Ganga Erosion: বর্ষা আসতেই শুরু গঙ্গার ভাঙন, বাঁচতে যা করছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা

মুর্শিদাবাদ: বর্ষাকাল আসতেই আবারও নদী ভাঙন শুরু হয়েছে সামসেরগঞ্জে। বৃষ্টিতে ক্রমশ বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। সম্প্রতি দু’দিনের টানা বর্ষণের কারণে জলস্তর বাড়তেই আতঙ্ক গ্রাস করছে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও এবছর সামসেরগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ। বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোখার কাজ চললেও সেই কাজের গুণমান নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয়রা।

সামসেরগঞ্জের পশ্চিম দেবিদাসপুর, ঘনশ্যামপুর, ডিস্কোমোড় সহ একাধিক এলাকায় ওপার থেকে নৌকায় করে নিয়ে আসা হচ্ছে বালির বস্তা। তারপর প্যাকেটিং করে জাল ছাড়িয়ে খাঁচা বন্দী করে ফেলা হচ্ছে গঙ্গায়। বস্তায় ঠিকমতো বালি থাকছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছেন গ্রামবাসীরা। ওজন করে মেপে নিচ্ছেন। প্রথমদিকে ঠিকমত বালি না থাকলেও এখন প্রতিটি বস্তায় ৩৫ কেজির ওপর বালি থাকছে বলেই জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারাই। এদিকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যেখানে যেখানে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে সেখানে কার্যত তদারকি করছেন জুনিয়র ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়াররা। পাশাপাশি রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররাও। সব মিলিয়ে কড়া নজরদারিতেই গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: জোড়া ভাঙনে মুছে যাওয়ার মুখে আস্ত চা বাগান!

ইতিমধ্যেই কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন করেন জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক একাম জে সিংয়ের নেতৃত্বে এক বিশেষ প্রতিনিধি দল। এছাড়াও সামসেরগঞ্জের বিডিও সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নৌকায় চেপে সামসেরগঞ্জের পশ্চিম দেবিদাসপুর, ঘনশ্যামপুর, ডিস্কোমোড় সহ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। খতিয়ে দেখেন কাজের মান। কাজ দেখে কর্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

কৌশিক অধিকারী