এই দীঘিটিকে সংস্কার করার আর্জি জানাচ্ছেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও দীঘিটি সংস্কার করা হয়নি আজও।

আরও পড়ুন: সারি সারি চারা গাছ, ছেলের জন্মদিনে অভিনব উদ্যোগ বাবার

এলাকার আরেক প্রবীন বাসিন্দা প্রেমকুমার শর্মা জানান, দীঘিটি হেরিটেজ দিঘী হলেও এতে মাছ চাষ করা হত ফিশারি ডিপার্টমেন্ট-এর মাধ্যমে। তবে শেষ যে ব্যক্তি এই দীঘিটি নেয়। তাঁর অবহেলার কারণে দীঘিটি আজও বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। আর এতে সমস্যা বাড়ছে স্থানীয় মানুষের। এলাকার আরেক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বনিক জানান, এই দীঘিটির সঙ্গে রাজ আমলের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই দীঘিটিকে সংস্কার করা। তবে এই বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও প্রকার উদ্যোগী ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই দীঘিটি সংস্কারের বিষয় নিয়ে কোনও প্রকার মন্তব্য প্রকাশ করতে চাননি। তবে একদিকে যখন গোটা শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে রাজ আমলের এই দীঘির বেহাল দশা পর্যটকদের মনে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।

সার্থক পন্ডিত

Heritage Lake: বড় দেবীর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয় এই দিঘীতে! দিঘীর বেহাল দশায় দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা

কোচবিহার: প্রসিদ্ধ রাজবাড়ীর এই শহর। রাজ আমলের বহু দীঘি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই গুলির মধ্যে অন্যতম পরিচিত দিঘী হল যমুনা দীঘি বা লম্বা দীঘি। এই দীঘির মধ্যেই রাজ আমলের বড় দেবীর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তবে বর্তমান সময়ে এই দীঘির একেবারেই বেহাল দশা।

এলাকার এক স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা বাণী পাল জানান, “সেই রাজ আমল থেকে এই দীঘির গুরুত্ব রয়েছে বেশ অনেকটাই। বিভিন্ন প্রয়োজনে এই দীঘি ব্যবহার করতেন স্থানীয় মানুষেরা। মাঝেমধ্যেই দীঘি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এছাড়াও সাপের সাপের উপদ্রব তো রয়েছেই। তাইতো বর্তমানে এই দিঘী সংস্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন বাদেই দুর্গা পুজো। বড় দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে এই দীঘিতে। দীঘির সংস্কার না হলে সমস্যা বাড়বে।”

আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস কেড়ে নিল দুই শ্রমিকের প্রাণ, বেঘোরে মৃত্যু এক কিশোরেরও

এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ সিনহা জানান, “একটা সময় এই দীঘির জল অনেকটাই পরিষ্কার ছিল। তখন ফিসারিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে মাছ চাষ করা হতো এই দীঘির মধ্যে। তবে বর্তমানে এই দীঘি সেই পুরনো জৌলুস হারিয়েছে। তাইতো রাজ আমলের হেরিটেজ এই দীঘিটিকে দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় মানুষেরা ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলরকে জানিয়েছেন।

পুরসভার ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিজিত মজুমদার জানান, “সামনেই দুর্গা পুজো। পুজোর পর বড় দেবীর প্রতিমা এখানেই বিসর্জন হবে। তাই তিনি দ্রুত এই দীঘি সংস্কারের কাজ শুরু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সকলকে।”

তবে রাজ আমলের হেরিটেজ এই দীঘির এমন বেহাল দশা দেখে অনেকেই হতাশ। দীঘিটিতে যদি মাছ চাষ করা সম্ভব হতো। তবে হয়তো দীঘিটির এরকম বেহাল দশা হতো না। এছাড়া দীঘির জল ব্যবহারের যোগ্য থাকত। বর্তমানে দীঘির এই পরিস্থিতি জেলার পর্যটকদের কাছেও অনেকটাই আশ করে তুলছে কোচবিহারকে।

সার্থক পন্ডিত

Heritage Lake: মাত্র ২০ টাকায় ঘুরে আসুন, ১ দিনের দারুণ ট্যুর, মন ফুরেফুরে হবে, রইল প্ল্যান

জেলা কোচবিহারের সদর শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে মদনমোহন বাড়ি। আর মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকেই রয়েছে রাজ আমলে খনন হওয়া বৈরাগী দিঘি। রাজ আমলে মদন বাড়ির পুজোর কাজ এবং মন্দিরের ভক্তদের জলের অভাব পূরণ করতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। (Sarthak Pandit)
জেলা কোচবিহারের সদর শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে মদনমোহন বাড়ি। আর মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকেই রয়েছে রাজ আমলে খনন হওয়া বৈরাগী দিঘি। রাজ আমলে মদন বাড়ির পুজোর কাজ এবং মন্দিরের ভক্তদের জলের অভাব পূরণ করতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। (Sarthak Pandit)
তবে বর্তমানে এই দিঘির জল অনেকটাই পবিত্র মনে করে কোচবিহারের মানুষেরা। বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই দিঘির জল ব্যবহার করা হয় পবিত্র গঙ্গা জল হিসেবে। তবে একটা সময় এই দিঘির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল পূর্ণ হয়ে থাকত। তবে এখন আর সেগুলির দেখা যাবে না।
তবে বর্তমানে এই দিঘির জল অনেকটাই পবিত্র মনে করে কোচবিহারের মানুষেরা। বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই দিঘির জল ব্যবহার করা হয় পবিত্র গঙ্গা জল হিসেবে। তবে একটা সময় এই দিঘির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল পূর্ণ হয়ে থাকত। তবে এখন আর সেগুলির দেখা যাবে না।
কোচবিহারের এক পর্যটক শোভন হোড় জানান, "রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জেলার সর্বত্র। সেই ঐতিহ্য গুলির মধ্যে এই দিঘি অন্যতম। তবে বর্তমানে এই দিঘির চারপাশের সংস্কার কাজ হয়েছে। ফলে এলাকার সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকটাই। আগে একটা সময় বৈরাগী দিঘির চারপাশ ঝোপ-জঙ্গল ভর্তি হয়ে থাকত। তবে এখন চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড। ফলে অসামাজিক কাজকর্ম কিংবা সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। এছাড়া এখানে প্রবেশের মূল্য রাখা হয়েছে জন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা।"
কোচবিহারের এক পর্যটক শোভন হোড় জানান, “রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জেলার সর্বত্র। সেই ঐতিহ্য গুলির মধ্যে এই দিঘি অন্যতম। তবে বর্তমানে এই দিঘির চারপাশের সংস্কার কাজ হয়েছে। ফলে এলাকার সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকটাই। আগে একটা সময় বৈরাগী দিঘির চারপাশ ঝোপ-জঙ্গল ভর্তি হয়ে থাকত। তবে এখন চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড। ফলে অসামাজিক কাজকর্ম কিংবা সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। এছাড়া এখানে প্রবেশের মূল্য রাখা হয়েছে জন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা।”
কোচবিহারের আরেক পর্যটক মাধব দাস জানান, "কোচবিহারের সদর শহরে কিংবা মদনমোহন বাড়িতে ঘুরতে আসলে এই জায়গাটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষের মন মুহূর্তে শান্ত করে দিতে পারে। দিঘির পাড়ে কিছুক্ষণ বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোন মানুষের। এছাড়া তোলা সম্ভব সুন্দর সুন্দর সমস্ত ছবি।"
কোচবিহারের আরেক পর্যটক মাধব দাস জানান, “কোচবিহারের সদর শহরে কিংবা মদনমোহন বাড়িতে ঘুরতে আসলে এই জায়গাটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষের মন মুহূর্তে শান্ত করে দিতে পারে। দিঘির পাড়ে কিছুক্ষণ বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোন মানুষের। এছাড়া তোলা সম্ভব সুন্দর সুন্দর সমস্ত ছবি।”
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, "এই দিঘি ও দিঘির চারিপাশ সংস্কার করা হয়েছে জেলার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া এখানে রয়েছে সিকিউরিটির ব্যবস্থা। ফলে আগামী দিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।"
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “এই দিঘি ও দিঘির চারিপাশ সংস্কার করা হয়েছে জেলার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া এখানে রয়েছে সিকিউরিটির ব্যবস্থা। ফলে আগামী দিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।”
বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে নতুন এই পার্কের মধ্যে। দিঘির পাড়ে গাছের ছায়ার তলে বসে সময় কাটানোর মজাটাই যেন আলাদা। যে কোন পর্যটক চাইলেই এখানে এসে সেই প্রাকৃতিক আনন্দের মজা নিতে পারেন। এছাড়াও এখানে তোলা সম্ভব আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি। তবে কুড়ি টাকা মূল্যে এই পার্কের প্রবেশ একেবারেই যথার্থ বলেই জানাচ্ছেন পার্কের পর্যটকেরা।
বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে নতুন এই পার্কের মধ্যে। দিঘির পাড়ে গাছের ছায়ার তলে বসে সময় কাটানোর মজাটাই যেন আলাদা। যে কোন পর্যটক চাইলেই এখানে এসে সেই প্রাকৃতিক আনন্দের মজা নিতে পারেন। এছাড়াও এখানে তোলা সম্ভব আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি। তবে কুড়ি টাকা মূল্যে এই পার্কের প্রবেশ একেবারেই যথার্থ বলেই জানাচ্ছেন পার্কের পর্যটকেরা।